বিপিও সম্মেলন শুরু হবে আগামীকাল

BPOস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে আউট সোর্সিং খাতের অবস্থান তুলে ধরার লক্ষ্যে আগামীকাল থেকে রাজধানীতে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী বিজনেস প্রসেস আউট সোর্সিং (বিপিও) সম্মেলন-২০১৯।

সোনারগাঁও হোটেলে চতুর্থবারের মতো এই সম্মেলন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মুস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

এ বছরের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হলো ‘ট্রান্সফর্মিং সার্ভিস টু ডিজিটাল’।

নগরীর আগারগাঁওয়ে বৃহস্পতিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের এক সংবাদ সম্মেলনে জিয়াউল আলম বলেন, তরুণদের সামনে দেশের প্রযুক্তি খাত তুলে ধরার লক্ষ্যেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনের বিস্তারিত তুলে ধরে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, অতীতে বিপিও খাত সম্পর্কে জনগণের ধারণা ছিল না, তবে এই তিনবার সম্মেলন আয়োজনের পর এখন এই খাত সম্পর্কে সকলেই জেনেছে।

বিপিও শিল্পে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ে স্থানীয় খ্যাতনামা ৪০ জন ও বিদেশী ২০ জন বক্তা বক্তব্য রাখবেন।

দুইদিনে মোট ১২টি সেমিনার এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন জোরদারে প্রবৃদ্ধি ও তরুণ সমাজের উন্নতি নিশ্চিত করতে যুবভিত্তিক এই সেমিনার আয়োজন করা হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

টিআইবির প্রতিবেদন একপেশী ও স্ট্যান্টবাজি : ওয়াসা

tibস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণা প্রত্যাখ্যান করে ঢাকা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাসকিম এ খান বলেছেন, টিআইবির এটি কোনো গবেষণা নয়, এটি একটি সাদামাটা ও একপেশী প্রতিবেদন। এখানে স্ট্যান্ডবাজি হয়েছে।

‘ঢাকা ওয়াসায় অনিয়ম রয়েছে, পানি সুপেয় নয় এবং সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে’ সম্প্রতি ওয়াসা সম্পর্কে টিআইবির এই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
তাকসিম এ খান বলেন,রিপোর্টে টিআইবি নিজেদের পার্সপেক্টিভ উল্লেখ করেছে, এটা বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে ডাটা কালেক্ট করতে পারেনি। রিপোর্টে উল্লেখ করা ওয়াসার অনিয়মের অভিযোগটি ঢালাও।

এর আগে বুধবার টিআইবির পক্ষ থেকে ‘ঢাকা ওয়াসা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে ওয়াসার অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে বলা হয়, সেবাগ্রহীতাদের ৮৬.২ ভাগ ওয়াসার কর্মচারী এবং ১৫.৮ ভাগ দালালকে ঘুষ দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে পানির সংযোগ গ্রহণে ২০০ থেকে ৩০০০০ টাকা, পয়ঃনিষ্কাশন লাইনের প্রতিবন্ধকতা অপসারণে ৩০০ থেকে ৪৫০০ টাকা, গাড়িতে করে জরুরি পানি সরবরাহ করার ক্ষেত্রে ২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, মিটার ক্রয়/পরিবর্তন করতে ১০০০ থেকে ১৫০০০ টাকা মিটার রিডিং ও বিল-সংক্রান্ত বিষয়ে ৫০ থেকে ৩০০০ টাকা এবং গভীর নলকূপ স্থাপনে এক লাখ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ গ্রহণ করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার পানির নিম্নমানের কারণে ৯৩ শতাংশ গ্রাহক বিভিন্ন পদ্ধতিতে পানি পানের উপযোগী করে। এর মধ্যে ৯১ শতাংশ গ্রাহকই পানি ফুটিয়ে বা সেদ্ধ করে পান করে। গৃহস্থালি পর্যায়ে পানি ফুটিয়ে পানের উপযোগী করতে প্রতিবছর আনুমানিক ৩৩২ কোটি টাকার গ্যাসের অপচয় হয়।

পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সেবার নিম্নমান এবং সেবা সম্পর্কে প্রায় এক-তৃতীয়াংশের বেশি সেবাগ্রহীতা অসন্তুষ্ট। এছাড়া গ্রাহক সেবায় এলাকাভেদে সেবার মানের তারতম্য ও ন্যায্যতার ঘাটতি-চাহিদা অনুযায়ী পানি না পাওয়ার হার সবচেয়ে বেশি বস্তিবাসীর ক্ষেত্রে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

এক মাসে ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ২২,৭৬৩ কোটি টাকা

index smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ৩৬২৮ কোটি টাকা। সর্বশেষ সপ্তাহে লেনদেনের সাথে কমেছে সূচক ও শেয়ারের দর। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ডিএসই সূত্র জানা যায়, ১৮ এপ্রিল বাজারটির মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩,৯৫,১৬৩ কোটি টাকা। যা গত ১৮ মার্চ ছিল ৪,১৭,৯৫৬ কোটি টাকা। এহিসাবে সর্বশেষ এক মাসে ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ২২,৭৬৩ কোটি টাকা।

গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৩,৯৭,৬২১ কোটি টাকা। যা সপ্তাহের শেষদিনে কমে দাঁড়িয়েছে ৩,৯৫,১৬৩ কোটি টাকা। এ হিসাবে গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ০.৬২ শতাংশ বা ২৪৫৮ কোটি টাকা।

এ সময় ৫ দিনে মোট ১২৩২ কোটি ৬২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে সেখানে ১৬৭৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ২৬.৩৪ শতাংশ কম।

এসময় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসই্ক্স ৪.৯৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩২১ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক পয়েন্ট ৫.৪০ পয়েন্ট কমে দাড়িয়েছে ১৮৯৭ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ৫.৬১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১২২৭ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৫৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৬টির, কমেছে ১৪৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৫টি কোম্পানির শেয়ার কোনো লেনদেন হয়নি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম