বড়দিনের প্রভাব ইউরোপের শেয়ারবাজারে

cricmasস্টকমার্কেট ডেস্ক :

চলতি সপ্তাহে লেনদেন বেশ ভালোই যাচ্ছিল ইউরোপের শেয়ারবাজারে। তবে বড়দিনের আগে লেনদেন কমতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিশ্লেষকরা। বাস্তবে তাই ঘটলও বলে দাবি করছে ফিন্যান্সিয়াল টাইসম।

বড়দিনের আগে গতকাল বুধবার বেশ বড় ধরনেও সুচক পতনের ঘটনা ঘটেছে ইউরোপের শেয়ারবাজারে।

ইংল্যান্ডের বাজার বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদ ‘David Morgan’ বলেন, “সাধারণত পারিবারিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে মানুষের ব্যস্ততা এবং উতসবের কেনাকাটায় খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় বড়দিনের আগে শেয়ারবাজারে লেনদেনে কিছুটা মন্দাভাব দেখা যায়। তবে এটা খুবই সাময়িক। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবো”

এদিন CAC 40 Index ২০ পয়েন্ট কমে ৪,২৯৫.৮৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া TR EUROPE ইন্ডেক্স ০.৭৫ পয়েন্ট কমে ১৫৯.৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে সামান্য বেড়েছে লন্ডন FTSE 100 ইন্ডেক্স।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/তরি/এএআর

আবার সূচক বাড়ল ভারত শেয়ারবাজারে

sensexস্টকমার্কেট ডেস্ক :

গতকাল বুধবার একদিনেই ভারত শেয়ারবাজারের প্রধান সূচক সেনসেক্স বেড়েছে ২৪৫.২৭ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে সূচকের অবস্থান ছিল ২৭,৩৭১.৮৪ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে শেয়ারবাজার বেশ চাঙ্গা রয়েছে৷ তার আগে এক সপ্তাহেই সেনসেক্সের পতন হয়েটিল ১,০৪৯ পয়েন্ট। কিন্তু বাজার উঠতে শুরু করার পর ৫ দিনের লেনদেনেই উল্টে উঠে এলো ১,৪৫৮ পয়েন্ট।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি মন্তব্য করেছেন, ২০১৫-’১৬ আর্থিক বছরে ভারতের পক্ষে ৬ শতাংশ বৃদ্ধির হার অর্জন করা খুব একটা কঠিন হবে না। তাঁর এই মন্তব্য লগ্নিকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার জাগিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

যদিও বিমা বিল সংসদে পাশ করানোর বিষয়টি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়ায় লগ্নিকারীরা কিছুটা হতাশ। অবশ্য প্রয়োজনে অর্ডিন্যান্স জারি করেও বিমা বিলটি তাঁরা আইনে পরিণত করতে চাইছেন এখন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী৷ যা দেখে তা উৎসাহিত হয়েছেন দেশটির বিনিয়োগকারীরা।

সূত্র-হিন্দুস্থান টাইমস
স্টকমার্কেটবিডি.কম/তরি/এএআর

লেনদেনের শীর্ষে স্কয়ার ফার্মা

squreস্টকমার্কেট ডেস্ক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল লেনদেনে শীর্ষে থাকা কোম্পানির তালিকায় প্রথম ছিল স্কয়ার ফার্মা।

এদিন ১ হাজার ৩২৩ বারে এর ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৪০২টি শেয়ার লেনদেন হয়; যার বাজারদর ছিল ৯ কোটি ৩ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, গত দুই কার্যদিবস এ শেয়ারের দরে ছিল নিম্নগামী প্রবণতা। গতকাল এর দর কমে দশমিক ৯৭ শতাংশ বা ২ টাকা ৫০ পয়সা। দিনভর দর ২৫৩ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ২৫৮ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

সর্বশেষ লেনদেন হয় ২৫৫ টাকা ১০ পয়সায়, যা সমন্বয় শেষে দাঁড়ায় ২৫৪ টাকা ৯০ পয়সায়। গত এক মাসের মধ্যে এ শেয়ারের সর্বনিম্ন দর ছিল ২৫০ টাকা ৯০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ২৬৪ টাকা ৮০ পয়সা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এএআর

শেয়ারবাজারে সূচক ও লেনদেনে ক্লোজিংয়ের প্রভাব

houseনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে বরাবরের মতো ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ের প্রভাব পড়েছে। এর ফলে বাজারে ধীরগতি বিরাজ করছে। ক্রমাগত কমছে মূল্যসূচক ও লেনদেন। বিশেষ করে বছর শেষে প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারীদের নতুন বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত বাজারে প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিগত নয় কার্যদিবস ধরে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টাকার অংকে লেনদেন ২০০ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। এর আগে গড়ে ৪০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। এ ছাড়া মূল্যসূচক বাড়ার চেয়ে কমছে তুলনামূলক বেশি।

আগের দিনের ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার দেশের উভয় শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক কমেছে। তবে এ দিন ডিএসইর চেয়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন বেড়েছে। খরচ কম হওয়ার কারণে অনেকে সিএসইতে ট্রেড করছেন বলে মনে করছেন বিভিন্ন হাউজের কর্মকর্তারা।

এ ছাড়া ডিএসইর নতুন সফটওয়্যারের সঙ্গে পুরোপুরি খাপ খাওয়াতে না পেরে অনেকে সিএসইতে লেনদেন করছেন বলে জানা গেছে। এ কারণে দু’দিন ধরে সিএসইতে লেনদেন বাড়ছে বলে মনে করছেন হাউজ কর্মকর্তারা।

গতকাল দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮২৩ পয়েন্টে।

বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিসেম্বর মাসে বরাবরের মতো বাজারে ধীরগতি বিরাজ করে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা ঘোলাটে হয়ে আসছে। এসব কারণে অনেকে নতুন করে বিনিয়োগ পরিকল্পনা নির্ধারণ করছে। যার প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে।

এ বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, বছর শেষ হয়ে আসছে। অনেক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নতুন চিন্তা-ভাবনা করছে। বিশেষ করে ফান্ডগুলো বিনিয়োগ গুছাচ্ছে। এ সব কারণে হয়তো বাজারে এ রকম পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

সর্বশেষ কার্যদিবসে শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ১৯ পয়েন্টে।

সিএসইতে হাওলা চার্জ বহাল এবং লাগা চার্জ কিংবা কমিশন পুনঃনির্ধারণের কারণে লেনদেন খরচ ডিএসইর চেয়ে কিছুটা কমেছে। এ কারণে অনেকে সিএসইতে লেনদেন করছেন। এসব কারণে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে বলে মনে করছেন বিভিন্ন সিকিউরিটিজ হাউজের কর্মকর্তারা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এএআর