শেয়ারদরে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়ে বিএসইসির আদেশ জারি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

অবশেষে কিছু শেয়ারের বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন বাজার দর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

প্রাথমিকভাবে তালিকাভুক্ত ৩৯০ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৬৯টির ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে এক আদেশে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে বিএসইসি।

আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর করার কথা বলেছে এ সংস্থা। তবে আজ লেনদেন শেষে আদেশটি জারি করায় কার্যত আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।

ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হলেও ১৬৯ শেয়ারের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড সার্কিট ব্রেকারের নিয়ম কার্যকর হবে না। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এসব শেয়ারে নিচের সার্কিট ব্রেকার হবে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ।

অর্থাৎ ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া ১৬৯ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইসের তুলনায় সর্বোচ্চ ১ শতাংশ কমে কেনাবেচা করা যাবে। তবে দরবৃদ্ধির ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকারের হার কার্যকর হবে। অর্থাৎ শেয়ারের দর অনুযায়ি সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বেশিতে কেনাবেচা করা যাবে।

অব্যাহত দরপতনের প্রেক্ষাপটে গত ২৮ জুলাই সব শেয়ারের দরে দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি, যা কার্যকর হয় গত ৩১ জুলাই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের বন্ড অনুমোদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডকে ১ হাজার কোটি টাকার বন্ড প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।

আজ বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮৪৮তম কমিশন সভায় এ বন্ড অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাইল করিম স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এটি একটি নন কনভার্টেবল, তালিকাভুক্ত হবে না, সম্পূর্ণ অবসায়ন যোগ্য, ফ্লটিং রেটেড, সাবওর্ডিনেটেড বন্ড। বন্ডটি ৭ বছর পরে সম্পূর্ণ অবসায়ন হবে। এই বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে টায়ার টু ক্যাপিটাল বেইজের শর্ত পূরণ করা হবে।

স্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি, ফান্ড এবং যে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এই বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

বন্ডের ট্রাস্টি হিসাবে কাজ করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স লিমিটেড ।

স্টকমার্কেটবিডি/////

ট্রাষ্ট ব্যাংকের ৪০০ কোটি টাকার বন্ডের অনুমোদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তালিকাভুক্ত ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেডকে ৪০০ কোটি টাকার বন্ড প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।

আজ বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮৪৮তম কমিশন সভায় এ বন্ড অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাইল করিম স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এটি একটি নন কনভার্টেবল, তালিকাভুক্ত হবে না, সম্পূর্ণ অবসায়ন যোগ্য, ফ্লটিং রেটেড, সাবওর্ডিনেটেড বন্ড। বন্ডটি ৭ বছর পরে সম্পূর্ণ অবসায়ন হবে। এই বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে টায়ার টু ক্যাপিটাল বেইজের শর্ত পূরণ করা হবে।

স্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি, ফান্ড এবং যে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এই বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

বন্ডের ট্রাস্টি হিসাবে কাজ করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স লিমিটেড । এছাড়া লিড অ্যারেঞ্জার হিসাবে রয়েছে স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি/////

১০০ মহাসড়ক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের ৫০টি জেলায় ১০০টি জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়ক একযোগে উদ্বোধন করেছেন। এসব মহাসড়কের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২ হাজার ২১ কিলোমিটার।

বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব মহাসড়ক উদ্বোধন করেন।

২০২১ কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে ২০৬ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, ৬২১ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ১১৯৩ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার জেলা মহাসড়ক। এসব মহাসড়ক নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা।

১০০টি মহাসড়কের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬৫৩ দশমিক ৬৬ কিলোমিটারের ৩২টি; ময়মনসিংহে ১৪২ দশমিক ৪৮ কিলোমিটারের ৬টি; চট্টগ্রামে ২৫৮ দশমিক ৯০ কিলোমিটারের ১৫টি; সিলেটে ১০৬ দশমিক ১৮ কিলোমিটারের ৪টি; খুলনায় ৩৫২ দশমিক ২৬ কিলোমিটারের ১৬ টি; রাজশাহীতে ১৯৬ দশমিক ৮৭ কিলোমিটারের ৮টি; রংপুরে ২০৩ দশমিক ৯৫ কিলোমিটারের ১৫টি এবং বরিশাল বিভাগে ১০৭ দশমিক ২৬ কিলোমিটারের ৪টি মহাসড়ক।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

ঢাকা চেম্বারের নতুন সভাপতি সামির সাত্তার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সাত্তার অ্যান্ড কোম্পানির প্রধান মো. সামির সাত্তার ২০২৩ সালের জন্য ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বর্তমান সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

এছাড়া এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান) এবং মো. জুনায়েদ ইবনে আলী যথাক্রমে ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার ডিসিসিআইর ৬১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় নতুন কমিটি নির্বাচিত হয়। সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ঢাকা চেম্বারের নবনির্বাচিত পরিচালকরা হলেন- ইঞ্জিনিয়ার এম এ ওহাব, রাজীব এইচ চৌধুরী, তাসকীন আহমেদ, এম শফিকুল ইসলাম, কামরুল হাসান তুহিন এবং এম মোশাররফ হোসেন।

নতুন সভাপতি সামির সাত্তার একজন ব্যারিস্টার এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট। ‘চেম্বার্স অ্যান্ড পার্টনার্স: এশিয়া প্যাসিফিক’ এবং ‘দি লিগ্যাল ৫০০’ তাঁকে বাংলাদেশের অন্যতম কর্পোরেট আইনজীবি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

নবনির্বাচিত ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর ‘বিডিকম অনলাইন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এছাড়া আরেক সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী হাইটেক স্টিল অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজও জাবের স্টিল-এর চেয়ারম্যান এবং জে এন কর্পোরেশন ও ট্রেড ল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল-এর সত্ত্বাধিকারী।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

জামালপুরে সার কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন শুরু

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

গ্যাস সংযোগ পাওয়ায় মঙ্গলবার রাত থেকে যমুনা সার কারখানায় দানাদার ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়েছে। ঘনঘন লোডশেডিং ও গ্যাস সংকটের কারণে টানা ছয় মাস ধরে কারাখানার উৎপাদন বন্ধ ছিল। দীর্ঘদিন পর রাষ্ট্রায়ত্ত এ কারখানাটি চালু হওয়ায় কারখানার শ্রমিক কর্মচারীদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।

কারখানা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯২ সালে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে যমুনা সার কারখানা স্থাপিত হয়।

শুরুতে এই কারখানায় দানাদার ইউরিয়া সারের দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল এক হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় পরে তা এক হাজার ৩০০ মেট্রিক টনে নেমে আসে। গত জুনে গ্যাসের সংকট দেখা দিলে ২১ জুন এই কারখানায় সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এতে কারখানা সংশ্লিষ্ট সহস্রাধিক শ্রমিক-কর্মচারী কর্মহীন হয়ে পড়েন।

১০ ডিসেম্বর পুনরায় গ্যাস সরবরাহ দেয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। পরে গ্যাস সরবরাহ শুরু করায় চলতি মাসের ১৮ তারিখ রাত থেকে প্রথমে অ্যামোনিয়া উৎপাদন শুরু হয় এবং মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টা থেকে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

তিন মাসে তারল্য কমেছে ২৭,১৫১ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

অস্বাভাবিকভাবে কমেছে ব্যাংক খাতের তারল্য। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই তিন মাসে তারল্য কমেছে ২৭ হাজার ১৫১ কোটি টাকা।

গত বছরের জুন শেষে ব্যাংকে মোট তারল্য ছিল ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকায়। তবে গত অক্টোবরে এসে তারল্য কিছুটা বেড়েছে।

ওই সময়ে মোট তারল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৫ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকায়। এ হিসাবে গত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই চার মাসে তারল্য কমেছে ২৬ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে ব্যাংকিং খাতে তারল্য কমার জন্য চারটি কারণকে শনাক্ত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এগুলো হচ্ছে-করোনার পর হঠাৎ করে চাহিদা বৃদ্ধি, বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহে বাড়তি প্রবৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বাড়ার কারণে আমদানি ব্যয়ের মাত্রাতিরিক্ত প্রবৃদ্ধি ও ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তুলে গ্রাহকরা নিজেদের হাতে রাখার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া।

সূত্র জানায়, এসব কারণের বাইরেও ব্যাংকিং খাতে তারল্য কমার আরও কিছু কারণ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, ‘ব্যাংকিং খাতে টাকা নেই’। এ ধরনের গুজবের শিকার হয়ে ব্যাংক থেকে অনেকে টাকা তুলে নিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকিং খাতে তারল্যের জোগান স্বাভাবিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নগদ টাকার জোগান বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে মুদ্রানীতির বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে ব্যাংকগুলোর চাহিদা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা দেওয়া হয়েছে প্রায় প্রতিদিনই। কোনো কোনোদিন ১৩ হাজার কোটি টাকারও জোগান দেওয়া হয়েছে। এর বিপরীতে অনেক উপকরণের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ওইসব অর্থ ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ফেরত দিয়ে নতুন করে টাকা নিয়েছেন। এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।

সূত্র জানায়, ডলারের দাম ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বাড়ায় আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে সরকারি ও বেসরকারি খাতে ঋণের জোগান বেড়েছে। আমদানি ব্যয় মেটাতে ব্যাংকগুলোকে ডলার দিতে হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়ায় ও গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলে নেওয়ায় সার্বিকভাবে ব্যাংকে তারল্য কমেছে। এদিকে ব্যাংকের আমানত, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স কমায় নতুনভাবে তারল্যের জোগান কমেছে। এসব মিলে ব্যাংকিং খাতে তারল্য কমেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২০ সালের জুন থেকে ব্যাংকিং খাতে তারল্য পরিস্থিতি বাড়তে থাকে। ওই বছরের জুনে তারল্য ছিল ৩ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। একই বছরের সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে ৩ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায়। ওই বছরের ডিসেম্বরে তা আরও বেড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। করোনার কারণে ওই সময়ে ঋণপ্রবাহ কমে যাওয়া ও আমানত বাড়ার কারণে তারল্য বেড়েছিল। ২০২১ সালের মার্চে তারল্য ২০২০ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছিল। ২০২১ সালের জুনে এসে তারল্য আরও বেড়ে ৪ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তারল্য ছিল ৪ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। ওই বছরের ডিসেম্বরে সামান্য বেড়ে ৪ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে তারল্য কমতে থাকে। মার্চে কমে ৪ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকায় নামে। জুনে সামান্য বেড়ে ৪ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা হয়। সেপ্টেম্বরে তা আরও কমে ৪ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায়। তবে অক্টোবরে কিছুটা বেড়ে ৪ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকিং খাতে তারল্য পরিস্থিতি এভাবে কখনো কমেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপর একটি প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত জুনে ব্যাংকিং খাতে মোট তারল্য ছিল ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা। এ হিসাবে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে তারল্য কমেছে ৩৬ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের হিসাবে এক বছরে তারল্য কমেছে ২৮ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকিং খাতে তারল্য পরিস্থিতি সব সময়ই ওঠানামা করে। এটি বিশেষ করে ব্যাংকগুলোর আমানত সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা জুন ও ডিসেম্বরভিত্তিক সময়ের সঙ্গে তুলনা করে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। এ কারণে জুন ও ডিসেম্বরে আমানত বেড়ে যায়। মার্চ ও সেপ্টেম্বরে তা কিছুটা কমে যায়।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, তারল্য পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে তারল্য বেড়েছে। ডিসেম্বরে গিয়ে তা আরও বাড়বে। কারণ ওই সময়ে আমানত বাড়াতে ব্যাংকগুলো নানা পদক্ষেপ নেয়। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে চাহিদা অনুযায়ী তারল্যের জোগান দেওয়া হচ্ছে।

ডিসেম্বরের শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক সেমিনারে বলেছিলেন, ‘গুজব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছিলেন। সেই টাকা ফেরত আসতে শুরু করেছে।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য কমেছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা।

সূত্র জানায়, ব্যাংকিং খাতে ডলার সংকটের কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আমদানি ব্যয় ও বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছিল না। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলারের জোগান দেওয়া হয়েছে। গত অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৭৬২ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। এর বিপরীতে ক্রয় করেছে মাত্র ২১ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে কোন ডলার ক্রয় করেনি। উলটো ৩৫৬ কোটি ২৩ লাখ ডলার বিক্রি করেছে। এর আগে গত এপ্রিল থেকে জুন সময়ে বিক্রি করেছিল ৩৫৮ কোটি ডলার। এ হিসাবে গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে বিক্রি করেছে ৭১৪ কোটি ডলার। এ খাতে প্রায় ৭১ হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চলে গেছে। তারল্য সংকটের এটিও একটি কারন। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় কমেছে। বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ কমার কারণেও টাকার প্রবাহ কমেছে।

গত অর্থবছরের প্রথম দিকে ডলারের সংকট তেমন একটা ছিল না। গত এপ্রিল থেকে সংকট প্রকট হতে শুরু করে। এ কারণে গত পুরো অর্থবছরের তুলনায় গত ছয় মাসে প্রায় সমান ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এদিকে গত ১ জুলাই থেকে গত ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ৬১০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। এ হিসাবে গত অর্থবছর থেকে চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ১ হাজার ৩৭২ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে।

একই সময়ে ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়ন হয়েছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতি ডলার ছিল ৮৪ টাকা ৮৪ পয়সা। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৫ টাকা ৫০ পয়সা। ওই এক বছরে ডলারের দাম বেড়েছে ৬৬ পয়সা। গত সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা। ওই দুই বছরে ডলারের দাম বেড়েছে ১১ টাকা ১৬ পয়সা। বর্তমানে ডলার সর্বোচ্চ বিক্রি হচ্ছে ১০৭ টাকা করে। এ হিসাবে দাম বেড়েছে ২২ টাকা ১৬ পয়সা।

চলতি বছরের এপ্রিল থেকেই ডলারের দাম বেশি বেড়েছে। গত এপ্রিলের শুরুতে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৮৬ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১০৭ টাকা। গত আট মাসে ডলারের দাম বেড়েছে ২১ টাকা।

ডলারের দাম ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বাড়ায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে লাগামহীনভাবে। গত অর্থবছরে আমদানি ব্যয় বেড়েছিল প্রায় ৪৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেড়েছে ৮ শতাংশ। গত অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণ বেড়েছিল ৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেড়েছে ১৪ শতাংশ।

সূত্র : যুগান্তর

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সেরা করদাতার সম্মাননা দিবে রাজস্ব বোর্ড

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সেরা করদাতা হিসেবে ২০২১-২২ করবর্ষে ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে যাচাই-বাছাইয়ের পর সেরা করদাতাদের ট্যাক্স কার্ড প্রদানের জন্য গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এনবিআর সূত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এ তালিকায় জাতীয় পর্যায়ের ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। ট্যাক্স কার্ডের মেয়াদ থাকবে এক বছর। কার্ডপ্রাপ্তরা বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্রীয় সুবিধা পাবেন। সংশোধিত জাতীয় ট্যাক্স কার্ড নীতিমালা ২০১০ অনুসারে এসব কার্ড দেয়া হয়ে থাকে।

নীতিমালা অনুযায়ী, ট্যাক্স কার্ডধারীরা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাবেন। সড়ক, বিমান, নদীপথে ভ্রমণে অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকিট পাবেন। হোটেল-রেস্তোরাঁয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। ট্যাক্স কার্ডধারী ব্যক্তি ও তার পরিবার চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাসপাতালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শয্যাসুবিধা পাবেন।

আগামী বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় অফিসার্স ক্লাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সেরা করদাতাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

ভারতীয় ওষুধ কোম্পানিকে নিষিদ্ধ করলো নেপাল

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করায় ১৬টি ভারতীয় ওষুধ কোম্পানিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে নেপাল।

গতকাল মঙ্গলবার দেশটির গণমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নেপাল ওষুধের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মনীতি ভঙ্গ করেছে ওষুধ উৎপাদন কোম্পানি গুলো।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওষুধগুলো আগামী দিনে নেপালে আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান কর্মকর্তা সন্তোষ কেসি জানান, ওষুধ উৎপাদনকারীদের কারখানা পরিদর্শন করা হয়। এই সংস্থাগুলি আমাদের দেশে (নেপালে) ওষুধ রফতানির জন্য আবেদন করেছিল। পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এগুলি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্থির করা উৎপাদনের সঠিক নীতি মেনে চলে না।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই ওষুধ নির্মাতারা ‘গুড ম্যানুফ্যাকচারিং’ পদ্ধতি মেনে চলে না। অর্থাৎ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্থির করা সঠিক নিয়ম মানা হচ্ছে না। এই নিয়মের মাধ্যমে কোনও ওষুধের ঝুঁকি হ্রাস ও কার্যকারিতা সর্বোত্তম করার প্রচেষ্টা করা হয়। উৎপাদনের পর টেস্টিং করা যাবে না, এমন ওষুধের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মেনে চলা আবশ্যিক।

গত এপ্রিল ও জুলাই মাসেই নেপাল সরকার ভারতে পর্যবেক্ষণ চালানোর জন্য একদল বিশেষজ্ঞ পাঠিয়েছিল।

নেপালের ওষুধ নিয়ন্ত্রক দফতর জানিয়েছে, যে ভারতীয় সংস্থাগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তার মধ্যে কয়েকটি ইতিমধ্যেই রেজিস্টার্ড। কয়েকটি নতুন। কিছু কোম্পানির প্রোডাক্ট নিয়ন্ত্রক সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলে না। কিছু কোম্পানি আবার ‘গুড ম্যানুফ্যাকচারিং’ নীতি মেনে চলে না। এর মধ্যে কিছু কোম্পানির ওষুধ ক্রিটিক্যাল কেয়ার, ডেন্টাল কার্টিজ এবং ভ্যাকসিনেও ব্যবহৃত হয়।

পাশাপাশি ৪৬টি ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থার একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। সেগুলি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঠিক উৎপাদন পদ্ধতি মেনে চলছে বলে জানানো হয়েছে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস ও কাঠমান্ডু পোস্ট

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস