সালমানের জন্য সর্বস্বান্ত লাখো মানুষ: আনু মুহাম্মদ

salmanস্টকমার্কেট ডেস্ক :

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় নাম আসা সালমান এফ রহমানের জন্য দেশের শেয়ারবাজারে অসংখ্য মানুষ ‘সর্বস্বান্ত’ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

শুক্রবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আপনারা শুনেছেন সালমান রহমানের কথা, বাংলাদেশের সবচেয়ে বিত্তবান ব্যক্তি। সেই লোকের জন্য শেয়ারবাজারে কত লক্ষ মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছে, তার কোনো হিসাব নেই।”

অর্থনীতির শিক্ষক আনু মুহাম্মদ বলেন, “শেয়ারবাজারে এক-একটা কোম্পানি ফ্লপ করে, প্রতারণা করার জন্য আরও কিছু লোক নিয়োগ করে, মাসে মাসে তাদের বেতন দেয়। তারা ওইখানে কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে, তারপর প্রচুর শেয়ার বিক্রি হয়; বিক্রি হওয়ার পর শেয়ারের টাকা নিয়ে একটা পর্যায়ে গায়েব করে দেয়।”

সম্প্রতি বেইজিংভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘হুরুন গ্লোবাল’র করা তালিকায় বিশ্বের ২২৫৭ জন ধনকুবেরের মধ্যে বাংলাদেশের সালমান এফ রহমানকে ১৬৮৫ নম্বরে রাখা হয়।

এর ভিত্তিতে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ‘প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি’র স্থান করে নেওয়ার খবর আসে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে।

হুরুন গ্লোবাল এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এসব সংবাদে সালমানের সম্পদের পরিমাণ ১৩০ কোটি ডলার উল্লেখ করা হয়।

বিষয়টি নজরে আসার পর বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি পাঠিয়ে বলেন, এত সম্পদ তার নেই

।  প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে সম্পদের ওই হিসাব করেছে, তাও তার জানা নেই।

১৯৯৬ সালের কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন যেসব মামলা করেছিল, তাতে সালমানকেও আসামি করা হয়েছিল।

হাই কোর্টের স্থগিতাদেশে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর গতবছর মার্চে সালমান ও তার ভাই সোহেল এফ রহমানের নামে ওই মামলা আদালত বাতিল করে দেয়।

বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানি জিএমজি এয়ারলাইন্সের শেয়ারে কারসাজির অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে আনু মুহাম্মদ বলেন, “কিছু দিন আগে সে জিএমজি এয়ারলাইন্স খুলল, শেয়ারের মাধ্যমে হাজার কোটি মেরে দিয়ে সেখান থেকে সরে পড়ল, জিএমজি এয়ারলাইন্স এখন আর নেই।”

শেয়ার বাজারের পাশাপাশি ডেসটিনি ও যুবকের প্রতারণার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “সেখানে মানুষের পকেটের টাকা কীভাবে চলে যায়, এটা দৃশ্যমান হয় না। কিন্তু একটা পর্যায়ে অসংখ্য মানুষ দেখে, যে তার পকেটের টাকা নেই। আর কিছু লোক দেখে যে তার বিশাল সম্পদ অর্জিত হয়েছে।

“সেই সম্পদ বৈধপথে আসে না বলে সেটার আরেকটা নাম হচ্ছে কালো টাকা। সেই টাকা আবার পাচার করার আরও নানা রকম ব্যবস্থা করে। সেই পাচারের পর আপনারা সুইস ব্যাংকের গল্প শোনেন, বিভিন্ন জায়গার গল্প শুনেন। আর দেশে তারা যা করে, সেটা হল জমি কেনে, হাজার হাজার কোটি টাকার মাধ্যমে ব্যাংক তৈরি করে; সেই ব্যাংক টাকা উপার্জনের আরেকটা মাধ্যম।”

এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদকে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ‘লোকাল এজেন্ট’ আখ্যায়িত করেন আনু মুহাম্মদ।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে এফবিসিসিআই হচ্ছে ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন, সেটার প্রধান হচ্ছেন ভারতের স্বার্থ দেখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এক ব্যক্তি, মাতলুব, যিনি ভারতের ব্যবসায়ীদের লোকাল এজেন্ট। সে হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, তাহলে বোঝেন, বাংলাদেশের ব্যবসা-শিল্প কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়!”

‘শ্রমজীবী সংঘ’ নামে একটি সংগঠনের তৃতীয় সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার কক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

আনু মুহাম্মদ বলেন, “সাধারণ মানুষ যদি দলের ব্যানার না দেখে, শত্রুদেরকে চিহ্নিত করতে পারত, তাহলে ওই ব্যানারগুলোর এতো গুরুত্ব তাদের কাছে থাকত না। তখন শ্রমিকরা নিজেদের শক্তি দাঁড় করাতে পারত।”

প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের কারণে দেশের কিছু পরিবার আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ওই শ্রমিকদের জীবন যে কীভাবে যায়, প্রতি বছর কয়েক হাজার অকাল মৃত্যুর লাশ দেশে আসে। তাদের পাঠানো রেমিটেন্স নিয়ে সরকার বিশাল…, সেটার উপর ভর করেই সালমান রহমানরা লুটপাট করে।”

সম্মেলনের আহ্বায়ক ও শ্রমজীবী সংঘের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোদাচ্ছের হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল আলী, সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক লীগের সম্পাদক সরোয়ার মোর্শদ, বাংলাদেশের সমাতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, গণমুক্তি ইউনিয়সের আহ্বায়ক নাসির উদ্দির আহম্মেদ নাসু এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান বক্তব্য দেন। সূত্র : বিডি নিউজ২৪

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স

lankaস্টকমার্কেট ডেস্ক :

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, ডিএসইতে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজার ৪২৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২৪৩ কোটি ৪৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। যা পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ৪.৫৩ শতাংশ।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে থাকা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে বারাকা পাওয়ারের ১৪১ কোটি ৯২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা, জিপিএইচ ইস্পাতের ১৩৭ কোটি ৪১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা, ইসলামী ব্যাংকের ১২৮ কোটি ৫৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা, বেক্সিমকোর ১২৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা, আরএসআরএম স্টীলের ১২৬ কোটি ১৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, বিডি থাইয়ের ১১৬ কোটি ৩৭ লাখ ১৩ হাজার টাকা, কেয়া কসমেটিকসের ১০৪ কোটি ২৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা, সেন্টাল ফার্মাসিটিক্যালের ১০২ কোটি ৩৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং সিটি ব্যাংকের ১০০ কোটি ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ