ডিএসই’র পিই রেশিও কমেছে ১.৭৩ শতাংশ

PEনিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক (১৪-১৮ মে) লেনদেনে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে ১.৭৩ শতাংশ। ডিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বর্তমানে ডিএসই’র পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৫.৩০ পয়েন্টে। যা গত সপ্তাহের শুরুতে ছিল ১৫.৫৭ পয়েন্ট। অর্থাৎ পিই কমেছে ০.২৭ পয়েন্ট বা ১.৭৩ শতাংশ।

বর্তমানে খাতভিত্তিক হিসাবে ব্যাংকিং খাতের পিই অবস্থান করছে ৯.৩৪ পয়েন্টে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৮.৯১, প্রকৌশল খাতে ২২.৪৪, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ২০.০৮, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১৩.২০, বস্ত্র খাতে ১৮.৮০, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৯.৫৪, ভ্রমণ ও অবকাশ খাত ২৭.৬৯, সেবা ও আবাসন খাতে ১৩.৩১, সিমেন্ট খাতে ৩১.১৬, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২৮.৬৬, ট্যানারী খাতে ২৫.১৩, সিরামিকস খাতে ২৭.১৫, বীমা খাতে ১৪.৯৪, বিবিধ খাতে ২৭.০৭ ও টেলিযোগাযোগ খাতে ১৭.৬৪ পয়েন্টে রয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

ডিএসইতে কমেছে সূচক, লেনদেন, মূলধন ও দর

dseনিজস্ব প্রতিবেদক :

সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব সূচকে পতন হয়েছে। এ সময় লেনদেন, বাজার মূলধন ও অধিকাংশ কোম্পানির দরও কমেছে। ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ সময় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৭ পয়েন্ট বা ১.৭৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৪০০ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক ১৮ পয়েন্ট বা ১.৪৩ শতাংশ ও ডিএসই ৩০ সূচক ৩২ পয়েন্ট বা ১.৫৯ শতাংশ কমেছে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইএক্স ৪৫ পয়েন্ট বা ০.৮০ শতাংশ কমেছিল।

গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে মোট ২ হাজার ৯৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকার বা দৈনিক গড় ৫৯৪ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা এর আগের সপ্তাহে ৪ কার্যদিবসে মোট ২ হাজার ৮৩১ কোটি ২৯ লাখ টাকার বা দৈনিক গড় ৭০৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের তুলনায় মোট হিসাবে ৪.৯২ শতাংশ লেনদেন বাড়লেও দৈনিক গড় হিসাবে কমেছে ১৬.০৭ শতাংশ।

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯৩.১৪ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৩.৬৮ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১.৯৫ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১.২৩ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে হয়েছে।

সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৭২ হাজার ৪১০ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকায়। অর্থাৎ গত সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ১.৩৩ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৩১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৩টি বা ৩১.১২ শতাংশ কোম্পানির। আর দর কমেছে ২০২টি বা ৬১.০৩ শতাংশ কোম্পানির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টি বা ৭.৮৫ শতাংশ কোম্পানির।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

পাঁচ মাসে নতুন বিও হিসাব বেড়েছে ৫৬ হাজার

cdblনিজস্ব প্রতিবেদক :

চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে প্রায় ৫৬ হাজার নতুন বিনিয়োগকারী দেশের শেয়ারবাজারে প্রবেশ করেছেন। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেকেন্ডারি মার্কেটে মুনাফা না থাকায় প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ারে কিছুটা মুনাফা হবে এমন প্রত্যাশায় বেশকিছু বিনিয়োগকারী নতুন করে বেনিফিশিয়ারি এ্যাকাউন্ট (বিও) খুলেছেন। তবে একের পর এক উদ্যোগ নেয়ার পরও বাজার ঘুরে না দাঁড়ানোয় বেশ হতাশ এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই।

এদিকে, বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী আকৃষ্ট করতে এবং শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে বাজারে নতুন নতুন ফান্ডের যোগান বৃদ্ধির আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে শেয়ারবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, দরপতনের বাজারেও এক শ্রেণীর সুবিধাভোগী মুনাফা তুলে নিচ্ছেন। এদের ঠেকাতে না পারলে বাজার ভাল হবে না। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ১ জানুয়ারি ২০১৬ থেকে ১৫ মে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সরকারী ছুটি বাদে মোট ৯৬ কার্যদিবস শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬১ কার্যদিবস উভয় বাজারে দরপতন হয়েছে। এতে হাজার হাজার কোটি টাকার মূলধন হারিয়েছে বাজার।

বাজারের এ অবস্থা দেখে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ না করে আইপিওতে বেশকিছু বিনিয়োগকারী বিও হিসাব খুলেছেন। সিডিবিএলের তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৫৫ হাজার ৮৩৭ বিও হিসাব খোলায় এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ ২২ হাজার ৮৯টিতে।

২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সংখ্যা ছিল ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ২৫২টি। এদিকে বাজার সম্প্রসারণের পাশাপাশি বিনিয়োগকারী বাড়াতে বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ (বিএসইসি) বাজার সংশ্লিষ্টরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ