এশিয়ার শেয়ারবাজারে চাঙ্গাভাব

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বিশ্বের প্রধানতম পণ্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দরও মার্কিন সরকারের প্রণোদনার ঘোষণায় এশিয়ার শেয়ারবাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। গত জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে এর দর ।

বিশ্বব্যাপী প্রধান প্রধান অর্থনীতির দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচি চলমান থাকায়, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। ফলে আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নাগাদ শেয়ারের রেকর্ড ঊর্দ্ধগতি লক্ষ্য করেছে এশীয় পুঁজিবাজারগুলো।

এশিয়ার মূলধনী বাজার চাঙ্গা হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বার্ষিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণাও। একইসঙ্গে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সংঘাতের উত্তেজনায় বেড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দর।

জাপান বাদে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শেয়ারবাজারের বৃহত্তর সূচক এমএসসিআই ইনডেক্স দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৭৩৬.৪ পয়েন্ট অর্জন করে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকালে মহামারির কল্যাণে সবচেয়ে খারাপ মন্দার কবলে পড়েছে জাপান। চতুর্থ প্রান্তিকে সেখান থেকে উত্তরণের গতি স্তিমিত হয়ে পড়ার তথ্য প্রকাশের পরও,সোমবার জাপানের নিক্কেই সূচক বেড়েছে ১.১ শতাংশ।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অপর বৃহৎ অর্থনীতি আস্ট্রেলিয়ার সার্বিক বাজার সূচক দশমিক ৯ শতাংশ বাড়ে।

এশীয় বাজারে কার্যদিবসের শুরুর দিকের লেনদেনে এসঅ্যান্ডপি ৫০০’ এর ই-মিনি ফিউচার্স সহযোগী সূচকের দর বাড়ে দশমিক ৩ শতাংশ।

চান্দ্রবর্ষের ছুটি উপলক্ষে বন্ধ ছিল চীন ও হংকং- এর শেয়ারবাজার। এছাড়া, আগামীকাল পেসিডেন্ট দিবস উপলক্ষে বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার।

চলতি সপ্তাহে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীরা মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের প্রেক্ষিতেই আশাবাদী। ওই বৈঠকে সুদহার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন নীতি-নির্ধারকরা।

বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা ন্যাটিসিক্স ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজার্স সল্যিউশন্স- এর বৈশ্বিক বাজার কৌশল বিভাগের প্রধান এস্টি ডুয়েক বলেন, “আমাদের মতে, যতক্ষন মূল্যস্ফীতি ধাপে ধাপে হবে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুঁজিবাজারও ভালো করবে। তবে মূল্যস্ফীতি অস্থির গতির হলে তা বিনিয়োগকারীদের আস্থায় চিড় ধরাবে।”

বিশ্বের প্রধানতম পণ্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দরও মার্কিন সরকারের প্রণোদনার ঘোষণায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। ফলে গত জানুয়ারির পর এখন সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে এর দর।

গত রবিবার ইয়েমেনে যুদ্ধরত সৌদি জোট ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের একটি বিস্ফোরক ভর্তি ড্রোন ধবংসের কথা জানায়। ড্রোনটির লক্ষ্য ছিল সৌদি ভূখণ্ড। এই সংবাদে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সংঘাতের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যার উত্তাপে লাভবান হয় জ্বালানি বাজার।

ফলে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১ ডলার বেড়ে, ব্যারেলপ্রতি ৬৩.৪৩ ডলারে উন্নীত হয়েছে। মার্কিন অপরিশোধিত তেলের দর ১.২ ডলার বেড়ে ৬০.৭ ডলারে লেনদেন হয়।

সূত্র: রয়টার্স

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

১৬ ডিসেম্বর চালু হবে দিয়াবাড়ি-আগারগাঁও মেট্রোরেল

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে মেট্রোরেলের প্রথম সেকশন দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মেট্রোরেলের ডিপো পরিদর্শনের সময় এ কথা বলেন তিনি। এ সময় মেট্রোরেল প্রকল্পের এমডি এমএন সিদ্দিকসহ প্রকল্পের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের সিস্টেমকে আমি বিশ্বাস করি। আমাদের কর্মী, ইঞ্জিনিয়ার, যারা কাজ করছে, তাদের ওপর আমার আস্থা আছে। সেই আস্থা ভরসায় আমরা বলছি, তারাও এ দেশের নাগরিক, তাদেরও দেশপ্রেম আছে। আমরা চাই, বিজয় দিবসে মেট্রোরেলে প্রথম সেকশন আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করার।’

তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের অবশ্যই অভিলাস, ইচ্ছা, সিদ্ধান্ত। কিন্তু কাজ যারা করছেন, আমাদের টেকনিক্যাল লোক যারা তাদের কথাও বিবেচনায় রাখতে হবে। আমার বিশ্বাস, আমাদের আস্থা আছে, জনগণের আস্থা আছে, তারা কাজটা করবেন। ২০২১ সালের মহান বিজয় দিবসে প্রথম রানটা করতে পারব। সরকার প্রধানও তাই চান। সরকার প্রধান এটা করতে অনুরোধ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি সরকারের পক্ষ থেকে আজ অন দ্য স্পট অনুরোধ করছি, ডাবল কাজ করেন, ত্রিপল কাজ করেন, খেয়ে না খেয়ে কাজ করেন, আমাকে বিজয় দিবসে এই রানটা দেখিয়ে দেন।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

লুব রেফ বিডির আইপিও আবেদনের লটারির দিন নির্ধারণ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

লুব-রেফ বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনের লটারির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

কোম্পানিটির আইপিও লটারি আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজধানীর পাচ তারকা হোটেল ইন্টার-কন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হবে।

লুব রেফ বিডির আইপিও আবেদন গত ২৬ জানুয়ারি শুরু হয়। বিনিয়োগকারীরা ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই আইপিও আবেদন দেয়।

এর আগে ইলেক্ট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে কোম্পানিটির কাট অফ প্রাইস নির্ধারণ করা হয় ৩০ টাকা।

গত ১২ অক্টোবর হতে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত লুব-রেফ বাংলাদেশ লিমিটেডের এই বিডিং অনুষ্ঠিত হয়। বিডিং অংশ নেওয়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সুবিধাজনক দরে ক্রয় প্রস্তাব করে।

এসময় বিডিররা সর্বোচ্চ ৬০ টাকা ধরে কোম্পানিটির শেয়ার ক্রয়ের প্রস্তাব করে। আর সর্বনিম্ন দর প্রস্তাবটি আসে ১৩ টাকায়। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি বিডার দর হাকায় টাকায়। বিডিংয়ে মোট ২০৯ বিডার দর প্রস্তাব করে।

এই আগে গত ২০ আগষ্ট কোম্পানিটিকে বিডিংয়ের মাধ্যমে কাট অফ প্রাইস নির্ধারণের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সূত্র মতে, আলোচ্য কোম্পানিটি বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে। সংগৃহীত টাকায় নতুন যন্ত্রপাতি কেনা, ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী যথাক্রমে শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) ৩১ টাকা ৯৩ পয়সা ও শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তির মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতীত) ২৫ টাকা ৯৬ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ২ টাকা ৮ পয়সা।

কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং রেজিষ্টার টু দি ইস্যু হিসেবে কাজ করছে বেটাওয়ান ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।

গত ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর রোড শো’র আয়োজন করে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ব্লক মার্কেটে ১৯ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার ব্লক মার্কেটে মোট ১৯ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ২৭ লাখ ৪ হাজার ৬২২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে এস.এস স্টিল লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটি ৩ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি ২ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

স্কয়ার ফার্মা ১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, ডেল্টা স্পিনার্স, ইস্টার্ন ব্যাংক, খুলনা পাওয়ার, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, লিগ্যাসি ফুটওয়ার, মীর আখতার হোসাইন, পাওয়ার গ্রীড, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সাইফ পাওয়ারটেক, সায়হাম কটন, সী পার্ল বীচ, এস.এস স্টিল ও ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির প্রতিবেদন ৩১ মার্চ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে অর্থ চুরির মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দা‌খিলের তারিখ পিছিয়েছে।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।

তবে এদিন সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী আগামী ৩১ মার্চ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়ে যায়। পরে হ্যাকার গ্রুপ অর্থপাচারের মাধ্যমে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠিয়ে দেয়।

২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এ মামলা করেন। পরদিন মামলাটি তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

সেই থেকে চার বছরে ৪৫ বার সময় নিয়েও প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সিআইডি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বহুজাতিক কোম্পানি হিসেবে মন্দ উদাহরণ রবি

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বরাবরই বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। কখনো কখনো দেয়া হয় বড় অংকের বোনাস লভ্যাংশও। আর লোভনীয় এ লভ্যাংশের আকর্ষণে বিনিয়োগকারীদের কাছে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত শেয়ার হলো বহুজাতিক কোম্পানির। এ কারণে শেয়ারবাজারে বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারের দামও বেশ চড়া।

শেয়ারবাজারের ইতিহাসে শেয়ার ইস্যু বিবেচনায় সবচেয়ে বড় কোম্পানি হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বরে তালিকাভুক্ত হয় টেলিযোগাযোগ খাতের বহুজাতিক কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড। তালিকাভুক্তির দুই মাস পার হওয়ার আগেই প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগকারীদের হতাশ করে লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রে বহুজাতিক হিসেবে বিরল ও মন্দ উদাহরণ তৈরি করল রবি। কোম্পানিটির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি)। গতকাল কোম্পানিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ডেকে এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চরম অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন কমিশনের কর্মকর্তারা।

দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর গত পাঁচ বছরের লভ্যাংশ প্রদানের হার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সিমেন্ট খাতের বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড এ সময়ে ধারাবাহিকভাবে ১০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। সিরামিক খাতের আরএকে সিরামিকস বাংলাদেশ লিমিটেড গত পাঁচ বছরে বোনাস ও লভ্যাংশ মিলিয়ে ২৫ থেকে ১৫ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়েছে। প্রকৌশল খাতের বহুজাতিক সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড গত পাঁচ বছরে বোনাস ও নগদ মিলিয়ে ৩০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত লভ্যাংশ দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের। তামাক খাতের বহুজাতিক জায়ান্ট ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকা বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটিবিসি) পাঁচ বছরে বিনিয়োগকারীদের ৬০০ থেকে ৪০০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। এর পাশাপাশি ২০১৮ ও ২০২০ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ২০০ শতাংশ হারে বোনাস লভ্যাংশও দিয়েছে। ব্যবসায় সুবিধা করতে না পেরে বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নেয়া গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বাংলাদেশ লিমিটেডও (বর্তমানে ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেড) গত পাঁচ বছরে ৫৫০ থেকে ৫০০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এমনকি ওষুধ উৎপাদন ইউনিট বন্ধ করে দেয়ার কারণে কর্মচারীদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৩১ কোটি ৭৬ লাখ টাকাসহ মোট ২০১ কোটি টাকা সমন্বয় করায় ২০১৮ হিসাব বছরে কোম্পানিটির ৭১ কোটি টাকা কর-পরবর্তী লোকসান হয়েছিল। তবে লোকসান সত্ত্বেও ওই হিসাব বছরে রিজার্ভ থেকে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৫৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

জ্বালানি খাতের বহুজাতিক লিন্ডে বাংলাদেশ গত পাঁচ বছরে ৩১০ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। বহুজাতিক রং উৎপাদক বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের গত পাঁচ বছরে ৬০০ থেকে ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের পাশাপাশি ১০০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশও দিয়েছে। ভারতের মুম্বাইভিত্তিক বহুজাতিক ম্যারিকো বাংলাদেশ গত পাঁচ বছরে ৯৫০ থেকে ৪৫০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওষুধ ও রসায়ন খাতের তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের জন্য গত পাঁচ বছরে ৬৫০ সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২৫০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। বহুজাতিক জুতা উৎপাদক বাটা শু বাংলাদেশ পাঁচ বছরে ১২৫ থেকে ৩৪৫ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের। টেলিযোগাযোগ খাতের বহুজাতিক কোম্পানি গ্রামীণফোন বাংলাদেশ গত পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ ২৮০ থেকে সর্বনিম্ন ১৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এমনকি গত বছর নিরীক্ষা দাবির বিপরীতে বিটিআরসিকে ২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধের পরও ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি। এক্ষেত্রে ঘোষিত লভ্যাংশ কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফার ৯৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরদিন গতকাল কমিশনের জরুরি তলবে আগারগাঁওয়ের সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন রবি আজিয়াটার কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ সাহেদুল আলমসহ অন্য কর্মকর্তারা। কমিশনের পক্ষে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও আব্দুল হালিম, নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান ও মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। কমিশনের পক্ষ থেকে লভ্যাংশ না দেয়ার কারণে রবির প্রতি চরম অসন্তোষ ব্যক্ত করা হয় এ সময়। এ ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে কোম্পানিটির সাধারণ বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়েছেন। কীভাবে এর প্রতিকার করা যায় সেটি কোম্পানির পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে কমিশনকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।

জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্তে রবির প্রতি চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিশন। রবির এ ধরনের সিদ্ধান্তের প্রতিকার হিসেবে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব সেটি কোম্পানির পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে।

এদিকে লভ্যাংশ ঘোষণার পরদিন গতকাল এ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করে রবি আজিয়াটা। সেখানে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএসইসি রবির লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্তের কারণে খুশি হয়নি। তারা লভ্যাংশ প্রত্যাশা করেছিল, তাই এটি স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের যে পরিমাণ মুনাফা হয়েছে তার অর্ধেক লভ্যাংশ হিসেবে দিতে গেলে ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ হারে দিতে হতো। আর মুনাফার পুরোটাই লভ্যাংশ হিসেবে দিলেও ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশের বেশি দেয়া সম্ভব হতো না। এত অল্প লভ্যাংশ দিয়ে সবাইকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব ছিল কিনা সেটি নিয়ে পর্ষদ সভায় আলোচনা হয়েছে। উদ্যোক্তা-পরিচালকরা কোম্পানিতে বড় অংকের বিনিয়োগ করেছেন এবং তারা ২০১৪ সালের পর থেকে লভ্যাংশ নেননি। তা সত্ত্বেও শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ দেয়া যায় কিনা, সেটি পর্ষদে উপস্থাপন করা হয়েছিল। পুনর্বিনিয়োগ করার বিষয়টিও লভ্যাংশ না দেয়ার অন্যতম কারণ।

রবির সিইও বলেন, লভ্যাংশ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে শুধু লভ্যাংশ দিয়ে শেয়ারকে বিবেচনা করলে হবে না। কোম্পানির পারফরম্যান্স দেখতে হবে। যারা শুধু লভ্যাংশ দিয়ে বিবেচনা করে, তারা বিচক্ষণ বিনিয়োগকারী নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। সূত্র : বণিক বার্তা

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

দিনশেষে লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এদিন কোম্পানিটির ২৫৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮০ কোটি টাকার।

৬৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, রবি, বিকন ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা, সামিট পাওয়ার, বিডি ফাইন্যন্স ও রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. বেক্সিমকো ফার্মা
  3. বিএটিবিসি
  4. লংকা বাংলা ফাইন্যান্স
  5. রবি আজিয়াটা
  6. বীকন ফার্মা
  7. স্কয়ার ফার্মা
  8. সামিট পাওয়ার
  9. বিডি ফাইন্যান্স
  10. রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

ডিএসইতে ৮৬৩ ও সিএসইতে ২৬ কোটি টাকার লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সূচকের পতন হয়েছে। এদিন সেখানে লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে কমেছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন দুটোই কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়

বুধবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩.৭১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৫.৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১.৬৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২৫০ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৫.৭৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২১২০ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৬৩কোটি ৮৬ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৯৯৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৫৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১০১টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৪১টির। আর দর অপরিবর্তিত আছে ১০২টির।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, বিএটিবিসি, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স, রবি আজিয়াটা, বীকন ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা, সামিট পাওয়ার, বিডি ফাইন্যান্স ও রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৬৬.৫৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৫ হাজার ৯৪১ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৬টির, কমেছে ১০৭টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ৬ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড ও রবি আজিয়াটা লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

ভোজ্যতেলের দাম ১১৫ টাকা লিটার নির্ধারণ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

অপরিশোধিত সয়াবিন ও পামওয়েল তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।

আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশকবিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণের ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি লিটার সয়াবিন (খোলা) মিল গেটে ১০৭ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিল গেট মূল্য ১২৩ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১২৭ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা। ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিল গেট মূল্য ৫৮৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৬০০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৬২৫ টাকা। আমাদের দেশে যে তেল ব্যবহার করি তার ৭০ শতাংশ পাম সুপার, যার প্রতি লিটার মিল গেট মূল্য (খোলা) ৯৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৯৮ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১০৪ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ভোজ্যতেলের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সামনে রমজান মাস, বর্তমানে যথেষ্ট মজুদ আছে। সব হিসেব-নিকেশ করে এ দাম নির্ধারণ করা হয়।’ তিনি বলেন, দাম কমে গেলে বিবেচনা করা হবে, বেড়ে গেলেও বিবেচনা করা হবে। আমরা যে তেল ব্যবহার করি তার ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হয়।’

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে গত ৬ মাসে ৬৫ শতাংশ তেলের দাম বেড়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘শিপিং কস্টও বেড়েছে এছাড়া জাহাজের তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচও বেড়েছে। অপরিশোধিত সয়াবিন ও পামতেলের আমদানিতে আরোপিত ভ্যাট ভোক্তার স্বার্থ বিবেচনা আরও বেশি যৌক্তিকহারে নির্ধারণের জন্য ইতিমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করা হয়েছে।’

মন্ত্রী জানান, ভোজ্য তেলের মূল্য অস্থিতিশীল থাকায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা প্রতি মাসেই আয়োজন করা হবে।

সভায় বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, ভোজ্য তেল আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম