ডিএসইতে ৮৫৫ ও সিএসইতে ৬৩ কোটি টাকার লেনদেন

DSE_CSE-smbdনিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশের বৃহৎ শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৮৫৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সব ধরণের মূল্য সূচকের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিল। এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৬৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, রবিবার দিনের শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৮৫৫ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই লেনদেন ৮০১ কোটি ১৯ টাকা হয়। আজ দিনশেষে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে।

এদিন ডিএসইতে ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১.৪২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৬৫৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৭৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২৯৭ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ৫.০৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২০৭৮ পয়েন্টে।

এদিন দিনভর লেনদেন হওয়া মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৯টির, কমেছে ১১৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে – রিজেন্ট টেক্সটাইল, ডরিন পাওয়ার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, এএফসি এগ্রো, আইসিবি, বেক্সিমকো লিমিটেড, বারাকা পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার, শাহজিবাজার পাওয়ার ও ফুয়াং ফুড।

এদিকে রবিবার দিনেশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৬৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই লেনদেন ৩৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা হয়। আজ দিনশেষে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে।

এদিন সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৩১ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৫৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৮টির, কমেছে ৮৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ঢাকা ব্যাংক ও বেক্সিমকো লিমিটেড ও লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/সোনিয়া

চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত : দ্যা ইকোনমিস্ট

econoস্টকমার্কেট ডেস্ক :

বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে নতুন করে মূলধন জোগান দিতে ২০১৭ সালের জুনে ২০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। নানা লক্ষণে বোঝা যাচ্ছে দেশটির ব্যাংকিং খাত ক্রমবর্ধমান সমস্যার সম্মুখীন। আর এসব ইস্যু মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রকদের প্রচেষ্টাগুলো ছিল অপর্যাপ্ত।

ঋণখেলাপিদের শাস্তি দেয়া, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপনা জোরদার করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সামান্যই। আইএমএফ তাদের সাম্প্রতিক আর্টিকেল ৪ রিপোর্টে বলেছে, অতিরিক্ত তারল্যের কারণে ব্যাংকিং খাতে কিছু ঝুঁকি রয়েছে। তবে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকিং খাতে পরিস্থিতির উন্নয়ন নির্ভর করবে সমস্যা মোকাবিলায় রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর; যা এতদিন সীমিত ছিল।

লন্ডনের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্যা ইকোনমিস্টের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের এক রিপোর্টে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, আইএমএফ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে ব্যাংকিং খাতে দুর্বলতা রয়েছে। এসব দুর্বলতার পেছনে বহুলাংশে দায়ী বড় অংশের ঋণগ্রহীতাদের দেয়া ঋণ, যাদের অর্থ পরিশোধের তাগিদ কম। পাশাপাশি রয়েছে আইনি সীমাবদ্ধতা, যা অর্থ উদ্ধার প্রক্রিয়া ব্যাহত করে। রাষ্ট্রায়ত্ত ৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে রয়েছে মোট ব্যাংকিং খাতের সম্পদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ। তাদের সঙ্গে আছে রাষ্ট্রায়ত্ত দুটি বিশেষায়িত উন্নয়ন ব্যাংক, ৪০টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ৯টি বিদেশি ব্যাংক।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বেশি: রাষ্ট্রায়ত্ত ৮টি বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো নন-পারফর্মিং লোনস (এনপিএল) বা খেলাপি ঋণ, কম মুনাফা, বড় ধরনের পুঁজি ঘাটতি এবং ব্যালান্সশিট দুর্বলতায় ভুগছে। এ সমস্যার মূলে রয়েছে দুর্বল ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা। দশকের পর দশক ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো বড় ও দাপুটে ঋণগ্রহীতাদের কাছে মোটা অংকের ঋণ দিয়ে আসছে। তারা অর্থ পরিশোধে গাফিলতির জন্য পরিচিত। ঋণখেলাপিদের শাস্তি দেয়ার নজির বিরল। এর পরিবর্তে একই ঋণগ্রহীতাদের ফের ঋণ প্রদানের অনুমোদন দিতে ঋণ পুনর্বিন্যাস করা হয় নিয়মিত।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বিএসইসির কর অবকাশ সুবিধা প্রত্যাহার করলো এনবিআর

nrbনিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) পাঁচ বছরের কর অবকাশ সুবিধা দিয়ে দুই বছর পরই তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২৯ জুন পাস হওয়ায় নতুন অর্থবছরের বাজেটে কমিশনের আয়ের ওপর অবকাশ সুবিধা প্রত্যাহারের কথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

ফলে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্ল্যাবে পাওয়া কর অবকাশ সুবিধার পরিবর্তে চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকেই শতভাগ আয়কর দিতে হবে কমিশনকে।

বিএসইসির কর অবকাশ সুবিধা প্রত্যাহার করে এনবিআরের দেয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ৪৪ ধারার উপধারা ৪-এর ‘বি’ ক্লজের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুকূলে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি রহিত করেছে। ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে নতুন প্রজ্ঞাপন কার্যকর হবে।

শেয়ারবাজারের অবকাঠামো উন্নয়নের সক্ষমতা বাড়াতে ২০১৫ সালের ৩০ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করে বিএসইসিকে পাঁচ বছরের জন্য ক্রমহ্রাসমান হারে কর অবকাশ সুবিধা দেয় এনবিআর।

আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ৪৪ অধ্যায়ের ৪ (বি) অনুযায়ী সংস্থাটিকে প্রথম বছর অর্থাৎ ২০১৫-১৬ অর্থবছর শতভাগ কর রেয়াত, দ্বিতীয় বছর অর্থাৎ ২০১৬-১৭ অর্থবছর কমিশনকে তাদের আয়ের ওপর প্রদত্ত করের ৮০ শতাংশ রেয়াত সুবিধা দেয়া হয়। পরবর্তী তিন বছরের জন্য যথাক্রমে ৬০, ৪০ ও ২০ শতাংশ হারে রেয়াত সুবিধা দেয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম দুই বছরের কর অবকাশ সুবিধা ভোগ করেছে বিএসইসি।

নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে এ সুবিধা বাতিল করায় পরবর্তী তিন বছরের কর অবকাশ সুবিধা পাচ্ছে না কমিশন। অর্থাৎ চলতি অর্থবছর থেকেই কমিশনকে তাদের আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ হারে আয়কর পরিশোধ করতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

মুনাফার প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ব্যর্থ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো

bankনিজস্ব প্রতিবেদক :

মুনাফার প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারছে না দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। ব্যাংকগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, বেশির ভাগ ব্যাংকই গত ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) মুনাফার প্রবৃদ্ধি আগের বছরের তুলনায় কমে গেছে।

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, বিনিয়োগ স্থবিরতায় অর্থনীতির অন্যান্য খাতের মতো ব্যাংকের মুনাফায়ও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। শেষ মুহূর্তে কাটছাঁট করে কিছু কিছু ব্যাংক মুনাফা আগের বছরের চেয়ে বেশি দেখানোর চেষ্টা করলেও নিট মুনাফা আগের বছরের চেয়ে কমে যাবে বলে কয়েকজন ব্যাংকার জানিয়েছেন।

এক্সিম ব্যাংক চলতি ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত ছয় মাসে পরিচালন মুনাফা করেছে ৩২০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ২৫৫ কোটি টাকা। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক গত ছয় মাসে পরিচালন মুনাফা করেছে ২৬৭ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২২৫ কোটি টাকা।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক গত ছয় মাসে পরিচালন মুনাফা করেছে ৩৬০ কোটি টাকা। গত বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ৩৫০ কোটি টাকা। ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংক গত ছয় মাসে পরিচালন মুনাফা করেছে ২৪৩ কোটি টাকা। গত বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ১৯৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংক এক হাজার ৫০ কোটি টাকা, ডাচ্-বাংলা ৩৫০ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংক ৪০৮ কোটি টাকা, ব্যাংক এশিয়া ৩০৭ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংক ২৬০ কোটি টাকা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ২০৯ কোটি টাকা, যমুনা ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা, মধুমতি ব্যাংক ৭৩ কোটি টাকা, মেঘনা ব্যাংক ৬৮ কোটি টাকা ও সাউথ বাংলা ব্যাংক মুনাফা করেছে ৬৫ কোটি টাকা।

ব্যাংকের একটি উল্লেখযোগ্য আয় আসে পণ্য আমদানির (এলসি) কমিশন থেকে। পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র স্থাপন করে ব্যাংকগুলো উল্লেখযোগ্য মুনাফা করে। কিন্তু বিদ্যুৎ গ্যাস সঙ্কটের পাশাপাশি চলমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়েছে। এ কারণে শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতিসহ সামগ্রিক আমদানি কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে মুনাফায়।

এ ছাড়া হলমার্ক, বিসমিল্লাহ, বেসিক ব্যাংকসহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠানের বড় অঙ্কের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনার রেশ এখনো ব্যাংকিং খাতে কাটেনি। পাশাপাশি আবাসন ও তৈরী পোশাক খাতে ঋণ দিয়ে অনেক ব্যাংকেরই ঋণ আটকে গেছে। বিনিয়োগ স্থবিরতায় এসব খাতের উদ্যোক্তা ঋণ নিয়ে আর ফেরত দিতে পারছেন না। সবমিলে খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে।

আর খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকের প্রভিশন রাখতে হয়েছে বেশি। যেহেতু প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয় ব্যাংকের আয় খাত থেকে টাকা টেনে, এ কারণে অতিরিক্ত প্রভিশন সংরক্ষণ করতে গিয়ে ব্যাংকের মুনাফার ওপর প্রভাব পড়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি ব্যাংকের এমডি জানিয়েছেন, গতবারের মতো এবার খেলাপি ঋণ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক অলিখিতভাবে কিছু ছাড় দিয়েছে। বড় বড় ঋণ পুনর্গঠন করা হচ্ছে। নামেমাত্র ডাউন পেমেন্ট নিয়ে ঋণ নবায়ন করা হচ্ছে। এর বাইরে রয়েছে ঋণ অবলোপন। সব মিলে বছরের শেষ সময়ে এসে মুনাফায় কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

পরিচালন মুনাফা প্রকৃত মুনাফা নয়। প্রকৃত মুনাফা নির্ধারণের আগে খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ, মুনাফা থেকে সাড়ে ৪২ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স পরিশোধ করার পর অবশিষ্টাংশ প্রকৃত মুনাফা হিসেবে গণ্য হয়।
এ ছাড়া গত ছয় মাসে বেসিক ব্যাংক মুনাফা করেছে ২০ কোটি টাকা, পূবালী ব্যাংক মুনাফা করেছে ৪৬০ কোটি টাকা, যমুনা ব্যাংক মুনাফা করেছে ২০০ কোটি টাকা, মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক মুনাফা করেছে ২০৯ কোটি টাকা, শাহাজালাল ব্যাংক ১৭৩ কোটি টাকা এবং এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক মুনাফা করেছে ৭৬ কোটি টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

‘করের টাকা দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণ করা যাবে না’

mahbubস্টকমার্কেট ডেস্ক :

এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব এইচ মজুমদার বলেন, সরকারের একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত থাকতে হবে, কোনোভাবেই করের টাকা দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণ করা যাবে না। তবে যদি বিশেষায়িত কোনো ব্যাংকের হয়, তাহলে মানা যেতে পারে। এর জন্য একটি নীতিমালা জরুরি।

তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো পুরাতন ধ্যানধারনা নিয়ে ব্যবসা করছে। শিল্প মালিকরাও এখান থেকে বের হতে পারছে না। সব ধরনের মূলধনের জন্য আমরা ব্যাংকে ছুটে যাই। বিশ্বে সবচেয়ে নিকৃষ্ট পদ্ধতি হলো এটি। ব্যাংক থেকে পূরণ হবে সিজনাল ক্যাপিটাল গ্যাপ। ব্যবসার মূল টাকা আসতে হবে শেয়ারবাজার থেকে। তবে অনেকে মনে করে শেয়ারবাজার তো শক্তিশালী না। শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করতে হবে।

সম্প্রতি গনমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন মাহবুব এইচ মজুমদার।

তিনি বলেন, স্বল্প মেয়াদে আমানত নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী অর্থায়ন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। অথচ আমাদের ব্যাংকগুলো বছরের পর বছর ধরে এমন কাজই করে আসছে। অন্যদিকে শেয়ারবাজারের টাকা শিল্পায়নের জন্য গেলে, ওই দিকে নজর থাকে অনেক বেশি। ফলে ওই অর্থের সঠিক ব্যবহারে উদ্যোক্তাদের উপর এক ধরনের চাপ থাকে। কিন্তু সরকারি ব্যাংক থেকে টাকা নিলে সেখানে কমপ্লায়ান্সের বালাই থাকে না। লুটপাটের একটি আখড়া হয়ে যায়।

তিনি জানান, শিল্পায়নের টাকা শেয়ারবাজার থেকেই যাওয়া উচিত। গত বছর শিল্পায়নের জন্য ব্যাংক ঋণ দিয়েছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আর শেয়ারবাজার থেকে গিয়েছে মাত্র চারশত পঞ্চাশ কোটি টাকা। এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। শেয়ারবাজারকে কাজে লাগাতে হবে।

তিনি আরো বলেন, শেয়ারবাজারের অবস্থা খুব যে সন্তুষজনক তা নয়। আমাদের অর্থনীতির যে আকার, প্রবৃদ্ধির যে হার তার সঙ্গে বাজারের অবস্থা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অবশ্য মাঝখানে বাজার যে মন্দ অবস্থায় ছিল, সেখান থেকে বের হয়ে এসেছে। সরকারের সহযোগিতায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজারের বেশ কিছু সংস্কার করেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

progotiস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৭ শতাংশ নগদ ও ১৭ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। রবিবার ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে এই লভ্যাংশ দিয়েছে বিমাটি।

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বিমার বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ হয়েছে ২৭ জুলাই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/কেএস