বিএটিবিসির ৫১তম এজিএম অনুষ্ঠিত

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটিবিসি) ২০২৩ সালের জন্য শেয়ার প্রতি ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের অনুমোদন দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার অনলাইন মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ৫১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে এই সাধারণ সভায় লভ্যাংশের অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভায় শেয়ারহোল্ডাররা সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৩ সালের আর্থিক বিবরণীর অনুমোদন, ২০২৩ সালের জন্য শেয়ার প্রতি ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের অনুমোদন, পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন, সংবিধিবদ্ধ নিরীক্ষক ও কর্পোরেট গভর্নেন্স অডিটর নিয়োগের অনুমোদন প্রদান করা হয়।

বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম মইন উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনলাইনে এ এজিএম অনুষ্ঠিত হয়। দেশ ও বিদেশ থেকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডাররা বিএটি বাংলাদেশের এজিএম পোর্টালের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

২০২৩ সালে বিএটি বাংলাদেশ মূল্য সংযোজন কর, সম্পূরক শুল্ক এবং অন্যান্য কর হিসেবে জাতীয় কোষাগারে ৩২,৮০২ কোটি টাকা রাজস্ব জমা দিয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের অন্যতম সেরা করদাতায় পরিণত করেছে।

সভায় প্রতিষ্ঠানটির স্বতন্ত্র পরিচালক এ. কে. এম. আফতাব উল ইসলাম, কেএইচ মাসুদ সিদ্দিকী ও ড. এম হারুনুর রশিদ; অ-নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া সুলতানা, সিরাজুন নূর চৌধুরী, মো. আবুল হোসেন, মনিশা আব্রাহাম, ওয়েল সাবরা, গ্যারি ট্যারান্ট, স্টুয়ার্ট কিড ও ফ্রান্সিসকো তোসো ক্যানেপা; এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহ্জাদ মুনীম, ফাইন্যান্স ডিরেক্টর নিরালা সিং ও কোম্পানি সচিব মো. আজিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

খেলাপি ঋণ আর্থিক খাতের জন্য বড় হুমকি: বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল এক প্রতিবেদনে বলেছে, দেশের আর্থিক খাতের অগ্রগতির জন্য উচ্চ খেলাপি ঋণ একটি ‘বড় হুমকি’।

এমন এক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এই মন্তব্য করল যখন ঋণ প্রদানে অনিয়ম, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার শিথিলতার কারণে ব্যাংকিং খাত বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণের ভারে জর্জরিত।

২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৯ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই উচ্চ খেলাপি ঋণ ব্যাংকগুলোর স্থিতিশীলতা ও মুনাফায় প্রভাব ফেলছে, জনগণের আস্থা কমিয়েছে। এছাড়া তহবিল প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করছে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ আরও বেড়েছিল। চতুর্থ প্রান্তিকে এর পরিমাণ কমলেও বছরওয়ারি হিসেবে উচ্চ ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা ও বিনিময় হারের ত্রৈমাসিক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণ বেশি হলে ব্যাংকগুলোকে এই ঋণের বিপরীতে প্রভিশন বাড়াতে হয়। ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতির জন্য মূলত খেলাপি ঋণ দায়ী।

এতে আরও বলা হয়, খেলাপি ঋণ কমানো ছাড়া ব্যাংকিং ব্যবস্থায় মূলধন পর্যাপ্ততার কোনো উন্নতি হবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো গত ১০ বছর ধরে ন্যূনতম মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যদিকে বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো মূলধনের আন্ডার ক্যাপিটালাইজড অবস্থায় আছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার ০.১৫ শতাংশ বেড়েছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় এ বছরের জানুয়ারিতে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ।

এ বছরের জানুয়ারিতে ক্রেডিট কার্ডে গ্রাহকরা ব্যয় করেছেন ২ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিল ২ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, জানুয়ারিতে দেশের বাইরে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৩২ কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের ৫৭৯ কোটি ৩ লাখের চেয়ে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ কম।

দেশের মধ্যে কিন্তু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ইস্যু করা ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন জানুয়ারিতে ১৮১ কোটি ৬ লাখ টাকায় নেমে এসেছে, যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের ১৮৪ কোটি ১ লাখ টাকার চেয়ে ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ কম।

দেশের মধ্যে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোতে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের ১ হাজার ৩০৯ কোটি ৫ লাখ টাকা থেকে বেড়ে এ বছরের জানুয়ারিতে ১ হাজার ৩২০ কোটি ৬ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

সাপ্তাহিক লেনদেনে শীর্ষ এশিয়াটিক ল্যাব; ২য় সেন্ট্রাল ফার্মা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে এশিয়াটিক ল্যাকরেটরিজ লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির প্রতি কার্যদিবসে ২৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গড় লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা সেন্ট্রাল ফার্মা লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার।

আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বেস্ট হোল্ডিংসের ১৮ কোটি ৩৪ লাখ, গোল্ডেনসনের ১৫ কোটি ৯২ লাখ, ফুয়াং সিরামিকসের ১৫ কোটি, শাইনপুকুর সিরামিকসের ১২ কোটি ২৩ লাখ, মালিক স্পিনিংয়ের ১০ কোটি ৮৭ লাখ, ফরচুন সুজের ১০ কোটি ৭ লাখ ও এমারেল্ড ওয়েলের ১০ কোটি ২ লাখ টাকার গড় লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

৫ দিনে ডিএসইতে মূলধন কমেছে ১৩,৩০০ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ১৩,৩০০ কোটি টাকা কমেছে। তবে এই সপ্তাহে সেখানে মোট লেনদেনও আগের সপ্তাহের চেয়ে কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকার। যা আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ০.৪৭ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে দিনের গড় লেনদেন ৪৯৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকার হয়েছে। আগের সপ্তাহে এই লেনদেন হয়েছিল ৪৯৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে প্রতিদিনের গড় লেনদেন ০.৪৭ শতাংশ কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩৪.৬৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭৭৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৪৬.৬৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০১১ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ৩৮.৪৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১২৫৪ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৪১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩৫টির, কমেছে ৩৪৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ১৮টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ২২৯ কোটি টাকা। এই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ১৩,৩১১ কোটি টাকা অর্থ্যাৎ ১.৯২ শতাংশ কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি