এসকে সুর ও এসএম মনিরুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী ও এসএম মনিরুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত কমিটি।

সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতি ধরার লক্ষ্যে গঠিত তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

এর আগে সোমবার সাবেক এ ডেপুটি গভর্নরদের ডেকে পাঠায় তদন্ত কমিটি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তারা আজ সেখানে যান। দুজনের জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে। তবে সাবেক নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমানকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এসকে সুর চৌধুরী বলেন, ‘অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা’।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কমিটি ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান, পরিচালক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকেই এ কমিটির কার্যালয়।

আদালতের পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ডেপুটি গভর্নর একেএম সাজেদুর রহমান খানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কমিটিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা ছাড়াও সাবেক বিচারক ও আমলারাও রয়েছেন।

আগামী মাসেই তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে গভর্নরের কাছে জমা দেবে কমিটি। মূলত বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) আর্থিক অনিয়মের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দায়দায়িত্ব নির্ধারণে তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

পরে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও পিপলস লিজিংকেও যুক্ত করা হয়। তাই এ কমিটি বিআইএফসির পাশাপাশি উল্লিখিত দুই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের ঘটনাও খতিয়ে দেখছে।

এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের যারা দায়িত্বে ছিলেন, তাদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ জন্য তদন্ত কমিটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তার পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

সারা বিশ্বে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৩৫ শতাংশ : আঙ্কটাড

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) কমেছে। ২০২০ সালে সারা বিশ্বে এফডিআই কমেছে আগের বছরের চেয়ে ৩৫ শতাংশ।

সোমবার (২১ জুন) বিশ্বব্যাপী প্রকাশিত জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাডের সবশেষ বিশ্ব বিনিয়োগ রিপোর্টে এ পরিসংখ্যান উঠে এসেছে।

আঙ্কটাডের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে গত বছর বিনিয়োগ এসেছে ২৫৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২১ হাজার ৮শ কোটি টাকা। এর আগের বছর ২০১৯ সালে এফডিআই এসেছিল ২৮৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী ২৪ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশে ২০২০ সাল শেষে মোট বিদেশি বিনিয়োগের স্থিতি ১ হাজার ৯৩৯ কোটি ডলার। যা এর আগের বছর শেষে ছিল ১ হাজার ৭৭৮ কোটি ডলার। সারাবিশ্বের দেশগুলো ২০২০ সালে এফডিআই পেয়েছে ১ লাখ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮৫ লাখ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে বিশ্বে এফডিআই ছিল দেড় লাখ কোটি ডলার।

আঙ্কটাডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর সারা বিশ্বে এফডিআই কমেছে আগের বছরের চেয়ে ৩৫ শতাংশ। গত বছর এফডিআইয়ের পরিমাণ ছিল এক ট্রিলিয়ন ডলার। ২০১৯ সালে যা ছিল দেড় ট্রিলিয়ন ডলার, যা ২০০৯ সালের অর্থনৈতিক সংকটে যে অবস্থা হয়েছিল, তার চেয়েও ২০ শতাংশ কম। গত বছর দক্ষিণ এশিয়ায় শুধু ভারত ছাড়া সব দেশের এফডিআই কমেছে। তবে চীন ও হংকংয়ের কারণে সার্বিকভাবে এশিয়াতে বিনিয়োগ আগের বছরের চেয়ে ৪ শতাংশ বেড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বেড়েছে ২০ শতাংশ। ভারতে এফডিআই বেড়েছে ২৭ শতাংশ।

আঙ্কটাড মনে করে, এফডিআই প্রবাহ আগের অবস্থায় আসতে সময় লাগবে। কারণ বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি এখনো দুর্বল। তৈরি পোশাক উৎপাদনে বিনিয়োগে আগ্রহ কম বলে মনে করছে আঙ্কটাড। ২০২০ সালে প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ বাতিল হয়েছে বাংলাদেশের।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

চামড়াশিল্পে বিশেষ ঋণ সুবিধা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সাভারের হেমায়েতপুরে চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তরিত চামড়াশিল্প প্রতিষ্ঠানের বিশেষ সুবিধার আওতায় ঋণ পুনর্গঠন ও পুনঃতফসিলের আবেদনের সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তিন মাস অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডাউন পেমেন্ট দিয়ে এ সুবিধা নিতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো। করোনার বিরূপ প্রভাব ও কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ এবং সংরক্ষণের সুবিধার্থে এ সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মঙ্গলবার (২২ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সার্কুলারটি জারি করে।

দেশের সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়, ‘পুনর্গঠন/পুনঃতফসিল সুবিধা গ্রহণে ইচ্ছুক চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তরিত গ্রাহক কর্তৃক ডাউন পেমেন্ট বাবদ নগদে অর্থ পরিশোধ সাপেক্ষে ৩০ জুন পর্যন্ত আবেদন জমা দেয়ার সময় নির্ধারিত ছিল।’

‘দ্বিতীয় দফায় কোভিড-১৯-এর বিরূপ প্রভাব বিদ্যমান থাকায় এবং আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ কার্যক্রমের বিষয়টি বিবেচনায়, উল্লিখিত এক্সিট অথবা পুনর্গঠন/পুনঃতফসিল সুবিধা গ্রহণে ইচ্ছুক গ্রাহক কর্তৃক ডাউন পেমেন্টের অর্থ নগদে জমাদান সাপেক্ষে আবেদন দাখিলের সময়সীমা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। বিআরপিডি সার্কুলার নং-০১/২০২১ এ বর্ণিত অন্যান্য নির্দেশনাবলী অপরিবর্তিত থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।’

এর আগে গত ৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ স্থিতির ন্যূনতম ২ শতাংশ অর্থ ডাউন পেমেন্ট হিসাবে নগদে আদায় সাপেক্ষে এক্সিট সুবিধা দেয়া যাবে। এক্ষেত্রে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব প্রতিষ্ঠানের ঋণ স্থিতি ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত, সে সকল প্রতিষ্ঠানকে দায়-দেনা পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ ৩ বছর সময় দেয়া যাবে। আর যেসব প্রতিষ্ঠানের ঋণ স্থিতি ৫ কোটি টাকার বেশি, তাদের দায়-দেনা পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ ৫ বছর সময় দেয়া যাবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

সাপোর্টের ৩য় প্রান্তিকের বোর্ড সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সেবা খাতের কোম্পানি সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের চলতি বছরের ৩য় প্রান্তিকের বোর্ড সভা আগামী ২৮ জুন আহবান করা হয়েছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৬(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ ২০২০ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত এই আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এদিন বেলা ৩ টায় কোম্পানিটির নিজস্ব অফিসে অনুষ্ঠিত এ সভায় কোম্পানিটির উক্ত প্রান্তিকের ইপিএস ও ন্যাভসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

৮ জুলাই থেকে চালু হচ্ছে ই-রিটার্ন সিস্টেম

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

২০২১-২২ করবছর অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম (ই-রিটার্ন সিস্টেম) ৮ জুলাই থেকে চালু হতে যাচ্ছে। অনলাইন রিটার্ন দাখিল কার্যক্রম বাস্তবায়নের স্বার্থে কর অঞ্চল অফিসগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ জুন) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২১-২২ করবছর অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম (ই-রিটার্ন সিস্টেম) ৮ জুলাই থেকে চালু হতে যাচ্ছে। এই সিস্টেমে অনলাইন ভেরিফিকেশন করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের অগ্রিম করে ক্রেডিট দিতে হবে। অনেক করদাতা পে-অর্ডার বা চেকের মাধ্যমে অগ্রিম কর পরিশোধ করে থাকেন, যা সার্কেলের (এলটিইউ এর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উইংয়ের) পে-অর্ডার বা চেক এন্ট্রি পূর্বক চালান ফরম পূরণ করে কর অফিস থেকে ব্যাংকে প্রেরণ করে। ব্যাংক থেকে চালান প্রাপ্তির পর পে-অর্ডার বা চেক রেজিস্টারে সংশ্লিষ্ট চালান নম্বর এন্ট্রি দেওয়া হয় এবং চালানের কপি করদাতাদের দেওয়া হয়।

ই-রিটার্ন সিস্টেমে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের অগ্রিম করের চালানের অনলাইন ভেরিফিকেশন কার্যক্রম সম্পাদনের স্বার্থে, ৩১ মে পর্যন্ত সময়ে গৃহীত পে-অর্ডার চেকের ক্ষেত্রে পে-অর্ডার বা চেকের বিপরীতে চালান নম্বর এন্ট্রি করে ৩০ জুন ২০২১ এর মধ্যে পে অর্ডার চেক রেজিস্টার আপডেট কাজ সম্পন্ন করা এবং ১ জুন থেকে ৩০ জুনের সময়ের মধ্যে গৃহীত চেক পে অর্ডার বা চেকের বিপরীতে চালান নম্বর এন্ট্রি করে ৭ জুলাই এর মধ্যে পে অর্ডার বা চেক রেজিস্টার আপডেটের কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

ঋণ পরিশোধে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চায় পোশাক মালিকরা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ব্যাংকঋণ পরিশোধে আরো সময় চেয়েছে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়ে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে সংগঠন দুটি। চিঠিতে ঋণ পরিশোধ না করলেও যাতে খেলাপি না করা হয়, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই সুবিধা চালু রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান ও বিকেএমইএর সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশের রফতানি আয়ের সিংহভাগ অর্জিত হচ্ছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। সরকার এ খাতের উন্নয়ন, বিকাশ ও প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে সর্বদাই সহানুভূতিশীল ও ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। এছাড়া বর্তমানে করোনাভাইরাস অতিমারীর সময় সরকার তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতকে আর্থিক ও নীতিসহায়তা প্রদান করে এ খাতকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।

সংগঠন দুটি বলছে, নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন হ্রাস পাবে এবং তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে—এ আশা সরকারসহ সব উদ্যোক্তার ছিল। কিন্তু কভিড-১৯ প্রকোপ না কমায় পোশাক উদ্যোক্তারা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছেন। বিদেশী ক্রেতারা একদিকে ক্রয়াদেশ প্রদান শিথিল করেছে। অন্যদিকে যেসব পণ্য এরই মধ্যে রফতানি করা হয়েছে, তার বিপরীতে অনেক ক্ষেত্রে রফতানি মূল্য প্রদান দীর্ঘায়িত করেছে। এ রকম প্রতিকূলতার মাঝেও উদ্যোক্তারা ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এ খাতের কর্মসংস্থান তৈরি অব্যাহত রেখেছে। তৈরি পোশাক শিল্পের সঙ্গে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ অর্থাৎ প্যাকেজিং শিল্প, অ্যাকসেসরিজ, ব্যাংক, বীমা, পরিবহন ইত্যাদি নানা ধরনের সহযোগী ছোট-মাঝারি-বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান সরাসরি জড়িত। প্রায় দুই কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ খাতের ওপর নির্ভরশীল। এ অবস্থায় তৈরি পোশাক শিল্পে কোনো বিপর্যয় দেখা দিলে তা এ খাতে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাতকেও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।

সাম্প্রতিক সময়ে পোশাক শিল্পের প্রধান কাঁচামাল সুতা ও কাপড়ের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, রফতানি আদেশের চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় স্পিনিংগুলো সুতার মূল্য বাড়াতে থাকে। সুতার এ বৃদ্ধির হার বিবেচনায় নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে পোশাকের মূল্য নিয়ে সমঝোতা করা এবং ক্রয়াদেশ ধরে রেখে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে অন্যান্য কাঁচামালেরও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সুতা ও কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পোশাকের রফতানি মূল্যে তার প্রতিফলন হচ্ছে। ফলে সামগ্রিক রফতানি আয় কিছুটা বাড়লেও পোশাকের প্রকৃত মূল্যবৃদ্ধি পায়নি। বরং কিছু কিছু পোশাকের ক্ষেত্রে হ্রাস পেয়েছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে উদ্যোক্তারা টিকে থাকার জন্য সরাসরি দৃশ্যমান লোকসান দিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখছে। ফলে তারল্য সংকট ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পোশাক ও বস্ত্র খাতের মালিকরা এ শিল্পের ভবিষ্যৎ, বিনিয়োগ, পরিস্থিতি ও শ্রমিকের মজুরি প্রদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা নিয়েও গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে বলে চিঠিতে বলা হয়েছে। তারা বলছেন, এ মাসেই ষাণ্মাসিক ব্যাংক ক্লোজিং ও আগামী মাসে ঈদুল আজহা সমাগত। এ সময়ে উদ্যোক্তাদের শ্রমিকের বেতন-ভাতা, বোনাস ইত্যাদি প্রদান করার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য আগের মতো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। তারল্য সংকট রয়েছে। এ কারণে সব ধরনের ঋণের বিপরীতে কিস্তির টাকা সময়মতো পরিশোধ করা উদ্যোক্তাদের পক্ষে দুরূহ হয়ে পড়েছে।

এ অবস্থায় বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সব ধরনের ঋণের বিপরীতে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ শ্রেণীকরণ না করার অনুরোধ জানিয়েছে। এছাড়া ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতায় পুনঃতফসিলীকরণের সুযোগ দাবি করেছে তারা। করোনাভাইরাস অতিমারীর প্রভাব মোকাবেলা করে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাত যাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি ও সক্ষমতা ধরে রাখতে পারে, শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা চলমান রাখতে পারে, সেজন্য এ সুযোগ চেয়েছেন পোশাক শিল্প মালিকরা।

এর আগে ঋণ পরিশোধে সময় চেয়ে ১৬ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দেয় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরকে ঋণ পরিশোধে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে এ চিঠি দেন। সূত্র : বণিক বার্তা

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

২ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ২৯ জুন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ২ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ট্রাস্টি সভার দিন নির্ধারণ করেছে। ফান্ডগুলোর চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও প্রকাশ করা হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ফান্ডগুলো হচ্ছে- গ্রীণডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

গ্রীণডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি কমিটির সভা ২৯ জুন দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি কমিটির সভা ২৯ জুন দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

ব্লক মার্কেটে ২৪১ কোটি টাকার লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার ব্লক মার্কেটে মোট ৩৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ১ কোটি ৮৮ লাখ ৫৫ হাজার ৮০৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ২৪১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটি ১০৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ৬৬ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

ন্যাশনাল ফিড মিল ২৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- আমান ফিড, অ্যারামিট, বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মা, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, ঢাকা ডাইং, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, এমারেল্ড অয়েল, ফরচুন সুজ, জিবিবি পাওয়ার, গ্রীনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, ম্যারিকো, নাহি অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট, নর্দার্ণ ইন্স্যুরেন্স, এনআরবিসি ব্যাংক,ওরিয়ন ফার্মা, প্যাসিফিক ডেনিমস, পেনিনসুলা, ফনিক্স ফিন্যান্স, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, আরএকে সিরামিকস, রেনেটা,রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সাফকো স্পিনিং, স্যালভো কেমিক্যাল, শমরিতা হসপিটাল, এসকে ট্রিমস, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, ইউনিক হোটেল ও ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

প্রাইম টেক্সটাইলের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র শিল্প খাতের কোম্পানি প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস লিমিটেডের সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোনো কারণ বা তথ্য নেই বলে জানিয়েছে। দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ কথা জানানো হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গত ২০ জুন শেয়ার দর ছিল ১৮.৪০ টাকা। আর আজ ২২ জুন সর্বশেষ শেয়ারটি ২২.২০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এ সময় শেয়ারটির দর টানা বেড়েছে।

কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই। তবে দর বাড়ার পেছনে মূল্য সংবেদনশীল কোন তথ্য কি তা জানতে চায় ডিএসই।

এ সময় প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি শেয়ারের দর বৃদ্ধির পেছনে মূল্যসংবেদনশীল অপ্রকাশিত কোন তথ্য তাদের কাছে নেই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

ম্যাকসন স্পিনিং মিলসের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র শিল্প খাতের কোম্পানি ম্যাকসন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোনো কারণ বা তথ্য নেই বলে জানিয়েছে। দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ কথা জানানো হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গত ১৪ জুন শেয়ার দর ছিল ১৬.৪০ টাকা। আর আজ ২২ জুন সর্বশেষ শেয়ারটি ২১.১০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এ সময় শেয়ারটির দর টানা বেড়েছে।

কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই। তবে দর বাড়ার পেছনে মূল্য সংবেদনশীল কোন তথ্য কি তা জানতে চায় ডিএসই।

এ সময় ম্যাকসন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি শেয়ারের দর বৃদ্ধির পেছনে মূল্যসংবেদনশীল অপ্রকাশিত কোন তথ্য তাদের কাছে নেই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস