প্রণোদনার ঋণ পায়নি ৭৪% প্রতিষ্ঠান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

মহামারি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্বারে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজেরে ঋণ পায়নি ৭৪ শতাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। যে ২৩ শতাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান প্রণোদনা পেয়েছে তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ জানিয়েছে প্রণোদনার ঋণ যথেষ্ট নয়। আর ৬৫ শতাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সরকারের কাছে আরও সহযোগিতা চেয়েছে।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আস্থা ও প্রত্যাশার ওপরে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) উদ্যোগে পরিচালিত সপ্তম পর্যায়ের জরিপের ফলাফলে এ চিত্র উঠে এসেছে।

জরিপের ফল উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান।

দেশের আটটি বিভাগের ৩৮টি জেলার ৫০২টি ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি ও বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর এই জরিপ করা হয়েছে। চলতি বছরের ৩ থেকে ২৪ জানুয়ারি উৎপাদন খাতের তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ প্রস্তুতকারক, হালকা প্রকৌশল ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং সেবাখাতের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, রেস্টুরেন্ট, পরিবহন, আইসিটি ও টেলিকমিউনিকেশন, আর্থিক খাত ও রিয়েল এস্টেট খাত জরিপের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

জরিপে অংশ নেওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ৭৪ শতাংশ কোনো প্রণোদনা প্যাকেজ পায়নি এবং মাত্র ২৩ শতাংশ প্রণোদনা প্যাকেজ পেয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলো প্রণোদনা পেয়েছে, তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ জানিয়েছে যে তাদের জন্য ওই প্যাকেজ যথেষ্ট নয়। ৬৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে যে, সরকারের পক্ষ থেকে আরও সাহায্য দরকার। সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ দরকার এমন সাহায্যের মধ্যে আছে—স্বল্প সুদে কার্যকরি পুঁজির ঋণ, রপ্তানিকারকদের জন্য শিপমেন্ট-পূর্ববর্তী পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা এবং অসহায় শ্রমিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি।

জরিপে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও ওমিক্রন সংক্রমণের ফলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকাণ্ডে নানা নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও, সার্বিকভাবে গত বছরের তুলনায় এবং তিন-মাস অন্তর পরিক্রমাতেও ব্যবসায় উন্নতি হয়েছে। তবে, কোভিডের নতুন ধাক্কার কারণে সামনের তিন মাসের জন্য ব্যবসাগুলোর প্রত্যাশা তুলনামূলক কম। অন্যদিকে সার্বিকভাবে ব্যবসার পরিবেশে উন্নতি হয়েছে।

জরিপে দেখা যায়, পিবিএসআই (বার্ষিক) সূচকের মান ৫৬ দশমিক ৭৯ থেকে ৬০ এ উন্নীত হয়েছে। একইভাবে পিবিএসআই (ত্রৈমাসিক)-এও উন্নতি দেখা গেছে। আগের বছরের তুলনায়, অন্যান্য খাতগুলোর চেয়ে তৈরি পোশাক খাত, টেক্সটাইল, রেস্টুরেন্ট, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ওষুধ শিল্পের ব্যবসায় পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়েছে।

তবে, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চের জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রত্যাশা আগের চেয়ে কমেছে। সানেমের ব্যবসায় আস্থার সাতটি পর্যায়ের জরিপে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রত্যাশা ও বাস্তব অবস্থার মধ্যে তুলনামূলক চিত্রও তুলে ধরা হয় ওয়েবিনারে।

সপ্তম পর্যায়ের জরিপে ১৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে যে তাদের মতে দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার জোরদার হয়েছে। যদিও ষষ্ঠ পর্যায়ে এমন প্রতিষ্ঠান ছিল ২১ শতাংশ। অপরদিকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার মোটামুটি বলে মনে করে ৪৪ শতাংশ, যেটি আগের পর্যায়ে ছিল ৫২ শতাংশ। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং করোনার নতুন ধাক্কা সত্ত্বেও, গড়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার ৬০ দশমিক ৬শতাংশ পুনরুদ্ধার হয়েছে, যা পূর্ববর্তী রেকর্ড ৫৭ দশমিক ৪ শতাংশকে (২০২১ সালের মার্চের ফলাফল) ছাড়িয়ে গেছে।

২০২১ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে সার্বিকভাবে ইবিআই সূচকে কিছুটা পতন হলেও, জরিপে দেখা যায় এই সূচকে বর্তমানে উন্নতি হয়েছে এবং গত সাত পর্যায়ের জরিপে এই সূচকে সর্বোচ্চ মান দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ, ব্যবসার পরিবেশে গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উন্নতি হয়েছে। তবে, ইবিআই সূচকের কিছু কিছু উপাদান যেমন কর, দুর্নীতি, দক্ষ শ্রমশক্তি, যানবাহনের মান, বাণিজ্য কাঠামো এবং কোভিড ব্যবস্থাপনায় কিছু অবনতি দেখা গিয়েছে। এছাড়া, চামড়া, পাইকারি এবং আবাসন খাতে ইবিআইয়ে কিছু অবনতি হয়েছে।

জরিপকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৭১ শতাংশ জানিয়েছে, ওমিক্রন সংক্রমণের প্রভাবে তাদের রপ্তানি বা বিক্রি কমেছে। অন্যদিকে ৭৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে যে এজন্য তাদের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য-সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হয়েছে এবং এজন্য খরচও বেড়েছে। ৮২ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, ওমিক্রনের জন্য সার্বিকভাবে পুঁজি ও শ্রমের খরচ বেড়েছে।

ওমিক্রণের কারণে রপ্তানি কমার ঝুঁকি বেড়েছে বলে জানিয়েছে ৮৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। ৯০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে যে ওমিক্রনের জন্য অতিরিক্ত স্বাস্থ্য-সতর্কতামূলক ব্যবস্থা এবং সে সংক্রান্ত খরচ বাড়ার ঝুঁকি বেড়েছে। ৯১ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে পুঁজি ও শ্রমের খরচ বাড়ার ঝুঁকি বেড়েছে।

জরিপে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবটিও উঠে এসেছে। ৯৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির ফলে যানবাহনের খরচ বেড়েছে এবং ৭৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে তাদের উৎপাদন শক্তির খরচ বেড়েছে।

আগের পর্যায়ের জরিপের মতোই, এ পর্যায়ের জরিপেও দেখা গেছে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্র প্রতিষ্ঠানগুলো প্রশাসনিক প্রক্রিয়া, বন্ধক, দীর্ঘসূত্রিতা, ব্যাংক-মক্কেল সম্পর্ক ইত্যাদি ক্ষেত্রে সমস্যার মুখোমুখি হয়।

অধ্যাপক সেলিম রায়হান প্রণোদনা প্যাকেজের দ্রুত বিতরণ এবং প্রণোদনা প্যাকেজ পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজীকরণের ওপর জোর দেন। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিকে উদ্বেগজনক বলে, অধ্যাপক রায়হান এ ক্ষেত্রে জ্বালানি তেল আমদানির ওপর কর কমানোর প্রস্তাব দেন।

তিনি বলেন, জ্বালানির মূল্যের জন্য নীতিনির্ধারকদের একটি কৌশলগত, গতিশীল এবং ভবিষ্যৎ-মুখী নীতি নেওয়া দরকার। রেমিট্যান্সের নিম্নমুখী ধারা লক্ষ্য করে ওয়েবিনারে বলা হয়, রেমিট্যান্সের ধারার একটি মূল্যায়ন করা দরকার এবং রেমিট্যান্সের জন্য নির্ধারিত সরকারি প্রণোদনা ২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ বাড়ানো দরকার। সূত্র : বাংলা নিউজ২৪

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ইসলা‍মী ব্যাংকগুলোর তথ্য চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশে কার্যরত সব ইসলামী ব্যাংক, শাখা ও উইন্ডোগুলোকে সঠিকভাবে নির্ধা‌রিত ছ‌কে তথ্য পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ইসলামিক ব্যাংকের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ পরিভাষায় ইসলামিক ব্যাংক সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণ করার আবশ্যিকতা তৈরি হয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স ডাটাবেজ ইউনিট কর্তৃক ইসলামিক ফাইন্যান্সিয়াল ট্রানজেকশন সংশ্লিষ্ট তথ্য যথাযথভাবে সংকলন করার জন্য দেশে কার্যরত সব ইসলামিক ব্যাংক, ইসলামিক শাখা ও উইন্ডোগুলোর জন্য একটি ডাটা টেম্পলেট প্রস্তুত করা হয়েছে।

ওই টেম্পলেটের মাধ্যমে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ইসলামিক ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিতভাবে মাসিক ও ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে পরিসংখ্যান বিভাগের ইসলামিক ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স ডাটাবেজ ইউনিটে দাখিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হ‌য়ে‌ছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা বাড়ায় ইসলামী ব্যাংকগুলোর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তাই শরিয়াহভি‌ত্তিক ব্যাংক সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণ করার আবশ্যিকতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বেতন নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বেসরকারি তফসিলি বাণিজ্যেক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন-ভাতা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি এবং নীতি বিভাগের’ দেওয়া দুটি বিজ্ঞপ্তির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।

তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে গত ২০ জানুয়ারি দেওয়া বিজ্ঞপ্তির ৩.১, ৩.২, ৩.৭ ও ৩.৮ ধারা এবং এ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে পরবর্তীতে ১ ফেব্রুয়ারি দেওয়া বিজ্ঞপ্তিটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে রুল জারি করা হয়েছে। অর্থ সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানির পর আজ সোমবার এ রুল দেন বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দুটি বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টর সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগকারী ফরহাদ বিন হোসেন; যিনি সুপ্রিম কোর্টেরও আইনজীবী। আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাসুম ও সাইফুর রহমান রাহী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড

বিদেশ যেতে ব্যাংকঋণ নেওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কেউ যাতে প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিদেশ যেতে জমি বিক্রি নয়। এ ক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশে যাওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

আজ সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরকে এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেসব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে অবহিত না করে বিদেশে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। অভিবাসন ব্যয় মেটাতে প্রয়োজনে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, অনেকে না জেনে সরাসরি পেমেন্ট করে। সেজন্য একটা সাজেশন আছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। তারা প্রোমোট করবে, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে যাক। জমিজমা বিক্রি করে না যেতে, ব্যাংক থেকে লোন নিলে একটা সুবিধা হবে ব্যাংক কিন্তু তার অ্যাপয়েন্টমেন্টটা কনফার্ম না করা না পর্যন্ত পেমেন্ট দেবে না। সেক্ষেত্রে সেও কিন্তু একটা সেইফটিতে থাকবে।

তিনি আরো বলেন, কয়েকজনের স্পেসিফিক আলোচনায় শুনলাম যে মালয়েশিয়াতে গেছে ৩-৪ লাখ টাকা করে দিয়ে। জমি বিক্রি করে কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে ওই চার লাখ টাকা সে দুই বছরে তুলতে পারেনি। নিঃস্ব হিসেবে ফেরত এসেছে। বিদেশে যে লোকজন যাবে তা ভেরি প্রিসাইজ ও ট্রান্সপারেন্ট করে দিতে এবং টেলিভিশন, রেডিও, পেপারে- মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করে দিতে। বলা হয় যেন, এরা হলো অথরিটি (জনশক্তি রপ্তানির), এই পরিমাণে টাকা লাগবে। আপনাদের যদি যথাসম্ভব টাকার প্রয়োজন হয়, আপনারা অনুগ্রহ করে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে যান।

খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ১০০টি শিল্প পার্ক হচ্ছে, বেজা ও অন্যদের। অনেক জায়গায় শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। সেজন্য এটাও প্রচারে আনার জন্য বলা হয়েছে। মীরেরসরাই বা অন্যান্য জায়গায় যে শিল্প পার্ক হচ্ছে, এখানে লাখ লাখ শ্রমিকের প্রয়োজন হবে। নিজেরা ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করে এসব খোঁজ নেন, খোঁজ নিয়ে কোন অঞ্চলে কোন ধরনের শ্রমিকের প্রয়োজন হবে। সে বিষয়ে ট্রেনিং নিয়ে আপনারা দেশেই ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এ ছাড়া বন রক্ষায় সরকারি বন সামাজিক বনায়ন, সড়ক মহাসড়কের পাশের গাছ ও ব্যক্তি পর্যায়ে বনায়নের গাছ কাটার প্রয়োজন হলে অবশ্যই কতৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এ আইনের প্রচার ও সচেতনতা বৃদ্ধির পরেই বাস্তবায়নে যাবে সরকার। এমন বিধান রেখে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন আইন-২০২২-এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

পিপলস লিজিংয়ের লেনদেন বন্ধের সময় ৫৭ দফা বাড়লো

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি পিপলস লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন বন্ধ রাখার সময় আবারও বেড়েছে। কোম্পানিটিকে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫৭ দফায় আরও ১৫ দিন শেয়ার লেনদেন বন্ধ রাখার আদেশ দিয়েছে ডিএসই। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গত বছরের ১৪ জুলাই থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার লেনদেন বন্ধের ঘোষণা করে ডিএসই। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ৯৩২তম বোর্ড সভায় সেই স্থগিতাদেশই বর্ধিত করে গত ১৩ আগস্ট থেকে ২৭ আগস্ট করা হয়।

এরপর আবারো দ্বিতীয় দফায় ২৮ আগস্ট থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, চতুর্থ দফায় ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ অক্টোবর, পঞ্চম দফায় ১৩ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর, ৬ষ্ঠ দফায় ২৮ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর, সপ্তম দফায় ১১ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর অষ্টম দফায় ২৬ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর, নবম দফায় ১১ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর, দশম দফায় ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি, ১১ দফায় ১২ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি, ১২ দফায় ২৭ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৩ দফায় ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৪ দফায় ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ, ১৫ দফায় ১৩ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ, ১৬ দফায় ৩১ মে থেকে ১৪ জুন, ১৭ দফায় ১৫ জুন থেকে ২৯ জুন ১৮ দফায় ৩০ জুন থেকে ১৪ জুলাই, ১৯ দফায় ১৫ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই, ২০ দফায় ৩০ জুলাই থেকে ১৩ আগস্ট, ২১ দফায় ১৪ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট এবং ২২ দফায় ২৯ আগস্ট থেকে ১০ সেপ্টেম্বর, ২৩ দফায় ১৩ সেপ্টেম্বর হতে ২৭ সেপ্টেম্বর আর ২৪ দফায় ২৮ সেপ্টেম্বর হতে ১২ অক্টোবর আর ২৫ দফার ১৩ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর, ২৬ দফায় ২৮ অক্টোবর হতে ১২ নভেম্বর, ২৭ দফায় ১৪ নভেম্বর হতে ২৬ নভেম্বর, ২৮ দফায় ২৭ নভেম্বর হতে ১১ ডিসেম্বর, ২৯ দফায় ১১ ডিসেম্বর হতে ২৬ ডিসেম্বর, ৩০ দফায় ২৭ ডিসেম্বর হতে ১১ জানুয়ারি আর ৩১ দফায় ১২ জানুয়ারি হতে ২৭ জানুয়ারি, ৩২ দফায় ২৮ জানুয়ারি হতে ১০ ফেব্রুয়ারি, ৩৩ দফায় ১১ ফেব্রুয়ারি হতে ২৫ ফেব্রুয়ারি ও ৩৪ দফায় ২৬ ফেব্রুয়ারি ১২ মার্চ, ৩৫ দফায় ১৩ মার্চ হতে ২৫ মার্চ, ৩৬ দফায় ২৮ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিল ও ৩৭ দফায় ১৩ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল, ৩৮ দফায় ২৮ এপ্রিল থেকে ১১ মে, ৩৯ দফায় ১২ মে থেকে ২৭ মে, ৪০ দফায় ২৮ মে থেকে ১০ জুন, ৪১ দফায় ১১ জুন থেকে ২৫ জুন, ৪২ দফায় ২৭ জুন ১১ জুলাই, ৪৩ দফায় ১২ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই, ৪৪ দফায় ২৭ জুলাই থেকে ১০ আগষ্ট, ৪৫ দফায় ১১ আগষ্ট থেকে ২৫ আগষ্ট, ৪৬ দফায় আগামী ২৬ আগষ্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর, ৪৭ দফায় আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ২৫ সেপ্টেম্বর, ৪৮ দফায় ২৬ সেপ্টমে্বর হতে ৯ অক্টোবর, ৪৯ দফায় ১০ অক্টোবর হতে ২২ অক্টোবর, ৫০ দফায় ২৩ অক্টোবর হতে ৭ নভেম্বর, ৫১ দফায় ৮ নভেম্বর হতে ২৩ নভেম্বর, ৫২ দফায় ২৪ নভেম্বর হতে ৮ ডিসেম্বর, ৫৩ দফায় ৯ ডিসেম্বর হতে ২৩ ডিসেম্বর, ৫৪ দফায় ২৪ ডিসেম্বর হতে ৭ জানুয়ারি, ৫৫ দফায় ৮ জানুয়ারি হতে ২২ জানুয়ারি, ৫৬ দফায় ২৩ জানুয়ারি হতে ৬ ফেব্রুয়ারি আর ৫৭ দফায় ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আরো ১৫ দিন পর্যন্ত লেনদেন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় ডিএসই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

দ্যা পেনিনসুলার একজন উদ্দ্যোক্তার শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত ভ্রমণ ও প্রণোদনা খাতের কোম্পানি দ্যা পেনিনসুলা চিটাগাং লিমিটেডের একজন উদ্দ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন করেছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, মিসেস আয়েশা সুলতানা নামে এই উদ্দ্যোক্তা পরিচালক কোম্পানিটির ১ লাখ ৭৩ হাজার শেয়ার ক্রয় করেছেন।

ঘোষণার পর ৩০ দিনের মধ্যে এই পরিচালক উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার পাবলিক মার্কেট হতে ক্রয় করেছেন।

একই সময় আরেক পরিচালক ইন্জি: মোশাররফ হোসেনও ১ লাখ ১৭ হাজার শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিযেছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে বিএসসি; ২য় ফরচুন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ১২৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ফরচুন সুজ লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি ২ লাখ টাকার।

৬৫ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সাইফ পাওয়ারটেকের ৫৬ কোটি ৪০ লাখ, ইসলামী ব্যাংকের ৫৫ কোটি ৪৪ লাখ, ওরিয়ন ফার্মার ৪৩ কোটি ৭৫ লাখ, বিএটিবিসির ৪১ কোটি ৬৮ লাখ, বিবিএসের ৩১ কোটি ৬৩ লাখ, একমি ল্যাবরেটরিজের ২৯ কোটি ১১ লাখ ও ফারইষ্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ২৬ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

৮ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের প্রদান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৮টি কোম্পানির ২০২০-২১ অর্থবছরের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হলো : বীকন ফার্মা, ইন্ট্রাকো, এস এস স্টিল, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিল, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, গোল্ডেন হার্ভেষ্ট এগ্রো, বিডি থাই ও খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।

এসব কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের ব্যাংক হিসাবে এসব লভ্যাংশ পাঠানো হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

  1. বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন
  2. ফরচুন সুজ
  3. বেক্সিমকো লিমিটেড
  4. সাইফ পাওয়ারটেক
  5. ইসলামী ব্যাংক
  6. ওরিয়ন ফার্মা
  7. বিএটিবিসি
  8. বিবিএস
  9. একমি ল্যাবরেটরিজ
  10. ফারইষ্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

ডিএসইতে লেনদেন বাড়লেও কমেছে সিএসইতে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সূচকের পতন হয়েছে। তবে এদিন সেখানে লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২.৪৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৭০৫১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৪.৪৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৫০৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩.৮১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২৬০৭ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৪২৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৩৩৫ কোটি ৯ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৮০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৩৩টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৯২টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ৫৫টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ফরচুন সুজ, বেক্সিমকো লিমিটেড, সাইফ পাওয়ারটেক, ইসলামী ব্যাংক, ওরিয়ন ফার্মা, বিএটিবিসি, বিবিএস, একমি ল্যাবরেটরিজ ও ফারইষ্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৪৬.১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০ হাজার ৬৭৫ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২২টির, কমেছে ১৪৮টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা ও বিএটিবিসি লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/