বিএসইসির লভ্যাংশ প্রত্যাশা করা স্বাভাবিক : রবি সিইও

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রবি আজিয়াটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) রবির ‘নো’ ডিভিডেন্ডে খুশি হয়নি। তারা লভ্যাংশ প্রত্যাশা করেছিল। এটা স্বাভাবিক। বিএসইসির সঙ্গে এ বিষয়ে আমি একমত।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ২০২০ সালের লভ্যাংশ সংক্রান্ত পর্ষদ সভা পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মাহতাব উদ্দিন বলেন, আমাদের যে পরিমাণ মুনাফা হয়েছে, তাতে করে অর্ধেক মুনাফা লভ্যাংশ আকারে দিতে গেলে হয়তো ১.৬৭ শতাংশ হারে দিতে পারতাম। আর পুরোটা দিতে গেলে ৩.৩৩ শতাংশ হতো। এটা অল্প লভ্যাংশ দিয়ে সবাইকে খুশি করতে পারতাম কিনা, বিষয়টি পর্ষদ সভায় আলোচনা হয়েছে। এছাড়া লভ্যাংশ না দেওয়ার কারন হিসেবে রয়েছে কোম্পানির পূণ:বিনিয়োগ করার বিষয়টি।

শুধুমাত্র সাধারন বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে লভ্যাংশ ১০ শতাংশ দেওয়া সমস্যা হতো না এমন প্রশ্নে রবির সিইও বলেন, অন্যরা কিভাবে লভ্যাংশ দেয়, তার সঙ্গে আমরা তুলনায় যাব না। আমাদের উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন কোম্পানিতে। কিন্তু ২০১৪ সালের পরে লভ্যাংশ নেন নাই। তারপরেও পর্ষদে শুধুমাত্র সাধারন বিনিয়োগকারীদেরকে লভ্যাংশ দেওয়া যায় কিনা, বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলাম।

লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্তে রবির শেয়ারের দর পতন হয়েছে এমন প্রশ্নে মাহতাব উদ্দিন বলেন, লভ্যাংশ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে শুধু লভ্যাংশ দিয়ে শেয়ারকে বিবেচনা করলে হবে না। কোম্পানির পারফরমেন্স দেখতে হবে। শুধুমাত্র লভ্যাংশের দিকে তাকালে বিভ্রান্তিকর হবে। আর যারা শুধুমাত্র লভ্যাংশ দিয়ে বিবেচনা করে, তারা বিচক্ষন বিনিয়োগকারী না।

তিনি বলেন, আমাদের পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে আগ্রহী। তবে শুধুমাত্র ১টি বছর দিয়ে বিবেচনা করা ঠিক হবে না।

কোম্পানি সচিব শাহেদুল আলম বলেন, আমরা শেয়ারবাজারে এসেছি ২০২০ সালের শেষ সপ্তাহে। কিন্তু লভ্যাংশ ঘোষণা করতে হতো পুরো বছরের উপর। এটাও একটা লভ্যাংশ ঘোষণা না করার কারন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/বি

বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম ১৩ মাসের সর্বোচ্চে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

গতকাল জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ১৩ মাসের সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে। ভ্যাকসিন সরবরাহ বৃদ্ধিতে চাহিদা বৃদ্ধি এবং উত্তোলকদের সরবরাহ সংকোচনের কারণে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। খবর রয়টার্স।

গতকাল অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম ৭৭ সেন্ট বা ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৬৩ দশমিক ২০ ডলারে। দিনের এক পর্যায়ে তা ব্যারেলপ্রতি ৬৩ দশমিক ৭৬ ডলারে দাঁড়িয়েছিল। ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারির পর এটা সর্বোচ্চ।

যুক্তরাষ্ট্রে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম ১ দশমিক শূন্য ৪ ডলার বা ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৬০ দশমিক ৫১ ডলারে, গত বছরের ৮ জানুয়ারির পর যা সর্বোচ্চ। গত সপ্তাহে তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ।

তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক ও ওপেক প্লাস কর্তৃক তেল উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্তও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাব রেখেছে। রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক জানান, বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এবং চলতি বছর দাম ব্যারেলপ্রতি ৪৫-৬০ ডলারের মধ্যে থাকবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা গত কয়েক মাসে দেখেছি তেলের বাজারে অস্থিরতা কমছে। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, বাজারে ভারসাম্যাবস্থা ফিরে আসছে এবং বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে সংগতি রেখে দাম চাঙ্গা হচ্ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বাংলাদেশে কি বিটকয়েন বৈধ করার সময় এসেছে?

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের মূল্য গত কিছুদিনে রাতারাতি বহুগুণ বেড়ে গেছে।

মার্কিন বিলিওনিয়ার এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলা এই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে দেড়’শ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে এই ডিজিটাল মুদ্রার দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে।

এ প্রতিবেদনটি যখন প্রকাশিত হচ্ছে, তখন একটি বিটকয়েনের বাংলাদেশের টাকায় মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

কিন্তু বাংলাদেশের এই ডিজিটাল মুদ্রার কী অবস্থা?

যদিও বাংলাদেশে খুব সীমিত আকারে বিটকয়েন কেনাবেচার কথা জানা যাচ্ছে, তবে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা বা সংরক্ষণ করা বেআইনি বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, বাংলাদেশে বিটকয়েনের কোন অনুমোদন নেই। যেহেতু অনুমোদন নেই, সুতরাং এই জাতীয় লেনদেন বৈধ নয়।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক বিটকয়েনে লেনদেনের ব্যাপারে সতর্কতা জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে না বিধায় এর বিপরীতে আর্থিক দাবির কোন স্বীকৃতিও নেই।

ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্ক করে দিয়েছে।

এ ধরনের লেনদেনের মাধ্যমে আর্থিক এবং আইনগত ঝুঁকি রয়েছে বলে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “নামবিহীন বা ছদ্মনামে প্রতিসঙ্গীর সঙ্গে অনলাইনে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।”

এছাড়া, অনলাইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লেনদেনকারী গ্রাহকরা ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন বলে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ভবিষ্যতে বিটকয়েনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন পদক্ষেপ নেবে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ব্যাপারে কোন পরিকল্পনা নেই।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আইন নেই। বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়।
বিটকয়েন কী?

বিটকয়েন একধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই এই মুদ্রার লেনদেন হয়ে থাকে।

২০০৮ সালের শেষের দিকে জাপানের একজন নাগরিক সাতোশি নাকামোতো নামের কেউ বা একদল সফটওয়্যার বিজ্ঞানী এই ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ উদ্ভাবন করেন। যদিও এই ব্যক্তির আসল নাম বা পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

নতুন এই ভার্চুয়াল মুদ্রাকে বলা হয় বিটকয়েন। ২০১৩ সালের দিকে এই মুদ্রার দাম ১০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে দুইজন ব্যবহারকারীর মধ্যে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ না করেও এটা সরাসরি আদান-প্রদান (পিয়ার-টু-পিয়ার) করা হয়। এই লেনদেনের তথ্য ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে, কিন্তু এই মুদ্রার লেনদেন তদারকির জন্য কোন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো কর্তৃপক্ষ থাকে না। এই মাইনারের মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরি হয়।

বিটকয়েন তৈরি বা কেনার পর তা গ্রাহকের হিসাবে জমা থাকে। পরবর্তীতে তিনি সেগুলো ব্যবহার করে পণ্য কিনতে পারেন বা বিক্রি করে দিতে পারেন। বিক্রি করলে বিটকয়েনের পরিবর্তে প্রচলিত অর্থে তা গ্রহণ করা যায়। বিভিন্ন কম্পিউটার ব্যবহার করে লেনদেন করা হলেও সেসব তথ্য কেন্দ্রীয় সার্ভারে হালনাগাদ করা হয়ে থাকে।

বিটকয়েনকে অনেকেই ভবিষ্যতের মুদ্রা বলে মনে করেন।

যেহেতু বিটকয়েনে লেনদেনে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পড়ে না এবং এর লেনদেনের গতিবিধি অনুসরণ করা যায় না, ফলে এটা মাদক, কালোবাজারি ও অর্থ পাচারে এই ব্যবহার হচ্ছে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।

গত কয়েক বছরে বিটকয়েনের ইকোসিস্টেম বা বাজার ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হয়েছে, অনলাইনে বিটকয়েন এক্সচেঞ্জও চালু হয়েছে।

বিশ্বের অনেক দেশেই এখন বিটকয়েনের আইনি স্বীকৃতি আছে। তবে বাংলাদেশ, মিসর, আলজেরিয়া, মরক্কো প্রভৃতি দেশে বিটকয়েন এখনো নিষিদ্ধ।

বাংলাদেশে বিটকয়েনের ব্যবহার :

বাংলাদেশে বিটকয়েন ব্যবহার অবৈধ হওয়ায় ঠিক কতো জন বিটকয়েন কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, সে সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোন তথ্য পাওয়া যায় না।

তবে বিটকয়েন ও আউটসোর্সিং পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’বাংলাদেশে যারা আউটসোসিং করছেন, তাদের কেউ কেউ বিটকয়েন কেনাবেচা করে থাকেন। কিন্তু অবৈধ হওয়ায় সেটা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে চান না।‘’

তিনি জানান, সাধারণত বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গেই এই লেনদেন হয়ে থাকে। অর্থ আদান-প্রদানে বিদেশে থাকা বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনদের সহায়তা নেয়া হয়।

কয়েকবছর আগেও উচ্চ ক্ষমতার কম্পিউটার ব্যবহার করে বিদেশি সহযোগীদের সাথে মিলে বিটকয়েন মাইনিংয়ের কাজও করা হতো। কিন্তু তাতে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসা আর বিদ্যুৎ ভোগান্তির কারণে এখন এই প্রবণতা কমে গেছে।

বাংলাদেশে কি বিটকয়েন বৈধ করার সময় এসেছে?

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ ভেতরে বেশ জটিল কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন এটার ব্যবসা এখন যেভাবে হচ্ছে, কেউ কিনে রেখে দিচ্ছেন, দাম বাড়লে আবার বিক্রি করছেন। কিন্তু আমাদের দেশে পুঁজিবাজারে যেমনটা হয়েছে, ভালোভাবে না বোঝার কারণে এখানেও কিন্তু প্রতারণার একটা সুযোগ রয়েছে।‘

বিটকয়েন বাংলাদেশে ব্যবহার করতে হলে আরও অনেক পরিবর্তন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

সূত্র : বিবিসি

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

মহাসড়কে টোল আদায়ের নির্দেশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের সব মহাসড়কগুলোতে টোল আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে এই নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেছেন, বিনা পয়সায় সেবার দিন শেষ।

এছাড়া প্রস্তাবিত ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার পর সেখান থেকে টোল আদায়েরও নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। তিনি টোল আদায়ের মাধ্যমে শুধু রাজস্ব আদায় নয়, একটা আলাদা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার কথা বলেছেন। যেখান থেকে শুধু সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে খরচ হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্বৃতি করে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, বিনা পয়সায় সেবা পাওয়ার দিন শেষ। আমরা সেবা পেতে চাই। কিন্তু পয়সা দিতে রাজি না। এটা আমাদের সংস্কৃতি হয়ে গেছে। এই সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হতে হবে। এখন থেকে সরকারি সেবা পেতে হলে দাম দিতে হবে। ভালো সেবা পেতে হলে পয়সা দিতে হবে।

মন্ত্রী জানান, একনেক সভায় সড়কে নির্দিষ্ট দূরত্বে বিশ্রামাগার নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যাতে যাত্রী, চালক ও চালকের সহকারী সেখানে বিশ্রাম নিতে পারেন।

ঢাকা-সিলেট সড়কটি বিদ্যমান দুইলেন থেকে চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মহাসড়কটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক। বাকি টাকা সরকারি কোষাগার থেকে বহন করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

উৎপাদনশীলতা ও মান উৎকর্ষে পুরস্কার পেল ৩১ শিল্পপ্রতিষ্ঠান

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের ৩১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান জাতীয় উৎপাদনশীলতা ও মান উৎকর্ষ পুরস্কার ২০১৯ তথা ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। সেই সঙ্গে ইনস্টিটিউশনাল অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রশংসা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে দুটি ব্যবসায়ী সংগঠনকে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কারের ট্রফি ও সনদ বিতরণ করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

এবারে বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরি বা শ্রেণিতে ১৬টি প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পেয়েছে—বঙ্গ বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস, আরএফএল ইলেকট্রনিকস, রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ, ইস্পাহানি টি, নাটোর অ্যাগ্রো, প্লামি ফ্যাশনস, ইউনিভার্সেল জিন্‌স, জেনেসিস ওয়াশিং, আর এফ এল প্লাস্টিকস, ডিউরেবল প্লাস্টিক, আকিজ জুট মিলস, আইয়ান জুট মিলস, ওয়ান ব্যাংক, সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স, ব্রেইন স্টেশন ২৩ ও হাতিল কমপ্লেক্স।

মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে ৮টি প্রতিষ্ঠান—গেট ওয়েল, নর্দান ফ্লাওয়ারমিলস, রোমানিয়া ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, কনসেপ্ট নিটিং, বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল, প্যাকম্যাট ইন্ডাস্ট্রিজ, বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশন, কিউএনএস শিপিং লজিস্টিকস।

ক্ষুদ্র শিল্প শ্রেণিতে এস আর হ্যান্ডিক্রাফটস ও রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড—এই দুটি প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পেয়েছে। মাইক্রো মানে অতিক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পায় মাসকো ডেইরি এন্টারপ্রাইজ ও জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প শ্রেণিতে ৩টি প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পায়—গাজী ওয়্যারস, কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট।

এ ছাড়া ট্রেডবডি ও অ্যাসোসিয়েশন ক্যাটাগরিতে দুটি ব্যবসায়িক সংগঠন বাংলাদেশ এমপ্লায়ার্স ফেডারেশন ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে (ডিসিসিআই) ইনস্টিটিউশনাল অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, সাফল্যের সঙ্গে সরকারের রূপকল্পগুলো অর্জন করতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। রূপকল্প ২০৩১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের কৌশল হিসেবে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের শিল্পায়নকে মূলভিত্তি হিসেবে নির্ধারণ করেছে।

শিল্পসচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন এনপিওর পরিচালক নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ক্রেডিট কার্ড দিয়ে লেনদেন বেড়েছে ২৩ শতাংশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে নগদ অর্থের বিকল্প হিসেবে গ্রাহকরা এখন ক্রেডিট কার্ডভিত্তিক লেনদেনের দিকে ঝুঁকছেন। বছরের ব্যবধানে কার্ডভিত্তিক লেনদেন বেড়েছে ২৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। যা টাকার হিসাবে এক হাজার ৫৯৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ব্যাংকাররা বলছেন- মহামারির কারণে গ্রাহকরা ক্রেডিট কার্ডেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন। এ কারণে লেনদেন বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে ক্রেডিট কার্ডভিত্তিক লেনদেন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ আট হাজার ৪০০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যা গত বছরের (২০১৯) একই সময়ে লেনদের পরিমাণ ছিল ছয় হাজার ৮০৬ কোটি টাকা।

তথ্যমতে, বিদায়ী বছরের ডিসেম্বর মাসে সর্বোচ্চ গ্রাহক লেনদেন করেছের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। যা গত বছরের একই মাসের চেয়ে দশমিক ৮৪ শতাংশ। ২০২০-এর ডিসেম্বরে গ্রাহক ২৬ লাখ ২৬ হাজার বার লেনদেন করেছেন ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। যা এর আগের বছরে (২০১৯) একই মাসে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ২৫ লাখ ৪২ হাজার বার লেনদেন হয়েছিল।

গত বছরের তুলনায় নতুন করে কার্ডধারীর সংখ্যা বেড়েছে। গত বছরের (২০১৯) একই সময়ের তুলনায় ডিসেম্বরে ব্যাংক এবং ব্যাংক বর্হিভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট কার্ডের ইস্যুর হার বেড়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ বা এক লাখ ৩৯ হাজার ৬১৪টি।

একই সঙ্গে বেড়েছে কার্ডধারীর সংখ্যা। ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডধারী গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৭৭ হাজারে। যা গত বছরের একই মাসে ছিল ১৫ লাখ ৩৭ হাজার গ্রাহক।

২০২০ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ব্যাংক ও এনবিএফআই’র ক্রেডিট কার্ড ব্যবসার অগ্রগতি হয়েছিল। তবে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে প্রায় দুই মাস ধরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় পরিস্থিতি কিছুটা খারাপের দিকে ছিল। তাদের বিকল্প কোনো কিছু না থাকাই গ্রাহকেরা নগদের পরিবর্তে কার্ডভিত্তিক লেনদেন করেছিল। ক্রেডিট কার্ডের পাশাপাশি ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনও বেড়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ২০২০ সালের ডিসেম্বর ডেবিট কার্ডভিত্তিক লেনদেন বেড়েছে ১৬ দশমিক শ্যন্য ৮ শতাংশ বা ১৩ হাজার ৭৪০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে লেনদেন হয়েছে ৯৯ হাজার ১৯৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। যা তার আগের বছরের (২০১৯) একই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮৫ হাজার ৪৫৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

একনেকে ১৯,৮৪৪ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা-সিলেট করিডোরসহ ৯ প্রকপ্লের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৮৪৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
৯ প্রকল্পে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৫৯৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্প গুলো হচ্ছে-বিটিসিএল’র ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) নেটওয়ার্ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প; পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষাঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ প্রকল্প; ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প; বাংলাদেম বেতার, সিলেট কেন্দ্র আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল সম্প্রচার যন্ত্রপাতি স্থাপন প্রকল্প; পশ্চিম গোপালগঞ্জ সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প; চট্টগ্রাম জেলাধীন হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলায় হালদা নদীর উভয় তীরের ভাঙন হতে বিভিন্ন এলাকা রক্ষাকল্পে তীর সংরক্ষণ প্রকল্প; ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলাধীন দৌলতখান পৌরসভা ও চকিঘাট এবং অন্যান্য অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা মেঘনা নদীর ভাঙন হতে রক্ষা প্রকল্প; কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্প।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

লভ্যাংশ না দেওয়ায় রবির শেয়ার দর পতন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সদ্য তালিকাভুক্ত হওয়া টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি রবি আজিয়াটা বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এ কোম্পানির শেয়ারের বড় দরপতন হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকার শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুতে আগের দিনের ৪৬ টাকা থেকে রবির শেয়ারের দাম নেমে আসে ৪১.৮০ টাকায়। যা আগের দিনের তুলনায় ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ কম।

দিনভর এই শেয়ারটির দর ৩৯ টাকা হতে ৪২.৯০ টাকায় উঠানামা করে।

গত বছরের শেষ দিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এটাই রবির শেয়ার দরে সবচেয়ে দ্বিতীয় বৃহৎ পতন।

এর আগে ১৮ জানুয়ারি রবির শেয়ারের দাম ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ কমে গিয়েছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

‘মূল পদ্মা সেতুর ৯২ ভাগ নির্মাণ কাজ শেষ’

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

মূল পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শতকরা ৯২ ভাগ এবং পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণ কাজের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৪ ভাগ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েচেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।

আজ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর সর্বশেষ অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০২২ সালের জুনের মধ্যে সম্পূর্ণ অবকাঠামোর কাজ শেষ করে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এ সেতুকে ঘিরে দেশের আগামীদিনের উন্নয়ন আবর্তিত হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ হলে বাংলাদেশে যোগাযোগ খাতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর স্বপ্নের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার প্রথম স্বপ্ন সড়ক ও পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, দ্বিতীয়ত, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের পথযাত্রায় ভীষণ ২০২১, ৪১ ও ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে উপযুক্ত শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগকে সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত করা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

দিনশেষে লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো লিমিটেড

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এদিন কোম্পানিটির ২২৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৪ কোটি ৭১ লাখ টাকার।

৮৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে রবি লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- বেক্সিমকো ফার্মা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, সামিট পাওয়ার, জিবিবি পাওয়ার, আইএফআইসি ব্যাংক, ওয়ালটন ও স্কয়ার ফার্মা লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ