আইএফআইসি ব্যাংকের এজিএম ১৪ জুলাই

ific-smbdস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে ব্যাংকিং খাতের আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন আগামী ১৪ জুলাই আয়োজন করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়অ

এদিন বেলা ১১টায় রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে এজিএমটি আয়োজন করবে ব্যাংকটি। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। সভায় লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডার পাশাপাশি রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাবও বিবেচনা করবেন শেয়ারহোল্ডাররা।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে আরো জানা গেছে, বিদ্যমান প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে একটি করে রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। অভিহিত মূল্যে রাইট ইস্যুর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে শেয়ারহোল্ডার, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন হবে তাদের। এজিএমের রেকর্ড ডেট ছিল ১২ জুন।

২০১৫ সালে আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৩ টাকা ৫১ পয়সা। ২০১৪ সালের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় আইএফআইসি ব্যাংক।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম (জানুয়ারি-মার্চ) প্রান্তিকে এ ব্যাংকের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৫৮ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৭০ পয়সা। ৩১ মার্চ ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ২৫ টাকা ৭ পয়সা।

গত ডিসেম্বরে আইএফআইসি ব্যাংককে ৩৫০ কোটি টাকার নন কনভার্টেবল সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ব্যাসেল-থ্রির গাইডলাইন অনুযায়ী কোম্পানির মূলধনভিত্তি শক্তিশালী করতে বন্ডের অর্থ ব্যবহারের ঘোষণা দেয় ব্যাংকটি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

এশিয়ার শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত

imagesস্টকমার্কেট ডেস্ক :

এশিয়ার শেয়ারবাজার গতকাল সোমবারও ঊর্ধ্বমুখী ছিল। বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেছে। খবর এএফপি।

ব্রেক্সিট গণভোটের পরে সৃষ্ট ভীতি দূর করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরো অঞ্চলের অর্থনীতির সর্বশেষ তথ্যও ইতিবাচক ছবি তুলে ধরেছে। বিনিয়োগকারীদের আশাবাদ এতে আরো বেড়েছে।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে উদ্বেগের কিছু কারণ এখনো রয়ে গেছে। ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিচ্ছেদের বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত বৈশ্বিক অর্থনীতি নাজুক থাকবে।

টোকিও শেয়ারবাজার সূচক গতকাল দুপুর পর্যন্ত শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। হংকং শেয়ারবাজার বেড়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। সাংহাই শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ ও সিউল শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে।

একইভাবে সিডনি শেয়ারবাজার সূচক বেড়েছে ৩ শতাংশ। সদ্যসমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের আশঙ্কা সৃষ্টি সত্ত্বেও বিনিয়োগকারীরা সতর্কভাবে এগিয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়ায় এখনো ভোট গণনা চলছে। প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল বলেছেন, নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল বেরোতে আরো কয়েক দিন লাগবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হলে পরবর্তী সরকার গঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে। এর জের ধরে অস্ট্রেলিয়াকে সর্বোচ্চ এএএ ঋণমান হারাতে হতে পারে।

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার গত সপ্তাহে ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে। জাপান সরকারও তাদের প্রণোদনা কর্মসূচি জোরদার করবে বলে লেনদেনকারীরা আশা করছেন। এছাড়া চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে সুদহার বৃদ্ধির সম্ভাবনাও অনেকটা উবে গেছে।

এশিয়ার শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্টদের আস্থা বাড়াতে এসব খবরের পাশাপাশি সর্বশেষ সংযোজন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের (বিওই) গভর্নর মার্ক কার্নির বক্তব্য। ব্রিটেনের মুদ্রানীতি আবার শিথিল হতে পারে বলে গত মঙ্গলবার তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। বিনিয়োগকারীরা তার কথায় সুদহার হ্রাসের সম্ভাবনা দেখছেন।

সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদ রিচার্ড জেরাম বলেছেন, সার্বিকভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ব্রেক্সিটের প্রভাব সীমিত থাকবে। ব্রেক্সিটের যন্ত্রণার বেশির ভাগ ব্রিটেনকে এবং কিছু অংশ ইউরোপের অন্যান্য দেশকে ভুগতে হবে।

সিঙ্গাপুরের কেজিআই ফ্রেজার সিকিউরিটিজের নিকোলাস তাও ব্লুমবার্গকে বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাড়তি তারল্যের সম্ভাবনা বিভিন্ন দেশের শেয়ারবাজারকে শান্ত করেছে। তবে এখনো অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে।

কেজিআই ফ্রেজার সিকিউরিটিজের বাজার-কৌশল প্রণেতা নিকোলাস তাও বলেন, মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলার যেভাবে শক্তিশালী হচ্ছে, তা উদীয়মান বাজারের জন্য ভালো নয়। চীনের অর্থনীতি এখনো মন্থর, মার্কিন অর্থনীতি সেরে উঠতে পারেনি এবং যুক্তরাজ্য-ইইউ বিচ্ছেদের প্রক্রিয়াও স্পষ্ট হয়নি। কাজেই অনিশ্চয়তা সহজে কমবে না।

অনিশ্চয়তার মেঘ যেমনই হোক, এশিয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীরা গতকাল থলে হাতে বেরোতে দ্বিধা করেননি। গ্রিনিচ মান সময় সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত টোকিওর নিক্কেই শেয়ার সূচক দিনের লেনদেন শুরুর সময়ের চেয়ে শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়েছিল। একই সময় পর্যন্ত হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক ২ দশমিক ১ শতাংশ, সাংহাই কম্পোজিট শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ার এসঅ্যান্ডপি এএসএক্স শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

এশিয়ার বাইরের বাজারগুলোতেও আস্থার ছাপ দেখা গেছে। বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা পর্যন্ত লন্ডনে এফটিএসই সূচক ১ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছিল। আগের দিনের লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত নিউইয়র্কে ডাও জোনস শূন্য দশমিক ১ শতাংশ, এসঅ্যান্ডপি শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়েছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

বিদায়ী বছরে ১১টি আইপিও অনুমোদন : শীর্ষে একমি

ipoনিজস্ব প্রতিবেদক :

বিদায়ী বছরে ইনিশিয়াল পাবলিক অফার (আইপিও) ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে কোম্পানিগুলোর মূলধন উত্তোলন কমেছে। সদ্য শেষ হওয়া ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আইপিও মাধ্যমে ১১ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড শেয়ারবাজার থেকে ৮৫৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। অন্যদিকে এ সময় ২ কোম্পানিকে রাইট ছাড়ার অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বাজার পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আইপিও ও রাইট শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে কিছুটা রক্ষণশীল ভূমিকা নেয়ায় কোম্পানিগুলোর সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ কমেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের অনুমোদন পায়। এর মধ্যে দুটি মিউচুয়াল ফান্ড। এসব কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড শেয়ারবাজার থেকে ৮৫৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে, যা আগের বছরের চেয়ে ৩৪ শতাংশ কম। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আইপিওর মাধ্যমে ১৫টি কোম্পানি ও একটি মিউচুয়াল ফান্ড ১ হাজার ৩০৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছিল।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) ও রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে কোম্পানিগুলোর মূলধন উত্তোলন কমেছে। সদ্য শেষ হওয়া ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আইপিও ও রাইটের মাধ্যমে ১৩ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড শেয়ারবাজার থেকে মোট ১ হাজার ১৭১ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৫৭ শতাংশ কম।

বিদায়ী অর্থবছরে সবচেয়ে বড় আইপিও ছিল দি একমি ল্যাবরেটিজ লিমিটেডের। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পাঁচ কোটি শেয়ার ছেড়ে কোম্পানিটি ৪০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সব মিলিয়ে নয়টি কোম্পানি আইপিওর অনুমোদন পায়, যাদের অর্থ সংগ্রহের মোট পরিমাণ ছিল ৭৬৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর মধ্যে চার কোম্পানি অভিহিত মূল্যে আইপিওতে শেয়ার ছাড়ে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সবচেয়ে বড় আইপিও ছিল ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির। সে সময় কোম্পানিটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ২৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। এছাড়া ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, হামিদ ফ্যাব্রিক্স, রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস, শাশা ডেনিমস ও আমান ফিড আইপিওতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণের অর্থ সংগ্রহ করে।

রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের পরিমাণও কমেছে। রাইট ইস্যুর ক্ষেত্রে বিএসইসির নতুন শর্তারোপ ও নতুন কোম্পানির জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাইট ইস্যুর আবেদন করতে না পারার নির্দেশনায় এ প্রক্রিয়ায় অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পাঁচ কোম্পানি রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। আর সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে মাত্র দুই কোম্পানি রাইট ইস্যুর অনুমোদন পায়, যার মাধ্যমে কোম্পানি দুটি ৩১৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা সংগ্রহ করে।

গত দুই অর্থবছরে রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অর্থ সংগ্রহ করে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি রাইট শেয়ার ইস্যু করে ১ হাজার ৫৪ কোটি ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করে। কোম্পানিটি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাইট শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারে ৪০০ টাকা প্রিমিয়াম নেয়। সে বছর মাইডাস ফিন্যান্স, ডেল্টা স্পিনার্স, বিআইএফসি ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকও রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন বাড়ানোর সুযোগ পায়।

তবে সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে বেশ কিছু কোম্পানি রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদন জানালেও কমিশন এর অনুমোদন দেয়নি। এর মধ্যে নতুন ৩ কোম্পানি রয়েছে, যাদের রাইট ইস্যুর অনুমোদন বাতিল করা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে শুধু সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট ও জিপিএইচ ইস্পাতকে রাইট শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেয় বিএসইসি। এর মধ্যে জিপিএইচ ইস্পাত কারখানা সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের জন্য রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ২৬১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করে।

এদিকে আইপিও অনুমোদনের পরিমাণ কমে আসায় স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তিও কমেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে মোট ২১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড তালিকাভুক্ত হয়, যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১০-এ নেমে আসে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এ