ব্যবসাবান্ধব বিনিয়োগের জন্য অর্থবহ নির্বাচন দরকার : আনিসুল হক

anisulবিশেষ প্রতিবেদক :

ব্যবসাবান্ধব বিনিয়োগের জন্য দেশে একটি অর্থবহ নির্বাচন দরকার বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে শুরু হওয়া সমুন্নত রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আনিসুল হক বলেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশে ভালো নির্বাচন হোক, এটি সবার কামনা। আর দেশে ব্যবসাবান্ধব বিনিয়োগের জন্যও একটি অর্থবহ নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়ে খুব বেশি তর্ক বিতর্ক হচ্ছে না। সব রাজনৈতিক দল ইসির সাথে আলোচনা করছে। ফলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) চাইলে একটি অর্থবহ নির্বাচন সম্ভব।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

‘বাংলাদেশে ভারতীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের নিশ্চিন্তে বিনিয়োগের আহবান’

amu----------4520140521125648বিশেষ প্রতিবেদক :

বাংলাদেশে বিরাজমান স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতীয় শিল্প উদ্যোক্তারা নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করার আহবান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

শনিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ‘কৃষি, হর্টিকালচার ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য শিল্পখাতের ওপর ব্যবসায়িক সম্মেলন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে শিল্পায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০টি ইকোনোমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। ভারতের উদ্যোক্তারা চাইলে এর একটি তাদের জন্যও বরাদ্দ দেয়া হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে বিরাজমান স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতীয় শিল্প উদ্যোক্তারা নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করতে পারেন। এর ফলে বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ বাড়বে। পাশাপাশি বাংলাদেশে বিনিয়োগকৃত শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পুনঃরপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে। এতে করে দু’দেশের উদ্যোক্তা ও জনগণ লাভবান হবে। এটি আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি কমাতেও ইতিবাচক অবদান রাখবে। পাশাপাশি রফতানি বৈচিত্রকরণের নতুন সুযোগ তৈরি করবে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমি আশ্বস্ত করতে চাই, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকা পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে আপনারা বাংলাদেশে যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসলে আমরা সম্ভব সব ধরনের সহায়তা দেব। বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে যৌথ বিনিয়োগ করতে পারেন। এক্ষেত্রেও আমাদের সরকার উদার নীতি গ্রহণ করবে।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিশাল সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, এ অঞ্চলে বাংলাদেশি ইট, সিমেন্ট, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং খাদ্যপণ্য, কৃষিভিত্তিক পণ্য, মাছ এবং মাছজাত পণ্য, মেলামাইন, সিরামিক, প্রসাধনী ও কসমেটিক্স এবং সিআই শিট, হালকা প্রকৌশল পণ্য ইত্যাদির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়াও সবজি, মশলা এবং ফল-মূল ইত্যাদি রফতানির অপার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এবং দেশের চাহিদা মিটিয়ে এগুলো ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে।

অনুষ্ঠানের আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমূখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

দুই তৃতীয়াংশ ব্যাংকেই সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে

bbবিশেষ প্রতিবেদক :

ব্যাংকিং খাতের ঋণের গড় সুদের হার ১০ শতাংশের নিচে বা সিঙ্গেল ডিজিটে নেমেছে বেশ কয়েক মাস আগেই। প্রতি মাসের হিসাবেই দেখা যাচ্ছে, গড় সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে আসা ব্যাংকের সংখ্যা বাড়ছে।

দেশে ৫৭টি তফসীলি ব্যাংকের মধ্যে মাত্র ১৯ টি ব্যাংকের সুদের হার এখনো ১০ শতাংশের উপরে রয়েছে। আর বাকিগুলোর গড় সুদের হার ১০ শতাংশের নিচে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন দেশের বিনিয়োগে স্থবিরতা চলছে। উদ্যোক্তারা যে পরিমাণ ঋণ নেওয়ার দরকার তা নিচ্ছে না। ফলে ব্যাংকিং খাতে অলস টাকা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে পরিচালন ব্যয় কমাতে ব্যাংকগুলো আমানতের সুদহার কমাচ্ছে। যাতে নতুন করে আমানত না আসে সেদিকেও নজর রাখছে ব্যাংকগুলো। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এমন পরিস্থিতিতে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ১৩ টি ব্যাংক স্প্রেড সীমা অতিক্রম করেছে। তবে রাষ্ট্রীয় মালিকানার সবগুলো বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের স্প্রেড নির্ধারিত সীমার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু বিদেশি ও বেসরকারি মালিকানার ব্যাংকগুলোর স্পেড সীমার মধ্যে নেই। এসব ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে নির্দশনা দেওয়ার পরেও তারা তা মানছে না।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স

স্lankaটকমার্কেট ডেস্ক : গত সপ্তাহে দেশের বৃহত্তম শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে অার্থিক খাতের কোম্পানি লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড। এই সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছ ২.৫২ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এই সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে কোম্পানিটির বাজার মূল্য ছিল ১৫৬ কোটি ৮৫ লাখ ৪১ হাজার টাকা। ২ কোটি ৭৩ লাখ ৬৬ হাজার ২১২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। শেয়ারের দর বেড়েছে ২. ৫২ শতাংশ বা ২.৯৬ টাকা।

সপ্তাহ শেষে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে টেক্সাটাইল খাতের কোম্পানি রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড। কোম্পানিটির বাজার মূল্য ১৪০ কোটি ৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। শেয়ার দর দশমিক ৩২ শতাংশ অথ্যাং ২.৬৪ টাকা। এই সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে কোম্পানিটির ৪ কোটি ৪৫ লাখ ১১ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতের কোম্পানি  বারাকা পাওয়ার লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির ২ কোটি ৬০ লাখ ৭১ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১২০ কোটি ৬১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৬.৪২ শতাংশ বা ২.২৮ টাকা।

তালিকায় থাকা শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- খাদ্য ও আনুসাঙ্গিক খাতের কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুড, ফার্মািসিটক্যালস ও কেমিক্যাল খাতের কোম্পািন কেয়া কসমেটিকস, ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি, প্রাইম ব্যাংক, সাইফ পাওয়ারটেক এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জিএম.

রেমিটেন্স বাড়াতে শিগগিরই ফি কমানো হবে : অর্থমন্ত্রী

muhitবিশেষ প্রতিবেদক :

দেশে রেমিটেন্স বাড়াতে শিগগিরই ফি কমানো হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আগামী মাস থেকে ফি কমানোর ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, একটা অভিযোগ আছে- প্রবাসীদের দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেক বেশি ফি দিতে হয়। এই ফি আমরা কমিয়ে দেব। নাম মাত্র একটা ফি নেয়া হবে। যদি তাতে কিছুটা উন্নতি হয়।

শনিবার সকালে সিলেট নগরের নাইওরপুল মোড়ে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নবনির্মিত ফোয়ারা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

অর্থপাচার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, পাচার সারা দুনিয়াতেই হয়। তবে রেটস অব গ্রোথ (পাচারের হার) আমাদের একটু বেশি। এর জন্য আমরাও দায়ী।

এ সময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আব্দুল মোমেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আাসাদ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ডিএসইতে সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৭০.৬৩ শতাংশ

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেট ডেস্ক :

এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরণের সূচকের সাথে বেড়েছে লেনদেন। এই সপ্তাহে লেনদেন বৃদ্ধির পরিমাণ ছিলো ৭০ দশমিক ৬৩ শতাংশ।  অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জেও (সিএসই) বেড়েছে লেনদেন। এসময়ের মধ্যে বেড়েছে সবধরনের সূচক। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জেও (সিএসই)সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবস লেনদেন মোট ৫ হাজার ২৯৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। তবে এর আগের সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩ হাজার ১০৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা । বৃদ্ধির পরিমাণ ছিলো ৭০ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ১৫০.৫৮ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ বা ৩২.১৭ পয়েন্ট। সপ্তাহের শুরুর দিন এই সূচক ছিল ৫ হাজার ৫৯৯ কোটি ৮ লাখ। সপ্তাহের শেষ দিন ২৪৯.৪২ বেড়ে দাড়ায় ৫ হাজার ৭৪৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। অপরদিকে, শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ বা ২১.১২ পয়েন্টে। সপ্তাহের শুরুর দিন ছিল ২ হাজার ৭১ কোটি ১৪ লাখ থেকে বেড়ে দাড়ায় ২ হাজার ১০৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৮১টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ৪১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৩৩৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার। তবে সার্বিক সূচক বেড়েছে ১.৭২ শতাংশ।

এই সপ্তাহজুড়ে তালিকাভুক্ত মোট ২৮৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২১৬টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/কেএস

ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন ফি ১৪-১৬% : সংকটে আবাসন খাত

real statবিশেষ প্রতিবেদক :

দেশের সম্ভাবনাময় আবাসন খাত বহুমুখী সংকটে স্থবির হয়ে পড়ছে। মানুষের বাসস্থানের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে এ খাত বড় অবদান রাখছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে এ খাতে চরম সংকট চললেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা মেলেনি। ফলে ধীরে ধীরে মুখ থুবড়ে পড়ছে আবাসন খাত।

সর্বশেষ তথ্য মতে, সারা দেশে আবাসন খাতে বিক্রি হ্রাস পেয়েছে ৮০ শতাংশ। আর নতুন প্রকল্প গ্রহণের হার কমেছে প্রায় ৯০ শতাংশ। বিদ্যমান অবস্থা থেকে এ খাতের উত্তোরণের জন্য সরকারের বিশেষ সহযোগিতা দরকার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, সরকারের সহযোগিতা ছাড়া আবাসন খাত স্বাভাবিক হতে পারবে না। আর সেটা না হলে জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে। উন্নত ও মধ্যম আয়ের দেশ গঠনের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে এ খাত।

আবাসন ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশে ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন ফি ১৪-১৬ শতাংশ, যা সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। অন্যান্য দেশে রেজিস্ট্রেশন ফি ৪-৭ শতাংশের মধ্যে। একজন গ্রাহক একটি ফ্ল্যাট কিনলে অনেক টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হচ্ছে। এ কারণে গ্রাহকদের এ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ কমছে। আর একটি ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনের কিছুদিন পর বিক্রি করে দিলে নতুন করে একই হারে ফি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।

একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নামমাত্র ফি ধার্য করলে এ খাতে সেকেন্ডারি একটি মার্কেট সৃষ্টি হবে। যেটা আবাসন ব্যবসায় ইতিবাচক ধারা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে। কিন্তু সরকার সেই সুযোগ দিচ্ছে না। এ ছাড়া বিনা শর্তে অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগ, স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ও সরকারের বিশেষ ঋণ তহবিল না থাকায় আবাসন খাত ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না।

এ প্রসঙ্গে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, আবাসন শিল্পে অন্যান্য দেশের মতো শিল্পঋণ সুবিধা চালু, রেজিস্ট্রেশন ব্যয় ৪ শতাংশে কমিয়ে আনা এবং সেকেন্ডারি মার্কেটে রেজিস্ট্রেশন ফি আরও কমাতে হবে।

তিনি আরো জানান, আবাসন খাতের মন্দাবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে স্বল্প ও মধ্যবিত্ত আয়ের ক্রেতাসাধারণের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল গঠন এবং সিঙ্গেল ডিজিটে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সুবিধা চালু করতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/