নিজস্ব প্রতিবেদক :
পুঞ্জীভূত লোকসান নিয়ে কোনো কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারবে না। বুকবিল্ডিং পদ্ধতিই হোক আর স্থির দর পদ্ধতিই হোক পুঞ্জীভূত লোকসান নিয়ে পাবলিক অফারিংয়ের ক্ষেত্রে আসা যাবে না। এ বিধান রেখে জনমত যাচাইয়ের জন্য পাবলিক ইস্যু রুলস প্রকাশ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিশনের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হয়েছে।
এ খসড়া রুলের উপর আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংশ্লিষ্টরা মতামত দিতে পারবেন। সংশ্লিষ্টদের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিবর্তন বা পরিমার্জন সাপেক্ষে রুলটি চূড়ান্ত করবে বিএসইসি। এরপর এটি প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে।
খসড়া রুলসে বলা হয়েছে, প্রিমিয়ামে কোনো কোম্পানি শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে চাইলে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে আবেদন করতে হবে। শুধু অভিহিত মূল্যে অর্থ সংগ্রহের জন্য স্থির দর পদ্ধতিতে আবেদন করা যাবে। পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ অথবা অভিহিত মূল্যে ১৫ কোটি টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ পরিমাণ হবে সে পরিমাণ অথবা পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা রয়েছে সে কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার ছাড়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।
আইপিওতে আরও যেসব শর্ত রয়েছে সেগুলো হলো- বিএসইসির অডিটর প্যানেল দ্বারা আর্থিক প্রতিবেদন নীরিক্ষা করতে হবে, নিয়মিত সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হতে হবে, করপোরেট গভর্ন্যান্স গাইড লাইন পরিপালন করতে হবে, পুঞ্জীভূত লোকসান থাকতে পারবে না এবং সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে কমিশনের গাইড লাইন অনুযায়ী।
স্থির দর পদ্ধতিতে আবেদনের ক্ষেত্রে আরও যেসব শর্ত পূরণ করতে হবে তার মধ্যে রয়েছে কোম্পানির নীট গ্রোথ পজেটিভ হতে হবে, কমপক্ষে ৩৫ শতাংশ শেয়ার অবলেখকদের গ্রহণের নিশ্চয়তা দিতে হবে। আর বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে আবেদনের জন্য পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে কমপক্ষে ১৫০ শতাংশ সম্পদমূল্য থাকতে হবে।
আবেদনের আগে ৩ বছর ধরে কোম্পানি বাণিজ্যিক উত্পাদনে থাকতে হবে। কমপক্ষে দুই বছরে কোম্পানি মুনাফার প্রবণতায় থাকতে হবে। কমপক্ষে পূর্ববর্তী ২ বছরে নীট কারেন্ট অ্যাসেট এবং নীট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পজেটিভ হতে হবে।
খসড়া পাবলিক ইস্যু রুলসে বলা হয়েছে, স্থির দর পদ্ধতির ক্ষেত্রে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের ৫০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য ও ৫০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষণের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারিত কোটার শেয়ার সর্বনিম্ন যে দরে বিডিং শেষ করবে সেটি হবে কোম্পানির ‘কাট অফ প্রাইস’। কাট অব প্রাইসের চেয়ে ১০ শতাংশ কম দরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) শেয়ারের বরাদ্দ মূল্য নির্ধারিত হবে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ‘কাট অব প্রাইসে’ কোটা অনুযায়ী আনুপাতিক হারে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে।