ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে দশমিক ১৫ পয়েন্ট

PEনিজস্ব প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আগের সপ্তাহের চেয়ে পিই রেশিও কমেছে দশমিক ১৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৩ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৫ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৬ দশমিক ১৪ পয়েন্ট।

সপ্তাহ শেষে খাতভিত্তিক ট্রেইলিং পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৯ দশমিক ৫ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩০ দশমিক ৩ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২১ দশমিক ৮ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২২ দশমিক ৯ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ২৬ দশমিক ৪ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১৩ দশমিক ৯ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১৫ দশমিক ৭ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ২৬ দশমিক ৬ পয়েন্টে।

এছাড়া পাট খাতের পিই রেশিও মাইনাস ১৫ দশমিক ৪ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৩১ দশমিক ৪ পয়েন্টে, এনবিএফআই খাতে ৩১ দশিমক ৭ পয়েন্ট, কাগজ খাতের মাইনাস ১০৯ দশমিক ৮ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯ দশমিক ৪ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২৩ দশমিক ৬ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ২৪ দশমিক ২ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৯ দশমিক ৬ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ২৪ দশমিক ৬ পয়েন্টে এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

২০১৬ সালে আইপিওর অনুমোদন কমার কারণ জানতে চায় আইএমএফ

bsecনিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে ২০১৬ সালে আইপিওর অনুমোদনের মাধ্যমে কোম্পানি তালিকাভুক্তির হার কমার কারণ জানতে চেয়েছে উন্নয়ন সহযোগী আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিএসইসি ভবনে আইএমএফের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কমিশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। এ সময় বিএসইসির পক্ষ থেকে দেশের শেয়ারবাজারে বিভিন্ন সংস্কার ও অগ্রগতির পাশাপাশি গেল বছরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) হ্রাসের কারণ তুলে ধরা হয়। বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা সম্পর্কেও আইএমএফের প্রতিনিধি দলকে অবহিত করা হয় বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আইএমএফের প্রতিনিধি দল বিএসইসির কাছে গত বছর আইপিও প্রবাহ হ্রাসের কারণ জানতে চায়। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলসের কারণে যেসব কোম্পানি পুরনো নিয়মে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় ছিল, সেগুলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন করে আবেদন করতে হয়েছে। তাছাড়া সংশোধিত আইনে আরো বেশি ডিসক্লোজার সংযোজন করার বাধ্যবাধকতা যোগ হওয়ায় এগুলো পরিপালনে কোম্পানি ও ইস্যু ম্যানেজারদের কিছুটা সময় লেগেছে।

গত বছর মূলত এ কারণেই কোম্পানির তালিকাভুক্তি কিছুটা কমে গেছে। তবে আইপিওতে তালিকাভুক্তির হার কমলেও প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন সরবরাহের প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল বলে প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেছে কমিশন।

শেয়ারবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিএসইসির ভূমিকা তুলে ধরতে প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়, বিভিন্ন ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বর্তমানে শেয়ারবাজার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। বাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বিগত কয়েক বছরে বেশকিছু সংস্কার করা হয়েছে।

বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান জানান, শনিবার আইএমএফের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কমিশনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে। এ সময় তারা জানতে চেয়েছে, ২০১৬ সালে আইপিওতে কোম্পানির তালিকাভুক্তি কেন কমে গেছে। আমরা বলেছি পাবলিক ইস্যু রুলস সংশোধনের ফলে নতুন করে আবার আবেদন করার বাধ্যবাধকতা থাকায় গত বছর আইপিও কিছুটা কম হয়েছে। তাছাড়া বাজারের উন্নয়নে আমাদের মাস্টারপ্ল্যানের বিষয়েও প্রতিনিধি দলটি জানতে চেয়েছে। আমরা তাদেরকে বিগত সময়ে বাজার উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেছি।

উল্লেখ্য, আইএমএফের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান ব্রায়ান অ্যাটকিন, জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জিরি জোনাস এবং বাংলাদেশে আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেলা কায়েন্দেরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

৪ দিনে বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার কোটি টাকা

DSE_CSE-smbdনিজস্ব প্রতিবেদক :

টানা চতুর্থ দিনে দেশের দুই শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক কমছে। সূচক কমার সঙ্গে কমছে দিনের লেনদেন ও শেয়ার হাতবদলের সংখ্যাও। চার দিনের মূল্য সংশোধনের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। আর চার দিনে শেয়ার হাতবদল কমেছে ১৫ কোটি ৮৮ লাখ। আর চলতি মাসের প্রথম দুই দিনে শেয়ার হাতবদলের সংখ্যা কমেছে প্রায় ১০ কোটি।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই শেয়ারবাজারে সূচক কমছে। সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চার কার্যদিবসে প্রথম দুই দিন সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছিল। তবে শেষ দুই দিন সূচক কমার সঙ্গে কমেছে লেনদেনও। যদিও এর আগে কয়েক দিন ধারাবাহিক উত্থানে লেনদেন হাজার কোটি টাকা পার হয়েছিল। শেষ দুই দিনে লেনদেন হয়েছে হাজার কোটি টাকার নিচে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই বাজার সংশোধন হচ্ছে। এ সময়ে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলেছে। এ জন্য বাজারে শেয়ারের চাহিদার চেয়ে জোগান বেশি হওয়ায় কম্পানির শেয়ার দাম কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে বাজার মূলধনও। গত ফেব্রুয়ারিতে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৭৫ হাজার ৭৬০ কোটি পাঁচ লাখ টাকা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার এই মূলধন দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৭২ হাজার ৯০৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। সেই হিসেবে বাজার মূলধন কমেছে দুই হাজার ৮৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে পাঁচ হাজার ৩৫৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। যা এর আগের সপ্তাহে ছিল পাঁচ হাজার ১৭৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সেই হিসাবে আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ১৮৫ কোটি টাকা বা ৩.৫৮ শতাংশ।

সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ৪১ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১ শতাংশ।

ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ৩৮ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৭৪ শতাংশ বা ১৫ দশমিক ১৬ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে দশমিক ৪২ শতাংশ বা ৫ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৩টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৯৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। আর লেনদেন হয়নি একটি কোম্পানির শেয়ার।

এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৩৪০ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার। তবে সার্বিক সূচক কমেছে দশমিক ৬৬ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৮৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ