বিশেষ প্রতিবেদক :
ভালো শেয়ারের চাহিদা ও বিনিয়োগকারীর আস্থা ফেরাতে শেয়ারবাজারে আসছে বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজার থেকে মূলধন তুলতে ইতিমধ্যে ইলেকট্রনিক বিডিং সম্পাদনের মাধ্যমে ইস্যু মূল্য বা কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণে অনুমোদন পেয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিডিং প্রক্রিয়ায় ইস্যু মূল্য নির্ধারণে ইলেকট্রনিক সাবক্রিপশন সিস্টেম সফটওয়্যার ব্যবহার ও টেকনিক্যাল সহায়তায় বসুন্ধরা পেপার মিলস, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। নিজস্ব কারিগরি সহায়তায় সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।
বসুন্ধরা পেপার মিলের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন কোম্পানি সচিব এম নাসিমুল হাই; এফসিএস, ডিএসইর পক্ষে লিস্টিং ম্যানেজার জলিলুর রহমান ও সিএসইর পক্ষে আইটি বিভাগের ডিজিএম হাসনাইন বারী। এ ছাড়া চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম মাজেদুর রহমান, প্রধান রেগুলিটরি কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান খান, বসুন্ধরা পেপারের নির্বাহী পরিচালক (অ্যাকাউন্ট অ্যান্ড ফাইন্যান্স) মির্জা মুজাহিদুর ইসলাম ও অ্যাসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড সেক্রেটারিয়েট বিভাগ) এম মাজেদুল ইসলাম এবং বসুন্ধরা পেপার মিলের ইস্যু ম্যানেজার এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়্যারম্যান ও মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ প্রমুখ।
বসুন্ধরা গ্রুপের আরেক অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মেঘনা সিমেন্ট মিলস শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত। দীর্ঘদিন থেকেই কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীর আগ্রহের শীর্ষে ও আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বছর বছর লভ্যাংশ প্রদানের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীর এ আস্থা অর্জিত হয়েছে। বসুন্ধরা পেপার মিলসও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বিনিয়োগকারীর আস্থা অর্জন করবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বসুন্ধরা পেপার মিলস শেয়ার ছেড়ে ২০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটির অথরাইজড মূলধন ৫০০ কোটি আর পরিশোধিত মূলধন ১৪৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। বসুন্ধরা পেপার মিলস তিনটি ইউনিটের মাধ্যমে পেপার ও পেপারসামগ্রী উৎপাদন করে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করছে।
নারায়ণগঞ্জের সোনাগাঁয় মেঘনা ঘাটে ইউনিট-১ ও ইউনিট-২ এবং মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ইউনিট-৩ চালু রয়েছে। গত ২৭ আগস্ট ইলেকট্রনিক বিডিং সম্পাদনের মাধ্যমে কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণের অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কোম্পানি সচিব নাসিমুল হাই বলেন, ‘বসুন্ধরা পেপার মিলের টার্নওভার এক হাজার কোটি টাকা। মুনাফাও ভালো। সবচেয়ে বেশি করাদাতা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে বিশ্বের ২৩টি দেশে পেপার রপ্তানি করা হয়। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলে পরিধি আরো বাড়বে। ৫০টির বেশি দেশে রপ্তানি সম্ভব হবে। পেপার মিলসের তালিকাভুক্তির পর বসুন্ধরা গ্রুপের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ও বসুন্ধরা এলপিজি গ্যাসকেও তালিকাভুক্ত করা হবে। ’
মাজেদুর রহমান বলেন, ‘আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে কেবল টাকাই উত্তোলন হয় না, করপোরেট গভর্নেন্সের দিক থেকে বিনিয়োগকারীর সঙ্গে কোম্পানির সখ্য ও সম্পর্কও তৈরি হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বসুন্ধরা গ্রুপের মতো বড় বড় কম্পানিকে বাজারে আনতে চায়। এতে ভালা শেয়ারের জোগান বাড়বে। কেবল পেপার মিলস না, বসুন্ধরা গ্রুপের অন্যান্য ইউনিটও শেয়ারবাজারে আসবে বলে আশা করি। ’
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ