এপ্রিল থেকে বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন বন্ধ : তথ্যমন্ত্রী

hasan-masud-20180318150740স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন বন্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন বন্ধের আইন বাস্তবায়ন হচ্ছে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার আয়োজিত সংকটে বেসরকারি টেলিভিশন শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

এসময় তিনি আরো বলেন, বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন বন্ধে সবাইকে একাধিকবার নোটিশ দিয়েছি এবং রবিবারও একটি নোটিশ দেওয়া হবে।
এরপর ১ এপ্রিল থেকে কেউ যদি বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্যাবল অপারেটরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ৩ কোটি টিভি থেকে রেভিনিউ আসে। কিছুটা শেয়ার হলে টিভি চ্যানেলগুলো টিকে থাকবে এবং সাংবাদিকদের চাকরির ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

মন্ত্রী বলেন, সবার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ এসেছে আইপি টিভি। সেটির কোনো লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। আমি বিষয়টিকে তদন্ত করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানকে বলেছি, তারা জানাবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অন্যতম সমস্যা চ্যানেল বেড়ে বিজ্ঞাপন বাজার ছোট হয়েছে। এটি গত কয়েক বছরে হয়েছে। অনেকে আবার প্রতিযোগিতার জন্য বিজ্ঞাপন রেটও কমিয়ে দিয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, শুধু এটা নয় অনলাইনে ব্যাপক বিজ্ঞাপন চলে গেছে। ফেসবুক, টুইটার, অনলাইন পত্রিকাগুলোতেও ব্যাপক বিজ্ঞাপন যাচ্ছে যার এটিও একটি কারণ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের এই শিল্পটাকে সুরক্ষা দিতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেক্ষেত্রে মুনাফায় একটু ছাড় দিয়ে হলেও সবাইকে যৌথ্যভাবে কাজ করতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোন উদ্বোধন বুধবার

bepzaস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ বেসরকারি শিল্প পার্ক সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনের (এসইজেড) উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বুধবার (৩ এপ্রিল)। ওইদিন গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ইকোনমিক জোনের উদ্বোধন করবেন।

শনিবার (৩০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক মতবিনিময় সভায় এসইজেড’র পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর তীরে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে এক হাজার ৩৫ একর জমির উপর এ ইকোনোমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন ১১টি কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পর্যাক্রমে ৭০০টির মতো ছোট-বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। এরইমধ্যে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়েছেন। ৩ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে এ শিল্প পার্কের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ রয়েছে উল্লেখ করে এসইজেড পরিচালক বলেন, এখানে পানি শোধনাগার প্ল্যান্ট, বর্জ্য পরিশোধনাগার প্ল্যান্ট ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাসহ পরিবেশ বান্ধব সব ব্যবস্থা থাকবে। প্রস্তাবিত শিল্প খাতের মধ্যে টেক্সটাইল ও নিটওয়্যার, অ্যাগ্রোবেইজড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, ফার্মাসিউটিক্যাল, অটোমোবাইল, এলএনজি, চামড়াজাত পণ্য, স্টিল, ইলেকট্রনিক্স, তথ্য-প্রযুক্তি, আসবাবপত্র, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং রপ্তানিমুখী শিল্প খাত রয়েছে এখানে। বাণিজ্যিক উৎপাদনের প্রথম বছরে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১০ হাজার দক্ষ-অদক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। পরের ১০ বছরের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়াবে পাঁচ লাখেরও বেশি।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- এসইজেডের উপদেষ্টা শহীদুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রবিন, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস, বাবু ইসলাম, জাকিরুল ইসলাম প্রমুখ। সূত্র : বাংলানিউজ২৪

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের আইপিও আবেদন গ্রহণ শুরু রবিবার

copertecস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন শুরু হবে আগামীকাল রবিবার শুরু হবে । বিনিয়োগকারীরা এই আবেদন করতে পারবে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত।

আইপিও আবেদনের জন্য ৫০০ শেয়ারের দর হিসাবে ৫০০০ টাকা করে জমা দিতে হবে।

গত ২৭ ডিসেম্বর কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহণের অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৭০তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।

বলা হয়, সভায় কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের ২ কোটি সাধারণ শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে ইস্যু করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি বাজার থেকে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এ অর্থ কোম্পানিটি প্লান্ট ও যন্ত্রপাতি ক্রয় ও স্থাপন, ভবন ও সিভিল ওয়ার্ক খাত, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত বছরের সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া নীট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস রিভ্যালুয়েশন ছাড়া) দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ০৬ টাকা (কোম্পানিটি কোনো সম্পদ পুনঃমূল্যায়ন করেনি) এবং শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২ দশমিক ৬০ টাকা ও ডায়লুটেড শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১ দশমিক ০৩ টাকা। ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০ দশমিক ৮৭ টাকা।

আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে লেনদেন ও সূচক

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদায়ী সপ্তাহে পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারে লেনদেন। সপ্তাহজুড়ে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। টাকার পরিমাণে লেনদেনও কমেছে উভয় শেয়ারবাজারে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ৪ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১ হাজার ৪৪৬ কোটি ৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ২৭৪ কোটি ১২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৩০ টাকা বা ১৫.১৩ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭২০ কোটি ১৬ লাখ ৭৭ হাজার ৬৩০ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৩৬১ কোটি ৫১ লাখ ৪ হাজার ৫০০ টাকা। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৪৩০ কোটি ৫ লাখ ১৯ হাজার ৪০৭ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৬৮ কোটি ৫৩ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ টাকা কম হয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৪ পয়েন্ট বা ১.১৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫০৫ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বা ০.২৩ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৪ পয়েন্ট বা ১.২১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৮১ ও ১৯৬৮ পয়েন্টে।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে ০০০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ০০টির, কমেছে ০০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ০০টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৫৮ কোটি ৯৮ লাখ ৪২ হাজার ৫৯ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫০ কোটি ৮৪ লাখ ৬৪ হাজার ৪৮১ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ৮ কোটি ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ৫৭৮ টাকা বা ১৬ শতাশ বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২২৭ পয়েন্ট বা ১.৩৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮৮১ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ১৪৪ পয়েন্ট বা ১.৩৮ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২২৬ পয়েন্ট বা ১.৫০ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২২ পয়েন্ট বা ১.৭৩ শতাংশ এবং সিএসআই ৩ পয়েন্ট বা ০.২৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০ হাজার ২২৬, ১৪ হাজার ৭৭৭, ১ হাজার ২২৯ এবং ১ হাজার ১২৫ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৮টির, দর কমেছে ১৪৬টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি