বুয়েটে অনলাইন ক্লাস ব্যবস্থাপনায় ইজেনারেশন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর জন্য সহায়ক সেবাসহ মাইক্রোসফট ৩৬৫ প্ল্যাটফর্মে অ্যাডভান্সড অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেছে ইজেনারেশন। ক্লাউডভিত্তিক সল্যুউশনটি অত্যাধুনিক ইলার্নিং সক্ষমতা ও ইন্টার‍্যাক্টিভ টুলসের মাধ্যমে কার্যদক্ষতা বাড়ানো, শিক্ষাদান পদ্ধতি উন্নতকরণ এবং কার্যকরী টিমওয়ার্ক বাস্তবায়নে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দারুনভাবে সহায়তা করবে। সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ও শিক্ষাধারার উন্নয়নে আধুনিক যোগাযোগপন্থা ও সমন্বিত টুলসের মাধ্যমে সল্যুউশনটি তৈরি করা হয়েছে।

বুয়েটের ডিরেক্টরেট অব প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড ফুড ম্যানেজমেন্টের প্রফেসর ড. জি.এম তারেকুল ইসলাম এবং ইজেনারেশনের অপারেশন ও সেলস বিভাগের পরিচালক এমরান আবদুল্লাহ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বুয়েটে এর কম্পিউটার প্রোগ্রামার আদনান মাহমুদ; এস এম ফরিদ উদ্দিন; সহকারি কম্পিউটার প্রোগ্রামার ফেরদৌস আহমেদ ও ইজেনারেশন এর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. মামুনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।

ইজেনারেশনের অপারেশন ও সেলস বিভাগের পরিচালক এমরান আবদুল্লাহ ভার্চুয়াল ও ফিজিক্যাল ক্লাসরুমে প্রযুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল রূপান্তরে দেশসেরা প্রকৌশল ইনস্টিটিউটটির অগ্রযাত্রায় কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। চলমান মহামারিতে গণশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলএমএস) এবং মাইক্রোসফট সল্যুউশনসহ বিভিন্ন সেবার মাধ্যমে দেশের শিক্ষাখাতকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে ইজেনারেশন। ডিজিটাল এডুকেশন ইকোসিস্টেম তৈরিতে আমরা আরও অধিক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করতে আগ্রহী।

বুয়েটের আইআইসিটির পরিচালক ড. মো. রুবায়েত হোসেন মন্ডল বলেন, নিয়মিত ক্লাসের পরিপূরক হিসেবে প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমাদের প্রতিষ্ঠানে আরও আধুনিক ও সমন্বিত শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে চাই। আর এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের অন্যতম প্রযুক্তি অংশীদার ইজেনারেশন মাইক্রোসফট ৩৬৫ সল্যুউশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয়তা সহায়তা করছে এবং আন্তর্জাতিক মানে আমাদের শিক্ষা প্রযুক্তি অবকাঠামো তৈরি করছে। স্থানীয় শিক্ষা খাতের সহায়তায় ইজেনারেশনের একাগ্রতা ও সময়োপযোগী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

মৃত নাবিকের পরিবারকে বিএসসির আর্থিক সহযোগিতা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের মালিকানাধীন জাহাজ “বাংলার জয়যাত্রা” এর কর্মরত নাবিক মো. মোকাররম হোসেন, সিডিসি নং-টি/৩০৮৬২, পদবিঃ Ordinary Seaman-2 (OS-2), ঠিকানাঃ গ্রামঃ ধুমপাড়া, ডাকঘরঃ মঃ পতেঙ্গা, উপজেলাঃ পতেঙ্গা, জেলাঃ চট্টগ্রাম গত ২১-০৬-২০২১খ্রি. তারিখ হংকং বন্দরে অবস্থানকালীন জাহাজে মৃত্যুবরণ করেন।

পরবর্তীতে, বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল-হংকং, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতায় গত ১৭-০৭-২০২১খ্রি. তারিখে আলোচ্য নাবিকের মৃতদেহ বাংলাদেশে ফেরৎ আনা হয়।

এই ধারাবাহিকতায়, অদ্য ০৬-০৯-২০২১খ্রি. তারিখ বিএসসি সী-ম্যান্স এসোসিয়েশনের সহিত দ্বি-পাক্ষিক চুক্তির আলোকে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ বাবদ ৳ ৫,০০,০০০/- (টাকা পাঁচ লক্ষ) মাত্র একটি চেক আলোচ্য নাবিকের স্ত্রী জনাবা সাহানা বেগম-কে বিএসসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বির, (এনডি), এনজিপি, এনডিসি, পিএসসি কর্তৃক হস্তান্তর করা হয়।

এছাড়া, উপস্থিত ছিলেন বিএসসি’র নির্বাহী পরিচালক (প্রযুক্তি), সচিব, মহাব্যবস্থাপন (প্রশাসন) সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্ধ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

এক দিনে ৭৫৭০ কোটি টাকা তুলল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বাজার থেকে এক দিনে রেকর্ড ৭ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা তুললো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম নিলামে এ টাকা তোলা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ দিন মেয়াদি বিলে ১ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ সুদে ৩ হাজার ৬২০ কোটি এবং ১৪ দিন মেয়াদি বিলে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ সুদে তোলা হয়েছে তিন হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। সাম্প্রতিক সময়ে এক দিনে এত বেশি টাকা তোলার নজির নেই।

দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর গত আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের নিলাম ডেকে ১৯ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা তোলা হয়। ৭, ১৪ ও ৩০ দিন মেয়াদি বিলে ৫ দিনের নিলামে অংশ নিয়ে এ পরিমাণ টাকা রাখে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা তোলা হয় গত ১১ আগস্ট। ওই দিন ৩০ দিন মেয়াদি বিলে শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ সুদে এ পরিমাণ অর্থ তোলা হয়। গত আগস্টের আগে সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের নিলাম হয়।

বাজারে অতিরিক্ত তারল্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা বাজায় রাখতে চলতি সেপ্টেম্বর মাসেও নিলামের সিদ্ধান্ত জানিয়ে গত ১ তারিখ সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল ছাড়াও আগামী ৯ ও ২১ সেপ্টেম্বর ৭ ও ১৪ দিন মেয়াদি বিলের নিলাম হওয়ার কথা রয়েছে। আর ৭, ১৯ ও ২৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ৩০ দিন মেয়াদি বিলের নিলাম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আশানুরূপ ঋণ চাহিদা না থাকায় গত জুন শেষে সিআরআর সংরক্ষণের পর ব্যাংকগুলোতে অলস পড়ে আছে ৬২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। একই সময়ে উদ্বৃত্ত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা। এ অর্থ যেন অনুৎপাদনশীল খাতে গিয়ে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ তৈরি করতে না পারে সে জন্য টাকা তোলা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ উদ্যোগের ফলে বাজারে তারল্য কমে আমানতের সুদ বাড়তির দিকে রয়েছে। সূত্র : সমকাল

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

ব্লক মার্কেটে ৫৭ কোটি টাকার লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার ব্লক মার্কেটে মোট ৫৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৮৬ লাখ ৩৪ হাজার ২২৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৫৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে এডিএন টেলিকম লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটি ১১ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স ১১ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

বেক্সিমকো ৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- আমান কটন ফাইবার্স, অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালস, আল-হাজ্ব টেক্সটাইল, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, আমান ফিড, অ্যাপেক্স ফুডস, বিএটিবিসি, বে-লিজিং, বিডি ফিন্যান্স, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, বিকন ফার্মা, বার্জার পেইন্টস, বেক্সিমকো, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ঢাকা ডাইং, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন হাউজিং, এনভয় টেক্সটাইল, ফার কেমিক্যাল, ফ্যাস ফিন্যান্স, ফাইন ফুডস, ফরচুন সুজ, জিবিবি পাওয়ার, জেনেক্স ইনফোসিস, গ্রামীণফোন, জিএসপি ফিন্যান্স, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, আইএফআইসি ব্যাংক, ইসলামিক ফিন্যান্স, কে অ্যান্ড কিউ, লাফার্জহোলসিম, মালেক স্পিনিং, ন্যাশনাল ব্যাংক, ন্যাশনাল হাউজিং, ওয়ান ব্যাংক, ফার্মা এইডস, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, আরডি ফুড, রিজেন্ট টেক্সটাইল, সায়হাম কটন, সাউথবাংলা ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, শাইনপুকুর সিরামিকস, শাহজিবাজার পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড পাওয়ার ও ভিএফএস থ্রেড ডাইং লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের মিথ্যা তথ্য দিলে জেল-জরিমানা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সঞ্চয়পত্র কিনতে মিথ্যা তথ্য দিলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ‘সরকারি ঋণ আইন, ২০২১’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান।

তিনি বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্ব অর্জনের উদ্দেশ্যে মিথ্যা বক্তব্য দিলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। যে টাকা-পয়সা ডিপোজিট করবে তা নিয়ে যদি মিথ্যা কথা বলে, তা কোথা থেকে আসলো সেটা যদি না থাকে, ইনকাম ট্যাক্সে যদি দেখানো না হয়- সে যদি এসব তথ্য মিথ্যা তথ্য দেয় তাহলে সেক্ষেত্রে এ শাস্তি দেওয়া হবে।

আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের পক্ষে অথরিটি হিসেবে কাজ করবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, আমাদের সরকারি ঋণ অ্যাক্ট ছিল ১৯৪৪ সালের, বিভিন্ন সময় প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হয়েছে। বাস্তব অবস্থার পরিস্থিতিতে ঋণ পদ্ধতি ও ডিপোজিট সিস্টেমও চেঞ্জ হয়ে গেছে, তাই নতুন আইন করতে হচ্ছে। বিস্তারিত আলোচনার পর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনার সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর জন্য অধিকতর আধুনিক প্রক্রিয়ায় ঋণ সংগ্রহ, টেকসই ঋণ নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং ঋণ কৌশলপত্র প্রস্তুত, ঋণের ঝুঁকি নিরূপণ এবং সরকারের দায় হিসাবায়নের পথ অধিকতর সম্প্রসারণ করা এ আইনের উদ্দেশ্য।

খসড়া আইনে ৪০টি ধারা রয়েছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এর মূল বিষয় সরকারের বাজেট ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে ঘাটতি অর্থায়ন বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক গৃহীত বা দেশীয় বা বিদেশি মুদ্রায় গৃহীত সুদ বা মুনাফা যুক্ত বা সুদ বা মুনাফা মুক্ত যেকোনো প্রকারের ঋণ বিনিয়োগ সংগ্রহ করা।

‘সরকার যে ঋণটা নেবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এর বিপরীতে একটি গ্যারান্টি থাকবে, যে টাকাটা সে দেবে ওই টাকা ফেরত পাওয়ার গ্যারান্টি থাকবে। অনেক সময় প্রাইভেট ব্যাংক বা আর্থিকপ্রতিষ্ঠানও গ্রাহককে তাদের সুবিধা দেয়, তবে এখানে যেহেতু সরকার করছে তাই গ্রাহককে এ নিরাপত্তা দেবে, যেভাবেই হোক প্রপার ডিউ তারা ব্যাক পাবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকারি ঋণ অফিসগুলোর ভূমিকা ঠিক করে দেওয়া হবে, কে কী করবে। শরিয়াভিত্তিক সরকারি সিকিউরিটি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিধানাবলি প্রস্তাব করা হয়েছে। আপনারা জানেন, বছর আগে শুকুক নামে একটি বন্ড বাংলাদেশ ব্যাংক শুরু করেছে, এতে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে, যা আশা করা হয়েছিল এর দ্বিগুণ সাড়া পাওয়া গেছে এবং সেটি হচ্ছে শরিয়াভিত্তিক।

তিনি বলেন, স্বাভাবিক ডিপোজিট ব্যবস্থার পাশাপাশি শরিয়াভিত্তিক ডিপোজিট ব্যবস্থার চিন্তা-ভাবনা করা হয়েছে। শুকুকটা সার্কুলার দিয়ে করা হয়েছিল এখন আইনের মধ্যে করা হলো। এখন শুকুকে শুধু বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে পারে। তবে আগামীতে দেশেও এটা করা যায় কি-না চিন্তা করা হচ্ছে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জনগণকে এটা ওপেনলি জানানো হবে, সরকারি ঋণ আইনের মাধ্যমে কত টাকা নেওয়া হলো এবং এটি কী অবস্থায় আছে বা মুনাফা বা সুদ দেওয়া হলো কি-না তা জনগণকে জানানো হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

রপ্তানি ভর্তুকি সহায়তার আবেদনের সময় বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রপ্তানি ভর্তুকি বা নগদ সহায়তার আবেদন দাখিলে সময় বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মহামারির কারণে যারা এখনো আবেদন জমা দিতে পারেননি তারা এই সময়ের মধ্যে জমা দিতে পারবেন।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি সিদ্ধান্তক্রমে অবহিত করা যাচ্ছে যে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দাখিলযোগ্য রপ্তানি ভর্তুকি বা নগদ সহায়তার যেসব আবেদন নির্ধারিত সময়ে রপ্তানিকারক কর্তৃক দাখিল করা সম্ভব হয়নি, এই সার্কুলার জারির ৪৫ দিনের মধ্যে সেসব আবেদন দাখিল করা যাবে। ’

আরও বলা হয়, ‘রপ্তানি ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত সকল ফরেন একচেঞ্জ (এফই) সার্কুলার বা সার্কুলার পত্রের অপরাপর নির্দেশনা যথারীতি অপরিবর্তিত থাকবে। সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে বিষয়টি অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

বিদ্যুৎ-জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইনের খসড়ার অনুমোদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশে জরুরি পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে মেয়াদ আরও ৫ বছর বৃদ্ধি করে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০২১’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য ২০১০ সালে একটা আইন করা হয়েছিল। সেটা ২ বছরের জন্য বৃদ্ধি করা হয়, দুই বছর অন্তর অন্তর। জরুরি পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ঘাটতি মোকাবিলায় আইনটি কার্যকর। এই আইনের মেয়াদ এরই মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সেজন্য আইনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ প্রস্তাব নিয়ে এসেছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের এবং ২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমাদের যে পরিকল্পনা আছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে সেটা যাতে আমরা নির্বিঘ্নে সরবরাহ করতে পারি। এজন্য ২০২৬ সাল পর্যন্ত এটার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আইনের মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হয়ে যাওযার কথা। এখন আগের আইনটারই কেবল সময় বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা (বিদ্যুৎ বিভাগ) বলেছে আইনটি খুবই কার্যকর, তাই আমাদের আরও ৫ বছর দরকার।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা ছিল স্পেশাল প্রভিশন আইন। ২০১০ সালে বিভিন্ন স্পেশাল প্রভিশন প্রয়োজন হলো। জেনারেল যে ক্রয় প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, এটার বাইরে কিছু এক্সট্রা লাগবে। সেটার জন্য এই আইন করা হয়। এখন দেখা যায় এটা কার্যকর, ভালোই চলছে। এজন্য মন্ত্রণালয় আরও ৫ বছর সময় বাড়িয়ে নিয়েছে।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ ছিল। এখন দেখা যাচ্ছে, আজকে যে পরিসংখ্যান দেখলাম তাতে শিল্প-কারখানায় চাহিদা আরও বাড়ছে। পদ্মা সেতু আগামী বছরে শেষ হলে ওই পাড়ে যে পরিমাণ বিনিয়োগ শুরু হবে, তাতে ম্যাসিভ এনার্জির প্রয়োজন হবে। সেজন্য তারা দেখেছেন ওইসব ক্ষেত্রে স্পেশাল প্রভিশনগুলো প্রয়োজন। সেজন্যই তারা নিয়ে এসেছেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো; ২য় সাইফ পাওয়ারটেক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এদিন কোম্পানিটির ২৫৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৪ কোটি ২৫ লাখ টাকার।

তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বেক্স ফার্মা লিমিটেড ৬৮ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- লাফার্জ হোলসিম বিডির ৬৩ কোটি ২০ লাখ, ডরিন পাওয়ার জেনারেশনের ৬২ কোটি ৯৩ লাখ, বিএটিবিসির ৫৫ কোটি ৬৮ লাখ, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার কোম্পানির ৫৪ কোটি ৩৭ লাখ, স্কয়ার ফার্মার ৪৪ কোটি ৩ লাখ, ইষ্টার্ণ হাউজিংয়ের ৩৮ কোটি ১৯ লাখ ও শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ৪ লাখ টাকা শেয়ার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. সাইফ পাওয়ারটেক
  3. বেক্স ফার্মা
  4. লাফার্জ হোলসিম বিডি
  5. ডরিন পাওয়ার জেনারেশন
  6. বিএটিবিসি
  7. বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার কোম্পানি
  8. স্কয়ার ফার্মা
  9. ইষ্টার্ণ হাউজিং
  10. শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।

ডিএসইতে লেনদেন ৩ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সবগুলো সূচক বেড়েছে। এদিন সেখানে লেনদেন তিন হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি হয়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিন সোমবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২২.৬৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৭০৭৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৭.৩৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৫৩৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১২.৬৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২৫৪৬ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৯০১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৮৬৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৭৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৫৪ টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৮৪টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ৩০টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, সাইফ পাওয়ারটেক, বেক্স ফার্মা, লাফার্জ হোলসিম বিডি, ডরিন পাওয়ার জেনারেশন, বিএটিবিসি, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার কোম্পানি, স্কয়ার ফার্মা, ইষ্টার্ণ হাউজিং ও শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৯৯.২৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০ হাজার ৬৬২ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩১৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১৬২টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। । গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেন হয়েছিল ৯৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার কোম্পানি ও বিএটিবিসি লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস