বাংলাদেশে শাখা খুলতে চায় রাশিয়ার ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

রাশিয়ার বৃহত্তম ঋণদাতা ব্যাংক ‘এসবার ব্যাংক’ বাংলাদেশে তাদের শাখা খুলতে চায়। এ জন্য ব্যাংকটি ইতিমধ্যে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সভাও করেছে। খবর রয়টার্সের।

এসবার ব্যাংক জানিয়েছে, রাশিয়ান ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে এশিয়া অঞ্চলে নজর দিচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে—এমন রাশিয়ান গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা দিতে সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে তারা (এসবার ব্যাংক)।

গত বুধবার বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এ প্রতিবেদনে বলেছে, ইতিমধ্যে বাংলাদেশে শাখা স্থাপনের বিষয়ে রাশিয়ার ব্যাংকটির প্রতিনিধিরা ঢাকা ঘুরে গেছেন। তাঁরা বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করেছেন। সব মিলিয়ে দুই দফা বৈঠক হয়েছে—এমন তথ্য দিয়েছে রয়টার্স।

ব্যাংকটির নির্বাহী বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারম্যান আনাতলি পোপভ বলেছেন, বাংলাদেশি কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন—এমন রাশিয়ান গ্রাহকদের অনুরোধে এসবার ব্যাংক ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার সম্ভাবনাগুলো খুঁজে দেখছে।

ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। গত মাসে ইউরোপের বাজার থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে এসবার ব্যাংক। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যও টিকে থাকতে অনেক রাশিয়ান কোম্পানির মতো এসবার ব্যাংকও ব্যবসা সম্প্রসারণে এশিয়ার দিকে নজর দিয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি কমলেও কমছে না বাংলাদেশে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনা ও যুদ্ধ পরিস্থিতি কিছুটা সামলে উঠেছে বিশ্ব। দেশে দেশে কমতে শুরু করেছে মূল্যস্ফীতি। বিশ্বব্যাংক বলছে, সম্প্রতি সময়ে কৃষি ও খাদ্যশস্যের দাম ৪ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। অধিকাংশ দেশ সুফল পেলেও বাংলাদেশে এখনো তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, দেশের মূল্যস্ফীতি মে মাসের ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ থেকে কমে জুনে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে এসেছে, যা এখনো গেল এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ছাড়া প্রায় সব দেশেই খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমছে। এমনকি বাংলাদেশ যেসব দেশ থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি করে থাকে, সেসব দেশেও মূল্যস্ফীতি কমের দিকে।

প্রতিবেশী দেশ ভারতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৪ শতাংশের মূল্যস্ফীতি চলতি বছরের মে মাসে এসে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ভুটানে গত বছর জুলাইয়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশের মূল্যস্ফীতি এ বছর মে মাসে আগের মাসের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশে অবস্থান করছে। নেপালে গত সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ২ শতাংশ থেকে এ বছর মে মাসে সাড়ে ৫ শতাংশে এসেছে।

মালদ্বীপে গত বছরের জুলাইয়ে ৬ শতাংশের মূল্যস্ফীতি এখন ৪ দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে। বিশেষ করে ব্যাপক আলোচনায় থাকা দেউলিয়া দেশ শ্রীলঙ্কায়ও মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। গত বছর আগস্টে সর্বোচ্চ ৮৫ দশমিক ৮ শতাংশে উঠে যাওয়া সূচকটি গেল জুনে ৪ দশমিক ১ শতাংশে এসেছে।

এদিকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তানে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার গত বছরের জুলাইয়ে ছিল ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ। গত মে মাসে এ সূচক বেড়ে ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশে এসে জুনে সামান্য কমে ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে পিই রেশিও বেড়েছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১৬ থেকে ২০ জুলাই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.০৫ শতাংশ।

ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৪.৩১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৪.৪৬ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০.১৫ পয়েন্ট বা ১.০৫ শতাংশ বেড়েছে।

এর আগের সপ্তাহের শুরুতে (৯ থেকে ১৩ জুলাই) ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৪.৩১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৪.৩১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও অপরিবর্তীত ছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

সিএসই-৩০ ইনডেক্সে নতুন ১৪ কোম্পানি, বাদ ১৪টি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সিএসইর তালিকাভুক্ত কোম্পানীগুলোর পারফরমেন্স পর্যালোচনার ভিত্তিতে সিএসই-৩০ ইনডেক্স সমন্বয় করা হয়েছে। এতে নতুন করে ১৪টি কোম্পানীকে যুক্ত করা হয়েছে এবং পূর্বের ১৪টি কোম্পানীকে বাদ দেয়া হয়েছে। এটি আগামী ২৭ জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে।

নতুন করে যুক্ত কোম্পানীগুলো হলো এপেক্স ফুডস লিমিটেড, এপেক্স ফুটওয়ার লিমিটেড, এশিয়া ইন্সুরেন্স লিমিটেড, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লি, এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যাংক অফ বিডি লি, গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক পিএলসি, জিপিএইচ ইস্পাত লি, ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, লাফাজ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড, ন্যাশনাল হাউজিং ফিনান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লি, সামিট এলিয়েন্স পোর্ট লিমিটেড, ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড এবং ইউনিক হোটেল এন্ড রিসোর্টস লিমিটেড ।

ইনডেক্স থেকে বাদ যাওয়া কোম্পানীগুলো হল- বাংলাদেশ স্টিল রিরোলিং মিলন লিমিটেড, এসআরএম স্টিল স্লিমিটেড, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফিন কর্পোলি, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, ডোরিন পাওয়ার জেনারেশনস এন্ড সিস্টেমস লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, আইডিএলসি ফাইনান্স লিমিটেড, যমুনা ব্যাংক লিমিটেড, মতিন স্পিনিং মিলস পিএলসি, এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, স্কয়ার টেক্সটাইলস পিএলসি এবং সামিট পাওয়ার লিমিটেড।

সিএসই-৩০ ইনডেক্স-এ অর্ন্তভুক্ত কোম্পানীগুলোর মূলধন বাজারের মোট নিবন্ধিত কোম্পানীগুলোর মূলধনের শতকরা প্রায় ২৫.৮৮ শতাংশ এবং ফ্রি-ফ্লোট বাজার মূলধনসহ সকল নিবন্ধিত কোম্পানীগুলোর ফ্রি-ফ্লোট বাজার মূলধনের শতকরা প্রায় ৩৩.২১ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রাজু

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ফু-ওয়াং ফুডস; ২য় রংপুর ডেইরী

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ৩১০ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা রংপুর ডেইরী এন্ড ফুড প্রোডাক্টসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭৬ কোটি ৮০ লাখ টাকার।

খান ব্রাদার্স পি.পি. ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজের ১৫১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- লূব-রেফ বিডির ১৪৭ কোটি ৭৯ লাখ, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার ১২৫ কোটি ৯৯ লাখ, ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির ১০৬ কোটি ১৭ লাখ, এসোসিয়েটেডে অক্সিজেনের ৯৬ কোটি ৭৯ লাখ, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৯০ কোটি ৫৩ লাখ, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৮৬ কোটি ৮৮ লাখ ও লাফার্জ হোলসিম বিডি লিমিটেডের ৮৬ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রাজু

ডিএসইতে ৫ দিনে মূলধন বেড়েছে ২৬০০ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বেড়েছে। এই সপ্তাহে সেখানে মোট লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে ১১.২৩ শতাংশ বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৫ দিনে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ২৫৭ কোটি টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ১১.২৩ শতাংশ বেড়েছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে দিনের গড় লেনদেন ৯৪৭ কোটি ৮ লাখ টাকার হয়েছে। আগের সপ্তাহে এই লেনদেন হয়েছিল ৮৫১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে প্রতিদিনের গড় লেনদেন ১১.২৩ শতাংশ বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৪.৫১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ০.২৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২১৯৬ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ৩.৭৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৮৩ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৪০৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১১৮টির, কমেছে ২৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯৭টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৯টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা। এই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ২৬০০কোটি টাকা বা ০.৩৪ শতাংশ বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রাজু