বিশ্বে ডিজিটাল ইকোনমিতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে ওয়ালটন : জুনাইদ পলক

ক্যাপশন: ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত ‘ওয়ালটন ল্যাপটপ স্টে হোম অফার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্দে পলক এবং ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্দে পলক বলেছেন, ওয়ালটন ‘মেইড ইন বাংলাদেশ পণ্যের প্রতি আস্থা সৃষ্টি করেছে। ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ ওয়ালটনের পণ্য কিনছে। আমি নিজেও ওয়ালটন ল্যাপটপ ব্যবহার করছি। ওয়ালটন আমাদের গর্ব। বাংলাদেশই শুধু নয়, ওয়ালটন বিশ্বজুড়ে সুনাম কুড়িয়েছে। আমার বিশ্বাস ২০৪১ সালের মধ্যে ওয়ালটন ডিজি-টেক সারা বিশ্বে ডিজিটাল ইকোনমিতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। এক্ষেত্রে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

সোমবার (২৬ এপ্রিল, ২০২১) ‘ওয়ালটন ল্যাপটপ স্টে হোম অফার অ্যাট ওয়ালটন ই-প্লাজা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত এক ডিক্লারেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। করোনা সংক্রমণ থেকে ক্রেতাদের সুরক্ষিত রাখতে ‘অকারণে বাইরে নয়, ঘরে বসে পণ্য ক্রয়’ স্লোগানে ওই ক্যাম্পেইন শুরু করলো ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এর আওতায় করোনা মহামারির ঝুঁকি এড়াতে ঘরে বসেই প্রতিষ্ঠানটির অনলাইন শপ ই-প্লাজা থেকে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, অল-ইন-ওয়ান পিসি, মনিটরসহ বিভিন্ন এক্সেসরিজ কিনতে পারছেন গ্রাহক। পণ্যভেদে রয়েছে ২০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়। অনলাইনে কেনা আইটি পণ্য যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোম ডেলিভারিসহ নানা সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।

ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম এবং ওয়ালকার্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবিহা জারিন অরণা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক আজিজুল হাকিম। অনলাইন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এএমডি আবুল বাশার হাওলাদার, ডিএমডি নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু, এমদাদুল হক সরকার, হুমায়ূন কবীর ও আলমগীর আলম সরকার, ডিজিটাল প্রোডাক্টস ডিভিশনের সিইও লিয়াকত আলী, প্লাজা ট্রেডের সিইও মোহাম্মদ রায়হান, নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান, উদয় হাকিম, ফিরোজ আলম, জিনাত হাকিম, আদনান আফজাল প্রমুখ।

‘ওয়ালটন ল্যাপটপ স্টে হোম অফার’ উদ্যেগের মাধ্যমে করোনার ঝুঁকি এড়িয়ে মানুষ সহজেই প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনতে পারবেন জানিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্দে পলক আরো বলেন, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্যেগ নিচ্ছে। যার ফলে দেশের ডিজিটাল অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। তরুণ প্রজন্ম উদ্যেক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে পারছে। করোনার সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা কোম্পানি যখন কর্মী ছাটাইয়ে বাধ্য হচ্ছে, তখন ওয়ালটন ৫ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। যা খুবই প্রশংসনীয়।

প্রকৌশলী লিয়াকত আলী জানান, করোনা দুর্যোগের মধ্যে ঘরে বসেই গ্রাহক যাতে অনলাইনে ইপ্লাজা.ওয়ালটনবিডি.কম/কম্পিউটার (eplaza.waltonbd.com/computer) থেকে সব ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস কিনতে পারেন সেজন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পণ্যভেদে রয়েছে ২০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়, ডিসকাউন্টসহ জিরো ইন্টারেস্টে ইএমআই (ইক্যুয়াল মান্থলি ইনস্টলমেন্ট)সহ বিভিন্ন সুবিধা। ই-প্লাজা থেকে কেনা এসব পণ্যের মূল্য ক্যাশ অন ডেলিভারি, অনলাইন ব্যাংকিং (ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড) কিংবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (নগদ/বিকাশ/রকেট) মাধ্যমে পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। থাকছে হোম ডেলিভারির সুবিধা।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বাজারে রয়েছে বিভিন্ন মডেলের ওয়ালটন ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, অল-ইন-ওয়ান পিসি, মনিটর, ট্যাবলেট পিসি, কিবোর্ড, মাউস, পেন ড্রাইভ, মেমোরি কার্ড, র‌্যাম, এসএসডি, এক্সটারনাল এসএসডি, ক্যাবল, ডিজিটাল রাইটিং প্যাড, ইয়ারফোন, ওয়াই-ফাই রাউটার, ইউপিএস, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, ইউএসবি হাব, স্পিকার ইত্যাদি। খুব শিগগিরই প্রিন্টার, ওয়েবক্যাম, নেটওয়ার্কিং সুইচ, প্রজেক্টর, পাওয়ার ব্যাংক ইত্যাদি পণ্য বাজারজাত করবে ওয়ালটন।

কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা ভাইরাস দুর্যোগের মধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের তথ্য ও সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন। পণ্য সংক্রান্ত যে কোনো বিষয় জানতে ওয়ালটনের হটলাইন নম্বরে (১৬২৬৭ এবং ০৯৬১২৩১৬২৬৭) যোগাযোগ করা যাবে। পাশাপাশি গ্রাহকরা ওয়ালটনের ওয়েবসাইট ওয়ালটনবিডি ডটকম এবং অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজ https://www.facebook.com/waltoncomputer  ভিজিট করতে পারেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম

 

এ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ৩য় প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত চামড়া খাতের কোম্পানি এ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির ৩য় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৯ মাসে (জুলাই,২০-মার্চ,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪.৬৮ টাকা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৬.৩৪ টাকা।

তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.০২ টাকা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১.১৬ টাকা।

এই প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫২.১৩ টাকা। যা গত বছরের ৩০ জুন ছিল ২৪৯.৯৫ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

ক্রিষ্টাল ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি ক্রিষ্টাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে বিমাটি।

এ সময়ে বিমাটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪.৫৮ টাকা। একই সময়ে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২০.৯৮ টাকা।

আগামী ১০ জুন বিমাটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। আর বিমাটির রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ মে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

দ্যা পেনিনসুলার ৩য় প্রান্তিকের আয় বেড়েছে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত ভ্রমণ ও প্রণোদনা খাতের কোম্পানি দ্যা পেনিনসুলা চিটাগাং লিমিটেড চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির ৩য় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৪৬ টাকা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ০.৪১ টাকা। এসময় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে।

এই প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩০.৩৩ টাকা। যা গত বছরের ৩০ জুন ছিল ৩০.৮৭ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

কারখানার শ্রমিকদের বেতন দিতে প্রণোদনা চান মালিকরা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনা মহামারির নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় আসন্ন ঈদে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধে সহজ শর্তে ঋণ চেয়েছেন বস্ত্র ও পোশাক খাতের শিল্পমালিকরা।

সম্প্রতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে চিঠি দিয়েছে এ খাতের শিল্পমালিকদের তিন সংগঠন। এগুলো হচ্ছে-বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ)।

চিঠির অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে সংগঠনগুলো শ্রমিক-কর্মচারীদের এপ্রিল, মে ও জুনের বেতন ও বোনাস দিতে গত বছরের মতো সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা চেয়েছে। বলেছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছর সচল রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য আর্থিক প্রণোদনা হিসাবে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হয়েছিল।

সে অর্থে শ্রমিক-কর্মচারীদের এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাইয়ের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছিল। ফলে এ শিল্প টিকে রয়েছে এবং সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, বিশ্বব্যাপী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ খাতে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। এর প্রভাবে অনেক কারখানা বন্ধ হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্বনামধন্য অনেক ক্রেতা নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করায় তাদের কাছে রপ্তানি করা পণ্যের বিল পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ক্রেতারা ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিত করেছেন। রপ্তানির মূল্য নির্দিষ্ট সময়ে না পাওয়ায় উদ্যোক্তারা নিদারুণ আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছেন। বিশ্ববাজারে রপ্তানি সক্ষমতা বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশের পোশাক শিল্প অন্যান্য দেশের তুলনায় কম মূল্যে পোশাক রপ্তানি করে। ফলে মুনাফার অংশ খুবই কম থাকে।

শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ব্যয় পরিশোধ করা হয় ক্রেতার কাছ থেকে রপ্তানি বিল পাওয়া এবং নগদ সহায়তা বাবদ প্রণোদনার অর্থ পাওয়ার পর।

কিন্তু রপ্তানির বিল না পাওয়ার কারণে নগদ সহায়তার আবেদনও করা যাচ্ছে না। যে কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো তারল্য সংকট নিরসন করতে পারছে না।

চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ধীরে ধীরে কমবে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে-এটাই সবার কাম্য ছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী পুনরায় করনোর দ্বিতীয় ঢেউ আবার হানা দিয়েছে।

বিশ্বের অনেক দেশেই আগের মতো লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে যেসব ক্রেতা পেমেন্ট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারাও দিতে অপরাগতা প্রকাশ করছেন।

এতে আসন্ন ঈদে সচল কারখানাগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বোনাস দিতে রপ্তানিকারকরা প্রচণ্ড চাপে পড়েছেন। উদ্যোক্তাদের আর্থিক সংকটের কারণে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধের জন্য অর্থের জোগান দেয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

এরূপ পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখী শিল্পকে সহায়তা করার জন্য শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বোনাস দিতে আগের মতো সহজ শর্তে ঋণ চেয়েছেন তারা।

গত বছর করোনার প্রভাব মোকাবিলায় রফতানিমুখী শিল্প খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সরকার থেকে এ খাতের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রথমে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দেওয়া হয়।

পরে তা বাড়িয়ে ৮ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়। এতে সার্ভিস চার্জ নেয়া হয়েছিল ২ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

নিরাপদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য কয়েকটি পরামর্শ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যাতে প্রতারণার শিকার হতে না হয় সে জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কিছু পরামর্শ দিয়েছে। পরামর্শগুলো হলো-

১. এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে এজেন্টদের নাম ও ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা। আবেদনকারীদের নাম, ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তথ্যগুলো পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ, কর্তৃক ভেটিং করানো।
২. ঢাকা মহানগরী এলাকায় যেসব বিকাশ, ইউ ক্যাশ, মোবি ক্যাশসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর আছেন সেসব প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা (রাত্রিকালীন ছবি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন) স্থাপন করা।
৩. স্থায়ী দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া এজেন্ট নিয়োগ না করা। এছাড়াও ব্যাঙের ছাতার মতো রাস্তাঘাটে, ফুটপাতে, গাছের নিচে অস্থায়ীভাবে চেয়ার-টেবিল বসিয়ে যত্রতত্র মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা না করা।
৪. এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে এজেন্টদের নাম ও ঠিকানা, ব্যবসা
৫. মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকের হিসাব খোলার আবেদনের ক্ষেত্রে Know your Customers (KYC) ফরম যথাযথভাবে পূরণ বাধ্যতামূলক করা। গ্রাহকের দেওয়া তথ্যগুলো ব্যাংক কর্তৃক সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমের অনুমোদন দেওয়া।
৬. ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেন্টার থেকে যারা ক্যাশ আউট করবে (টাকা উঠাবে) তাদের ছবি, নাম-ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র, ফোন নম্বর গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় তথ্য রেজিস্টারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সব এজেন্টদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সচেতনতমূলক নির্দেশনা দেওয়া।
দুর্ঘটনা ও ঝুঁকি এড়াতে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার আর্মড ভেহিকেল ও নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রহরায় টাকা পরিবহনের (মোবাইল ব্যাংকিং) ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ডিএমপির ‘মানি এস্কর্ট’ সেবা নিতেও পরামর্শ দিয়েছে ডিএমপি।

স্টকমার্কেটবিডি

সর্বোচ্চ ৪০ টাকা দরে চাল কিনবে সরকার

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সরকার চলতি বোরো মৌসুমে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান ও ১১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল (আতপ ও সিদ্ধ) কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর মধ্যে ৪০ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল, ৩৯ টাকা কেজি দরে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ২৭ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হবে।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আজ সোমবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় এক অনলাইন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বোরো ধান আগামী ২৮ এপ্রিল ২০২১ থেকে এবং চাল ৭ মে থেকে সংগ্রহ শুরু হবে। উভয় সংগ্রহ শেষ হবে আগস্ট মাসের ৩১ তারিখ।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান প্রমুখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা