ই-কমার্সে পণ্য কেনায় সতর্ক থাকতে হবে: পুলিশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ইভ্যালির মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে কোনো বিনিয়োগ করতে গেলে তা যাচাই-বাছাই করতে হবে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব প্রতারণামূলক অফার দেয় সে বিষয়ে জনগণকে সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘সম্প্রতি ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ আসে। ইতিমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের পণ্য কিনা কিংবা বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাইয়ের করতে হবে। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে পরামর্শও করা যেতে পারে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর সরকারি কোনো নীতিমালা ছিলো না। তবে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে নীতিমালা করা হয়েছে তার আলোকে কেউ যদি ই-কমার্স ব্যবসা করে সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহযোগিতা করবে। তবে

তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠান নীতিমালার আলোকে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া, সঠিক সময়ে তাদের পণ্য দিচ্ছে কিনা, পাশাপাশি বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগের সঠিক যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতা শুরু করেছে।’

স্টকমার্কেটবিডি/

‘ধামাকা’র কাছে পাওনা ২০০ কোটি টাকা ফেরত চান মার্চেন্টরা

 

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ধামাকা শপিং ডট কমের ৬৫০ জন এসএমই উদ্যোক্তা মার্চেন্টের ২০০ কোটি এবং ৩ লাখেরও বেশি গ্রাহকের পাওনা ১০০ কোটি টাকাসহ মোট ৩০০ কোটি টাকা অচিরেই ফেরৎ দেওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেলার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সেলার অ্যাসোসিয়েশনের গণযোগাযোগ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

লিখিত বক্তব্যে জাহিদুল ইসলাম বলেন, মাইক্রোট্রেড গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইনভ্যারিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে তারা ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে সেলার হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন। এরকম চুক্তিবদ্ধ সেলার বা মার্চেন্টের সংখ্যা ৬৫০ জন। তাদের সঙ্গে সরাসরি ব্যবসায় সম্পৃক্ত আছেন ৩ লাখেরও বেশি গ্রাহক। এসব গ্রাহকদের লক্ষাধিক ডেলিভারি মাইক্রোট্রেড গ্রুপের কাছে পেন্ডিং পড়ে আছে। যার পুরো টাকা কোম্পানিকে অগ্রিম পরিশোধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ৩ লক্ষাধিক গ্রাহকের ১ লক্ষাধিক অর্ডারের মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এছাড়াও মাইক্রোট্রেড গ্রুপের কাছে ৬৫০ জন মার্চেন্টের পাওনা টাকার পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি টাকা। বিভিন্ন সময় মাইক্রোট্রেড গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. মোজতবা আলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিমউদ্দিন চিশতী টাকা পরিশোধের কথা বলেও এখন পর্যন্ত গ্রাহকদের অর্ডার করা মালামাল ডেলিভারি বা টাকা ফেরৎ দেয়নি।

তিনি বলেন, চুক্তিবদ্ধ সেলার বা মার্চেন্টদের সঙ্গে চুক্তিতে লেখা ছিল, পণ্য সরবরাহের অর্ডারের কপি পাওয়ার পর পণ্য সরবরাহ করে বা তাদের নির্দেশিত গ্রাহকদের পণ্য বুঝিয়ে দিয়ে বিল জমা দেওয়ার ১০ দিনের মধ্যে ধামাকা শপিং ডট কম সেলারদের পাওনা টাকা পরিশোধ করবে। কিন্তু ১০ দিনের জায়গায় ১৬০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও, গত এপ্রিল থেকে ধামাকার নির্দেশিত গ্রাহকদের কাছে পণ্য সরবরাহ বাবদ মার্চেন্টদের পাওনা প্রায় ২০০ কোটি টাকা আজও পরিশোধ করেনি।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, সেলারদের পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য বার বার চেষ্টা করে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলেও মালিকদের কারো সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারিনি। কোম্পানির চেয়ারম্যান ভার্চুয়ালি কয়েকবার মিটিং করে টাকা পরিশোধের কথা বললেও এখনও সেটা করেননি। পাওনা টাকা পাওয়ার আশায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, বাণিজ্যমন্ত্রী, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী, বাণিজ্য সচিব, আইসিটি সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ উল্লেখিত দপ্তরে এ বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একাধিকবার মানবিক আবেদন করা হয়।

তিনি বলেন, আগামী ৫ দিনের মধ্যে ধামাকা শপিং ডট কম থেকে পাওনা সকল টাকা পরিশোধ করার জন্য কোম্পানির চেয়ারম্যান ডা. মোজতবা আলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিমউদ্দিন চিশতিকে অনুরোধ করা হচ্ছে। অন্যথায় বিনিয়োগ করা ৩০০ কোটি টাকা আদায়ের জন্য কোম্পানির মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সেলার অ্যাসোসিয়েশনের জাহাঙ্গীর আলম ইমন, জাহিদুল ইসলাম, ইউসুফ মাহমুদ, হারুন অর রশীদ, নাইমুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মামুন, ইদ্রিস হায়দারসহ অর্ধ শতাধিক মার্চেন্ট উপিস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি/

ওটিসি মার্কেট কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের ‘ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটের (ওটিসি)’ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, “বাংলাদেশের দুই শেয়ারবাজারে যে ওটিসি মার্কেট ছিল, সেটাকে অকার্যকর করা হয়েছে।”

২০০৯ সালে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে ওটিসি মার্কেট চালু হয়েছিল।

বাংলাদেশের মূল শেয়ারবাজার থেকে তালিকাচ্যুত কোম্পানির এবং অতালিকাভুক্ত শেয়ার লেনদেন করার জন্য ওটিসি মার্কেট চালু হয়।

বর্তমানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬১টি এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ৪৭টি কোম্পানি ওটিসিতে তালিকাভুক্ত আছে। কোনো কোনো কোম্পানি দুই শেয়ারবাজারেই তালিকাভুক্ত আছে।

রেজাউল বলেন, ওটিসি মার্কেটে তালিকাভুক্ত ২৩টি কোম্পানিকে স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্মে পাঠানো হয়েছে। ১৮টি কোম্পানিকে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) পাঠানো হয়েছে। বাকি কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজার থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে। সূত্র : বিডি নিঊজ২৪

স্টকমার্কেটবিডি/

 

যুবক, ডেসটিনি থেকে ইভ্যালি – গ্রাহকদের টাকার খবর কী?

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ফেনীর বাসিন্দা মারজান কনক ২০০৫ সালে যুবক নামের একটি মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানিতে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বেশি লাভের আশায়।

প্রথম দিকে সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। যুবকের তরফ থেকে তাকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল বেশি মুনাফা এবং জমি দেয়া হবে। সে আশায় তিনি আরো টাকা বিনিয়োগ করেন।

এক পর্যায়ে দেখেন কোম্পানির লোকজনের আর কোর খবর নেই।

মারজান কনক বলেন , ” প্রথমে আমি যখন ৫০ হাজার টাকা রাখি তখন আমাকে ২০ থেকে ২৫ পার্সেন্ট লাভ দিয়েছিল। এক বছর আমাকে ঠিক মতো টাকা দিছে। শেষ পর্যন্ত আমি এক লাখ টাকা রেখেছিলাম।”

দেড় দশক আগে বিতর্কিত মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং ব্যবসার নামে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে যুবক। প্রতারণার অভিযোগে ২০০৬ সালে যুবকের কার্যক্রম ও বন্ধ করে দেয় সরকার।

যুবকে যারা টাকা দিয়েছেন তারা সেই টাকা আজও ফেরত পাননি। মারজান করকও সে টাকা ফেরত পাবার আশা করেন না।

ডেসটিনির জালিয়াতি

যুবকের মতোই প্রতারণা এবং জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে ডেসটিনি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

মানুষের কাছ থেকে চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও জালিয়াতির মামলায় ডেসটিনির শীর্ষ ব্যক্তিরা এখন কারাগারে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শুরু হয়েছে ই-কর্মাসের নামে নানা প্রতারণা। ই-ভ্যালি এবং ই-অরেঞ্জ মতো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।

বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী র‍্যাব বলছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল জানিয়েছেন, গ্রাহকের টাকা ফেরত দেবার কোন পরিকল্পনা তার নেই।

প্রতারণার অভিযোগে বিভিন্ন ব্যক্তিকে গ্রেফতার এবং প্রতিষ্ঠান বন্ধ করলেও, যারা টাকা দিয়েছেন, তাদের টাকা ফেরতের উপায় কী?

টাকা ফেরত পাওয়া ‘অসম্ভব’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক নাজমা বেগম বলছেন, এসব অনিয়ম ও প্রতারণার বিরুদ্ধে প্রথম থেকে ব্যবস্থা না নিলে মানুষের টাকা ফিরে পাওয়া রীতিমতো অসম্ভব হয়ে উঠে।

“টাকা হান্ড্রেট পার্সেন্ট ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না, কোনভাবেই সম্ভব না। যখন ব্যাপারটা ঘটে যায় তখন কিছু করার থাকে না,” বলেন নাজমা বেগম।

তিনি বলেন, এসব কোম্পানির সম্পদের চেয়ে দেনার পরিমাণ অনেক বেশি। সেজন্য তাদের টাকা ফিরিয়ে দেবার ক্ষমতাও নেই।

“আপনি তাদের ধরলেন, শাস্তি দিলেন। কিন্তু যারা বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের টাকা ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না।”

কী বলছে কর্তৃপক্ষ?
গ্রাহকদের টাকার কী হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারছেন না।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে এসব ক্ষেত্রে যা ঘটেছে সে ব্যাপারে তাদের কোন দায় নেই। এজন্য অভিযুক্তদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, যুবক এবং ডেসটিনির বিষয়টি এখন আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।

এছাড়া ইভ্যালির বিরুদ্ধে যেহেতু মামলা হয়েছে, টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সরকার কী ধরণের ভূমিকা রাখবে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।

তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো কোনভাবেই তাদের দায় এড়াতে পারবেন না। সূত্র : বিবিসি বাংলা

স্টকমার্কেটবিডি/

২০২০-২১ অর্থবছরে ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

২০২০-২১ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) এক লাখ ১২ হাজার ১৮৮ কোটি ২৪ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। ‘নিরাপদ’ বিনিয়োগ ও ব্যাংকের চেয়ে প্রায় তিন থেকে চারগুণ বেশি মুনাফা পাওয়ায় সঞ্চয়পত্র কিনছেন সাধারণ মানুষ।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরে (জুলাই-জুন) এক লাখ ১২ হাজার ১৮৮ কোটি ২৪ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল বাবদ ৭০ হাজার ২২৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। সে হিসাবে গত অর্থবছরের নিট বিক্রির পরিমাণ ৪১ হাজার ৯৫৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে, যা আগের অর্থবছরের (২০১৯-২০) চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি। সে অর্থবছরের পুরো সময়ে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ ছিল ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা।

ব্যাংকগুলো আমানতের সুদ কম দেওয়ায় সাধারণ মানুষরা সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকছেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ‘নিরাপদ’ বিনিয়োগ ও বেশি মুনাফার আশায় বিভিন্ন শর্ত মেনেও সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়ছে। এর ফলে বাজেট ঘাটতি মেটাতে চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকারের ঋণ নেওয়ার নির্ধারতি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) বাজেটে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা ঘাটতি ধরা হয়েছে। অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ হচ্ছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। বাজেটের আয়-ব্যয়ের ঘাটতি পূরণে সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

আবারও বন্ধ হলো ইভ্যালির অফিস

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মো. রাসেল এবং চেয়ারম্যান (তার স্ত্রী) শামীমা নাসরিন গ্রেফতারের পর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির অফিস আবার বন্ধ হলো।

শনিবার ইভ্যালির ফেসবুক পেজে অফিস বন্ধের ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা এখন বাসায় থেকে অফিসের কাজ করবেন।‘হোম অফিস’র মধ্যেও ইভ্যালির সব কার্যক্রম ‘স্বাভাবিক’ সময়ের মতো চলবে বলে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করা হয়।

বৃহস্পতিবার ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে র্যা ব।

শুক্রবার আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে দুজনের তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।

ইভ্যালির ফেসবুক পেজে বলা হয়, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোজ শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ইভ্যালি এমপ্লয়িগণ নিজ নিজ বাসা থেকে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

‘হোম অফিস পদ্ধতিতে ইভ্যালির সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলমান থাকবে। আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা আমাদের একান্তভাবে কাম্য। ইভ্যালির উপর আস্থা রাখুন, পাশে থাকুন। আপনাদের ভালোবাসাই আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো; ২য় লংকা বাংলা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৫৮৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লংকা বাংলা ফাইন্যান্সে লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৭৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকার।

বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ৩৩৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার।

এই তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- সাইফ পাওয়ারটেকের ২০৩ কোটি ৮৩ লাখ, বিএটিবিসির ২০০ কোটি ৩৭ লাখ, লাফার্জ হোলসিম বিডির ১৮৯ কোটি ৩ লাখ, স্কয়ার ফার্মার ১৮৭ কোটি ৩২ লাখ, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের ১৮৩ কোটি ৫৫ লাখ, আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ১৬০ কোটি ৭৩ লাখ ও ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ১৬০ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

সপ্তাহের ব্যবধানে মূলধন কমেছে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা কমেছে। এসময় সেখানে সূচকগুলো মিশ্র অবস্থায় লক্ষ করা গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ১১ হাজার ১২২ কোটি ৭৯ লাখ টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৫ দিনে হয়েছিল ১৩ হাজার ৮৮৮ কোটি ১৮ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ১৯.৯১ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন ২ হাজার ২২৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকার হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭৭৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে প্রতিদিনের গড় লেনদেন ১৯.৯১ শতাংশ কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০.৪৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৭ হাজার ২২৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ২৭.৪১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২৬৭৪ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ১৫.২১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫৭৭ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৮২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৮৪টির, কমেছে ২৮২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৪টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন ১১,৫৬৫ কোটি টাকা বা ২.০২ শতাংশ বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস