বিশেষ প্রতিবেদক :
হ্যাকারদের আক্রমণের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক ও ব্যাংকিং খাত। এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। এ জন্য দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত সবাইকে সাইবার আক্রমণের ধরণ সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। এ হামলা প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত থাকাও জরুরি।
রবিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) এবং ট্রান্স আইটি সলিউশনের যৌথ উদ্যোগে মিরপুর বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘ব্যাংকের তথ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি প্রস্তুতি’ শীর্ষক কর্মশালার মূল প্রবন্ধে এ সব কথা বলা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলায় এবং নিরাপদ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ব্যাংকের সকল কর্মীদের সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। সাইবার নিরাপত্তা বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান আইটি কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে। একইসঙ্গে আইটি নিরাপত্তা বিষয়ে একটি গাইড লাইনও প্রস্তুত করেছে। বিশ্বব্যাপী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আক্রমণের শিকার হচ্ছে। এ জন্য স্থানীয় ব্যাংকগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক হতে হবে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং এবিবি চেয়ারম্যান আনিস এ খান বলেন, ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। ব্যাংকারদের সচেতনতা বাড়ানো এবং প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো: শিরিন বলেন, মাঝারি মাপের প্রাকৃতিক বিপর্ষয় হলে অনেক ব্যাংকের গ্রাহক সেবা বন্ধ হয়ে যাবে। আর বড় ধরণের বিপর্যয় হলে কোন ব্যাংকেরই সেবা দেয়া সম্ভব নয়। কারণ ডাটা সেন্টারের যে ধরণের নিরাপত্তা দরকার তা ব্যাংকগুলোর নেই।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/