ট্যানারি-সিরামিকসসহ ৬ খাত শিশুশ্রম মুক্ত হচ্ছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় দেশের ৬টি খাতকে শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করেছে। এই খাতগুলো হলো- রেশম, ট্যানারি, সিরামিক, গ্লাস, জাহাজ প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং রপ্তানিমুখী চামড়াজাত দ্রব্য ও পাদুকা শিল্প।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রম ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কেরানীগঞ্জে গেঞ্জি সেক্টরে এখনও শিশুদের বড় একটি অংশ কাজ করছে। আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে বলব। কেরানীগঞ্জে শিশুশ্রম বন্ধ করতেই হবে।”

শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে নয়টি কৌশলগত ক্ষেত্র চিহ্নিত করে গত বছরের অক্টোবরে ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে দায়িত্ব দিয়েছিল সরকার।

প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান জানান, গত ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের সপ্তম সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সুপারিশ বিবেচনা করে বিভিন্ন খাতকে সময় সময় শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করার সুপারিশ আসে। পরে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৯ সালে ‘জাতীয় মনিটরিং কোর কমিটি’ গঠন করা হয়।

ট্যানারি, গ্লাস, সিরামিক, জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ, রপ্তানিমুখী চামড়াজাত দ্রব্য ও পাদুকা এবং রেশম- এই ছয়টি শিল্প খাতের মালিক পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব খাতে কোনো শিশু শ্রমিক নেই।

সংশ্লিষ্ট খাতের সমিতি থেকে প্রত্যয়ন পাওয়ার পর জাতীয় মনিটরিং কোর কমিটি গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে এ ছয় খাতের বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন করে। তার আগেই কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পরিদর্শকরা কারখানা পরিদর্শন করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয়। আর জাতীয় মনিটরিং কোর কমিটি ছয়টি খাত পরিদর্শন করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ছয়টি প্রতিবেদন দাখিল করে।

মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, “কোর কমিটি জানিয়েছে, তাদের পরিদর্শনের সময় এই ছয়টি সেক্টরের কারখানার মালিকরা জানিয়েছেন, তাদের কারখানায় কখনও শিশু শ্রমিক নেওয়া হবে না। কোর কমিটিও তাদের পরিদর্শনে কোনো শিশু শ্রমিক সেখানে দেখতে পাননি। তাই আমি এই ছয়টি সেক্টরকে শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করছি।”

বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছরের নিচে কাউকে কারখানায় শ্রমিক হিসেবে নিযুক্ত করা যাবে না, তবে ১৪ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ নয়, এমন হালকা কাজ করতে পারবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ১২ লাখ ৮০ হাজার।

মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, “সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ শিশুশ্রম মুক্ত বলে আশা করছি।”

অন্যদের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

জানুয়ারিতে রফতানি আয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চলতি অর্থ বছরের ৭ম মাস জানুয়ারিতে রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। এ মাসে ৩৪৩ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ শতাংশ কম।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে রফতানি হয়েছিল ৩৬১ কোটি ডলারের পণ্য। গত জানুয়ারির তুলনায় রফতানি কমেছে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পণ্য রফতানি আয়ের এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) দুই হাজার ২৬৭ কোটি ডলার বা এক লাখ ৯৫ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকার পণ্য রফতানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এক দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কম।

অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত পণ্য, প্লাস্টক পণ্যের রফতানি কমলেও পাটজাত পণ্য, রাসায়নিক, হস্ত শিল্পের রফতানি বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বেক্সিমকো সিনথেটিকসের লেনদেন বন্ধের মেয়াদ বাড়লো

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেক্সিমকো সিনথেটিকসের শেয়ার লেনদেন আরো ১৫ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন আরো ১৫ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ হিসেবে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে।

এর আগে প্রথম দফায় ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, দ্বিতীয় দফায় ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত, তৃতীয় দফায় ৮ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত, চতুর্থ দফায় ২৩ অক্টোবর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত, পঞ্চম দফায় ২২ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত, ষষ্ঠ দফায় ৭ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, সপ্তম দফায় ২২ ডিসেম্বর থেকে ০৫ জানুয়ারি, অষ্টম দফায় ৬ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত এবং নবম দফায় ২১ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির লেনদেন বন্ধ ছিল।

১৯৯৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ বেক্সিমকো সিনথেটিক্স দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে রয়েছে। একইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে লভ্যাংশ প্রদান।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

মূল মার্কেটে আসছে ওটিসির চার কোম্পানি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ওটিসি মার্কেটে লেনদেন করা চার কোম্পানিকে মূল মার্কেটে লেনদেনের সম্মতি দিয়েছে।

বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসির ৭৬০তম সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ওটিসি মার্কেটে লেনদেনকৃত ৪ কোম্পানি যথাক্রমে তামিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, বাংলাদেশ মোনোসপোল পেপার ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি লিমিটেড, পেপার প্রসেসিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেড ও মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটিডের ব্যবসায়িক উন্নতির কারনে এবং কমিশনের বিবিধ ধারার সাথে সংগতিপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়ায় কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা/চট্টহ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেগুলেশন, ২০১৫ এর কতিপয় প্রবিধান ও সিকিউরিটিজ আইনের কতিপয় শর্ত হতে অব্যাহতি প্রদান করে রি-লিস্টিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মূল মার্কেটে লেনদেন করার সম্মতি প্রদান করা হয়েছে ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এলএনজি পরিবহনে ট্যাংকার কিনছে সরকার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) পরিবহনে বড় আকারের ছয়টি এলএনজি ট্যাংকার বা ক্যারিয়ার কিনতে যাচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)।

অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০২১-২৫), রূপকল্প ২০৪১, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ এবং ব্লু-ইকোনমি (সুনীল অর্থনীতি) ধারণার আলোকে বিএসসি ছয়টি জাহাজ কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিএসসির এলএনজি জাহাজ কেনার প্রস্তাবের বিষয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, দুটি ট্যাংকারের ধারণক্ষমতা হবে ১ লাখ ৪০ হাজার ঘন মিটার, দুটি ট্যাংকারের ধারণক্ষমতা হবে ১ হাজার ৭৪ হাজার ঘন মিটার, অন্য দুটির ধারণক্ষমতা হবে ১ লাখ ৮০ হাজার ঘন মিটার করে।

ছয়টি ট্যাংকার কিনতে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার ৬০২ কোটি টাকা।

ছয়টি জাহাজ কিনতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর ইপিসি (ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড কন্সট্রাকশন) প্লাস শিপ ফাইন্যান্সিংয়ের ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত প্রস্তাবের ওপর গত ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিদ্ধান্তের আলোকে বৃহস্পতিবার আন্তঃমন্ত্রণালয়ে সভা হয়।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানানো হয়, মহেশখালী দ্বীপের কাছে দেশের দুটি এলএনজি টার্মিনাল এবং এক বা একাধিক স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের পরিপ্রেক্ষিতে এলএনজি ট্যাংকার কেনার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। জাহাজগুলো দিয়ে বছরে প্রায় ১৯ মিলিয়ন ঘন মিটার (৬.৭১ মিলিয়ন টন) এলএনজি পরিবহন করা সম্ভব হবে। এতে এলএনজি পরিবহন, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় বিএসসির সক্ষমতা বাড়বে ও বিদেশি জাহাজের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে।

কয়েকটি দেশের ১৪টি প্রতিষ্ঠান এলএনজি ট্যাংকার সংগ্রহে আর্থিক সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বির, জ্বালানি বিভাগের যুগ্ম-সচিব শেখ আকতার হোসেন, পেট্রোবাংলার পরিচালক আলী মো. আল মামুন, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক যাবেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ইএফডি লটারির প্রথম ড্র শুক্রবার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

জানুয়ারি মাসজুড়ে ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) ব্যবহার করে দোকান থেকে কেনাকাটা করেছিলেন তাদের জন্য লটারির ব্যবস্থা করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেই লটারির প্রথম ড্র আগামীকাল শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত এক আদেশে লটারি থেকে পাওয়া পুরস্কারের টাকা সম্পূর্ণ আয়করমুক্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেগুনবাগিচায় রাজস্ব বোর্ড ভবনের সভাকক্ষে লটারির প্রথম ড্র অনুষ্ঠিত হবে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এই লটারিতে মোট ১০১টি পুরস্কার থাকবে। প্রথম পুরস্কার হবে এক লাখ টাকা, ২য় পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা (৫টি)। এভাবে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত মোট ১০১টি পুরস্কার থাকবে।

গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে যারা ইএফডি মেশিন থেকে কেনাকাটা করেছেন, তাদের নিয়ে প্রথম লটারি হবে। ইএফডি থেকে পণ্য কেনার পর গ্রাহকরা যে রশিদ পেয়েছেন সেটাই কুপন হিসেবে গণ্য করে লটারি হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে চায় নেপাল

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের সাথে নেপালের সর্বনিম্ন দূরত্ব মাত্র ৩৭ কিলোমিটার। কিন্তু এরপরও বাংলাদেশের সাথে নেপালের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আশানুরূপ নয়। এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো বাড়াতে চায় নেপাল। আগামী অক্টোবর মাসে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাণিজ্য সচিব পর্যায়ে আয়োজিত বৈঠক দুদেশের বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বিরাজমান সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশিধর মিশ্র।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি মিলনায়তনে চেম্বার ও ব্যবসায়ীক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ড. বংশিধর মিশ্র বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আশানুরূপ না হওয়ার নেপথ্যে ট্যারিফ সংক্রান্ত কিছু জটিলতা রয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে। এছাড়া বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ‘অন এরাইভ্যাল ভিসা সিস্টেম’ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন ও বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরিণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সাথে নেপালের রেল যোগাযোগ স্থাপন করা গেলে দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। অতিশীঘ্রই বাংলাদেশ-নেপাল চেম্বার অব কমার্স গঠিত হতে যাচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশ ও নেপালের প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ীরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। যার মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্য ও শিল্প উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।

সভায় সিলেটের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন, সিলেটে অনেকগুলো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ রয়েছে। যেগুলো থেকে নেপালের ছাত্র-ছাত্রীরা কমখরচে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়াও সিলেট থেকে কৃষি যন্ত্রপাতি ও কৃষি পণ্য আমদানি করতে পারেন। সিলেটের শিল্প মালিকগণ নেপালের রাষ্ট্রদূতকে সিলেটের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সফরের অনুরোধ জানান।

সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েবের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিনী দূর্গা মিশ্র, নেপাল এম্বেসীর সেকেন্ড সেক্রেটারী রঞ্জন যাদব, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন সাহা, সহ সভাপতি তাহমিন আহমদ, এফবিসিসিআই’র পরিচালক খন্দকার সিপার আহমদ প্রমুখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ব্লক মার্কেটে ২৪ কোটি টাকা লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ২৩ কোটি ৭১ লাখ ৫৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে রেনাটার শেয়ার। কোম্পানিটির ৮ কোটি ১১ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ মার্কেটে ৪ কোটি ১১ লাখ ৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বিকন ফার্মা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা লিন্ডে বিডির ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেনে অংশ নেওয়া অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ১৭ লাখ ১৬ হাজার টাকার, আমান ফিডের ৩৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ২৩ লাখ টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ১৩ লাখ ৮ হাজার টাকার, বার্জার পেইন্টসের ২ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ১৩ লাখ ২৩ হাজার টাকার, ডেল্টা ব্রাক হাউজিংয়ের ৫ লাখ ২৭ হাজার টাকার, এনার্জিপ্যাকের ৭০ লাখ ১ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ১২ লাখ ৮১ হাজার টাকার, জেনেক্স ইনফোসিসের ১ কোটি ৪১ লাখ ৭২ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৯ লাখ ৮ হাজার টাকার, এমএল ডাইংয়ের ৫ লাখ ৫ হাজার টাকার, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ২৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকার, ন্যাশনাল পলিমারের ১১ লাখ ৭৩ হাজার টাকার, সী পার্ল বিচের ৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকার, শাশা ডেনিমসের ৭ লাখ ৮১ হাজার টাকার, সিঙ্গার বিডির ৫৩ লাখ ১৩ হাজার টাকার, এসএস স্টিলের ২ কোটি ৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার এবং সামিট পাওয়ারের ৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

মীর আক্তারের শেয়ারে ‘কারসাজি’ ঠেকাতে বিএসইসির পদক্ষেপ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত মীর আক্তার হোসেন লিমিটেডের শেয়ারে কারসাজি ঠেকাতে সন্দেহভাজন দুটি লেনদেন আটকে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

এদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই পদক্ষেপের পর বাজারে মীর আক্তারের শেয়ারের দরপতন হয়েছে বৃহস্পতিবার।

মঙ্গলবার এ শেয়ারের লেনদেন শুরুর পর প্রথম দুদিনে ৫৪ টাকায় তালিকাভুক্ত এ শেয়ারের দাম বেড়ে ১০০ টাকা হয়। বৃহস্পতিবার দাম কমে ৯০ টাকায় নেমে আসে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, “বুধবার লেনদেন শুরুর পরে আমাদের সার্ভেইলেন্সে দেখতে পাই, দুটো বিও অ্যাকাউন্ট থেকে মীর আক্তার হোসেন লিমিটেডের বড় পরিমাণ শেয়ার কেনার অর্ডার দেওয়া হয়েছে, যা কিনা সর্বোচ্চ দামে।

“সেটা দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তখন আমরা প্রাথমিক তদন্ত করি। তদন্ত করে আমাদের মনে হয়েছে বিষয়টি নিয়ে আরা গভীর ভাবে তদন্ত করা দরকার। পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিষয়টি সারজমিনে খতিয়ে দেখতে ব্রোকারেজ হাউজে একটি তদন্ত দল পাঠানো হবে।”

রেজাউল করিম জানান, যে ব্রোকারেজ হাউজের যে প্রতিনিধি ওই কেনার আদেশ দিয়েছিলেন, তাকে আপাতত লেনদেন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

আর যে দুটি বিও অ্যাকাউন্ট থেকে ওই বড় পরিমাণ কেনার অর্ডার দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো থেকেও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

“তদন্তের পরে এদের বিষয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।”

দুই কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৪৭টি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজার থেকে ১২৫ কোটি টাকা তোলার জন্য মীর আক্তারের আইপিও গত বছেরের শেষভাগে বিএসইসির অনুমোদন পায়। নিলামে দাম নির্ধারণ হয় ৫৪ টাকা।

গত মঙ্গলবার প্রথম দিনের লেনদেনে এ শেয়ারের দাম ৫০ শতাংশ বেড়ে ৮১ টাকা হয়। বর্তমান নিয়মে নতুন শেয়ারের দাম এক দিনে ৫০ শতাংশই বাড়ার সুযোগ আছে।

এরপর বুধবার লেনদেনের শুরুতেই ৫০ শতাংশ বেড়ে যায় মীর আক্তারের শেয়ারের দর। কিন্তু পরে বিএসইসির পদক্ষেপের খবরে দাম কিছুটা কমে।

শেষপর্যন্ত ১৯ টাকা ২০ পয়সা বা ২৪ শতাংশ বেড়ে ১০০ টাকায় দিন শেষ করে এই শেয়ার।

আর বৃহস্পতিবার সকালে তা ১০ শতাংশ কমে ৯০ টাকায় নেমে আসে। বর্তমান নিয়মে কোনো শেয়ারের দাম এক দিনে ১০ শতাংশের বেশি কমার সুযোগ নেই।

অভিযোগ আছে, শেয়ারের কৃত্রিম চাহিদা দেখিয়ে বাড়ানো হয় শেয়ারের দাম। যখন বেশি দামে বিনিয়োগকারীরা কিনতে শুরু করেন, সে সময় শেয়ার বিক্রি করে বের হয়ে যান কারসাজিতে জড়িতরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

শেয়ার ধারণে ব্যর্থ পরিচালকদের তথ্য চেয়ে বিএসইসির চিঠি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা বা পরিচালক সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের হালনাগাদ তথ্য চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটিডের (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালককের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

আজ বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

চিঠিতে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে শেয়ার ধারণে ব্যর্থ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের হালনাগাদ তথ্য কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার রাখতে ব্যর্থ কোম্পানিগুলো নিয়ে তাদের নিজস্ব তদারকির কোনো তথ্য থাকলে, তাও দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও কমিশনের ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর জারিকৃত নির্দেশনার বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য চাওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় সম্মিলিতভাবে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গনের প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য জানাতেও বলা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ