এসবিএসি ব্যাংকের আইপিওতে ১৪ গুণ আবেদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। কোম্পানিটির চাহিদার তুলনায় প্রায় ১৪ গুণ আবেদন জমা পড়েছে।

এর আগে গত ৫ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংকিং কর্মদিবসে বিনিয়োগকারীরা এ আবেদন করেছেন। আগামী ২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ টাওয়ারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুপাতিকহারে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আইপিওতে ব্যাংকটি অভিহিত মূল্য তথা ১০ টাকা দামে ১০ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে। আর এর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে ব্যাংকটি। এর বিপরীতে এক হাজার ৩৯১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়েছে। সে হিসেবে চাহিদার ১৩ দশমিক ৯১ গুণ আবেদন জমা পড়ে। পুঁজিবাজার থেকে ব্যাংকটি অর্থ উত্তোলন করে সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

এ প্রসঙ্গে এসবিএসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ বলেন, সর্বপ্রথম আমি বিনিয়োগকারীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। এই করোনাকালীন কঠোর লকডাউনের মধ্যে তারা অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছেন। তারা আমাদের ব্যাংকের প্রতি যে আস্থা দেখিয়েছেন তাতে আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও দায়িত্বপালনে জবাবদিহিতা আরও বেড়ে গেছে। আমাদের ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এর যথাযথ প্রতিদান দিতে বদ্ধপরিকর।

তিনি আরও বলেন, একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে শিল্পায়ন গড়ে উঠে তাতে শেয়ারবাজারের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী বিনিয়োগ করা হয়ে থাকে। সরকারের বড় বড় প্রকল্পে শেয়ারবাজারের মাধ্যমে বিনিয়োগ করা সম্ভব। সুতরাং সাউথ বাংলা ব্যাংক শেয়ারবাজারের সার্বিক উন্নয়ন ভূমিকা পালন করবে ইনশাল্লাহ। সে জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা কামনা করেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ারবাজারে আসার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, ইস্যু ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান।

ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করা সাউথবাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক গত ৯ মে আইপিওর অনুমোদন পায়। ওইদিন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) তার ৭৭৩তম সভায় এ অনুমোদন দেয়। এর আগে দীর্ঘ ১২ বছর পর চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়; ব্যাংকটির আইপিওতে আবেদন পড়েছিল ৮ দশমিক ৭২ গুণ।

সাউথবাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংকের ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুন:মূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেটভ্যালু দাঁড়িয়েছে ১৩.১৮ টাকা। আর ওই বছরের ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৯৪ টাকা। যা বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে হয়েছে ১.২৪ টাকা। আইপিওতে ব্যাংকটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

ডিএসই সূত্রে আরও জানা যায়, সাউথ বাংলা ব্যাংকের আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আবেদন জমা পড়েছে ৬৬১ কোটি ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকার; ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আবেদন জমা পড়েছে ১৩১ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার; প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের আবেদন জমা পড়েছে ৯১ কোটি ৭৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার এবং প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আবেদন পড়েছে ৫০৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকার।

এর আগে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের আইপিওতে যেসব ইলিজিবিল ইনভেস্টর আবেদন করেছে তাদের শেয়ার বরাদ্দের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের মাধ্যমে আবেদন করা ৬৮২টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে এই শেয়ার বণ্টন করা হয়েছে। জানা যায়, যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারিত ৪ কোটি শেয়ারের বিপরীতে ৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬০০ শেয়ারের আবেদন পড়েছে। অর্থাৎ ৪০ কোটি টাকার বিপরীতে সাউথ বাংলার আইপিওতে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা ৫০৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকার আবেদন করেছে। এক্ষেত্রে চাহিদার ১২.৬৮ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়েছে। আর প্রো-রাটা ব্যাসিসে আবেদন করা ৬৮২টি যোগ্য বিনিয়োগকারীর মধ্যে শেয়ার ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিদেশ যেতে অনুমতি লাগবে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (ব্যবস্থাপনা পরিচালক/সিইও) বিদেশ ভ্রমণে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে। আজ সোমবার (২৬ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের এক সার্কুলারে দেশে কার্যরত সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাপ্তরিক কোন কাজে কিংবা ব্যক্তিগত ছুটিতে দীর্ঘদিনের জন্য বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করলে প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকান্ডে সার্বিক গতিশীলতা হ্রাসের পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনাগত ঝুঁকিসহ আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে।

এক্ষেত্রে দেশে কার্যরত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকতার বিদেশ ভ্রমণ আবশ্যকীয় হলে দেশের বাইরে গমনের পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান যতদূর সম্ভব পরিহারের পরামর্শ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিত আবেদনপত্রের সাথে ভ্রমণের ১৫ কর্মদিবস পূর্বে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের কপিসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিল করতে হবে বলেও নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এদিকে বিদেশ ভ্রমণের আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত হলে, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুপস্থিতকালীন তাঁর স্থলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম, পদবী, দাপ্তরিক ফোন, সেল ফোন নম্বর ও ই-মেইল এড্রেস প্রধান নির্বাহীর কর্মস্থল ত্যাগের পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয় এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগকে অবহিত করার জন্যও বলা হয়েছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ১৮ (ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ২৩ মার্চ অনুমতি ছাড়া ব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) বিদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার যথাসম্ভব সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কিছু ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাপ্তরিক কাজে কিংবা ব্যক্তিগত ছুটিতে দীর্ঘদিনের জন্য বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করলে ব্যাংকের কর্মকাণ্ডে সার্বিক গতিশীলতা হ্রাসের পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনাগত ঝুঁকিসহ আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দেয়।

ওই নির্দেশনায়, ব্যাংক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বাংলাদেশের বাইরে ভ্রমেণ বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক করা হয়। এর আগে দেশের বাইরে যেতে তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি লাগত না।

এবছরের ৫ জুলাই ব্যাংক এমডিদের বিদেশ ভ্রমণে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির ক্ষেত্রে তার সঙ্গীর তথ্য লাগবে এমন আরেকটি নির্দেশনাও দেয়। সেখানে ভ্রমণে ব্যয়ের উৎস এবং বেতনও জানাতে হবে না। শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, ভ্রমণের উদ্দেশ্যসহ কয়েকটি তথ্য দিয়ে আবেদন করলে চলবে বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

আইপিডিসি ফাইন্যান্সের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২১-জুন’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

আজ বুধবার (২৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।

কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (Earning Per Share-EPS) হয়েছে ৫৫ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ৪৫ পয়সা ছিল।

অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে তথা হিসাববছরের প্রথম ৬ মাসে (জানুয়ারি’২১-জুন’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ইপিএস ৮৫ পয়সা ছিল।

দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ১৬ টাকা ৯২ পয়সা, যা গত বছর ৩ টাকা ৮২ পয়সা ছিল।

গত ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৫ টাকা ৮৮ পয়সা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ইষ্টার্ণ ব্যাংকের অর্ধ-বার্ষিকী আয় বেড়েছে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান ইষ্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেডের চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংকটির চলতি বছরের এপ্রিল-জুন মাসে অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ার প্রতি সম্বনিত আয় হয়েছে ১.৪৭ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ০.৭৮ টাকা।

চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন বা ৬ মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২.৫৬ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ১.৬৫ টাকা। এই অর্ধ-বার্ষিকীতে ব্যাংকটির আয় বেড়েছে।

চলতি বছর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদের পরিমাণ হয়েছে ৩১.৯৭ টাকা, যা গত বছর ৩০ জুন ছিল ২৮.৮৯ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড

যশোরে ৩০ সেট অক্সিজেন সিলিন্ডার দিল সাইফ পাওয়ারটেক

যশোর জেলা প্রশাসকের হাতে ৩০ সেট অক্সিজেন সিলিন্ডার তুলে দিল সাইফ পাওয়ারটেক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

যশোরে ৩০ সেট অক্সিজেন সিলিন্ডার দিল সাইফ পাওয়ারটেক যশোর জেলা প্রশাসনকে ৩০ সেট অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়েছে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় যশোর জেলা প্রশাসনকে ৩০ সেট অক্সিজেন সিলিন্ডার (সরঞ্জামাদিসহ) দিয়েছে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) যশোর জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খানের উপস্থিতিতে জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনের হাতে অক্সিজেন সিলিন্ডার তুলে দেন সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিনের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসক ও সরবরাহ) মেজর (অব.) ফারুখ আহমেদ খান।

জেলা প্রশাসক বলেন, সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড করোনাকালীন মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে আর্তমানবতার সেবায় অনন্য অবদান রেখে চলেছে। এ ছাড়া দেশের ক্রীড়া উন্নয়নে গৌরবময় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

গত ১০ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসের হাতে ২ কোটি টাকা অনুদানের চেক তুলে দেন সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন।

সম্প্রতি শেখ রাসেলের জন্মদিনে সাইফ পাওয়ারটেক শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ও ১০০টি ল্যাপটপ দিয়েছে।

এ ছাড়া মেধাবী ও অসচ্ছল ১ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রতিমাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা অনুদান দেন তরফদার মো. রুহুল আমিন।

চট্টগ্রাম বন্দরের শীর্ষ টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

বাংলাদেশ মাংস-ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সার্ক অঞ্চলে প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে সার্কভুক্ত দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সার্ক কৃষি কেন্দ্র আয়োজিত সার্ক অঞ্চলে প্রাণিসম্পদ ও প্রাণিজাত পণ্যের আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে গাইডলাইন ও পলিসি সমন্বয় সংক্রান্ত আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞদের এক ভার্চুয়াল পরামর্শক সভার উদ্বোধন পর্বে সচিবালয়ের নিজ দপ্তর কক্ষ থেকে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

আঞ্চলিক খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও জীবনযাত্রা এবং দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণের জন্য সার্ক অঞ্চলে প্রাণিসম্পদ ও প্রাণিজাত পণ্যের আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে গাইডলাইন ও পলিসি সমন্বয় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে এ সময় মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

এ বিষয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, সার্কভুক্ত অনেক দেশ প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণই নয় বরং উদ্বৃত্ত। সে দেশগুলো রপ্তানির মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষের বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ১৩টি খাতে বিশ্বের সেরা দশটি স্থান অর্জন করেছে। যার মধ্যে বিশ্বে ইলিশ আহরণে প্রথম, ধান উৎপাদনে তৃতীয়, অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে তৃতীয়, বদ্ধ জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে পঞ্চম, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল উৎপাদনে চতুর্থ, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আলু উৎপাদনে ষষ্ঠ স্থান অর্জন উল্লেখযোগ্য।

এ বিষয়ে প্রধান অতিথি আরো যোগ করেন, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জন, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং মেধাবি জাতি গঠনে প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাণিসম্পদ থেকে উৎপাদিত দুধ, ডিম, মাংস ও অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাদ্য অপুষ্টি দূর করে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের নানা পদক্ষেপ তথা কৃত্রিম প্রজনন, পোলট্রি ও ডেইরি খাতে গবেষণা বৃদ্ধি, শিক্ষিত উদ্যেক্তা তৈরি, সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানসহ বিভিন্ন রকম প্রণোদণা প্রদানের কারণে বিগত ১২ বছরে বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন হয়েছে। বাংলাদেশ এখন মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং ৪-৫ বছরের মধ্যে দুধ উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। পোলট্রি ও ডেইরি খাতের ব্যাপক সাফল্যের কারণে প্রাণিজাত খাদ্যের বহুমুখীকরণ ও রপ্তানিতে বাংলাদেশ সরকার জোর দিচ্ছে। গুণগত মানসম্পন্ন ও নিরাপদ প্রাণিজাত পণ্য উৎপাদন এক্ষেত্রে একটি চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ উত্তরণে আন্তর্জাতিকমানের প্রাণিসম্পদ উৎপাদন উপকরণ ও প্রাণিজাত খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকার এ খাতের উদ্যোক্তাদের কর অব্যাহতিসহ নানা সুবিধা দিচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ খাত স্বাস্থ্যকর দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে অবদান রেখেছে এবং অবদান রাখছে। পাশাপাশি বাংলাদেশসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিচ্ছে। এদেশগুলোতে লাখ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবিকা এ খাতের উপর নির্ভরশীল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কভিড-১৯ থেকে মুক্তি লাভ, ক্ষুধা দূর করা, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, খাদ্যের সাথে জড়িত অসংক্রামক ব্যাধি তথা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করার বিষয়গুলো আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নীতিতে আধিপত্য বিস্তার করছে। এজন্য টেকসই খাদ্য উৎপাদন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে সার্ক অঞ্চলের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক সভা অত্যন্ত সময়োপযোগী।- যোগ করেন প্রধান অতিথি।

সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. বক্তীয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভার উদ্বোধন পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার ও ভুটানের কৃষি ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক ড. তাশি সামদুপ।

স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সার্ক কৃষি কেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (প্রাণিসম্পদ) ড. আশীষ কুমার সামন্ত। এ ছাড়া সার্ক সদস্য দেশসমূহের প্রাণিসম্পদ খাতের বিশেষজ্ঞ, উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী এবং সার্ক কৃষি কেন্দ্রের কর্মকর্তাগণ উদ্বোধন পর্বে অংশগ্রহণ করেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ব্লক মার্কেটে ৭৪ কোটি টাকার লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার ব্লক মার্কেটে মোট ৩৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ১ কোটি ৯০ লাখ ২২ হাজার ৬৩৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৭৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটি ৪০ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

সাউথইস্ট ব্যাংক ১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফিন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৭ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- অ্যাক্টিভ ফাইন, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বিডি ফিন্যান্স, বার্জার পেইন্টস, বসুন্ধরা পেপার মিলস, সেন্ট্রাল ফার্মা, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইস্টার্ন ব্যাংক, ই-জেনারেশন, ফু-ওয়াং সিরামিকস, জিবিবি পাওয়ার, জেনেক্স ইনফোসিস, ইসলামিক ফিন্যান্স, যমুনা ব্যাংক, জেএমআই সিরিঞ্জ, কাট্টালি টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং, ম্যারিকো, মেঘনা পেট্রোলিয়াম,ন্যাশনাল ফিড মিলস, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, আরডি ফুড, সাইফ পাওয়ারটেক, স্যালভো কেমিক্যাল, সিলকো ফার্মা, সোনালী পেপার,স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, ট্রাস্ট ব্যাংক, ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফিন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ও ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

৫ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ১ আগস্ট

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১ আগস্ট ফান্ডগুলোর ট্রাস্টি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ফান্ডগুলোর ৩০ জুন, ২০২১ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পরযালোচনা ও প্রকাশ করা হবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ফান্ডগুলো হচ্ছে-

ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফিন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ১ আগস্ট দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

এনসিসি ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ১ আগস্ট দুপুর ১টা ২০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

এল.আর গ্লোবাল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ১ আগস্ট দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ১ আগস্ট দুপুর ১টা ১০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

এআইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ১ আগস্ট দুপুর ১টা ৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

‘নগদ’ ৫০০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ছাড়বে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানি ‘নগদ’ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে।

পাঁচ বছর মেয়াদান্তে যার ফেসভ্যালু হবে ৭৫০ কোটি টাকা।
দেশের যে কোনো মোবাইল বা ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানির জন্য এটিই প্রথম কোনো বন্ড ছাড়ার ঘটনা।

ঘোষণার পর থেকে ‘নগদ’-এর বন্ডে বিনিয়োগ করতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে কিউ গ্লোবাল লি. নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ডিজিটাল কোম্পানি এই বন্ডে ৩০ মিলিয়ন সমপরিমাণ বাংলাদেশি টাকা বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

রিভারস্টোন ক্যাপিটাল লিমিটেড বন্ডটির অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে। একই সঙ্গে গ্রিন ডেল্টা ক্যাপিটাল লিমিটেড ট্রাস্টির দায়িত্ব পালন করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

লকডাউনে শিল্প-কারখানা খুলতে ব্যবসায়ীদের চাপে সরকার

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

দেশে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় নাগরিকদের জীবন রক্ষায় সরকার ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে। ২৩ জুলাই থেকে অব্যাহত থাকা এই কঠোর লকডাউন প্রতিপালনে একদিকে জাতীয় কমিটি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সরকারের ওপর চাপ আছে। তাদের পরামর্শ, ১৪ দিনের এই কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করা গেলে বিপুল স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে নাগরিকদের রক্ষা করা যাবে। না হয় হাসপাতালগুলোর পক্ষে করোনা আক্রান্ত রোগীর চাপ সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

বিপরীতে ব্যবসায়ীরা দাবি জানাচ্ছেন কঠোর লকডাউনের মধ্যেই কলকারখানা খুলে দেওয়ার। পাশাপাশি ক্ষতি কাটাতে ব্যবসায়ীরা নতুন করে প্রণোদনার দাবিও জানাচ্ছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার পড়েছে উভয় সংকটে। এমন অবস্থার মধ্যে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক বসার কথা রয়েছে।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন বা কঠোর বিধি-নিষেধ একমাত্র সমাধান নয়। আবার লকডাউন না দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাও কঠিন। এমন সংকটের মধ্যেই সরকার বিভিন্ন সময়ে বিধি-নিষেধের মাত্রায় হেরফের করছে। এর আগে একাধিক লকডাউনে শিল্প-কলকারখানা খোলা ছিল। চলমান লকডাউনের আগে এক সপ্তাহ স্বাভাবিক চলাফেরা করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হবে জেনেও দেশের অর্থনীতি এবং নাগরিকদের কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঈদ-পরবর্তী ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কিন্তু ঈদের আগে থেকেই বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা টানা ১৪ দিন কঠোর লকডাউন না দিতে অনুরোধ করে আসছেন। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে চেষ্টাও করেছেন তাঁরা। তবে সরকার অনড় অবস্থানে থেকে লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে এখনো অটল।

এদিকে দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও লকডাউন মানা নিয়ে বিপুল অনীহা রয়েছে। লকডাউনের মধ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের যে প্রত্যাশা করছে সরকার, তা কতটা অর্জিত হবে বলা কষ্ট। দেশের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে খবর নিয়ে জানা গেছে, বড় শহরগুলোয় গণপরিবহন, মার্কেটসহ প্রায় সব কিছুই বন্ধ রয়েছে। তবে ছোট ছোট শহর ও বাজারে লকডাউনের প্রভাব তেমন নেই। গ্রামে-গঞ্জে, ঘরে ঘরে সর্দিজ্বরের প্রকোপ থাকলেও মানুষ এখনো মাস্ক পরা নিয়ে উদাসীন। এসব বিষয়ও সরকারের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গার্মেন্টস শিল্পমালিকদের বেশির ভাগ আগামী ১ আগস্ট থেকে কর্মীদের কাজে যোগদানের বার্তা দিয়ে ঈদের ছুটি দিয়েছেন। অনেক কারখানার গেটেও এই বার্তা টানানো হয়েছে। এসব তথ্য সরকারের দায়িত্বশীলরা জানেন। সরকারের ওপর এটি ব্যবসায়ীদের পরোক্ষ চাপ বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সরকারের দায়িত্বশীলরা ব্যবসায়ীদের এমন আচরণকে দায়িত্বহীনতার সঙ্গে তুলনা করছেন। একই সঙ্গে গার্মেন্টসহ অন্যান্য কলকারখানার শ্রমিকদের লকডাউনের বিরুদ্ধে মাঠে নামানোর ছকও করা হচ্ছে। সরকারের একাধিক সংস্থা এসব তথ্য জানতে পেরেছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কাছে সরকার কঠোর বার্তা পাঠিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সরকার ইচ্ছা করে লকডাউন দেয়নি। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ যাতে সরকারের সক্ষমতার বাইরে চলে না যায়, সে জন্যই এটি করা। পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করলে শিল্প-কলকারখানা খুলে দেবে সরকার।

এদিকে লকডাউন অব্যাহত রাখা হলে ব্যাপক ক্ষতির কথা উল্লেখ করে সরকারের কাছে নতুন করে প্রণোদনার প্রতিশ্রুতি চাইছে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো।

বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘লকডাউন শিথিল করার কোনো ইশারা আমরা এখনো পাইনি। আমদানি-রপ্তানি অব্যাহত রাখলেও কারখানা বা অফিসে গিয়ে কর্মকর্তারা কাগজপত্র তৈরি করে বন্দরে পাঠাতে পারছেন না। ফলে বন্দরে কনটেইনার জট লেগে গেছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বাড়তি জরিমানার হুমকি দিচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘টানা এত দিন কলকারখানা বন্ধ রাখায় ঈদের আগেই আমরা সরকারকে লিখিতভাবে প্রণোদনা দেওয়ার কথা জানিয়েছি। ৫ আগস্টের পর চালু হলে কলকারখানা খুলতে আরো দু-তিন দিন লাগবে। বেতন দেওয়ার সময়ও হবে তখন। দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ থাকলে আমরা শ্রমিকদের বেতন দেব কোথা থেকে?’

করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ শহিদুল্লা গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের কথা পরিষ্কার। সব সময় লকডাউন দেওয়া কোনো সমাধান নয়। কিন্তু বিশেষ পরিস্থিতিতে যখন প্রয়োজন তখন লকডাউন না দিয়ে উপায় নেই। বর্তমানে সেই পরিস্থিতির সম্মুখীন আমরা। তাই চলমান লকডাউন ৫ আগস্ট পর্যন্ত চালাতেই হবে।’

তিনি বলেন, ‘জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে লকডাউনে ছাড় দিতে হবে। বর্তমান কঠোর লকডাউনের পর কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে। সরকার সেই ব্যবস্থা মানুষের মাথায় হাত বুলিয়ে করবে নাকি শাস্তি দিয়ে করবে, সেটা সরকারের বিষয়।’

হুঁশিয়ারি দিয়ে এই বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, ‘যারা কলকারখানা খোলার জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছেন তাঁদের কাছের মানুষ যখন আক্রান্ত হবে, মারা যাবে, তখন হয়তো তাঁদের বোধোদয় হবে।’

গতকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘মহামারি নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউনের মধ্যে কোনো শিল্প-কারখানা খুললে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাঠ প্রশাসনকে এমন নির্দেশনা দেওয়া আছে।’ তিনি বলেন, ‘সংক্রমণ যে গতিতে ছড়াচ্ছে, কঠোর বিধি-নিষেধের বিকল্প নেই। লকডাউনের মধ্যে পোশাক কারখানা খোলা নিয়ে সরকারের এখন পর্যন্ত কোনো চিন্তা-ভাবনাও নেই।’ সূত্র : কালের কন্ঠ

স্টকমার্কেটবিডি.কম/