ভ্যাট আদায়ে মোবাইল অ্যাপস চালুর প্রস্তাব দিলো ডিসিসিআই

dcciনিজস্ব প্রতিবেদক :

ভ্যাট আদায়ে মোবাইল অ্যাপস চালুর প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি (ডিসিসিআই) আবুল কাসেম খান। তিনি বলেন, ‘ইসিআর মেশিনের বিকল্প হিসেবে মোবাইল অ্যাপস চালু করলে ভ্যাট আদায় সহজ হবে।’ শনিবার ডিসিসিআই আয়োজিত ‘আয়কর ও ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স (ভ্যাট)’ বিষয়ক ওয়ার্কশপে তিনি এই প্রস্তাব করেন।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘ঢাকা চেম্বার মনে করে প্রস্তাবিত ভ্যাট আইনে ভ্যাটের হার ৭% করা প্রয়োজন, তাহলে পণ্য-দ্রব্যের দাম কমবে ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে।’ তিনি বলেন, ‘আয়কর ও ভ্যাটের হার কমানো হলে, দেশে আরওও বেশি বিনিয়োগের ব্যবসায়ী সমাজ উৎসাহিত হবেন।’ এ সময় তিনি সেরা ভ্যাটদাতাদের স্বীকৃতি দিতে ‘ভ্যাট কার্ড’ চালুর প্রস্তাব করেন।

কর্মশালায় মো. নজিবুর রহমান বলেন, ‘ডিসিসিআই-এর প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতেই এনবিআর সেরা করদাতাদের মাঝে ট্যাক্স কার্ড দিচ্ছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘দেশে একটি বিনিয়োগ ও ব্যবসাবান্ধব কর ব্যবস্থাপনা চালুর জন্য এনবিআর সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে।’

এনবিআর চেয়ারম্যান ঢাকা চেম্বার প্রস্তাবিত ভ্যাট বিষয়ক মোবাইল অ্যাপস চালুর বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিবেচনা করবে বলেও আশ্বাস দেন। পাশপাশি তিনি এ বিষয়ে ঢাকা চেম্বারের পাশপাশি মোবাইল ফোন কোম্পানি, বেসিস, সরকারের তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রালয় ও এটুআই প্রকল্প একযোগে কাজ করার প্রস্তাব করেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এর সদস্য ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিদ্যমান ভ্যাট আইনে নানাবিধ অসঙ্গতি রয়েছে, তবে প্রস্তাবিত ভ্যাট আইনে এ ধরনের অসঙ্গতি দূর করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘নতুন ভ্যাট আইনটি সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে সহায়তা করবে।’

ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, এফসিএ, সহ-সভাপতি হোসেন এ সিকদার, পরিচালক হোসেন আকতার, ইমরান আহমেদ, মো. আলাউদ্দিন মালিক, রিয়াদ হোসেন, সেলিম আকতার খান, প্রাক্তন সহ-সভাপতি আবসার করিম চৌধুরী, এম আবু হোরায়রাহ্ ও মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস বেড়েছে ১৪৫ শতাংশ

prime-insurance-logo-mm-230x155স্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারী-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রান্তিকে বিমাটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১৪৫ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

কোম্পানি সূত্রে আরো জানা যায়, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে বিমাটির ইপিএস হয়েছে ০.৭৬ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৩১ টাকা। প্রথম প্রান্তিকে বিমাটির ইপিএস গত বছরের তুলনায় ১৪৫ শতাংশ বেড়েছে।

একই সময় শেয়ার প্রতি কার্যকর নগদ অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৮৪.০৯ টাকা। এছাড়া একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৫.৮৫ টাকা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ১৭.৭৩ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/কেএস

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রবাসী আয়ে ধস : বিশ্ব ব্যাংক

worldনিজস্ব প্রতিবেদক :

পর পর দুই বছর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রবাসী আয়ের প্রবাহে ধস নেমেছে, যে প্রবণতা গত তিন দশকে দেখা যায়নি বলে বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্ব ব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠক চলাকালে বৃহস্পতিবার অভিবাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক হালনাগাদ ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

বিশ্ব ব্যাংকের প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০১৬ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ আগের বছরের চেয়ে ২ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ৪২ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে নেমেছে। ২০১৫ সালে এই দেশগুলোর রেমিটেন্স আয় ছিল ৪৪ হাজার কোটি ডলার।

ভূ-মধ্যসাগরীয় দেশগুলো ও রুশ ফেডারেশনে তেলের দরপতন ও দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে দক্ষিণএশিয়া ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। পাশাপাশি ইউরোপে দুর্বল প্রবৃদ্ধির কারণে আফ্রিকার উত্তর ও সাহারা মরু অঞ্চলের দেশগুলোর প্রবাসী আয় কমেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ডলারের হিসাবে এই রেমিটেন্সের ধস আরও বাজে পরিস্থিতিতে যখন তা তুলনামূলক দুর্বল ইউরো, ব্রিটিশ পাউন্ড ও রুশ রুবলের সঙ্গে বিনিময় করা হয়।

এর ফলে ব্যাপক প্রবাসী আয় অর্জনকারী দেশগুলোতে রেমিটেন্স প্রবাহে মারাত্মক পতন দেখা গেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেমিটেন্সগ্রহীতার অবস্থান ধরে রেখেও ভারতের প্রবাসী আয় গতবছর ৮ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ৬ হাজার ২৭০ কোটি ডলারে নেমেছে। ২০১৫ সালে এই আয় ছিল ৬ হাজার ৮৯০ কোটি ডলার।

অন্য শীর্ষ রেমিটেন্সগ্রহীতা দেশগুলোর মধ্যে গত বছর বাংলাদেশের প্রবাসী আয় ১১ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রবাহে ২ দশমিক ৪ শতাংশ হারে বাড়তে পারে বলে প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

রেমিটেন্স প্রবাহের ধারাবাহিক পতনে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি কয়েক দফায় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে; কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুটি প্রতিনিধি দল মধ্যপ্রাচ্য,সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় সরেজমিনে তদন্তে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

নূরানী ডায়িংয়ের আইপিও আবেদনের লটারি ২ মে

nuraniনিজস্ব প্রতিবেদক :

নূরানী ডায়িং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) লটারি ড্র আগামী ২ মে অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

কোম্পানিটি জানায়, এদিন সকাল সাড়ে ১০ টায় রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এই লটারি ড্র অনুষ্ঠিত হবে।

কোম্পানিটির আইপিও আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ১২০০ কোটি টাকার। অন্যদিকে কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে ৪৩ কোটি টাকা তুলবে। এহিসাবে আবেদন জমা পড়েছে মোট চাহিদার ২৭.৯০ গুণ। আবেদনকৃতদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে শেয়ার বন্টন করা হবে।

কোম্পানিটির আইপিও আবেদন গ্রহণ শুরু হয় গত ২ এপ্রিল। পরে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা এ আবেদন জমা দেয়।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি কমিশনের ৫৯৭তম সভায় নূরানী ডায়িং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেডকে আইপিও অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৪ কোটি ৩০ লাখ শেয়ার ছেড়ে মোট ৪৩ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।

কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস, ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল ও সিএপিএম অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস।

আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত এ অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ, ভবন নিমার্ণ ও ঋণ পরিশোধ করবে।

গত ৫ হিসাব বছরে কোম্পানিটির গড়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৭৯ পয়সা। আর ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্যের পরিমাণ (এনএভি) ১৪ টাকা ৩৭ পয়সা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

ডিএসইতে বাজারমূলধন কমেছে ১১ হাজার কোটি টাকা

dseনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে গত ১১ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজারমূলধন কমেছে ১১ হাজার কোটি টাকা। এ সময়ে মূল্যসূচক কমেছে ২৫৬ পয়েন্ট। লেনদেন প্রায় অর্ধেক কমে ৫শ’ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রাসী বাণিজ্যের কারণে বাজারে টানা দরপতন চলছে।

আলোচ্য সময়ে ডিএসইর বাজারমূলধন ৩ লাখ ৮৪ হাজার কোটি টাকা থেকে কমে ৩ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে।

এদিকে গত সপ্তাহে ৩ হাজার ৪৩২ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার। যা এর আগের সপ্তাহে ছিলো ৩ হাজার ৫৯৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার। সেই হিসাবে আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ১৬০ কোটি ৪১ লাখ টাকা বা ৪.৪৬ শতাংশ।

একই সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে দশমিক ৯৪ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৫৫ শতাংশ।

ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ২ দশমিক ২০ শতাংশ বা ১২৪.২০ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক কমেছে ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ বা ৩৬.৯০ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ বা ২২.৬৪ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৬টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ২৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ