করদাতা বাড়াতে মোবাইল এ্যাপস চালু করবে এনবিআর

nrbস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

কর ফাঁকি রোধ এবং করদাতার সংখ্যা বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ওয়েবভিত্তিক নিজস্ব সফটও্যার ও মোবাইল এ্যাপস তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এর মাধ্যমে করজালের বাইরে থাকা বিপুল সংখ্যক মানুষকে করজালে অন্তর্ভূক্ত করা যাবে বলে আশা করছে রাজস্ব প্রশাসন।

এনবিআর সূত্র জানায়,সফটওয়্যারের মাধ্যমে আয়কর বিভাগের ৬৪৯টি করাঞ্চলকে মোবাইল এ্যাপসের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এই এ্যাপস ব্যবহার করে যে কেউ কোন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বা সেবা প্রদানে নিয়োজিত ব্যক্তির কর পরিশোধ সনদ বৈধ কিংবা কার্যকর অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ কি-না তা যাচাই করতে পারবেন। কার্যকর না হলে এই এ্যাপসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট করাঞ্চলে অভিযোগ করারও সুযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে এনবিআরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসস’কে বলেন,মোবাইল এ্যাপস ব্যবহার করে একজন ক্রেতা বা সাধারণ নাগরিকের যখন কোন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর পরিশোধ সনদের বিষয়ে অভিযোগ করার সুযোগ থাকে, তখন স্বাভাবিকভাবে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো কর প্রদানে সতর্ক হয়ে যায়। এই বিবেচনা থেকে এনবিআর ওয়েবভিত্তিক নিজস্ব সফটও্যার ও মোবাইল এ্যাপস তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।

এই মোবাইল এ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে দেশে সত্যিকার অর্থে যেন কর ফাঁকি রোধ হয় এবং করদাতার সংখ্যা বাড়ে এজন্য আয়কর আইনে কিছুটা পরিবর্তন আনা হবে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, আয়কর অধ্যাদেশ, ১৮৪ (সি) উপধারায় কোন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বা সেবা প্রদানে নিয়োজিত ব্যাক্তির কর সনাক্তকরণ নম্বরের (আইএন) সনদপত্র নিজস্ব কার্যালয়ে দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখা বাধ্যতামুলক। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেটি পরিপালন করা হচ্ছে না। তাই এই বিধান পরিবর্তন করে কর পরিশোধ সনদপত্র ঝুলিয়ে রাখার বিধান করার চিন্তা করছে এনবিআর। একইসাথে সেটি যেন কঠোরভাবে পালন করা হয় সেই উদ্যোগও নেয়া হচ্ছে।

এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান,যে মোবাইল এ্যাপস তৈরি করা হচ্ছে,তাতে কেবল কর পরিশোধ সনদ যাচাইয়ের সুযোগ থাকবে। অন্য কোন বাড়তি তথ্য থাকবে না।
কর্মকর্তারা বলেন,কোন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বা বাণিজ্যিকভিত্তিতে নিয়োজিত চিকিৎসক,প্রকৌশলী, আইনজীবিসহ অন্যান্য পেশায় যারা আছেন, তারা নিয়মিত কর না দিলে কর পরিশোধ সনদ আপনাআপনি বাতিল হয়ে যায়। সুতরাং অকার্যকর সনদ মানেই তিনি কর পরিশোধন করেননি। এ কারণে এর চেয়ে বাড়তি তথ্য এ্যপাস-এ দেয়ার প্রয়োজন নেই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

ঋণখেলাপিদের নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত

courtস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ঋণখেলাপিদের সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যে নীতিমালা জারি করেছে তার কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের দেয়া আদেশ দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচপারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেয়। এর আগে অর্থ বিভাগের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ঋণখেলাপিদের সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের দেয়া স্থিতাবস্থার আদেশ ২ জুলাই স্থগিত করে আদেশ দেন। একইসঙ্গে বিষয়টি আজ ৮ জুলাই পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী আজ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এ নিয়ে শুনানি হয়।

গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করা হয়। এরপর রিটকারীদের আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২১ মে ওই সার্কুলারের উপর ২৪ জুন পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজার রাখার আদেশ দেয় আদালত। সে আদেশ স্থগিত করে আদেশ দেয় আপিল বিভাগ। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে মাহবুবে আলম ও ব্যারিস্টার মো. মুনিরুজ্জামান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে হাইকোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদন বলা হয়-খেলাপী ঋণের পরিমান ২ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৮০ হাজার কোটি টাকা আদালতের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। আর অবলুপ্ত ঋণের পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকা। সে হিসেবে বর্তমানে প্রকৃত খেলাপী ঋণের পরিমান ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে ঋণখেলাপির তালিকা দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রুলও জারি করে। রুলে আর্থিক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা বন্ধে কমিশন গঠন এবং এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।বাসস

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

সরকার শক্তিশালী শেয়ারবাজার গঠনে কাজ করে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

pmস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার দেশব্যাপী প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ শিক্ষা এবং বিনিয়োগকারীদের সম্ভাব্য সব ধরনের নিরাপত্তা দেওয়ার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল শেয়ারবাজার গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার একটি শক্তিশালী শেয়ারবাজার গঠনে কাজ করে যাচ্ছে, এর ফলে দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি অর্থের জোগান দেওয়া সম্ভব হবে।’

সোমবার সকালে (৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘রিজিওনাল সেমিনার অন ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রোটেকশন’ শীর্ষক চার দিনের এক সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার একটি শক্তিশালী শেয়ারবাজার গড়ে তোলার জন্য ধারাবাহিকভাবে পলিসি সাপোর্ট, আইনগত সংস্কার, অবকাঠামো র্নিমাণসহ নানাবিধ সহযোগিতা দিয়ে আসছে।’

তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজারের বিভিন্ন পর্যায়ে অনিয়ম দূর করে জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করা হয়েছে।’

শেয়ারবাজারে ব্যক্তিকেন্দ্রিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের শেয়ারবাজার এখনও ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীর ওপর নির্ভরশীল।’ তিনি শক্তিশালী শেয়ারবাজার গঠনে দৈনন্দিন লেনদেনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি দক্ষ বিনিয়োগ গোষ্ঠী গড়ে তুলতে দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ‘বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট (বিএএসএম) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’

ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ ঝুঁকি হ্রাস করতে বিএসইসি দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে, এ কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এর আওতায় বিভাগীয় শহরগুলোতে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং পর্যায়ক্রমে তা সব জেলা সদরে অনুষ্ঠিত হবে।’

শেয়ারবাজারে খেয়াল খুশিমতো বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকতে তিনি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘মূলত, বিনিয়োগকারীরাই হলো বাজারের মূল চালিকাশক্তি। তাই তাদের সচেতনতার বিষয়টি শক্তিশালী শেয়ারবাজার গড়ার অন্যতম পূর্বশর্ত।’

তিনি বলেন, ‘জেনে-বুঝে বিনিয়োগ করলে একদিকে যেমন প্রত্যেকের বিনিয়োগ ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা বাড়ে, অন্যদিকে নিশ্চিত হয় বাজারের স্থিতিশীলতা।’

এই বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করেই আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারে দেশব্যাপী বিনিয়োগ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্প্রসারণের ওপর জোর দেয়, বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীসহ, শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের বিনিয়োগ দক্ষতা ও কলাকৌশল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করবে।’

এতে অন্যান্য প্রচেষ্টার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার দিকটি অধিকতর নিশ্চিত হয়ে বিকশিত একটি শেয়ারবাজার গড়ে উঠবে এবং এই শেয়ারবাজার ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হতে আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন খাতে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের অন্যতম উৎস হিসেবে আবির্ভূত হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সেমিনারে ভারত, জাপান, ফিলিপিন্স, নেপাল, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং আইসল্যান্ডের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ এবং বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. মো. খায়রুল হোসেন বক্তৃতা করেন।

সেমিনারে দেশের উন্নয়নে শেয়ারবাজারের ভূমিকা শীর্ষক একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। বাসস

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের এজিএমের দিন পরিবর্তন

bgic-smbdস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে বিমা খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন পরিবর্তন করেছে। বিমার এজিএমটি আগামী ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিমার পরিচালনা বোর্ডের সভায় ৩৪তম এই এজিএমের দিন পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনিবার্যকারণ বশত এই এজিএমটির দিন পরিবর্তন করা হয়।

এর আগে এই এজিএমের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৭ জুন। তবে এজিএম সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

  1. ন্যাশনাল লাইফ
  2. এশিয়ান টাইগারস
  3. রানার অটোস
  4. রূপালী ইন্স্যুরেন্স
  5. জেএমআই সিরিঞ্জ
  6. সিলকো ফার্মা
  7. স্কয়ার ফার্মা
  8. ইউনাইটেড পাওয়ার
  9. প্রগতি লাইফ
  10. সিঙ্গার বিডি লিমিটেড।

ডিএসইতে ৪২৬ ও সিএসইতে ১৪ কোটি টাকার লেনদেন

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের চেয়ে কমেছে। তবে এদিন দিনশেষে সেখানে সূচকের পতন হয়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪২৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার ডিএসইতে লেনদেন হয় ৪১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে।

এদিন লেনদেন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪.৪৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩১৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই সূচক ৫.২২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২১৬ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৪.২২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮৮৬ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ ৩৫৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১১৬টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৯৮টির। আর দর অপরিবর্তিত আছে ৩৯টির দর।

দিন শেষে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে – ন্যাশনাল লাইফ, এশিয়ান টাইগারস, রানার অটোস, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, জেএমআই সিরিঞ্জ, সিলকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার, প্রগতি লাইফ ও সিঙ্গার বিডি লিমিটেড।

এদিকে সোমবার দিনশেষে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ২৯০ পয়েন্টে।

সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৬৩ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৫টির, কমেছে ১৫৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির শেয়ার দর।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

দিনশেষে সেখানে লেনদেনের শীর্ষে ছিল প্রগতি ইন্স্যুরেন্স ও রানার অটোস লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড

সী পার্ল বিচ রিসোর্টের লেনদেন শুরু ১৬ জুলাই

Hotel-sea.স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত ভ্রমণ ও প্রণোদনা খাতের কোম্পানি সী পার্ল বিচ রিসোর্ট এন্ড স্পা লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন শুরু হবে আগামী ১৬ জুলাই থেকে।  সোমবার ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন দেশের উভয় শেয়ারবাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এ কোম্পানির লেনদেন।

‘এন’ ক্যাটাগরির আওতায় লেনদেন শুরু করা কোম্পানিটির ট্রেডিং কোড- “SEAPEARL” এবং ডিএসইতে কোম্পানি কোড- ২৯০০৪ নির্ধারণ হয়েছে ।

সম্প্রতি কোম্পানিটির আইপিও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। ইতোমধ্যে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ বিও হিসাবে জমা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপিন্সকে চাপ দেবে এপিজি

bbস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

চুরি হওয়া রিজার্ভের অর্থ ফেরত দিতে ফিলিপিন্সের ওপর চাপ সৃষ্টির আশ্বাস দিয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং (এপিজি)। এপিজি বলছে, কোনো দেশে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের নিয়ম-কানুন পুরোপুরি পরিপালন করলে এ টাকাটা ব্যাংকের বাইরে যেত না। এ থেকে প্রমাণ হয় যে, ফিলিপিন্সে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের নিয়ম-কানুন পরিপালনে বেশ দুর্বলতা রয়েছে। ফিলিপিন্স সদস্য দেশ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এপিজি চাপ প্রয়োগ করতে পারে।

এ হিসেবে তারা ফিলিপিন্সের ওপর চাপ প্রয়োগ করবে। কারণ বাংলাদেশ ও ফিলিপিন্স দুই দেশই এপিজির সংসদ্য দেশ। রবিবার অর্থ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে দিকনির্দেশনা এবং নীতিপ্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় সমন্বয় কমিটির সঙ্গে এপিজির পরিচালক ডেভিট শ্যানন ও মোস্তফা আকবরের বৈঠক হয়। বৈঠকে তারা বাংলাদেশকে এ আশ্বাস দেন। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান প্রমুখ।রিজার্ভ চুরির অর্থ ফিলিপিন্স বাংলাদেশকে ফেরত দিচ্ছে না- এ বিষয়ে এপিজি কিছু বলেছে কিনা? জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান বলেন, এটা নিয়েও তারা একটু আলাপ করেছেন। এপিজি বলছে, যেসব দেশে মানি লন্ডারিং বিষয়গুলো পুরোপুরি পরিপালন না হয় সেসব দেশে যেমন- ফিলিপিন্স; এসব দেশে এগুলো বেশি হয়।

সে দেশে যদি মানি লন্ডারিং বিষয়টা পরিপালন করা হতো তাহলে টাকাটা ব্যাংকের বাইরে যেত না। এসব টাকা ফেরতের জন্য আপনারা এপিজির মাধ্যমে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করবেন কি? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা এপিজি দেখবে। কারণ এপিজির প্রত্যেক দেশের জন্য যে কমন ক্রাইটেরিয়াগুলো রয়েছে সেগুলো জাজ করতে গেলে তারা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ধরা পড়বে।

সূত্র জানায়, চুরি হওয়া রিজার্ভের অর্থ ফেরত আনতে গত ১ ফেব্রয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে এ মামলা করা হয়। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের জরুরি বোর্ড সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সভায় মামলার বিভিন্ন বিষয় পর্ষদে অবহিত করা হয়। এ সময় পরিচালনা পর্ষদ এ বিষয়ে সায় দেয়। পরে ওই মামলা করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সুইফট সিস্টেমে ৭০টি ভুয়া পরিশোধ অর্ডার পাঠিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে মোট ১৯২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার অবৈধভাবে নেয়ায় চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে একটি পরিশোধ অর্ডারে শ্রীলঙ্কায় দুই কোটি ডলার ও চারটি অর্ডারে আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সের রিজাল ব্যাংকের একটি শাখার ভুয়া গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হয়ে জুয়ার বাজারে চলে যায়। শ্রীলঙ্কা থেকে ইতোমধ্যে চুরি হওয়া সব অর্থ ফেরত এসেছে।

ফিলিপিন্সে যাওয়া অর্থের মধ্যে এক কোটি ৫০ লাখ ডলার দেশটির কোর্টের আদেশে ফেরত আনা হয়েছে। বাকি ছয় কোটি ৬৪ লাখ ডলার অনাদায়ী রয়েছে, যা আরসিবিসির কাছ থেকে আইনি প্রক্রিয়ায় উদ্ধারের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/জেড

প্রণোদনায়ও আস্থা ফিরেনি বিনিয়োগকারীদের; নির্জীব শেয়ারবাজার

low profit-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

তারল্য সংকট কাটাতে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমায় (এক্সপোজার) ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক, এর ফলে শেয়ারবাজারে নতুন করে ১০ হাজার কোটি টাকার মূলধন জোগান এসেছে। শেয়ারবাজারের উৎকর্ষে ও কারিগরি উন্নয়নে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত অংশীদার হিসেবে চীনের শেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জও যুক্ত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারী আকৃষ্ট হবে। সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে একগুচ্ছ প্রণোদনাও পেয়েছে শেয়ারবাজার। এত কিছুর পরও নির্জীব শেয়ারবাজার আরো ঝিমিয়ে পড়েছে। ইতিবাচক পরিবর্তনের বিপরীতে নেতিবাচক পথে হাঁটছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীর অনাস্থা তৈরি হয়েছে। যোগসাজশ করে প্লেসমেন্ট বাণিজ্য, ফাঁকফোকর দিয়ে দুর্বল কোম্পানির মূলধন উত্তোলন ও বোনাস লভ্যাংশে বিনিয়োগকারীকে ঠকানোর ঘটনাও ঘটেছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় এই অনাস্থা সৃষ্টি। ইক্যুইটিনির্ভর বাজারে বন্ড বা অন্যান্য পণ্যে বিকল্প বিনিয়োগের সুযোগ না থাকায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ নেই শেয়ারবাজারে।

২০০৯ সালে গ্রামীণফোনের পর আর কোনো বহুজাতিক কম্পানি শেয়ারবাজারে আসেনি। মুনাফায় থাকা সরকারি কম্পানিও শেয়ারবাজারে আসেনি। ২০০৮ সালে ৩৪টি সরকারি কম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১১ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সরকারি কম্পানিকে শেয়ারবাজারে আসতে নির্দেশ দেন, কিন্তু গত আট বছরে সেই নির্দেশনার বাস্তবায়ন নেই। শেয়ারবাজার গতিশীল করতে ভালো শেয়ারের জোগান দিতে সরকারি ও বহুজাতিক কম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতেই হবে, এমন পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, শেয়ারবাজারে শুধু প্রণোদনা দিলেই হবে না, স্টক এক্সচেঞ্জকে ঘিরে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। এ সিন্ডিকেট না ভাঙলে প্রণোদনাতেও কাজ হবে না।

শেয়ারবাজারে প্রাইভেট প্লেসমেন্ট, কম্পানি মুনাফায় কারসাজি, বিনিয়োগকারী লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত এবং সেকেন্ডারি মার্কেটে মূলধন উত্তোলন, শেয়ার দাম নির্ধারণে কাট অব প্রাইসে কারসাজি এবং উদ্যোক্তা ও পরিচালকের শেয়ারে লক-ইন নিয়ে অরাজক ঘটনা ঘটেছে। বছর বছর মুনাফা করলেও বোনাস লভ্যাংশ দিয়ে অবস্থা ঠিক রেখেছে কম্পানি, এতে ঠকেছে বিনিয়োগকারী। তবে বিনিয়োগকারীর স্বার্থরক্ষায় বাজেটে একগুচ্ছ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।

তারল্য সংকট কাটাতে চলতি বছরের ১৬ মে শেয়ারবাজারে দেশের তফসিলি ব্যাংকের বিনিয়োগসীমায় বড় ছাড় দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক, যাতে তালিকাভুক্ত নন এমন ইক্যুইটি শেয়ার, প্রেফারেন্স শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ব্যাংকের বিনিয়োগ এক্সপোজারের বাইরে রাখা হয়। এতে দেশের শেয়ারবাজারে তফসিলি ব্যাংকের বিনিয়োগের পথ সুগম হয়। ১০ হাজার কোটি টাকার তারল্যের জোগানও এসেছে। তবে তফসিলি ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে পড়ায় এক্সপোজার সীমায় ছাড়েও শেয়ারবাজারে তার প্রভাব পড়েনি।

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের কিছু পরিবর্তন এনে চূড়ান্ত করা হয়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি যে পরিমাণ স্টক ডিভিডেন্ড দেবে, একই পরিমাণ নগদ ডিভিডেন্ডও দেবে। স্টক ডিভিডেন্ড যদি নগদ ডিভিডেন্ডের চেয়ে বেশি দেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে সব স্টক ডিভিডেন্ডের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর প্রদান করতে হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে এটি ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, ‘আইন-কানুনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীর অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাও আইন প্রয়োগে সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি। ভালো কোম্পানির শেয়ারও আসেনি। বাংলাদেশ ব্যাংক শেয়ারবাজারকে নেতিবাচক চোখে দেখেছে। প্রণোদনা দেওয়ার বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক শেয়ারবাজারকে যেসব বিষয় শক্তিশালী করবে সেসবে বাধা দিয়েছে।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/জেড

সূচনা হলো বিশ্বের বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য এলাকার

ppppppppppppppppppস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

আফ্রিকার ৫৪টি দেশের নেতারা রবিবার নিজেদের এক শীর্ষ সম্মেলনে তাদের মহাদেশে একটি মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছেন।

সফল হলে, আফ্রিকার ১৩০ কোটি মানুষ একত্রিত হয়ে ৩.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি মুক্ত অর্থনৈতিক এলাকা তৈরি করবে যেটি হবে বিশ্বে এ ধরণের সর্ববৃহৎ অঞ্চল।

আফ্রিকান কন্টিনেন্টাল ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট বা আফ্রিকা মহাদেশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য গত ১৭ বছর ধরে আলোচনা চলছিল। এর উদ্দেশ্য – আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে যেন আরও বেশি করে পণ্য লেন-দেন হয়।

বর্তমানে আফ্রিকার দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে মাত্র ১৬ শতাংশ বাণিজ্য হয়, এর বিপরীতে ইউরোপের দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য প্রায় ৬৫ শতাংশ।

নতুন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে সিংহভাগ পণ্যের ওপর শুল্ক ও কর প্রত্যাহারে ঐক্যমত্য হয়েছে, এবং ধারনা করা হচ্ছে এর ফলে মধ্যমেয়াদে আফ্রিকায় আন্ত:বাণিজ্য ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ বেড়ে যাবে।

অন্যান্য কিছু মতভেদ দুর হলে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে বলে ধারনা করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ।

আইএমএফ বলছে, এই বাণিজ্য চুক্তি আফ্রিকার চেহারা বদলে দিতে পারে, এবং যেভাবে এ ধরনের মুক্ত বাণিজ্য ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার উন্নয়নকে তরান্বিত করেছে, আফ্রিকাতেও তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।

তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শুধু শুল্ক প্রত্যাহার করলেই যে আফ্রিকায় কাঙ্ক্ষিত সুফল আসবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তারা বলছেন, এই মহাদেশের দুর্বল সড়ক এবং রেল নেটওয়ার্ক, রাজনৈতিক এবং জাতিগত অস্থিরতা এবং হানাহানি এবং সেইসাথে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সমস্যাগুলোর সমাধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিবেশী ইথিওপিয়ার সাথে রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে এরিত্রিয়া এই চুক্তিতে সামিল হয়নি।

এপ্রিলে নতুন এই মুক্ত বাণিজ্য এলাকা গঠনে ফয়সালা হয়ে গেলেও আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতি নাইজেরিয়ার সিদ্ধান্তহীনতায় তা আটকে ছিল। তবে নাইজেরিয়া আজ (রোববার) চুক্তিতে সই করে।

৫৪ টি দেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫টি দেশের পার্লামেন্টে চুক্তিটি অনুমোদিত হয়েছে। ফলে এটি পুরোপুরি কার্যকরী হতে আরো কিছু সময় লাগবে।-বিবিসি

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/জেড