‘নগদ’ সার্ভিস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ce88d0ff137192d1f09086aa0601369e-5c9a32a4b2a64স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী এই সেবার উদ্বোধন করেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তৃণমূলের ব্যাংকিং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের বৈধ সুবিধা দিতে ডাক বিভাগ এই সার্ভিস চালু করেছে। এই সার্ভিসের মাধ্যমে যে কেউ কম খরচে দ্রুত ও নিরাপদে আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন।

ডাক বিভাগের সূত্রমতে, ‘নগদ’ আর্থিক সেবা হচ্ছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের একটি সম্প্রসারিত আর্থিক সেবা। যা বিভিন্ন ডিজিটাল চ্যানেল যেমন অ্যাপ, মোবাইল ফোন, এটিএম, পিওএস টার্মিনাল, এনএফসি-এনাবেল্ড ডিভাইস, চিপ, ইলেকট্রনিক্যাল এনাবেল্ড কার্ড, বায়োমেট্রিক ডিভাইস, ট্যাবলেট সহ অন্যান্য সব ডিজিটাল সিস্টেম এর মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে সক্ষম।
এ ছাড়া, ৬৬ শতাংশ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের আর্থিক মূলধারার সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যে ‘নগদ’ কাজ করবে।

উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মণ্ডল, নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভির এ মিশুক প্রমুখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

জুলাই থেকে সঞ্চয়পত্র কেনাবেচা অনলাইনে

soncoyস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সরকার আগামী অর্থবছর থেকে সারা দেশের সঞ্চয়পত্র কেনাবেচা কার্যক্রমকে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসবে। ১ জুলাই থেকে সঞ্চয়পত্রের আসল ও সুদ চলে যাবে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ গতকাল সোমবার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে, এমন সংস্থাগুলোকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দিয়েছে। সংস্থাগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এবং সোনালী ব্যাংক।

অর্থ বিভাগ ‘সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ: অগ্রাধিকার কার্যক্রমগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা’ শীর্ষক যে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে, তার আওতায় চলছে ‘জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্প অনলাইন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি’ নামের আরেকটি কর্মসূচি। এই কর্মসূচি সঞ্চয় প্রকল্পের সুদ ও আসলকে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কাজ করছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি মাসের মধ্যেই ঢাকা মহানগরীতে, আগামী এপ্রিলে বিভাগীয় শহরে এবং জুন মাসের মধ্যে দেশের সব স্থানে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ১ জুলাই থেকে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার আওতাবহির্ভূতভাবে কোনো সঞ্চয়পত্র লেনদেন করা যাবে না। তাই সংস্থাগুলোকে তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন দপ্তরে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।

এরই মধ্যে সঞ্চয়পত্র বিক্রির কার্যক্রমে পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন পদ্ধতি চালু হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখা, সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখা, জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের ব্যুরো অফিস (গুলিস্তান) এবং বাংলাদেশ ডাক বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে। অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন গত ৩ ফেব্রুয়ারি। সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের ৪২টি ব্যাচে ভাগ করে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। ইনস্টিটিউট অব পাবলিক ফিন্যান্সের (আইপিএফ) কম্পিউটার ল্যাবে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

জানা গেছে, সঞ্চয়পত্রের অনলাইন তথ্যভান্ডার তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে। তথ্যভান্ডারের কাজ শেষ হলে সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ই-টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) জমা দিতে হবে। নতুন ব্যবস্থায় ৫০ হাজার পর্যন্ত টাকা দিয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। এর বেশি হলেই তা পরিশোধ করতে হবে চেকের মাধ্যমে। সঞ্চয়কারীর ব্যাংক হিসাব নম্বর, মোবাইল নম্বরও দিতে হবে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর এবং অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে যাঁরা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করেছেন, তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ই-টিআইএনও জমা দিতে হবে। এ উদ্যোগের ফলে সঞ্চয়পত্রে প্রকৃত বিনিয়োগকারীরাই আসবে। চিহ্নিত করা যাবে তখন কালোটাকা বিনিয়োগকারীদেরও। সূত্র : প্রথম আলো

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

নতুন কোম্পানির লেনদেনের ১ম দিনে সার্কিট ব্রেকার প্রস্তাব

picture (1)স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আস্থাহীনতা ও তারল্য সংকটে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন চলছে। এই দরপতন ঠেকাতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্টরা।

এতে শেয়ারবাজার গতিশীল করতে বিদেশি বিনিয়োগ ও বহুজাতিক কম্পানি আনা, আইপিও কোটা বাতিল এবং নতুন কম্পানির শেয়ার লেনদেনে প্রথম দিন থেকে সার্কিট ব্রেকার আরোপ এবং স্পন্সর বা ডিরেক্টরদের শেয়ারে লক-ইন রাখা ও না রাখার বিষয়েও প্রস্তাব করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল সোমবার ডিএসইর চেয়ারম্যান ড. আবুল হাশেমের নেতৃত্বে পরিচালক শরীফ আতাউর রহমান, মিনহাজ মান্নান ইমন এবং এমডি কে এ এম মাজেদুর রহমান, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী এবং মার্চেন্ট ব্যাংক ও শীর্ষস্থানীয় ব্রোকার হাউসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্র জানায়, শেয়ারবাজারের পতনে তারল্য সংকট ও আস্থাহীনতা কাজ করছে বলে পর্ষদে আলোচনা হয়। তারল্য সংকটের কারণ হিসেবে প্লেসমেন্টে বাণিজ্য ও স্থায়ী আমানতে (এফডিআর) সুদের হার বৃদ্ধিকে দায়ী করা হয়। এ ছাড়া উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) দুর্বল কম্পানি ও নিরীক্ষকের দুর্বলতাকেও দায়ী করা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ব্রোকারেজ হাউসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, তারল্য সংকটে মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে কোনো টাকা না থাকায় শেয়ার কিনতে পারছেন না। লক-ইন ফ্রি হওয়ায় উদ্যোক্তা-পরিচালকরা শেয়ার বিক্রি করে টাকা উঠিয়ে নিচ্ছে। এ জন্য উদ্যোক্তাদের শেয়ারের লক-ইন ফ্রি ও তিন বছর রাখার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘সম্প্রতি বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি. কম/

সাবেক জিএম-ডিজিএমসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

dudokস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সোনালী ব্যাংকের ৩৮ কোটি টাকারও বেশি আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ব্যাংকটির সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম), উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এবং ব্যবসায়ীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার কমিশনের সভায় এ অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়।

জানা গেছে, শিগগির আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেবেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কালিয়কৈর থানায় এ ঘটনায় মামলা হয়। মামলায় আসামি করা হয় ফেয়ার কেমিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম, পরিচালক ফাতেমা ইসলাম এবং লালবাগের বাকের হোসেন, জামির হোসেন, জরিনা আক্তার ও ওমর ফারুককে। তদন্ত শেষে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল স্থানীয় কার্যালয়ের সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক ও ডিজিএম শওকত আলী, ডিজিএম আবদুল কাদির খান, সাবেক গোডাউন কিপার কাম ক্লার্ক, বর্তমানে কৃষিভিত্তিক প্রকল্প অর্থায়ন বিভাগের কর্মকর্তা আবদুল মতিন, ফেয়ার কেমিক্যালসের সাবেক গোডাউন চৌকিদার, বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের সাপোর্টিং স্টাফ মো. সরওয়ার্দি, কালিয়াকৈর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মো. সানোয়ার হোসেন এবং মো. আবদুল ওহাবকে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম।