ডেঙ্গু প্রতিরোধে দেশব্যাপী ওয়ালটন প্লাজার সচেতনতামূলক কর্মসূচি

ডেঙ্গু প্রতিরোধে টাঙ্গাইল জেলা সদর রোডে সচেতনতামূলক র‌্যালি বের করা হয়।

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

এবছর সারাদেশে আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ভয়াবহ ডেঙ্গুর কারণে বহু মানুষ হারাচ্ছেন তাদের প্রিয়জন। এরই প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষের মাঝে ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতনতা আরো বৃদ্ধি এবং মশাবাহিত এই মারাত্বক রোগটি প্রতিরোধে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রয় ও সেবা প্রদানকারি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন প্লাজা। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো জনসচেতনতামূলক র‌্যালি, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানসহ আলোচনা সভা আয়োজন ইত্যাদি।

‘মশার আবাসস্থল ধ্বংস করি, মশামুক্ত বাংলাদেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত সোমবার সারাদেশে একযোগে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করে ওয়ালটন প্লাজা।

‘ক্রেতা তুমি আপনজন, ঘোর বিপদেও তোমার আমরা সাথি সারাক্ষণ’- স্লোগানে সকাল ১১ টায় ৬৪৫টি ওয়ালটন প্লাজা থেকে দেশের সর্বত্র একযোগে জনসচেতনতামূলক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিতে ডেঙ্গু মশা নিধনের উপায়, ডেঙ্গু থেকে রক্ষার উপায়, ডেঙ্গু হলে করণীয় ইত্যাদি সম্বলিত ব্যানার-প্ল্যাকার্ড এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়। র‌্যালি থেকে গণসচেতনতামূলক লিফলেটও বিতরণ করা হয়।

র‌্যালির পাশাপাশি রাজধানীসহ সারাদেশে ওয়ালটন প্লাজার সংশ্লিষ্ট এলাকায় আশপাশের ঝোপঝাড়, স্কুল-কলেজ, নির্মাণাধীন ভবনসহ পানি জমে এমন স্থানগুলোতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ডেঙ্গু মশার সম্ভাব্য আবাসস্থলগুলো ধ্বংস করা হয়।

শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু সম্পর্কে আরো সচেতন করে তুলতে রাজশাহী, খুলনা, গোপালগঞ্জ, বগুড়া, রাজবাড়ী, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে আলোচনা সভার আয়োজন করে স্থানীয় ওয়ালটন প্লাজা।

দেশব্যাপী ওয়ালটন প্লাজার এসব সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষার্থী ও প্লাজা কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ওয়ালটন প্লাজা সারাদেশে চলমান ওয়ালটন প্লাজার ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি’র আওতায় ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবারকে ৩২ লাখ টাকার বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

একটি অদৃশ্য হাত আলুর বাজার অস্থির করেছে : ভোক্তা অধিকার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

এবছর যে পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়েছে এতে দেশে আলুর কোনো ঘাটতি নেই। একটি অদৃশ্য হাত আলুর বাজারকে অস্থির করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে আলুর বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে রিভারভিউ কোল্ড স্টোরেজ পরিদর্শন শেষে আজ শনিবার দুপুরে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, আলুর বিক্রির ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতার পাকা রশিদ ব্যবহার করতে হবে। পাকা রশিদ না থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী ভোক্তা পর্যায়ে আলু দাম বাস্তবায়ন করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ কথা জানিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওই হিমাগারে ১০ হাজার বস্তা আলু সংরক্ষণ এবং পাকা রশিদ ছাড়া মোবাইল ফোনে দাম নির্ধারণ করে আলু বিক্রি করায় রসরাজ বাবু নামের এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আলু ব্যবসায়ী রসরাজের কথায় অসঙ্গতি থাকায় এবং পাকা রশিদ ছাড়া আলু বিক্রি করায় হিমাগারে তার সংরক্ষিত আলু হেফাজতে নিয়ে ২৭ টাকা মূল্যে সেই আলু বিক্রি করে দাম বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক আবু জাফর রিপন ও পুলিশ সুপার আসলাম খান।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

তারল্য সংকট কাটছে না ইসলামি ব্যাংকগুলোর

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

২০২২ সালের শেষে ১০ ইসলামি ব্যাংকের সবগুলোর তারল্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা পূরণ করে। এর ছয় মাস পর দেখা যায়, ব্যাংকগুলোর মধ্যে চারটিতে নগদ অর্থের ন্যূনতম মজুদ ও নিয়ম অনুযায়ী তারল্য অনুপাত পূরণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না।

আমানত কমে যাওয়ার পাশাপাশি সংকট কাটিয়ে উঠতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে ব্যবহার করতে না পারায় বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট রয়ে গেছে বলে মনে করছে মুডি’জ ইনভেস্টার্স সার্ভিস।

গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল রেটিং এজেন্সি মুডি’জ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোয় এখনো তারল্য সংকট কাটছে না।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘আমানত কম হওয়ায় তারল্য সংকটের কারণে অনেক ইসলামি ব্যাংকের পক্ষে স্বল্পমেয়াদী নির্দেশনাগুলো পূরণ করা কষ্টসাধ্য হতে পারে।’

গত মঙ্গলবার ফিচ রেটিংসের প্রতিবেদনেও বাংলাদেশের ইসলামি ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকটের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত জুনে ইসলামি ব্যাংকগুলোর সিস্টেম ওয়াইড ইনভেস্টমেন্ট (ঋণ) ও আমানত হার দাঁড়িয়েছে ১০১ শতাংশে। এর আগের বছর তা ছিল ৯৪ শতাংশ।

মুডি’জ-এর প্রতিবেদনে বলা আরও হয়েছে, ‘আনুপাতিক হারের এমন চিত্রের অর্থ দাঁড়ায় যথেষ্ট পরিমাণে কমে যাওয়ার পরও তারল্য ঘাটতি অব্যাহত আছে।’

মুডি’জ-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের জুনের শেষে বাকি ছয় সূচক অপরিবর্তিত থাকলেও ইসলামি ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য ছিল সামান্য পরিমাণে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে পিই রেশিও কমেছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১০ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কিছুটা কমেছে। আলোচ্য সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ০.০৭ শতাংশ।

ডিএসই’র সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসই‘র পিই রেশিও ছিল ১৪.৪০ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৪.৩৯ পয়েন্টে। ফলে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই’র পিই রেশিও ০.০১ পয়েন্ট বা ০.০৭ শতাংশ কমেছে।

এর আগের সপ্তাহের শুরুতে (৩ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর) ডিএসই’র পিই রেশিও ছিল ১৪.৩৯ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৪.৪০ পয়েন্টে। ফলে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই’র পিই রেশিও ০.০১ পয়েন্ট বা ০.০৭ শতাংশ বেড়েছিল।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। সে হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসই‘র পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসাবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে আছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ফু-ওয়াং ফুডস; ২য় মেঘনা লাইফ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ২১০ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার।

কন্টিনেন্টাল ইন্সুরেন্স লিমিটেডের ৮৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ ৮০ কোটি ৬৯ লাখ, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্সের ৭১ কোটি ৩ লাখ, জেমিনী সী ফুডের ৭০ কোটি ৩৪ লাখ, রূপালি লাইফ ইন্সুরেন্সের ৭০ কোটি ১৩ লাখ, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ৬৮ কোটি ১৩ লাখ, ইস্টার্ন ইন্সুরেন্সের ৬৭ কোটি ৬৪ লাখ ও সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের ৬৬ কোটি ৬৫ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রাজু

ব্যাংকিং সেবায় হয়রানি হলে প্রতিকার পাবেন কীভাবে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ব্যাংকিং সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হন অনেকে। বিশেষ করে রেমিট্যান্সের টাকা পেতে দেরি, কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও ঋণের জন্য মাসের পর মাস ঘোরাঘুরি, আমানতের বিপরীতে চুক্তিমতো সুদ না পাওয়ার অনেক ঘটনা রয়েছে। এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জানানোর সুযোগ রয়েছে।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সেবা পেতে হয়রানির শিকার হলে আপনি সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১৬২৩৬ এই হটলাইনে টেলিফোন করে জানাতে পারেন। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জানানোর আগে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যবস্থাপকের কাছে মৌখিক অথবা লিখিতভাবে জানাতে পারেন।

সেবাসংশ্লিষ্ট অভিযোগপত্রে আপনাকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নাম, শাখা, অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে। অভিযোগকারীর নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর এবং অন্যান্য প্রমাণ সংযুক্ত করতে হবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে টেলিফোনে অভিযোগের ক্ষেত্রে সরকারি ছুটির দিন ছাড়া সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টার মধ্যে জানাতে হবে। কেউ চাইলে bb.cipc@bb.org.bd এই ই-মেইলে অভিযোগ করতে পারেন। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ কিংবা সরাসরি অভিযোগ করা যায়।

অভিযোগের জন্য BB Complaints মোবাইল অ্যাপ গুগল প্লে-স্টোরে রয়েছে। ওয়েবসাইটে অভিযোগ জানানোর জন্য আপনাকে bb.org.bd এই ঠিকানায় ঢুকতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

ডিএসইতে ৫ দিনে কমেছে মূলধন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ৪৯৭ কোটি টাকা কমেছে। এই সপ্তাহে সেখানে মোট লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে ৯.২১ শতাংশ বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৪ দিনে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬২২ কোটি টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৯.২১ শতাংশ বেড়েছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে দিনের গড় লেনদেন ৫৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার হয়েছে। আগের সপ্তাহে এই লেনদেন হয়েছিল ৬৫৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে প্রতিদিনের গড় লেনদেন ১২.৬৩ শতাংশ কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫.০৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩০২ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ২.৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২১৩৪ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ৮.৬১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩৬০ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৪০৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৬৬টির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৪টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৩৪টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। এই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ৪৯৭ কোটি টাকা বা ০.০৬ শতাংশ কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রাজু

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু-পেঁয়াজ-ডিম

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না ডিম, তেল, আলু ও পেঁয়াজ। আজ শুক্রবার থেকে নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী প্রতি পিস ডিম ১২ টাকা, পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, আলু ৩৫ টাকা এবং সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ৫ টাকা কমে ১৬৯ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, এসব পণ্য আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা, আলুর দাম প্রতি কেজি ৩৫-৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ঘোষণার পর থেকেই বাজারে এ দাম কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু শুক্রবার আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, পেঁয়াজ ধরনভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকা।

প্রতিটি ডিম ১২ থেকে এলাকাভেদে ১৩ টাকা, প্রতি হালি ডিম ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পাইকারি ও খুচরা দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাদা ও লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, দেশি পেঁয়াজ প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ৩৬০ টাকা। আর খুচরা কেজি বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৮০-৯০ টাকা কেজি। ডজন প্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা ও হালিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।

রামপুরা কাঁচাবাজারের মুদি পণ্য বিক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, সরকারের হিসাব আমাদের জানা নাই। আমরা বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বিক্রি করি, কমে কিনলে কমে বেচি।

শান্তিনগর বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ৩০০ টাকা যদি রোজগার করি, তাহলে বাজারেই চলে যায় ২৫০ টাকা। কিভাবে সংসার চলবে? আমাদের অবস্থা এমন হয়েছে যে, কোনো দিন অনাহারে-অর্ধাহারেও থাকতে হয়।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, ক্রস জাতের পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদা ২৬০ টাকা, ইন্দোনেশিয়ার আদা ২৮০-৩০০ টাকা, চায়না রসুন ২০০, দেশি রসুন ২৪০ টাকা, আলু ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///