শেয়ার ব্যবসায় সফল হওয়ার ‌‌‌‘সুবর্ণ’ ১০টি তরিকা

share marketগনেশ মোদক  :

শেয়ারবাজারে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রলোভন সর্বদাই বিনিয়োগকারীকে খাদের কিনারে ফেলে দেয়। শেয়ারবাজারে অর্থ উপার্জন সহজ ব্যাপার নয়। ধৈর্য ও শৃঙ্খলা ছাড়াও বাজার সম্পর্কে প্রচুর গবেষণা ও অার্দশ বোঝাপড়ারও প্রয়োজন রয়েছে। কয়েকবার বাজারে ‌ধস বিনিয়োগকারীদের দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ফেলে দিয়েছে। এ অবস্থায় তারা দোটানায় আছেন বিনিয়োগ করবেন, না শেয়ার ধরে রাখবেন না বিক্রি করবেন। যদিও এ নিয়ে বাজারে সফলতার জন্য কোনো কার্যকরী ফর্মুলার সন্ধান পাওয়া যায়নি । তবে সুবর্ণ কিছু বিধি অাছে যা অাপনি বিচক্ষণতার সাথে অনুসরণ করলে অাপনার লাভবান হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি মাত্রায় রয়েছে। সূত্র : ইকনোমিক টাইমস।

১. শিশুসুলভ মানসিকতা বর্জন করুন : প্রথাগত ক্রেতারা সচরাচর বন্ধু, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনদের কর্মকান্ড দ্বারা প্রভাহিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন। এভাবে তার চারপাশের সবাই সুনির্দিষ্ট কোনো খাতে বিনিয়োগ করে। তখন সম্ভবনাময় বিনিয়োগকারীরা একই কাজ করেন। কিন্তু এই কৌশল পরিণামে তাকে ভোগায়।
সর্বদাই শিশুসুলভ মানসিকতা বর্জন করা উচিত তা নয়। অাপনি যদি না কষ্টের টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে না হারিয়ে থাকেন। বিশ্বের বড় বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট বলেন, অন্য সবাই যখন লোভী তখন সতর্ক হোন এবং লোভী হোন যখন সবাই বিনিয়োগ করতে ভয় পায়।

২. তথ্যবহুল সিদ্ধান্ত নিন : শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অাগে প্রচুর জানুন। কিন্তু এ কাজ খুবই কম করেন বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারী যে কোম্পানিগুলো সম্পর্কে জানেন সেখানে বিনিয়োগ করে থাকেন। যাহোক, এভাবে বাজারে অর্থ ঢালা সঠিক পদ্ধতি নয়।

৩. অাপনি যে খাত সম্পর্কে বোঝেন সেখানে বিনিয়োগ করুন : কখনো ব্যবসা করার পরিবর্তে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবেন না। অন্যকথায়, অাপনি যে কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন জানুন কোম্পানিটি কিসের ব্যবসা করে।

৪. বাজার দর নিয়ে পরিকল্পনা করা বাদ দিন : এমনকি ওয়ারেন বাফেট এ কথা বলেছেন। তার মর্ত, বাজারদর সীমা মানুষকে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তোলে না। তবে অধিকাংশ বিনিয়োগকারী এর উল্টোটি ভাবেন। অার্থিক পরিকল্পনাবিদরা এ উল্টো ধারণা বদলানোর পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ এ ভুল ধারণায় তারা কষ্টের অর্থ জলে ফেলেন।

৫.  শৃঙ্খলাবদ্ধ বিনিয়োগ পদ্ধতি অনুসরণ করুন : বলা হয়, বাজার যখন ব্যাপক উত্থানে তখন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বল্পকালীন অাতঙ্ক বিরাজ করে। বাজারে এই ভঙ্গুরতা ব্যাপক দর বৃদ্ধি হওয়া স্বত্ত্ত্বেও বিনিয়োগকারীকে বাধ্যতামূলকভাবে অর্থ লোকসানের সম্মুখীন করে। যাহোক, সঠিক শেয়ারে পদ্ধতিগতভাবে অর্থ বিনিয়োগ ও শেয়ার ধরে রাখা বিনিয়োগকারীরা অতীতে বিপুল অর্থ উপাজর্ন করতে পেরেছেন বলে দেখা গেছে। এজন্য ধৈর্যশীল হওয়া বিচক্ষণতার পরিচয় এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ বিনিয়োগ পদ্ধতি ছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি বিস্তৃত বাজার চিত্র বিবেচনায় নিয়ে অগ্রসর হোন।

৬. অাবেগ যেন অাপনাকে হতভম্ব না করে, লক্ষ্য রাখুন : অাবেগ, বিশেষ করে ভয় ও লোভ কে নিয়ন্ত্রণের অক্ষমতার কারণে অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজারে অর্থ লোকসান দেন। তেজিবাজারে সাময়িক বিপুল সম্পদের লোভ ধরে রাখা কঠিন।  কারও আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার গল্প বিনিয়োগকারীদের লোভ বাড়িয়ে দেয়। এই প্রবণতা বিনিয়োগকারীদের মাঝে বুদবুদ সৃষ্টি করে অজ্ঞাত কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করতে বাধ্য করে অথবা এতে তারা ঝুঁকির কথা সত্যিকার অর্থে না ভেবে সহজেই অবস্থান নেন। এতে বাজারের উল্টো চিত্র দেখা দিলে সম্পদ তৈরির বদলে তাদের হাতের আঙুল অাগুনে পোড়ার মনোভাবের মুখোমুখি হতে হয়। অপরদিকে, পতনের বাজারে তারা আতঙ্কে থেকে একবারে সর্বনিম্ন ধরে শেয়ার বিক্রি করেন। এভাবে ভয় ও লোভ তাদের মাঝে দুর্বল মানসিকতা তৈরি করে। তারা বাজার অভিজ্ঞদের নির্দেশ মেনে চলেন না।

৭. বিনিয়োগের (পোর্টফলিও) বিস্তৃত তথ্য সংরক্ষণ :  বিনিয়োগ ক্ষেত্রের বিচিত্রকরণ সম্পদের ধরন ও উপাদান পরীক্ষা করে সর্বনিম্ন পর্যায়ের ঝুঁকি নিয়ে কাঙ্ক্ষিত অর্থ উপাজন করার প্রধান উপায়। প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর ঝুঁকি নেওয়ার সক্ষমতার ওপর বিচিত্রকরণের মাত্রা নির্ভর করে।

৮. বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা লালন করা : আপনার বিনিয়োগ থেকে সবচেয়ে ‌সেরাটা আশা করা অযৌক্তিক কিছু নয়। কিন্তু  অাপনি অবাস্তবসম্মত পূর্বধারণার ওপর নির্ভর করে আপনার আর্থিক লক্ষ্যগুলো নির্ধারণ করেন। তাহলে অনেক সমস্যা থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপক দরবৃদ্ধিকালে অসংখ্য শেয়ারে ৫০ শতাংশের বেশি লাভ হয়েছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, আপনি শেয়ারবাজার থেকে সর্বদাই একই পরিমাণ লাভের প্রত্যাশা করবেন। এরজন্য, ওয়ারেন বাফেট বলেছেন, শেয়ারবাজারে ১২ শতাংশের বেশি লাভ নির্বাচনে তহবিল গঠনের মত কঠিন কাজ। আপনাকে এটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। যদিও এটাও আপনার জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।

৯. শুধু লাভবান তহবিলে বিনিয়োগ করুন : যদি আপনি শেয়ারবাজারের মতো ভঙ্কুর বাজারে ঝুঁকি নিতে চান তাহলে আপনি লাভবান তহবিলে বিনিয়োগ করে লোকসান দিতে পারেন। এটি বলা অপরিহার্য নয় যে, আপনি বর্তমান মন্দা অবস্থায় অর্থ লোকসান দিবেন। আপনার এই বিনিয়োগ আপনাকে ভবিষ্যতে প্রচুর মুনাফা উপহার দেবে। কিন্তু কেউ এর শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারে না। এটি বলা বাহুল্য, লাভবান তহবিলে শুধু আপনাকে প্রচুর মুনাফা দেবে।

১০. বিরতিহীনভাবে পর্যবেক্ষণ করুন : বর্তমানে আমরা বিশ্বগ্রামে বাস করি। বিশ্বের কোনো অংশে কোনো ঘটনা ঘটলে এর প্রভাব আমাদের অর্থবাজারের ওপর পড়ে। এর জন্য আমাদের ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগের ক্ষেত্র পর্যবেক্ষণ করা উচিত ও এর মধ্যে কাঙ্ক্ষিত প্রভাব থাকবে। যদি আপনি জ্ঞানের অভাবে আপনার পোর্টফলিও পর্যালোচনা করতে পারেন না পারেন । তাহলে আপনি একজন দক্ষ আর্থিক পরিকল্পনাকারীর কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারেন। অনেক বাজার বিশেষজ্ঞের অভিমত, যদি এটি আপনি করতে না পারেন তাহলে মনে রাখুন শেয়ারবাজার আপনার জন্য নয়। তাহলে আপনার অর্থ নিরাপদ বা কর্ম ঝুঁকিপূর্ণ কোনো খাতে বিনিয়োগ করুন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/মোদক /শুভ.

লেনদেনের শীর্ষে সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলস, ২য় বিবিএস ক্যাবলস

C & A Textiles Limitedস্টকমার্কেট ডেস্ক :

৬ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে টেক্সটাইল খাতের কোম্পানি সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলস লিমিটেড। বিগত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৮৭ শতাংশ। এসময়ে এ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির মোট ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ৬৪ হাজার ৭২৮টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার দর ১৮৭ কোটি ৬৪ হাজার টাকা। গড়ে প্রতিদিন ২ কোটি ৭৫ লাখ ১২ হাজার ৯৪৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

ডিএসই’র সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৬৯ শতাংশ। এই সপ্তাহে কোম্পানিটির ১ কোটি ৬৫ লাখ ৪ হাজার ২২৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার দর ১৬৭ কোটি ৯৮ লাখ ৫ হাজার টাকা। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৯.৮৯ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে ৩১ জুলাই লেনদেন শুরু করেছে বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেড.।

তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির ৮ কোটি ২৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪৮৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার দর ১৬৫ কোটি ৫৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। গড়ে প্রতিদিন ১ কোটি ৬৫ লাখ ৬ হাজার ৮৯৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

শীর্ষ ১০এর তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে-  সিটি ব্যাংক, ইফাদ অটোস, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস, ফু-ওয়াং ফুড ও ফরচুন সুজ লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/মোদক.

সিএসইতে সাপ্তাহিক সূচক ও লেনদেন কমেছে

CSE-Final-Logoস্টকমার্কেট :

গত ৬ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বিগত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৯.৬ শতাংশ কমেছে। ৫ কার্যদিবসে মোট ২৯৩ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। সিএসই’র সাপ্তাহিক লেনদেনের ওপর তৈরিকৃত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে, সিএসই’র সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে মোট ২৯৩ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে ৩২২ কোটি ৪৫ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এ সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ২৯ কোটি ১৯ লাখ  টাকা বা ৯.৬ শতাংশ। সিএসই সূচক ৭১ পয়েন্ট বা ০.৩৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩০৭ পয়েন্টে। যা এর আগে সপ্তাহে ছিল ১৮ হাজার ২৩৬ পয়েন্ট।

এই সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৫.৬৯ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩.২৬ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৮৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এই সপ্তাহে কোম্পানির দর বাড়া কোম্পানির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১০৬টি। এ সপ্তাহে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০টিতে। এ সপ্তাহে দর  অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির।

এর আগের সপ্তাহে ২৮৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়। এই সপ্তাহে কোম্পানির দর বাড়া কোম্পানির সংখ্যা ১৫৬টি ছিল। এ সপ্তাহে দর ১১৮টিতে কমেছিল এবং অপরিবর্তিত থাকে ১৫টির।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/মোদক.

ডিএসইতে সাপ্তাহিক সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে ৮.৩১ %

DSE LOGOস্টকমার্কেট : গত ৬ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বিগত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৮ দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে। তবে ডিএসইতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী অবস্থা রয়েছে। সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৪৪২ কোটি ৪৭ টাকা বা ৮.৩১ শতাংশ।  ডিএসই’র সাপ্তাহিক লেনদেনের ওপর তৈরিকৃত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই’র সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে মোট ৪ হাজার ৮৭৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহের চেয়ে লেনদেন ৮.৩১ শতাংশ কমেছে। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ৫ হাজার ৩২১ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক ০.৩৬ শতাংশ বা ২১.৩৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫,৯৯১ পয়েন্টে। যা এর আগে সপ্তাহে ছিল ৫,৮৮০ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক ৫.৯৮ পয়েন্ট বা ০.২৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১২৫ পয়েন্টে । যা এর আগে সপ্তাহে ছিল ২১২৩ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক ০.২২ শতাংশ বা ২.৯১ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩১৪ পয়েন্টে। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩১১ পয়েন্ট।

এই সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩ দশমিক ২০ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে ৩৩৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়। এ সপ্তাহে দর বেড়েছে ১২৯ টি কোম্পানির। এর অাগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে দর বাড়া কোম্পানির সংখ্যা কমেছে ৪৮টি। এর আগের সপ্তাহে বেড়েছিল ১৭৭টি কোম্পানির।

এ সপ্তাহে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা বেড়েছে ৪৩টি। এই সপ্তাহে দর কমেছে ১৮৫টি কোম্পানির । এর অাগের সপ্তাহে দর কমেছিল ১৪২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির। যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ১৫টি। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/মোদক.

যেভাবে ভারতের ‘মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মুহাম্মদ’ হয়ে গেল ‘মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা’

mahindraস্টকমার্কেট ডেস্ক :

ভারতের গাড়ি কোম্পানিগুলির মধ্যে এক অতি পরিচিত নাম ‘মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা’। বিশ্বের সব থেকে বড় ট্রাক্টর প্রস্তুতকারক কোম্পানি ‘মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা’। কয়েকশো কোটি ডলার সম্পত্তির অধিকারী এই কোম্পানি।

এদের তৈরি ট্রাক্টর ভারতের কৃষকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু জানেন কি এই কোম্পানির নাম এক সময়ে ছিল ‘মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মুহাম্মদ’?

আর সেখান থেকে দেশভাগ, ভারত – পাকিস্তানের স্বাধীনতা – এসব কারণে তা আজ হয়ে উঠেছে ‘মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা’।

কোম্পানিটি চালু হয়েছিল ১৯৪৫ সালে। পাঞ্জাবের লুধিয়ানাতে কে.সি মাহিন্দ্রা, জে.সি মাহিন্দ্রা আর মালিক গুলাম মুহাম্মদ ইস্পাত কারখানা হিসেবে এই কোম্পানির পত্তন করেন।

‘মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা’র চেয়ারম্যান কেশব মাহিন্দ্রা বলছিলেন, “কে.সি মাহিন্দ্রা আর জে.সি মাহিন্দ্রা মি: গুলাম মুহাম্মদকে কোম্পানির অংশীদার বানিয়েছিলেন, কারণ তারা হিন্দু-মুসলমান ঐক্যের একটা বার্তা পৌঁছে দেবে সবার কাছে। সংস্থায় মুহাম্মদের অংশীদারিত্ব কমই ছিল, কিন্তু তা স্বত্ত্বেও তাঁর নামটা কোম্পানিতে ব্যবহার করা হয়েছিল।”

দেশভাগের একদম ঠিক আগে যখন পাকিস্তানের দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে, তখনও গুলাম মুহাম্মদ আর মাহিন্দ্রা পরিবারের মধ্যে বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে। ব্যবসাও ভালোই চলছে তখন।

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পরে মালিক গুলাম মুহাম্মদ পাকিস্তানে চলে গেলেন। তিনি সেদেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী হয়েছিলেন। দেশ যখন ভাগ হল, তখন ব্যবসাও ভাগ হয়ে গেল।

১৯৪৮ সালে ‘মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মুহাম্মদ’ নাম পাল্টে করা হলো ‘মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা’। গুলাম মুহাম্মদ নিজের অংশীদারিত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন তখন। তবে দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক দেশভাগের পরেও অটুট ছিল। শুধু ব্যবসাই আলাদা হয়ে গিয়েছিল।

কেশব মাহিন্দ্রার কথায়, “মালিক গুলাম মুহাম্মদ যখন পাকিস্তানে চলে গেলেন, তখন আমাদের পরিবারের সবাই খুব অবাক হয়েছিলাম। এটাও খারাপ লেগেছিল যে উনি আগে থেকে আমাদের পরিবারকে কিছু জানাননি যে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।”

১৯৫১ সালে মালিক গুলাম মুহাম্মদ পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল হয়েছিলেন। ব্যবসা আলাদা হয়ে গেলেও মাহিন্দ্রা পরিবারের সঙ্গে পুরনো সম্পর্কটা তিনি ভোলেননি। ১৯৫৫ সালে দিল্লির রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রথম সামরিক প্যারেডে প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন।

“গুলাম মুহাম্মদ দিল্লিতে এসে প্রথম ফোনটা করেছিলেন আমার ঠাকুমাকে। দুই পরিবারের বন্ধুত্বটা আগের মতোই রয়ে গেছে,” বলছিলেন কেশব মাহিন্দ্রা।

সূত্র : বিবিসি

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

আইন অমান্য করায় তিন কোম্পানিকে জরিমানা করলো বিএসইসি

bsecনিজস্ব প্রতিবেদক :

আইন অমান্য করায় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানিকে জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- বিএসইসি।

কোম্পানি তিনটি হচ্ছে ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স, রাজপিট ডেটা ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনস এবং অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

বৃহস্পতিবার কমিশনের ৬০৯তম সভায় এ জরিমানা করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স :

কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ প্রত্যেক পরিচালককে (স্বতন্ত্র ও মনোনীত ব্যক্তি ছাড়া) ২ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

কোম্পানিটি ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিংয়ের ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়ে মাত্র ৩ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ শেয়ার কেনে। এতে কোম্পানিটি সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন বিধিমালা ২০০২ এর বিধি ৭ পরিপালন করেনি।

কোম্পানিটি শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়ে সম্পূর্ণ শেয়ার না কেনায় সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ধারা ১৮ ভঙ্গ করেছে, যা মিথ্যা তথ্যের শামিল।

এ পরিমাণ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেওয়ায় কোম্পানির শেয়ার দর ১৫ শতাংশ বেড়ে যায়। এতে অন্য বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনতে উৎসাহিত হয়। এর ফলে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ধারা ১৭ ভঙ্গ হয়।

এছাড়া শেয়ার কেনার বিষয়টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এটাকে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আকারে প্রকাশ করা হয়নি।

এসব কারণে কোম্পানির প্রত্যেক পরিচালককে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

রাজপিট ডেটা ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনস :

ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের কোম্পানি রাজপিট ডাটা ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ প্রত্যেক পরিচালককে (স্বতন্ত্র ও মনোনিত ব্যতীত) এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে বিএসইসি।

কোম্পানিটি ৩০ জুন, ২০১৫ শেষ হওয়া নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন দাখিলে ব্যর্থ হয়েছে। একইসঙ্গে কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন দাখিলে ব্যর্থ হয়। এর মাধ্যমে কোম্পানিটির পরিচালকরা বিএসইসির আইন লঙ্ঘন করেছেন।

আইন ভঙ্গের কারণে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ প্রত্যেক পরিচালককে এই জরিমানার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ :

বস্ত্রখাতের কোম্পানি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের এক সাবেক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীকে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

অলটেক্সের সাবেক ওই কর্মকর্তার নাম নজরুল ইসলাম। তিনি ২০০৪ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজে এবং ২০০৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অলটেক্স স্পিনিংয়ে সহকারী ব্যবস্থাপক ছিলেন।

তিনি স্ত্রী শামীমা নজরুলের নামে বিও হিসাব খুলে শেয়ার ব্যবসা করতেন। তারা অলটেক্সের অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ব্যবহার করে শেয়ার কেনাবেচা করেন।

অলটেক্সের শেয়ার কেনাবেচা করে নজরুল ইসলাম ৩১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৩৫ টাকা মুনাফা করেন।

অলটেক্সের ওই শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তিনি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ) বিধিমালা, ১৯৯৫ এর বিধি ৩ এর উপবিধি (১) লঙ্ঘন করেন।

সুবিধাভুগী লেনদেনের অপরাধে কমিশন নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শমীমা নজরুলকে ১০ লাখ টাকা করে মোট ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ