‘বেস্ট পাওয়ার সল্যুশন কোম্পানি’ অ্যাওয়ার্ডস পেল এনার্জিপ্যাক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ থেকে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড ‘বেস্ট পাওয়ার সল্যুশন কোম্পানি’ বিভাগে বিজনেস ট্যাবলয়েড (বিটি) অ্যাওয়ার্ডস ২০২১ অর্জন করেছে।

সাসটেইনিবিলিটি অর্জনে দেশকে সহায়তা করার লক্ষ্যে দেশে ‘ক্লিন এনার্জি’ নিশ্চিত করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ও প্রতিশ্রুতির জন্য সম্প্রতি এনার্জিপ্যাককে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।

সময়ের সাথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা বর্তমান প্রজন্মের জন্য একটি লন্ডন ভিত্তিক অনলাইন সংবাদ ম্যাগাজিন বিজনেস ট্যাবলয়েড। কোনো প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শিল্পখাতে সম্ভাবনা ও দক্ষতা বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির অবদানকে স্বীকৃতি প্রদান করে বিজনেস ট্যাবলয়েড অ্যাওয়ার্ডস। চলতি বছরের সংস্করণে, বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে অবদানের জন্য এনার্জিপ্যাককে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

এ ব্যাপারে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হুমায়ুুন রশীদ বলেন, “স্বীকৃতি সবসময় মানুষকে কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করে। আর তাই, এনার্জিপ্যাকে কমর্রত প্রত্যেকের জন্য এটি সত্যিই এক অবিস্মরণীয় সাফল্য।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে, আমরা দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চাহিদা পূরণে এবং এনার্জি এফিশিয়েন্ট বিকল্প ও ক্লিন এনার্জি সহজলভ্য করার মাধ্যমে সাসটেইনিবিলিটি অর্জনে সহায়তা করার লক্ষ্যে সকল প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নিশ্চিতভাবে এই পুরস্কার আগামী দিনগুলোতে আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে অনুপ্রাণিত করবে।”

মানুষের জীবন বদলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ১৯৮২ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে উৎপাদন পদ্ধতি পরিবেশবান্ধব, অবকাঠামো আরও এনার্জি-এফিশিয়েন্ট এবং ক্লিন এনার্জি সহজলভ্য করার লক্ষ্যে ডিজিটালাইজেশন ও সাসটেইনিবিলিটির সমন্বয়ের মাধ্যমে সমাধান প্রদান করছে এনার্জিপ্যাক। এনার্জিপ্যাক বিস্তৃত পরিসরের বৈদ্যুতিক পণ্য এবং সেবা, যেমন- বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, কৃষি যন্ত্রপাতি, নির্মাণ যন্ত্রাদি ও ম্যাটেরিয়াল হ্যান্ডলিং, লাইট ও হেভি ডিউটি বাহন, এনার্জি এফিশিয়েন্ট বাতি, তারের সরঞ্জামাদি ও সম্পূর্ণ আলোক সমাধান, নবায়নযোগ্য শক্তি ও ব্যবস্থাপনা, বিল্ডিং-ম্যাটেরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিউরমেন্ট ও ইরেকশন, এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদন, বোতলজাতকরণ ও বিতরণ, রফতানিমুখী আরএমজি এবং রিটেইল ফ্যাশন ব্র্যান্ড ইত্যাদি সরবরাহ করে।

এনার্জিপ্যাক এর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন পুরস্কার, যেমন- সুপার ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড, এইচএসবিসি-দ্য ডেইলি স্টার ক্লাইমেট অ্যাওয়ার্ড ২০১১ এবং বিগত বছরগুলোতে ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড:

১৯৯৫ সাল থেকে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড (ইপিজিএল) সব সময় ‘এনার্জি ওয়ার্কস ওয়ান্ডার্সে’ বিশ্বাস করে। তাই, বাজারের সর্বাধুনিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সাহায্যে মানুষের জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইপিজিএল বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থার ঘাটতি দূর করতে এবং তাদের কর্মীদের জীবনমান উন্নীতকরণের পাশাপাশি এর গ্রাহকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে। এ প্রতিষ্ঠানটি কেবলমাত্র গুণগতমানের পণ্যগুলোর মাধ্যমেই নয় বরং এর পরিষেবাগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট।

দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে, ইপিজিএল তার গ্রাহক এবং অংশীদার উভয়কেই পুরোপুরি পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং সমাধান সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যাত্রা শুরুর পর থেকেই, ইপিজিএল বাংলাদেশের বৃহত্তম পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে এবং স্থানীয় ও বৈশ্বিকভাবে সুপরিচিত উভয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সম্মান ও আস্থা অর্জন করেছে। বর্তমানে, ইপিজিএল ইজি উইলসন, পারকিনস, জেসিবি, জ্যাক, গ্ল্যাড, স্টিলপ্যাক, জি-গ্যাস, জন ডিয়ার, সিমেন্স এবং আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত রয়েছে।

ইপিজিএলের দুটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে – এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চার লিমিটেড এবং ইপিভি চট্টগ্রাম লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

সপ্তাহের ব্যবধানে পিই বেড়েছে ২ শতাংশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদায়ী সপ্তাহে (০২-০৫ আগস্ট) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ২ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৯.২০ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষেও ১৯.৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৩৯ পয়েন্ট বা ২.০৩ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৫৩ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২৮.৩১ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৩৯.৭৪ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯.৭১ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৫.৩০ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২১.৭৪ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৩.১১ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৩২.৬৫ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১২.০৬ শতাংশ, চামড়া খাতের ২৯২.৩৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৪.৪৯ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ১৬০.৭৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ১১৩.৯৯ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৪৬.০৮ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৪.২০ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২৫.৭৫ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৩৪.৫০ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৯.১৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে সাইফ; ২য় ওরিয়ন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২৯৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬৯ কোটি ২৯ লাখ টাকার।

সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ১৫৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার।

এই তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- জিপিএইচ ইস্পাত কমপ্লেক্সের ১৪৪ কোটি ৫৭ লাখ, আইএফআইসি ব্যাংকের ১২৯ কোটি ২৮ লাখ, ফুয়াং সিরামিকসের ১০৮ কোটি ৮৭ লাখ, এসএস স্টিলের ৮৪ কোটি ৬৩ লাখ, মালেক স্পিনিং মিলসের ৭৮ কোটি ৪৬ লাখ, ম্যাকসন স্পিনিং মিলসের ৭৭ কোটি ৫৩ লাখ ও বেক্সিমকো ফার্মার ৭৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

৩ দিনে ডিএসইতে মূলধন ১০ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। এসময় সেখানে সবগুলো সূচকই বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৩ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ৭ হাজার ১৩৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৫ দিনে হয়েছিল ৭ হাজার ১২৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ১.৬১ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন ২ হাজার ৩৭৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকার হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪২৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে প্রতিদিনের গড় লেনদেন ৬৩.৯৯ শতাংশ বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৭০.৮২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৫৯৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৫৮.০২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৮৫ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ৩৮.৩০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৩৯ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২৮৩টির, কমেছে ৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৪টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন ৯৯২২ কোটি টাকা বা ১.৮৬ শতাংশ বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস