দারাজের “বৈশাখী মেলা ১৪২৮” ক্যাম্পেইন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ (https://www.daraz.com.bd/#) পঞ্চমবারের বছরের মতো আয়োজন করেছে বছরের অন্যতম বৃহত্তম ক্যাম্পেইন- ‘বৈশাখী মেলা’। ‘জাগো বাঙালি বর্ষবরণের আনন্দে’ শীর্ষক স্লোগানে আয়োজিত ক্যাম্পেইনটি চলবে চলতি বছরের ৪ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। ৩১ মার্চ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয় দারাজ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক, প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার খন্দকার তাসফিন আলম, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার ফুয়াদ আরেফিন, জনপ্রিয় মডেল তাসনিয়া ফারিন এবং দারাজের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

গ্রাহকদের চাহিদার সাথে মিল রেখে ফ্যাশন ও বিউটি এবং স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে গ্রোসারি, টেলিভিশন এবং স্মার্টফোন পর্যন্ত একাধিক ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন অসধারণ ডিল দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো ক্যাম্পেইনটি। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় বৈশাখী কালেকশন যেমন- শাড়ি, পাঞ্জাবি এবং অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী পণ্যের ওপর থাকছে বিশেষ ছাড়।

ক্যাম্পেইনটিতে রয়েছে অসংখ্য আকর্ষণীয় অফার। এর মধ্যে আছে ব্র্যান্ড ডাবল টাকা ভাউচার, মেগা ডিলস, গেস অ্যান্ড গেট ইট ফ্রি, ১ হাজার ৪২৮ টাকা ডিলস, ব্র্যান্ড ফ্রি শিপিং এবং মেগা ভাউচার। এছাড়াও, দারাজের নতুন গ্রাহকরা তাদের অর্ডারের উপর পাবেন বিশেষ ছাড়।

দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল বাঙালির জন্য বিশেষ একটি দিন। আর এই দিনটির আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিতে দারাজের এই আয়োজন। ‘বৈশাখী মেলা’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রাহকরা বিস্তৃত পরিসরের পণ্য থেকে বিভিন্ন আকর্ষণীয় ডিলে তাদের পছন্দের পণ্যটি কেনার সুযোগ পান, যা তাদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দদায়ক করে। আশা করছি, আমাদের গ্রাহকরা আমাদের অফারগুলো উপভোগ করবেন।’ ক্যাম্পেইনটির কো-স্পনসর হিসাবে আছে বাটা, ডেটল, লাইজল, স্টুডিওএক্স, সানসিল্ক এবং শাওমি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

মার্সেল ফ্রিজ, টিভি, এসি এবং ওয়াশিং মেশিনে নানা সুবিধা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেল সারা দেশে শুরু করেছে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১০’। বিক্রয়োত্তর সেবা অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আনতে মার্সেলের এ উদ্যোগ। ক্যাম্পেইনের আওতায় মার্সেল ফ্রিজ, টিভি, এসি এবং ওয়াশিং মেশিন ক্রেতাদের জন্য আরেকটি এসি অথবা টিভি কিংবা ফ্যান ফ্রি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। থাকছে লাখ লাখ টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার অথবা ক্যাশব্যাক কিংবা ছাড়। ১ এপ্রিল থেকে সারা দেশে কার্যকর করা হয়েছে এসব সুবিধা।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল ২০২১) রাজধানীর মার্সেল করপোরেট অফিসে আয়োজিত ভিন্ন ভিন্ন ডিক্লারেশন প্রোগ্রামে ওই পণ্যগুলোতে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১০’ চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। সে সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু, এমদাদুল হক সরকার ও মো. হুমায়ূন কবীর, মার্সেলের বিপণন বিভাগের প্রধান ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন, এসির সিইও তানভীর রহমান, ফ্রিজের সিইও আনিসুর রহমান মল্লিক, টিভির সিইও মোস্তফা নাহিদ হোসেন এবং নির্বাহী পরিচালক আরিফুল আম্বিয়া প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরির মাধ্যমে আরো দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে মার্সেল। এ পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল ও বারকোডসহ বিস্তারিত তথ্য মার্সেলের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো মার্সেল সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পারছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের প্রতিটি সিজনেই আকর্ষণীয় উপহারসহ লাখ লাখ টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই নয়টি সফল সিজন পেরিয়ে দশম সিজন শুরু করলো মার্সেল।

জানা গেছে, দেশের যেকোনো মার্সেল শোরুম থেকে ফ্রিজ কিংবা ওয়াশিং মেশিন কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতারা পেতে পারেন একটি ফ্যান কিংবা এসি সম্পূর্ণ ফ্রি। রয়েছে লাখ লাখ টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার।

মার্সেল এসি ক্রেতাদের জন্য থাকছে আরেকটি এসি ১০০ শতাংশ ফ্রি কিংবা নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। আর মার্সেল টিভি কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতারা পেতে পারেন আরেকটি টিভি ১০০ শতাংশ ফ্রি। রয়েছে নিশ্চিত ছাড়।

মার্সেলের বিপণন বিভাগের প্রধান ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, বর্তমানে বাজারে রয়েছে মার্সেলের প্রায় দেড়শত মডেলের ডিরেক্টর কুল বা ফ্রস্ট এবং নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার এবং বেভারেজ কুলার। দাম ১০,৯৯০ টাকা থেকে ৮০,৯০০ টাকার মধ্যে। সাশ্রয়ী দামে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং প্রাপ্ত ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড গ্লাস ডোরের মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ফ্রিজ ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছে মার্সেল। ফলে, স্থানীয় বাজারে ব্যাপক গ্রাহকপ্রিয়তা পেয়েছে মার্সেল ফ্রিজ। আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে মার্সেলের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। আর তাই ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে।

মার্সেলের রয়েছে ২০ থেকে ৪৩ ইঞ্চির প্রায় অর্ধশত মডেলের এইচডি এবং ফুল এইচডি বেসিক এলইডি এবং এলইডি স্মার্ট টিভি। দাম ১০,৯০০ টাকা থেকে ৫০,৯০০ টাকার মধ্যে। ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টিসহ মডেলভেদে টিভির প্যানেলে ৪ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি এবং ৫ বছরের ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছে মার্সেল।

বর্তমানে প্রায় অর্ধশত মডেলের ১, ১.৫ ও ২ টনের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী স্প্লিট এসি উৎপাদন ও বিক্রি করছে মার্সেল। দাম ৩৬,৯০০ টাকা থেকে ৭৮,৪০০ টাকার মধ্যে। মডেলভেদে ১ বছর পর্যন্ত রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টিসহ ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে ১০ বছরের ওয়ারেন্টি দিচ্ছে মার্সেল।

এছাড়া বাজারে রয়েছে মার্সেলের ৯ মডেলের সেমি অটোমেটিক এবং অটোমেটিক টপ ও ফ্রন্ট লোডিং ওয়াশিং মেশিন। দাম ৬,৯০০ টাকা থেকে ৩৬,৫০০ টাকার মধ্যে। ওয়াশিং মেশিনের প্রধান যন্ত্রাংশে (মোটর) ৫ বছরের ওয়ারেন্টিসহ ৫ বছরের হোম সার্ভিস দিচ্ছে মার্সেল।

দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের আওতায় ৭৬টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে মার্সেলের। যার প্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রাহকসেবা দিতে সক্ষম হচ্ছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ই-কমার্স প্রতারণা বন্ধে কঠোর মনিটরিং করতে হবে: রাষ্ট্রপতি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সম্ভাবনাময় ই-কমার্স সেক্টরে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা বন্ধে সংশ্লিষ্টদের কঠোরভাবে মনিটরিং করতে বলেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ভবনে ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো-২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, কিছুসংখ্যক উদ্যোক্তা ই-কমার্সের নামে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। অনলাইনে এক ধরনের পণ্য প্রদর্শন করে ডেলিভারি দিচ্ছে নিম্নমানের বা অন্য পণ্য। অনেক সময় অর্ডার নিয়ে পেমেন্ট পাওয়ার পর পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়। ফলে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছে এবং অনলাইনে কেনাকাটায় আগ্রহ হারাচ্ছে। মুষ্টিমেয় কিছু অসাধু লোকের প্রতারণার জন্য যাতে ই-কমার্সের মতো একটি বিপুল সম্ভাবনাময় খাতের প্রসার কোনোভাবেই থেমে না যায় তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং করতে হবে।

ই-কমার্সের ওপর ক্রেতাদের আস্থা ধরে রাখার তাগিদ দিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, করোনার কারণে অনেক ক্রেতাই ঘরে বসে তাদের পছন্দের প্রয়োজনীয় পণ্যটি পেতে চান। ফলে অনলাইনে কেনাকাটা বহুগুণে বেড়ে গেছে। ই-কমার্স এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক খাত। ই-কমার্সের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ আগ্রহকে ধরে রাখতে হলে ক্রেতাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।

দেশ এখন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের চূড়ান্ত পর্যায়ে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো-২০২১’ এর মাধ্যমে এ খাতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার চিত্রটি সবার কাছে তুলে ধরার পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আরএ

২০২১ সালে বিশ্ব বাণিজ্য ৮% বৃদ্ধি পাবে: ডব্লিউটিও

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

এই সাময়িক ইতিবাচক বৃদ্ধি পরবর্তীকালে দরিদ্র দেশগুলোতে দুর্বল বাণিজ্যিক সেবা ও ভ্যাকসিন প্রদানে দেরির কারণে সংঘটিত বিভিন্ন আঞ্চলিক অসমতার কারণে বিঘ্নিত হবে।

ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশসডপ (ডব্লিউটিও) নতুন হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্য ৫ দশমিক ৩ শতাংশ ক্ষতির সম্মুখীন হলেও প্রত্যাশা করা হচ্ছে ২০২১ সালে তা ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

তবে সেক্ষেত্রে বৈশ্বিক বাণিজ্যের বৃদ্ধি ২০২২ সালে আবার ৪ শতাংশ কমে যাবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ডব্লিউটিও। এর কারণ হিসেবে ডব্লিউটিও জানায়, মহামারি পরবর্তী যেসব ক্ষতিকর প্রভাব বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর পড়বে, তা মহামারি পূর্ববর্তী সময়ের বৃদ্ধিকে সহজেই ছুঁতে পারবে না।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই সাময়িক ইতিবাচক বৃদ্ধি পরবর্তীকালে দরিদ্র দেশগুলোতে দুর্বল বাণিজ্যিক সেবা ও ভ্যাকসিন প্রদানে দেরির কারণে সংঘটিত বিভিন্ন আঞ্চলিক অসমতার কারণে বিঘ্নিত হবে।

এছাড়াও কোভিড-১৯-এর নতুন প্রবাহ আঘাত হানার ফলে বিশ্ব বাণিজ্য আগের গতিতে ফিরে যাবার যে প্রত্যাশা করা হচ্ছিল, তা যেকোনো সময় নিরাশায় পর্যবসিত হতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

ডব্লিউটিও’র ডিরেক্টর জেনারেল গোজি ওকোঞ্জো-ইওয়ালা বলেন, ‘গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে বিশ্ব বাণিজ্যে যে শক্তিশালী প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে, তা বিশ্বের মানুষ, বাণিজ্য ও অর্থনীতির ওপর মহামারির আঘাতকে খানিকটা হলেও হালকা করেছে।’

‘এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আন্তর্জাতিক বাজার মুক্ত রাখা অত্যাবশ্যক এবং দ্রুত সারা বিশ্বে যথাযথভাবে ভ্যাকসিনের ব্যবহার আমাদের আগের গতি ফিরে পাবার পূর্বশর্ত,’ আরও বললেন ওকোঞ্জো।

ডব্লিউটিও জানায়, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যে সাময়িক পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে, তা মহামারির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়িক খাতগুলোর নেতিবাচক অবস্থার ওপর নির্ভরশীল। এর মধ্যে রয়েছে ভ্যাকসিন উৎপাদনে স্বল্পতা ও অসম বণ্টন অথবা কোভিড-১৯-এর নতুন ধারাগুলো। মাঝারি থেকে লম্বা সময়ের মধ্যে জনগণের ঋণ ও ঘাটতির ফলেও বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, বিশেষ করে উচ্চমাত্রার ঋণগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষেত্রে।

বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুটি বিকল্প দৃশ্যপট অনুমান করা হয় সেখানে। উর্ধ্বমুখী চিত্রে দেখা যায়, ভ্যাকসিন উৎপাদন ও এর প্রসার বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে নানা বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া হবে। ফলে বৈশ্বিক জিডিপি বৃদ্ধি পাবে আরও ১ শতাংশ এবং সেইসঙ্গে বৈশ্বিক বাণিজ্যের মাত্রা বাড়বে আরও ২ দশমিক ৫ শতাংশ পয়েন্ট।

এ ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ‘২০২১ সালের শেষ তিন মাসের মধ্যে বাণিজ্য তার মহামারি পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে আসবে। অন্যদিকে, নিম্নমুখী দৃশ্যপটে দেখা যায়, চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভ্যাকসিন উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে না, অথবা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়ান্টের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা কম হবে। এর ফলে ২০২১ সালে বৈশ্বিক জিডিপি ১ শতাংশ কমে যেতে পারে এবং বাণিজ্যের বৃদ্ধি কমতে পারে ২ শতাংশ।’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা মহামারির কারণে লকডাউন ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে বৈশ্বিক বাণিজ্যের মাত্রা ১৫ শতাংশ নিচে নেমে গিয়েছিল। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে এসে লকডাউন শিথিল করা হয় এবং শেষ তিন মাসে এসে ২০১৯ সালের কাছাকাছি পর্যায়েই পণ্য পরিবহনের কাজ স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকে।

মহামারির প্রভাবে ২০২০ সালে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলভেদে পণ্যদ্রব্যের বাণিজ্যের মাত্রা ওঠা-নামা করে। বেশিরভাগ অঞ্চলেই আমদানি ও রপ্তানি- উভয়ের মাত্রাই হ্রাস পেয়েছে। তবে এদিক থেকে এশিয়া ছিল একমাত্র ব্যতিক্রম, যেখানে রপ্তানি বেড়েছে ০ দশমিক ৩ শতাংশ এবং আমদানি হ্রাস পেয়েছে মাত্র ১ দশমিক ৩ শতাংশ।

প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ দেশগুলোতে আমদানি হ্রাস পেয়েছে সবচেয়ে বেশি। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে আফ্রিকা (-৮.৮%), দক্ষিণ আমেরিকা (-৯.৩%) ও মধ্যপ্রাচ্য (-১১.৩%)। রপ্তানি কমে যাওয়ার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে তেলের দাম ৩৫ শতাংশ পড়ে গিয়েছিল। অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উত্তর আমেরিকায় এই হ্রাসের পরিমাণ তুলনামূলক কম ( -৬.১%)।

২০২১ সালে বাণিজ্যিক পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির পেছনেও উত্তর আমেরিকার বড় হাত রয়েছে (১১.৪%)। এর জন্যে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের বড় পরিসরে ইনজেকশন উৎপাদনকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। কারণ, এর ফলে ট্রেড চ্যানেলের মধ্য দিয়ে অন্যান্য অর্থনীতিও চাঙ্গা হবার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য অঞ্চলে আমদানি বৃদ্ধির হার কম হলেও ইউরোপ ও আমেরিকায় এবার আমদানি বৃদ্ধি পাবে ৮ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আরএ

দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক ও সহনীয় রয়েছে : সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে দেশে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সংসদে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের আনোয়ার হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশে চাল, ভোজ্য তেল, আটা, শুকনো মরিচের দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে এসব নিত্যপণ্যের মূল্য আগের মতো সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে।

ভবিষ্যতে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সময়োপযোগী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পরিকল্পনার কথাও জানান মন্ত্রী।

এসময় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আনুম মিতার অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর রমজান মাসকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের মূল্য হঠাৎ করে বৃদ্ধি করার প্রবণতা দেখায়। নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে প্রতি বছরের মতো এবারও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

তবে খোলা বাজারে চাল,ডাল, তেলসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। এ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অভিযোগও উঠেছে। ক্রেতাদের দাবি রমজানকে সামনে রেখে যেন কোনও দ্রব্যের দাম না বাগে, সরকার যেন বিষয়টি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আরএ

ব্লক মার্কেটে লেনদেন ১৩ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার ব্লক মার্কেটে মোট ২৫ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে এস.এস স্টিল লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটি ৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

ম্যারিকো ২ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ১ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে-এএফসি অ্যাগ্রো, বিডি ফিন্যান্স, বার্জার পেইন্টস, বেক্সিমকো,ডিবিএইচ, জেনেক্স ইনফোসিস, কেপিসিএল, কাট্টালি টেক্সটাইল, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, লাফার্জহোলসিম, ম্যারিকো, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স, রেনেটা,রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, রিং শাইন, আরএসআরএম স্টিল, সায়হাম কটন, সী পার্ল বীচ, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, এসকে ট্রিমস, স্কয়ার ফার্মা, এস.এস স্টিল ও ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসআর

দি এক্‌মি ল্যাবরেটরিজের শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ঔষধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি দি এক্‌মি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের একজন উদ্দ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, কোম্পানির উদ্দ্যোক্তা পরিচালক মিসেস জাহানারা মিজান সিনহা ৬৯ হাজার ৫০০ শেয়ার ক্রয় করবেন।

ঘোষণার পর ২৯ এপ্রিলের মধ্যে এই পরিচালক উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার পাবলিক মার্কেটে ক্রয় করবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসআর

লিন্ডে বাংলাদেশের ১ম প্রান্তিকের বোর্ড সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের বোর্ড সভা আগামী ৮ এপ্রিল আহবান করেছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৬(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় কোম্পানিটির ২০২০ সালের ১ম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত এই আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এদিন বেলা সাড়ে ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অফিসে অনুষ্ঠিত এ সভায় কোম্পানিটির ১ম প্রান্তিকের ইপিএস ও ন্যাভসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসআর

কেয়া কসমেটিক্সের নগদ লভ্যাংশ বিতরণ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ঔষধ ও রসায়ন শিল্প খাতের কোম্পানি কেয়া কসমেটিক্স লিমিটেড গত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটি গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২০ অর্থবছরে ঘোষিত নগদ লভ্যাংশটি নিজ নিজ ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) মাধ্যমে জমা দিয়েছে।

আর যেসব প্রবাসী এবং স্থানীয় শেয়ারহোল্ডারদের হিসাবে ডিভিডেন্ড এখনো জমা হয়নি তাদের কোম্পানির রেজিস্টার্ড অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

স্টকমার্কেবিডি.কম/এসআর

 

৬ নিত্যপণ্যের নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে টিসিবি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রমজান সামনে রেখে ৬টি নিত্যপণ্যের নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবি। নতুন দর অনুযায়ী একজন ক্রেতা দিনে ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ চার কেজি চিনি, ৫৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, ১০০ টাকা দরে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল এবং ২০ টাকা দরে পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।

এছাড়া রমজান উপলক্ষে দুই কেজি ছোলা প্রতিকেজি ৫৫ টাকা দরে এবং এককেজি খেজুর ৮০ টাকা দরে পাবেন। এতে প্রতিকেজি তেলের দাম বেড়েছে ১০ টাকা, ডাল ও চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিতে ৫ টাকা। বাজার পরিস্থিতির কারণে পণ্যের দাম বাড়িয়েছে সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আজ বৃহস্পতিবার থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।

জানা গেছে, চলমান ৪০০ ট্রাকের মাধ্যমে ভোজ্যতেল, চিনি, মসুর ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম বাড়িয়ে রমজান উপলক্ষে দ্বিতীয় ধাপে ট্রাকের সংখ্যা হবে ৫০০টি। এর মধ্যে রাজধানীতে পণ্য বিক্রি করবে ১০০ ট্রাক। আর তখন ট্রাকসেলে যুক্ত হবে ছোলা ও খেজুর। এসব পণ্য আজ ১ এপ্রিল থেকে ই-কমার্সেও মাধ্যমেও বিক্রি করবে টিসিবি। কেউ ট্রাক থেকে না কিনে ই-কমার্স অথবা সরাসরি বিক্রয় কেন্দ্রর মাধ্যমেও এসব পণ্য কিনতে পারবেন। রমজানে যেসব পণ্যের বেশি চাহিদা থাকে, সেগুলোর ১০ থেকে ১২ শতাংশ টিসিবির মজুত রয়েছে। রমজান উপলক্ষে সাশ্রয়ী মূল্যে ২৬ হাজার ৫০০ টন ভোজ্যতেল, ১৮ হাজার টন

চিনি, ১২ হাজার টন মসুর ডাল, আট হাজার টন ছোলা, ছয় হাজার টন পেঁয়াজ টিসিবি বিক্রি করবে বলে জানা গেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আরএ