স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে শেয়ারবাজারের এসএমই মার্কেট থেকে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে পাঁচ কোটি টাকা উত্তোলন করবে ওয়েব কোটস পিএলসি। উত্তোলিত অর্থের মাধ্যমে কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি আমদানি, চলতি মূলধন ও ঋণ পরিশোধ করবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইতিমধ্যে ওয়েব কোটস এ অর্থ উত্তোলনের জন্য শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করেছে।
প্রসপেক্টাসের তথ্য বিশ্লেষনে দেখা গেছে, ২৮ কোটি ১ লাখ ৪১ হাজার টাকার পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানিটির কিউআইও পরবর্তী মূলধন হবে ৩৩ কোটি ১ লাখ ৪১ হাজার টাকা। অর্থ্যাৎ বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে কোম্পানিটি এসএমই মার্কেটে ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।
উত্তোলিত অর্থের মধ্যে মেশিনারিজ ক্রয় করবে ২ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকায়, ঋণ পরিশোধ করবে ১ কোটি ৪২ লাখ ৭০ হাজার টাকায়, চলতি মূলধন হিসেবে সংরক্ষন করবে ১ কোটি ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং কিউআইও প্রসেসিং বাবদ ব্যয় ধরেছে ২৭ লাখ টাকা।
প্রসপেক্টাসের তথ্যানুযায়ী, গত পাঁচ বছরে কোম্পানিটির মোট রেভিনিউ এবং মুনাফার হার সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে। ২০১৮ সালের জুন মাসে কোম্পানিটির মোট রেভিনিউ ছিল ৮৯ কোটি ৮২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৬ টাকা। এর বিপরীতে কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছে ৮ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার ৯৩ টাকা। এছাড়া, ২০১৯ সালে ৫৭ কোটি ৩২ লাখ ৯ হাজার ৬৮৬ টাকা রেভিনিউয়ের বিপরীতে ৪ কোটি ৬৩ লাখ ২৩১ টাকা।
বিগত বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বিশ্লেষনে দেখা গেছে, ২০২২ সালে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১৫.৬৪ টাকা এবং ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত কোম্পানিটির ইপিএস ০.৯০ টাকা।
জানা যায়, ওয়েব কোটস পিএলসি আরএমজি সেক্টরের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজে বিক্রির জন্য আঠালো ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত কাগুজে পণ্য উৎপাদন করে। বাংলাদেশের বাজারে এ শিল্পের বাজার যথেষ্ট বড় এবং এর চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা যায়, ওয়েব কোটস পিএলসি ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে এবং ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে বানিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। কোম্পানিটি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি থেকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রুপান্তরিত হয়। কেরানীগঞ্জের লাকিরচরে নিজস্ব জায়গায় (১৪৭ ডেসিমেল) কোম্পানিটির ফ্যাক্টরি রয়েছে।
ওয়েব কোটস পিএলসির সামগ্রিক বিষয়ে আলাপকালে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক রাহাত রেজা অমি বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে আমাদের নিজস্ব উৎপাদন প্রক্রিয়ার কলেবর বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি প্রক্রিয়ায় ওয়েব কোটস পিএলসি দেশের রফাতানি খাতে আরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
প্রসঙ্গত, কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে রয়েছে সোনালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
স্টকমার্কেটবিডি.কম//