নতুন ট্রেক শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করবে: শিবলী রুবাইয়াত

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, ‘আজকে আমাদের পরিবারে নতুন ৫২ জন ট্রেকহোল্ডার অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। এটা আমাদের শেয়ারবাজারকে আরো অনেক শক্তিশালী করবে। শেয়ারবাজারকে যেসব সদস্য অনেকদিন পরে আসলেন, একটা পরিবারের জন্য এটা আনন্দের সংবাদ।’

তিনি বলেন, ‘পরিবারে যারা বয়জ্যেষ্ঠ বা পুরোনো সদস্য রয়েছেন, তারা নতুনদের সুন্দরভাবে দিকনির্দেশনা দেবেন, সাহায্য করবেন। আর যারা নতুন আসলেন, তারা শিখবেন, জানবেন এবং বুঝবেন। সবার সহযোগীতার মাধ্যমে নতুনরাও যেন মার্কেটে ভালো করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নিকুঞ্জ টাওয়ারের মাল্টিপারপাস হলে নতুন ট্রেকহোল্ডারদের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসই চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান। এসময় ডিএসইর পরিচালক মো. রকিবুর রহমান, শাহজাহান খান, সালমা নাসরিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া ও ডিবিএ’র সভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে ডিএসই’র বিভিন্ন ট্রেকহোল্ডাররাসহ নতুন সদস্য হওয়া ট্রেকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, ‘আজকে আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা শেয়ারবাজারকে নিয়ে কাজ করছি। আমরা শেয়ারবাজারকে একটা উচ্চতায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করছি। যে উচ্চতা বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ডিজার্ভ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনীতি একটি অনণ্য উচ্চতায় যাওয়র পথে রয়েছে। এখানে সবার স্বল্প বা বৃহৎ অবদান রয়েছে। তাই আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘শেয়ারবাজারে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। শেয়ারবাজারকে অনেক সময় ভুল বুঝে অনুৎপাদনশীল খাত বলে থাকে। আমি অনেক জায়গায় বলেছি, আমাদের প্রাইমারি মার্কেট, সেকেন্ডারি মার্কেট, বন্ড মার্কেট, আমাদের ডেরিভিটিভ মার্কেট আছে। আমরা প্রাইমারি ও বন্ড মার্কেটের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন রকমের সহযোগিতা করে উৎপাদনশীল খাতগুলোর কার্যক্রমে সহযোগিতা করছি। তাদের ব্যবসা বাণিজ্যকে দেশ থেকে দেশান্তরে এবং দেশের ভেতরে ব্যবসা সম্প্রসারণে সহযোগিতা করছি, যা সবই তো উৎপাদশীল খাতে যাচ্ছে। তাহলে এখানে অনুৎপাদনশীল কথাটা কেন আসছে?

‘তাই আমরা আমাদের কাজ করে যাবো। সমালোচকরা তাদের কাজ করে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। আমাদের যেটুকু সময় আছে, বিবেকের কাছে জবাবদিহিতার সঙ্গে করে কাজ করে যাবো। কেউ যদি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে বা সমালোচনা করে বা না বুঝে কিছু বলে- সেদিকে কর্ণপাত করে আমরা সময় নষ্ট করবো না।”

তিনি আরও বলেন, ‘শেয়ারবাজারে আমরা এখন খুবই বিজনেস ফ্রেন্ডলি হয়ে কাজ করছি। কিছু অল্প শতাংশের প্রতিষ্ঠান আছে, যারা নিয়মকানুন মানতে চায় না, গভর্নেন্সের বাহিরে চলে যায়। দেখা যায় তারা নিজেদের মতো করে চলার চেষ্টা করে।’

ট্রেকহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘মানুষের অনেক কষ্টের সঞ্চয় রয়েছে। যেটা আপনাদের কাছে দিয়ে যায়। সেটাকে রক্ষা করা এবং তার বিনিময়ে যে তাদের রিটার্ন পাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু অনেক সময় দেখা অনেকে রিটার্ন তো পায় না। বরং প্রিন্সিপালটাও ফেরত পায় না। এ ঘটনা যদি কোথাও ঘটে তাহলে সে মার্কেটে আর কেউ আসবে না। আর তারা না আসলে এ মার্কেট আস্তে আস্তে ছোট হয়ে যাবে, মরে যাবে। তাই আমাদেরকে এ বিষয়ে অনেক কঠোর থাকতে হচ্ছে।

‘আমরা যাতে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে পারি। বিনিয়োগকারীর সুরক্ষা যেখানে নেই, সেখানে কোনোদিন কেউ আসবে না। সুতরাং আপনাদের কাছে অনুরোধ (ব্রোকারেজ হাউস ও ট্রেকহোল্ডার), আপনাকে জেনে বুঝে, বিশ্বাস করে, আপনার কাছে যারা তাদের অনেক কষ্টের সম্পদ-সঞ্চয় দিয়ে যাচ্ছে, তাদেরকে সম্মান করবেন, তাদের সম্পদ রক্ষা করবেন।’’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

রিয়েল হিরোস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ইকবাল বিন আনোয়ার

ওয়ালটনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক (গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস) ইকবাল বিন আনোয়ার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

‘অনলাইন রিয়েল হিরোস অ্যাওয়ার্ড-২০২১’- পেলেন এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন)। তিনি দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিকস ও অটোমোবাইলস পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক (গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মিরর ম্যাগাজিনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ পুরস্কারে তিনি ভূষিত হন।

১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে জমকালো অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরর এই পুরস্কার প্রদান করে। ৪ ক্যাটাগরিতে দেশের গণ্যমাণ্য ৫৬জন ব্যক্তিবর্গকে রিয়েল হিরোস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়। ইকবাল বিন আনোয়ার ‘ফ্রন্টলাইন হিরোস’ এই ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হন।

সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী শ্রী বীরেন শিকদার (এমপি) ইকবাল বিন আনোয়ারের হাতে ফ্রন্টলাইন হিরোস অ্যাওয়ার্ডটি তুলে দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. হাসান মুরাদ। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, মিরর ম্যাগাজিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং অনুষ্ঠানের আয়োজক মালা খন্দকার, বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল সালাম মুর্শেদী (এমপি) ছাড়াও বিনোদন জগতের নামিদামি তারকারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ক্রিকেট থেকে কাবাডি- দেশের এহেন কোনো স্পোর্টস ইভেন্ট নেই যেখানে পা পড়েনি ওয়ালটনের। মিরর ম্যাগাজিন ‘ফ্রন্টলাইন হিরোস’ অ্যাওয়ার্ডে এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডনকে বেছে নেয়ার পেছনের মূল কারণও এটি। দেশের জনপ্রিয় ক্রীড়া ইভেন্ট ক্রিকেটে স্পন্সরের কোনো অভাব নেই। ফুটবল, হকিতেও অনেকে আগ্রহ নিয়ে স্পন্সরশিপের জন্য এগিয়ে আসে। তবে দেশের বাকি স্পোর্টস ইভেন্টগুলোতে সেভাবে কাউকে চোখে পড়ে না। বহু বছর ধরেই ক্রীড়াঙ্গনে এ দৃশ্য অনেকটা নিপাতনে সিদ্ধের মতো। কিন্তু এ অচলায়নকে ভেঙে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন দিগান্ত উন্মোচন করেছে ওয়ালটন।

তৃণমূল থেকে অবহেলিত ফেডারেশন; এমনকি নন অ্যাফিলিয়েটেড অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত স্পোর্টস ইভেন্টগুলোতেও বছরের পর বছর স্পন্সর করে যাচ্ছে ওয়ালটন। আর সেখানে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন ইকবাল বিন আনোয়ার ডন। জনপ্রিয় ফ্যাশন ম্যাগাজিন মিররের ভাইস প্রেসিডেন্ট মালা খন্দকার আর তার প্যানেল পুরস্কারের জন্য ইকবাল বিন আনোয়ারকে বেছে নিয়েছেন এ কারণেই।

এ বিষয়ে মালা খন্দকার বলেন, আমি মিরর ম্যাগাজিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট। আমি একজন ইভেন্ট অর্গানাইজার। আমি জানি একটা ইভেন্ট আয়োজন করতে কতটা শ্রম দিতে হয়; কষ্ট করতে হয়। সেখানে ডন ভাই তো পুরো ক্রীড়াঙ্গনকে চালিয়ে নিচ্ছেন। বিশেষ করে দেশের অবহেলিত ফেডারেশনগুলোতে তার অবদান চিরস্মরণীয়। আমাদের জাতীয় খেলা কাবাডি। অথচ এই খেলাতে সেভাবে কোনো স্পন্সর এগিয়ে আসে না। ব্যতিক্রম ওয়ালটন এবং এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন। ফ্রন্টলাইন হিরোস অ্যাওয়ার্ডে আমরা ডন ভাইকে পুরস্কৃত করে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছি। একজন যোগ্য, দক্ষ সংগঠক হিসেবেই ডন ভাই এই পুরস্কারটি পেয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, এবারই প্রথম পুরস্কারটি চালু হয়েছে। প্রথমবারই বিভিন্ন মহল থেকে আমরা ব্যাপক উৎসাহ, সহযোগিতা পেয়েছি। এখন থেকে এটি প্রতি বছরই আয়োজনের ইচ্ছা আমাদের রয়েছে।

মিরর ম্যাগাজিন থেকে ফ্রন্টলাইন হিরোস অ্যাওয়ার্ডটি পেয়ে গর্বিত ওয়ালটনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক ইকবাল বিন আনোয়ার ডন। অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি যে কোনো পুরস্কার হলো কাজের স্বীকৃতি। মিরর ম্যাগাজিন আমাকে যে পুরস্কারের ভূষিত করেছে এটি পেয়ে সত্যিই আমি ভীষণ আনন্দিত, গর্বিত। ওয়ালটনের জন্যই মূলত পুরস্কারটি অর্জন করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে। এই গর্বের ভাগিদার শুধু আমি একা নই; এ সম্মান আমাদের পুরো ওয়ালটন পরিবারের। আমি মনে করি আমরা ওয়ালটন পরিবার পৃষ্ঠপোষক না; ইনভেস্টর। আর এই ইনভেস্টের ফল তখনই আমরা হাতে পাব; যখন দেশের কোনো ক্রীড়াবিদ বিশ্ব দরবার কে বাংলাদেশের জন্য সাফল্য-সম্মান বয়ে আনবে। পুরস্কার কাজের গতি-পরিধিকে আরো বাড়িয়ে দেয়। অনলাইন রিয়েল হিরোস পুরস্কারটি আমার কাজের গতিকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মিরর ম্যাগাজিনের সম্মানিত ভাইস প্রেসিডেন্ট মালা খন্দকারকে আমি বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই এমন একটি বিরল সম্মানে আমি ভূষিত করেছেন বলে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

চালের কমলেও বেড়েছে আটা-ডাল-চিনির দাম

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চালের কমলেও বেড়েছে আটা ডাল চিনি ও ব্রয়লার মুরগির দাম। নিত্যপণ্যের বাজারে আরও কমেছে বোতলজাত সয়াবিন তেল, আলু, পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ বেড়েছে। গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, ফকিরাপুল বাজার, কাপ্তান বাজার ও মুগদা বড় বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসর তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবির তথ্যমতে, বাজারে বেশকিছু পণ্যের দাম বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিপুল পরিমাণ আমদানির খবরে বাজারে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। পাইকারি ও মজুদকারী ব্যবসায়ীরা চাল ছাড়তে শুরু করেছেন। এ কারণে সরবরাহ বাড়ায় কমছে চালের দাম। বাজারে প্রতিকেজি সরু চাল ৬০-৭০ এবং মোটা স্বর্ণা ও চায়না ইরিখ্যাত চাল ৪৫-৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চালের দাম কমেনি। এই চাল প্রতিকেজি ৫০-৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া দাম বেড়ে প্রতিকেজি আটা খোলা ৩২-৩৩, আটা প্যাকেট ৩৪-৩৬, প্রতিকেজি মসুর ডাল ৮০-১২৫, চিনি ৭৮-৮০ ও ব্রয়লার মুরগি ১৩৫-১৪৫ এবং দাম কমে বোতলজাত পাঁচ লিটারের সয়াবিন ৬৫০-৬৯০, প্রতিকেজি আলু ১৬-২২, পেঁয়াজ ৪০-৪৫ এবং রসুন ৬০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। শাক-সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। ছোট ও মাঝারি আকারের ইলিশ মাছের দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে দেশী জাতের মাছের। এছাড়া গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

জানা গেছে, চালের দাম কমাতে আমদানি শুল্ক হ্রাস করার ফলে আমদানি বেড়ে গেছে। এছাড়া সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে সারাদেশে।

এর পাশাপাশি সরকারী মজুদ বাড়ানো হচ্ছে। তবে চিনি ও ডালের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে যাচ্ছেন। এতে করে ভোক্তাদের কষ্ট হচ্ছে। শীঘ্রই চিনির দাম কমানোর কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ৩ জন কারাগারে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

গ্রাহকের ১১শ’ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান এবং চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২৩ আগস্ট আসামিদের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আসামিপক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সিএমএম আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানান।

গত ১৭ আগস্ট সকালে মামলাটি দায়ের করেন ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার মো. তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক। এ সময় প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন উপস্থিত থেকে তার সঙ্গে সাক্ষ্য দেন।

মামলায় তাহেরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে। সময় চেয়েছে। কিন্তু পণ্য ও টাকা দেয়নি।

সর্বশেষ তারা গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও তারা ডেলিভারি দেয়নি। এছাড়াও তারা যে বিভিন্ন আউটলেটের গিফট ভাউচার বিক্রি করেছিল, সেগুলোর টাকা আটকে রাখায় আউটলেটগুলো ভাউচারের বিপরীতে পণ্য দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, এই করোনাকালীন আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ পাচ্ছি না বরং প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। এছাড়াও আজ পর্যন্ত তারা ভুক্তভোগীদের কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

এলপিজির দাম নির্ধারণে দ্বিতীয় গণশুনানি ১৩-১৪ সেপ্টেম্বর

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণে ফের গণশুনানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর শুনানি হবে। রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ কে এম শামসুল হক খান মেমোরিয়াল হলে শুরু হবে এই শুনানি। এক দিনে যদি আলোচনা শেষ করা না যায় তাহলে পরেরদিন ১৪ সেপ্টেম্বরও শুনানির সুযোগ রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বিইআরসি এই তথ্য জানায়।

গত ৭ জুলাই এই শুনানি হওয়ার কথা ছিলো। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির জন্য ওই শুনানি স্থগিত করা হয়। এরপর গত ১৭-১৮ আগস্ট শুনানির নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর দায়ের করা রিট পিটিশনের (নম্বর-৫৭৬৩/২০২১) এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ১২ আগস্ট রুল জারি করে শুনানি স্থগিতের নির্দেশ দেয়। এর প্রেক্ষিতে ১৭-১৮ আগস্টের গণশুনানি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত ঘোসণা করে বিইআরসি। পরবর্তীতে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদলত গত ২৬ আগস্ট শুনানি শেষে এক আদেশে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ আগস্টের আদেশ ৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে। এরপর বিইআরসি ফের শুনানির উদ্যোগ নিলো।

এলপিজি ব্যবসায়ীদের ১৮টি আবেদনের প্রেক্ষিতে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শুনানি পূর্ব লিখিত বক্তব্য কমিশনের জমা দিতে হবে।

এর আগে গত ৯ আগস্ট এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৭ আগস্ট রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ কে এম শামসুল হক খান মেমোরিয়াল হলে শুরু হবে এই শুনানি। এক দিনে যদি আলোচনা শেষ করা না যায় তাহলে আরও একদিন অর্থাৎ ১৮ আগস্টও রাখা হয়েছে শুনানির সুযোগ। চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তাদের মতামত বিইআরসিকে পাঠানো যাবে। এ ছাড়া শুনানিতে অংশ নিতে চাইলেও ১৬ আগস্টের মধ্যে জানাতে হবে।

আদালেতর নির্দেশনায় গত ১২ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো এলপিজি নিয়ে গণশুনানি করে কমিশন। এরপর ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে দেয় বিইআরসি। এরপর প্রতি মাসেই আমদানি মূল্য বিবেচনায় নিয়ে এলপিজির দাম সমন্বয় করছে বিইআরসি। কিন্তু বাজার নির্ধারিত দামে গ্যাস পান না গ্রাহকরা। কারণ এলপিজি ব্যবসায়ীরা শুরু থেকেই ঘোষিত মূল্যের বিরোধিতা করছেন। লোকসান হবে এমন অযুহাতে বিইআরসি নির্ধারিত মূল্য কার্যকর করেনি তারা। এরপর ঘোষিত মূল্য কাঠামো সংশোধনের জন্য কমিশনকে চিঠি দেয় এলপিজি কোম্পানিগুলো। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নতুন করে শুনানি হতে যাচ্ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

বাংলাদেশ-ভারত ফ্লাইট শুরু ৫ সেপ্টেম্বর থেকে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফ্লাইট চলাচল কাল আগামীকাল রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ বিমানও শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভারতে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য নতুন সূচির কথা ঘোষণা করেছে।

৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা-কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা-কলকাতা রুটে সপ্তাহে দুই দিন (মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার) ফ্লাইট পরিচালনা করবে তারা। পাশাপাশি ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা-দিল্লি রুটে সপ্তাহে দুই দিন (রোববার ও বুধবার) বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন বিমান সংস্থা ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট চালু করার প্রস্তুতি নিয়েছে। বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা-চেন্নাই-ঢাকা গন্তব্যে ৫ সেপ্টেম্বর ফ্লাইট শুরুর কথা জানিয়েছে।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) দেওয়া এক চিঠিতে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ফ্লাইট চলাচলের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেবিচক গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে পাল্টা চিঠি দিয়ে জানায়, ৪ সেপ্টেম্বর ফ্লাইট চলাচল শুরু হতে পারে।

দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত ফ্লাইট চলাচল শুরু না হওয়া পর্যন্ত এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় এ ফ্লাইট চলাচল করবে। এয়ার বাবল চুক্তি হলো, এক গন্তব্য থেকে আরেক গন্তব্য সরাসরি ফ্লাইট। মাঝে কোথাও ট্রানজিট হবে না।

বেবিচক জানিয়েছে, ভারত থেকে আসা যাত্রীরা ‘বিজনেস ভিসা’ নিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারবেন। আসার পর তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। বাংলাদেশ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ঢাকা-কলকাতা ও ঢাকা-দিল্লিতে সপ্তাহে দুটি করে ফ্লাইট এবং ইউএস বাংলা ঢাকা-চেন্নাই গন্তব্যে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারত তাদের তিনটি এয়ারলাইন্সকে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে প্রতি সপ্তাহে স্পাইস জেট তিনটি এবং ইনডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এ সময় ভারত থেকে যারা বাংলাদেশে যাবেন, তাদের বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসতে হবে। আর যারা বাংলাদেশ থেকে ভারত যাবেন, তাদের ভারতীয় বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর নিজ খরচে করোনার পরীক্ষা করাতে হবে। তবে এই সময়ে ভ্রমণ ভিসায় কাউকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে ১.২০ শতাংশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ২০.০১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে পিই রেশিও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০.২৪ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.২৪ পয়েন্ট বা ১.২০ শতাংশ বেড়েছে।

ডিএসই’র সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৭৯ পয়েন্টে। এছাড়া, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ১২.৯৫ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৩.৯৩ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১৬.২৩ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২০.১৮ পয়েন্টে, বিমা খাতে ২৩.৫৪ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ২৫.৮৯ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ২৮.৭৮ পয়েন্টে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৩০.৩৪ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ৩২.৮৫ পয়েন্টে, খাদ্য খাতে ৩৩.৬১ পয়েন্টে, সিরামিক খাতে ৩৬.৭৪ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতে ৪৬.৬১ পয়েন্টে, পেপার খাতে ৫১.৬১ পয়েন্টে, চামড়া খাতে ১২৫.৮৭ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ২৭৪.৩৬ পয়েন্টে, পাট খাতে (-৪২.৫২) পয়েন্টে এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে (-১২৫৯.৮১) পয়েন্টে পিই রেশিও অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো; ২য় লাফার্জ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৫২৬ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জ হোলসিম বিডি লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯৮ কোটি ২১ লাখ টাকার।

বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ১৬৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার।

এই তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বিএটিবিসির ১৬২ কোটি ৯৩ লাখ, শাহজিবাজার পাওয়ারের ১৫৬ কোটি ২২ লাখ, ম্যাকসন স্পিনিং মিলসের ১৪৯ কোটি ৭ লাখ, জিপিএইচ ইস্পাতের ১৪১ কোটি ৯৯ লাখ, সাইফ পাওয়ারটেকের ১২২ কোটি ৩৫ লাখ, লংকা বাংলা ফাইন্যান্সের ১১৬ কোটি ১১ লাখ ও আইএফআইসি ব্যাংকের ১০০ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

৪ দিনে বাজার মূলধন বেড়েছে ৬২০৬ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন আগের সপ্তাহের চেয়ে ৬২০৬ কোটি টাকা বেড়েছে। এসময় সেখানে সূচকগুলোও বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৪ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ৮ হাজার ৯৩৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৫ দিনে হয়েছিল ১৩ হাজার ৪২ কোটি ৪৩ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৩১.৪৮ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন ২ হাজার ২৩৪ কোটি ৪২ লাখ টাকার হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬০৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে প্রতিদিনের গড় লেনদেন ১৪.৩৫ শতাংশ কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২৯.৭৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৯৮১ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৪৩.৪১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৯৬ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ২১.৪৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০৮ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৮২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২৪৭টির, কমেছে ১১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৪টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন ৬২০৬ কোটি টাকা বা ১.১১ শতাংশ বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস