ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন: ঘণ্টায় ঘণ্টায় ফ্রিজ ফ্রি পাচ্ছেন ক্রেতারা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৯। যাতে ‘ঘণ্টায় ঘণ্টায় ফ্রিজ ফ্রি’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে বাংলাদেশি সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন। ক্যাম্পেইনের আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিংবা ওয়াশিং মেশিন ক্রেতাদের জন্য রয়েছে প্রতি ঘণ্টায় ফ্রি ফ্রিজ পাওয়ার সুযোগ। ইতিমধ্যে সারা দেশ থেকে ২০০ জনেরও বেশি ক্রেতা ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে একটি করে ফ্রিজ ফ্রি পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরির মাধ্যমে বিক্রয়োত্তর সেবা অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আনতে ওই ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এ পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল ও বারকোডসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ফ্রিজ এবং ওয়াশিং মেশিনে ফ্রি ফ্রিজের সুবিধা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার।

এদিকে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ডের পণ্য বাজারজাতের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী গ্লোবাল মডেলের ফ্রিজ, টিভি, এসি ইত্যাদি তৈরি করে দিচ্ছে ওয়ালটন। যা ওইএম (অরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স) এর আওতায় রপ্তানি করা হচ্ছে। ফলে মহামারি করোনা পরিস্থিতিতেও ইউরোপের জার্মানি, পোল্যান্ড, গ্রিসসহ তুরস্কের মতো উন্নত দেশগুলোতে ওয়ালটন পণ্যের রপ্তানি বাণিজ্য দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেবেলযুক্ত ওয়ালটনের তৈরি ফ্রিজ ভারতে রপ্তানি হচ্ছে। ইতিমধ্যে করোনা দুর্যোগ কাটিয়ে ভারতে ওইএম ফ্রিজের প্রথম শিপমেন্ট পাঠিয়েছে ওয়ালটন।

গত রবিবার (৩১ জানুয়ারি ২০২১) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের হেডকোয়ার্টারে ভারতে ফ্রিজ রপ্তানির শিপমেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এসএম নূরুল আলম রেজভী। সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার, চিফ টেকনিক্যাল অফিসার ই এম ইয়াং, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের (আইবিইউ) প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, নির্বাহী পরিচালক ও ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ অপারেটিং অফিসার ইউসুফ আলী, ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর আব্দুর রউফ, ফার্স্ট সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর নাজমুল হোসাইন ইভান প্রমুখ।

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ফ্রিজ ফ্রি পাওয়া দুই শতাধিক ক্রেতার একজন ঢাকার বংশালের সুমন হোসেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কর্মরত সুমন জানান, তিনি গত ১৭ জানুয়ারি আগা সাদেক রোডের ইমরান ইলেকট্রনিক্স থেকে ৩২৮ লিটারের একটি ওয়ালটন ফ্রিজ কিনেছিলেন। এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে আরেকটি ফ্রিজ ফ্রি পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। ফ্রিজ কিনে আরেকটি ফ্রি পাওয়ার সংবাদে মহাখুশি সুমনের ৮ সদস্যের পরিবার। নতুন ফ্রিজটিও বাসায় ব্যবহার করবেন বলে জানান তিনি।

এদিকে, কিশোরগঞ্জের ভৈরবের তাজবাহ উদ্দিন সৈকত ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কিনে আরেকটি ফ্রি পেয়েছেন।
মাছ ব্যবসায়ী সৈকত বলেন, ওয়ালটন ফ্রিজ দামে সাশ্রয়ী, মানেও বিদেশি কোম্পানির তুলনায় ভালো। ওয়ালটন ফ্রিজের ডিজাইন আকর্ষণীয়। তাই ওয়ালটন থেকেই ফ্রিজটি কিনেছি। কেনার পর আরেকটি ফ্রিজ সম্পূর্ণ ফ্রি পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। বন্ধুরা আমার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে বিষয়টি সবাইকে জানালে অসংখ্য মানুষের অভিনন্দন পেয়েছি। সবাই আমাকে ভাগ্যবান বলছে। আমি বেশ আনন্দিত। ক্রেতাদের জন্য এমন সুবিধা রাখায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

ওয়ালটন ফ্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মল্লিক জানান, চলতি বছর ফ্রিজের ডিজাইন, কালার, মডেল ও ফিচারে বৈচিত্র্য আনার ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন ফ্রিজে সংযোজন করা হচ্ছে স্মার্ট ফিচার। ডিজাইনেও থাকছে বৈচিত্র্যতা। এরইমধ্যে বাজারে ছাড়া হয়েছে সাইড বাই সাইড ডোরের বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের কয়েকটি নতুন মডেল। এ বছর অত্যাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ সাইড বাই সাইড ডোরের স্মার্ট ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হবে। বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনই এই মডেলের ফ্রিজ উৎপাদন করছে।

স্থানীয় বাজারে ওয়ালটনের রয়েছে দেড় শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। দাম মাত্র ১০,৯৯০ টাকা থেকে ৮০,৯০০ টাকার মধ্যে। আরো রয়েছে চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ডিজাইনের গ্লাস ডোর এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিংপ্রাপ্ত ডিজিটাল ডিসপ্লেসমৃদ্ধ সাশ্রয়ী মূল্যের ফ্রিজ। এসব ফ্রিজ স্ট্যাবিলাইজার ছাড়াই নিশ্চিন্তে চলে। এছাড়া, ইনভার্টার প্রযুক্তির ৫৬৩ লিটারের সাইড বাই সাইড গ্লাস ডোরের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর সব শ্রেণির গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

কর্মকর্তারা জানান, সম্প্রতি ওয়ালটন বাজারে ছেড়েছে ডিজিটাল ডিসপ্লে সমৃদ্ধ ‘সিক্সএনাইন’ সিরিজের ৬১৯ লিটারের ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রিজ। অত্যাধুনিক সব ফিচারসমৃদ্ধ ওই ফ্রিজ ইতিমধ্যেই অভিজাত ক্রেতাদের কাছে বিশেষ আকর্ষণে পরিণত হয়েছে।

ফ্রিজের প্রকৌশলীরা জানান, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্টের পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন।

এদিকে, বর্তমানে বাজারে রয়েছে ১৪ মডেলের সেমি অটোমেটিক এবং অটোমেটিক টপ ও ফ্রন্ট লোডিং ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিন। ৬ থেকে ১২.৫ কেজি পর্যন্ত ধারণক্ষমতার এসব ওয়াশিং মেশিনের মূল্য মাত্র ৬,৯০০ টাকা থেকে ৪৮,০০০ টাকার মধ্যে। নগদ মূল্যের পাশাপাশি জিরো ইন্টারেস্টে ইএমআই এবং ৯৯৯ টাকা ডাউনপেমেন্টে কিস্তি সুবিধায় কেনার সুযোগ আছে। ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিনে গ্রাহকরা পাচ্ছেন ফ্রি ইন্সটলমেন্ট সুবিধা। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে ওয়ালটনের রয়েছে ৭৬টি সার্ভিস সেন্টার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সদস্য হচ্ছে বাংলাদেশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নিউ ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের সদস্য হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার নামের আদ্যক্ষর নিয়ে গঠিত ব্রিক্স জোটের প্রতিষ্ঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) হতে বাংলাদেশ সহজশর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণ নিতে পারবে। এরফলে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সহজে অর্থসংগ্রহ করা সম্ভব। এছাড়া এটি দেশের জন্য গৌরবেরও।

শনিবার বিকেলে অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল এনডিবি’র প্রেসিডেন্ট মি. মার্কোস প্রাদো ট্রয়জোর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। ওই বৈঠকে সদস্য পদ দেয়ার জন্য অর্থমন্ত্রী অনুরোধ করলে তাতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন এনডিবি’র প্রেসিডেন্ট। সভায় অর্থ বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং এনডিবি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। অর্থমন্ত্রণালয়ের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী এনডিবি’র প্রেসিডেন্টকে ভার্চুয়াল সভায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানান। এছাড়া অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও এনডিবি’র প্রেসিডেন্টের মধ্যে পারস্পারিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের বিগত ১২ বছরের অভাবনীয় অর্জন অবহিত করেন। তিনি বলেন, সদস্য পদের জন্য যে সকল শর্ত রয়েছে তার সবগুলোই বাংলাদেশের রয়েছে। তাই অচিরেই বাংলাদেশ এনডিবির সদস্য পদ অর্জন করতে পারবে বলে আশা করছি। অর্থমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত কওে বলেন, সদস্য পদ লাভের পর এনডিবি ব্যাংক থেকে দেশের অবকাঠামোখাত উন্নয়নে সহজশর্তে ঋণ পাওয়া যাবে। সভায় এনডিবি’র প্রেসিডেন্টও বাংলাদেশের অগ্রগতির বিষয়ে একমত পোষন করেন। তিনি সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশর প্রস্তাব বিবেচনা করেন। শীঘ্রই পরিবারসহ বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, এনডিবির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালের ২১ জুলাই। ব্যাংকটির মোট মূলধন ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। এছাড়া প্রাথমিক মূলধন ৫ হাজার কোটি ডলার রাখা হয়েছে। ২০১৬ সাল হতে এনডিবি অবকাঠামো এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্রিক্সভুক্ত দেশে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ বিতরণ করেছে। এছাড়া, ব্যাংকটি অবকাঠামো, সেচ, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, পয়ঃনিষ্কাশন, সবুজ জ্বালানী এবং নগর উন্নয়ন খাত সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে ঋণ প্রদান করে থাকে। সংশ্লিষ্টদেও মতে, বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের মতো এনডিবিও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে সদস্য রাষ্টসমূহের কার্যক্রমে ব্যাংকটি অংশগ্রহণ করছে। ২০২০ সালে ব্যাংকটি একসঙ্গে ৭২টি প্রকল্পে ২৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে। এনডিবির সদস্য পদ অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য ব্যাংকের পণ্য এবং পরিষেবা ক্রয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, সহনীয় সুদ হারে ঋণ নেয়ার সুযোগ তৈরি, ব্যাংকের কৌশল, নীতি, পদ্ধতি ও কার্যক্রমে অংশগ্রহনের সুযোগ এবং সদস্য দেশের নাগরিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার পর সহজ শর্তে ঋণ পাওয়ার সুযোগটি সীমিত হয়ে যাবে। পাচঁ বছর মেয়াদী ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫), টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), ভিশন-২০৪১, ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তায়ন এবং কোভিড-১৯ পরবর্তী চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলার লক্ষ্যে এনডিবি বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন অর্থায়নের উৎস হিসেবে সূচনা করবে বলে আশা করছে সরকার। সভায় এনডিবিতে বাংলাদেশের ভূমিকা, নতুন ব্যাংকের ঋণের শর্তাবলীসহ বিনিয়োগ খাত এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা হয়। পরবর্তীতে এনডিবি’র সদস্যভুক্তির মূল কার্যক্রমে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হবে এবং এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিশদভাবে আলোচনা করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ট্রেক ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রথম ও প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড ‘ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক)’ ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় ট্রেক ইস্যুর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

উল্লেখ, ডি-মিউলাইজেশন তথা স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করা সংক্রান্ত আইনে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের বাইরেও শেয়ার কেনা-বেচা করার সুযোগ দেওয়ার বিধান রয়েছে। এর আওতায় কেউ ব্রোকারেজ সেবা দিতে চাইলে তাকে ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) নিতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বাংলাদেশ থেকে ধানের উন্নতজাত নিতে চায় নেপাল

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ থেকে ধানের উন্নতজাত নিতে চায় নেপাল। সেই সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ‘সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) স্বাক্ষর করতে চায় দেশটি। ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বানশিধর মিশ্র মঙ্গলবার কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এমপির সঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, উপসচিব মাকছুমা আকতার, ঢাকার নেপাল দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন। কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশে কৃষিক্ষেত্রে ও খাদ্য উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। কৃষির অগ্রগতির ফলেই দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর খাদ্যের যোগান অব্যাহত রয়েছে। দেশে ১০০টির বেশি উন্নত জাতের ধান ও প্রযুক্তি রয়েছে; এর মধ্যে অনেকগুলো মেগা ভ্যারাইটি। নেপাল এ জাতগুলো বাংলাদেশে থেকে নিতে পারে। এছাড়া দুদেশের মধ্যে কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ‘সমঝোতা স্মারকে’ বিষয়েও উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ অসামান্য অগ্রগতি অর্জন করেছে উল্লেখ করে নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বানশিধর মিশ্র বলেন, নেপালের মানুষের প্রধান খাদ্য চাল। কিন্তু নেপাল চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়; বরং বছরে অনেক চাল আমদানি করতে হয়। সেজন্য বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে চাল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশি ধানের জাত নেপাল নিতে চায়। এছাড়া বিভিন্ন ফসল, বীজ, উন্নতজাত, প্রযুক্তি, গবেষণাসহ কৃষির বিভিন্নক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগিতার জন্য ‘সমঝোতা স্মারক’ স্বাক্ষর করা প্রয়োজন।

রাষ্ট্রদূত ডা. বানশিধর মিশ্র আদা, এলাচিসহ গরম মসলা বাংলাদেশে সরাসরি রপ্তানির আগ্রহ ব্যক্ত করে বলেন, বর্তমানে ভারত হয়ে এসব পণ্য বাংলাদেশে আসে। ফলে বাংলাদেশে দাম অনেক বেড়ে যায়। সরাসরি বাংলাদেশে আসলে দাম অনেক কম পড়বে।

অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, আগামী ২ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের পিটিএ চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে যাবে। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান কানেক্টিভিটিকে আরো শক্তিশালী ও বাড়াতে উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, এর আগে নেপাল ভুটানের সঙ্গে পিটিএ চুক্তি সই করেছে। দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিটি সই হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, নেপাল বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসেই সঞ্চয়পত্রের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসেই সঞ্চয়পত্র থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে সরকার। চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার কোটি টাকা। প্রথম ৬ মাসেই (জুলাই-ডিসেম্বর) ঋণ দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা

জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ ছিল ৫ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ লক্ষ্য ধরা হয় ২০ হাজার কোটি টাকা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে পরিবার সঞ্চয়পত্র। এটির বিক্রির পরিমাণ ১০ হাজার ৪৫৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ৫০৮ কোটি ২২ লাখ টাকার। পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৯৩২ কোটি ২০ লাখ টাকার। আর পেনশনার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৮১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার।

আলোচিত সময়ের মধ্যে মোট জমা হয়েছে ৫৪ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র। এর মধ্যে মূল পরিশোধ হয়েছে ৩৪ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা এবং মুনাফা পরিশোধ হয়েছে ১৬ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা।

অধিদফতরের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল ৫ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকার। আর চলতি অর্থবছরের একই সময়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে একই সময়ে বিক্রি বেড়েছে ১৫ হাজার ৫৪ কোটি টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

দিনশেষে লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এদিন কোম্পানিটির ১২৮ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকার।

৪৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- রবি,লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, সামিট পাওয়ার, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড পাওয়ার, বিকন ফার্মা ও ওয়ালটন লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ব্লক মার্কেটে লেনদেন ১৩ কোটি টাকার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১৯টি কোম্পানির সাড়ে ১৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ২৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩৮টি শেয়ার ২৫ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৪৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩ কোটি ২৫ লাখ ২৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকার লাফার্জহোলসিমের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৫ হাজার টাকার শেয়াার লেনদেন হয়েছে রেনেটার।

এছাড়া বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ১ কোটি ৬৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ৪০ লাখ ৩০ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, জেনেক্সের ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার, মুন্নু সিরামিক ৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলসের ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ন্যাশনাল পলিমারের ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, পাওয়ার গ্রীডের ৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকার, রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের ৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকার, রবি আজিয়াটার ৬৩ লাখ ৬২ হাজার টাকার, আরএসআরএম স্টিলের ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, সাইফ পাওয়ারটেকের ১১ লাখ ৯২ হাজার টাকার, সী পার্লের ৫ লাখ ৬২ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ৫১ লাখ ৭০ হাজার টাকার, এসএস স্টিলের ৬০ লাখ ১৫ হাজার টাকার এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সম্মাননা অর্জন করলো টেকভ্যালি নেটওয়ার্কস

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সম্প্রতি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পক্ষ থেকে টেকভ্যালি নেটওয়ার্কস লিমিটেড (TVNL) কে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

করোনাকালীন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে দক্ষতার সাথে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ডাটাসেন্টার সল্যুশন স্থাপন কার্যক্রম সম্পন্ন করায় টেকভ্যালি নেটওয়ার্কস লিমিটেড (TVNL) এই সম্মাননা অর্জণ করে।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম।

সেই সাথে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ,কে,এম সাজেদুর রহমান খান এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান পরিচালনা পর্ষদ ও সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ রইছ উল আলম মণ্ডল।

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত-দায়িত্ব) মোহাম্মদ ইদ্রিছ। টেকভ্যালি নেটওয়ার্কস লিমিটেড (TVNL) – পক্ষ থেকে হেড অফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট শেখ মোঃ রফিকুল ইসলাম ও ম্যানেজার-ইনফ্রাস্ট্রাকচার সাইদুর রহমান এই সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন ।

উল্লেখ্য যে, এডিএন গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান টেকভ্যালি নেটওয়ার্কস লিমিটেড (TVNL) গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দেশের প্রযুক্তি খাতে সুনামের সাথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

‘বহুজাতিক কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করতে করের ব্যবধান বাড়াতে হবে’

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আগামী বাজেটে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করের ব্যবধান ১৫% করার প্রস্তাব দেওয়া হ‌বে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।

মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে বিএসইসির নিজস্ব কার্যালয়ে দুবাই‌তে রোড শো উপ‌লক্ষে আয়ো‌জিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্ত‌ব্যে তি‌নি একথা বলেন।

চেয়ারম্যান বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে শেয়াবাজারে তালিকাভুক্ত করতে হলে করপোরেট করের ব্যবধান বাড়াতে হবে। আগে তালিকা বহির্ভূত করের ব্যবধান ১০ শতাংশ থাকলেও চলতি বাজেটে সেটি কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। এতে করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এজন্য বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আনতে এ দুই ক্যাটাগ‌রির করপোরেট করের ব্যবধান বাড়াতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলো শেয়াবাজারে তালিকাভুক্ত হলে তাদের রুলস রেগুলেশনের মানতে দুই থেকে তিন শতাংশ আরো খরচ বেড়ে যাবে। এতে করে তারা তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তাছাড়া বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর টাকার প্রয়োজন হয় না। তাদের অতিরিক্ত অর্থ রয়েছে। যে কারণে তাদের কিছু ইনসেনটিভ দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে তাদের ইনসেনটিভ দেয়ার একমাত্র উপায় কর ছাড়। কর্পোরেট কর হারের ব্যবধান ১৫ শতাংশ করা হলে তারা তালিকাভুক্ত হওয়ায় ক্ষেত্রে আগ্রহী হবে।

দুবাইতে আয়োজিত রোড শো এর বিষয়ে তিনি বলেন, দুবাইতে আয়োজিত প্রতিটি প্রোগ্রাম ভিন্ন ফ্লেভার থাকবে। সেখানে বাংলাদেশকে পজেটিভ ভাবে তুলে ধরা হবে। এ আমরা আশাকরি এতে বিনিয়োগ আসবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম বলেন, বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং এনআরবিদের সামনে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট তুলে ধরতে হবে। রোড শো’র মাধ্যমে বিদেশী বিনিয়োগ অনেক বাড়বে এবং ক্যাপিটাল মার্কেটের ডেভলমেন্ট হবে।

মাহবুব আলম বলেন, বাংলাদেশের ইকোনোমিক গ্রোথ খুবই ভালো। দেশের ইকোনোমিক গ্রোথের সাথে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট পিছিয়ে আছে। বিভিন্ন দেশের ইকোনোমিক গ্রোথের সাথে সাথে কিন্তু ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভলেপ করে এবং ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে মূলত লংটার্ম ফাইন্যান্সিং হয়ে থাকে। আমরা আমাদের অন্যান্য উন্নত ইকোনোমির মতো ডেভলপিং হয়েছে সেইভাবে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেটে কন্ট্রিবিউশনটা বাড়াতে চাই। ফাইন্যান্সিংয়ের জন্য দেশি বিনিয়োগ বাড়ছে তবে বিদেশী বিনিয়োগটা কমে হচ্ছে। কারণ এখানে আমাদের যারা এনআরবিরা আছেন বিদেশে। আপনারা যানেন আমাদের ইদানিং রেমিটেন্স বেড়েছে করোনার পরেও। আর করোনা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দেশে ইকোনোমিকে কিন্তু অনেক ক্রাইসিস আছে। ইনভেস্টমেন্ট বা রিটার্ন ইনভেস্টমেন্ট অনেক দেশে নেগেটিভ হয়ে গেছে। কাজেই ফরেন ইনভেস্টররা বাংলাদেশের প্রতি ইন্টারেস্টেড। বাংলাদেশ কিন্তু করোনার পরে অনেক তারাতারি এটাকে রিকভার করেছে এবং আমরা আবার গ্রোথ স্টেজে চলে গেছি। আমাদের রিটার্ন ইনভেস্টমেন্ট সেটাও কিন্তু ভালো।

এসময় নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

বিএটিবিসির বাৎসরিক বোর্ড সভা ১০ ফেব্রুয়ারি

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকা টোবাকো বাংলাদেশ লিমিটেডের বোর্ড সভা আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি আহ্বান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন বেলা ৫ টায় রাজধানী মহাখালীস্থ প্রতিষ্ঠানটির নিজেদের প্রধান ভবনে এ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন বোর্ড সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) অনুযায়ী ১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২০ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এ সভায় বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হবে। এছাড়া রেকর্ড ডেট ও এজিএমের দিন ঘোষণা করা হবে।

এ বোর্ড সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে কোম্পানিটি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি