ব্যাংক খাতে লুটপাটের মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাবে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন কয়েকজন সাংসদ। ব্যাংকের করপোরেট কর আড়াই শতাংশ না কমিয়ে ১ শতাংশ কমানোর প্রস্তাবও এসেছে।
আজ মঙ্গলবার থেকে সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই ব্যাংক খাত নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করেন তিনজন সাংসদ। এর আগে রোববার ও গতকাল সোমবার সম্পূরক বাজেটের ওপর দুই দিনের আলোচনায়ও সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অবশ্য আজ একজন স্বতন্ত্র সাংসদ পয়েন্ট অব অর্ডারে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।
অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে জাসদের সাংসদ নাজমুল হক প্রধান বলেন, ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার ব্যাংককে টাকা দেওয়া হচ্ছে। একবার ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে, একবার করের ছাড় দেওয়া হচ্ছে। একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এভাবে হয়তো ব্যাংক রক্ষা করা যাবে, কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে জায়গায় যাওয়ার লক্ষ্য, তা পূরণ হবে না। ব্যাংক থাকবে, অর্থনীতি কলুষিত হবে। এক মণ দুধে এক ফোঁটা টকই যথেষ্ট। তিনি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট কর আড়াই শতাংশের জায়গায় ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন।
ব্যাংকের করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাবের সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির আরেক সাংসদ শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, ব্যাংক খাতে যে লুট হয়েছে, নাদির শাহের দিল্লি লুটের সময়ও এত টাকা লুট হয়নি।
শামীম হায়দার বলেন, ব্যাংকের করপোরেট কর আড়াই ভাগ কমানো হয়েছে, কিন্তু অন্য করপোরেট খাতে ৪০ শতাংশই রাখা হয়েছে। যে খাত ভালো করছে, সেখানে কর কমানো হয়নি, যে খাতে লুটপাট হচ্ছে, সেখানে কর কমানো হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘দুষ্টু বিড়ালকে কুকি দিলেন, পরদিন দুষ্টু বিড়াল দুধ চাইবে। আর ভালো বিড়ালকে রিওয়ার্ড দিলেন না।’
অন্যদের মধ্যে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, এনামুল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ইসরাফিল আলম, কাজী রোজী প্রমুখ বাজেট আলোচনায় অংশ নেন। বাজেটের আজকের বৈঠক ছিল ঈদের আগে চলতি অধিবেশনের শেষ বৈঠক। ১৮ জুন পর্যন্ত সংসদের বৈঠক মুলতবি করা হয়েছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেডআর/বি