আমান ফিডের উৎপাদন ৪৩,২০০ মেট্রিক টন বাড়বে

aman-feed-ltdনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি আমান ফিড লিমিটেডের উৎপাদন ক্ষমতা বছরে ৪৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন বাড়বে। পাশাপাশি কোম্পানিটির টার্নওভার, পণ্য বিক্রির পরিমাণ ও নীট মুনাফা বাড়বে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫ টায় রাজধানীর উত্তরায় কোম্পানির কর্পোরেট অফিসে আয়োজিত এক বোর্ড সভায় এবিষয়ে সর্বসম্মতি প্রদান করেন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।

কোম্পানিটি জানায়, কারখানায় মেশিন বাড়ানোর ফলে কোম্পানির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে। এতে বর্তমানের চেয়ে প্রতি বছর পণ্য উৎপাদনের পরিমাণ আরো ৪৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন বাড়বে।

উৎপাদন বাড়ার সাথে সাথে আমান ফিডের পণ্য বিক্রির পরিমাণ প্রতিবছর প্রায় ১৮৩ কোটি টাকায় দাঁড়াবে। এতে কোম্পানিটির নীট মুনাফার পরিমাণ ১৪.৫০ কোটি টাকা হবে বলে মনে করছেন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সপ্তাহজুড়ে ব্লকে লেনদেনের শীর্ষে এসআইবিএল

blockস্টকমার্কেট ডেস্ক :

ব্লক মার্কেটে বছরের শেষ সপ্তাহে বেশি শেয়ার লেনদেন করেছে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক। এই ব্যাংক ৩৬ লাখ ১৫ হাজার শেয়ার লেনদেন করেছে। যার আর্থিক মূল্য ৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

গত সপ্তাহে ২৮টি কোম্পানি ও এক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানি ও ফান্ড মিলে মোট ৮৩ লাখ ১৫ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৫৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৫ লাখ ৯৭ হাজার শেয়ার লেনদেন করে । যার আর্থিক মূল্য ১৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ৫ লাখ ৯৩ হাজার শেয়ার লেনদেন করে । যার আর্থিক মূল্য ৮১ লাখ টাকা।

ব্লকে মার্কেটে লেনদেন করা অপর কোম্পানিগুলো হচ্ছে- আইএফআইসি ব্যাংক, এমটিবি, সাইফ পাওয়ারটেক, শাশা ডেনিম, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইউনিক হোটেল, ইউনাইটেড এয়ার, ফুওয়াং সিরামিক, গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো, কাশেম ড্রাইসেলস, স্কয়ার ফার্মা, এএফসি অ্যাগ্রো, ব্রাক ব্যাংক, বিএসআরএম লিমিটেড, সিটি ব্যাংক, গ্রীনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড, কেয়া কসমেটিকস, লিন্ডে বিডি, এনটিসি, রেনেটা, বার্জার পেইন্টস, আরএসআরএম স্টিল, বেক্সিমো ফার্মা, জিপি, হাইেডলবার্গ সিমেন্ট ও এমজেএলবিডি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএস

‘২০১৬ শুরু ঢিলেঢালা শেষটি ভালো : আশা জাগাচ্ছে ২০১৭’

index hনিজস্ব প্রতিবেদক :

২০১৬ সালের শুরুতে ঢিলেঢালাভাবেই চলেছে দেশের শেয়ারবাজার। বছরের শেষ দিকে চাঙ্গা হয়েছে শেয়ারবাজার। ২০০ কোটি থেকে ৩০০ কোটির দৈনিক লেনদেন ছাড়িয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। দুই বছরের রেকর্ড ভেঙে মূল্যসূচক পাঁচ হাজার পয়েন্টের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বেড়েছে বাজার মূলধনও।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছে, বছরের শুরুতে শেয়ারবাজার অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে চললেও শেষ দিকে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। বাজার লেনদেন ও কম্পানির শেয়ার দাম বৃদ্ধিতে সক্রিয় হয়েছে পুরনো বিনিয়োগকারীরা। অনেকটা ইতিবাচক ধারাতেই স্থিতিশীলতার পথে শেয়ারবাজার। আশা জাগানিয়া এই শেয়ারবাজার নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বিনিয়োগকারীরাও সন্তুষ্ট।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, নতুন বছরের শুরুতে সূচক ও লেনদেন কিছুটা উন্নতি থাকলেও পরবর্তী ছয় মাস অবনতি হয়েছে। চলতি বছরের ২১ জুলাই পর্যন্ত বাজারে ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় ঘনিয়ে আসায় ধারবাহিকভাবেই কমছিল সূচক। অতিরিক্ত বিনিয়োগে থাকা ব্যাংকগুলো শেয়ার বিক্রি করে সীমার মধ্যে আসায় বাজারে পতন হচ্ছিল। আতঙ্কিত হয়ে ‘আস্থাহীনতায়’ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে দূরে সরছিল। শেয়ার বিক্রি না করেই অতিরিক্ত বিনিয়োগসীমা সমন্বয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত সহায়তা পতন থেকে বছর শেষে চমকে ফিরেছে বাজার। লেনদেন ও মূল্যসূচকের ক্রমাগত উন্নতি হয়েছে। বেড়েছে বাজার মূলধনও।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছে, ২০১০ সালে বাজারে পতনের পর নানামুখী সংস্কারে স্থিতিশীলতার দিকে ফিরছে বাজার। দৈনিক লেনদেন ও মূল্যসূচকও বেড়েছে। বাজার স্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে যাওয়ায় বিদেশি লেনদেনও বেড়েছে। বিনিয়োগকারীও নতুন করে আশা দেখতে শুরু করেছে। তবে শেষ দিকে বাজারের উন্নতি হলেও ‘নিম্নতর’ কিছু কম্পানির শেয়ার দাম বৃদ্ধিতে শঙ্কাও করছে কেউ কেউ।

ডিএসইর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ বছর সব সূচকেই উন্নতি করেছে শেয়ারবাজার। বেড়েছে লেনদেন। বাজার মূলধনেও উন্নতি হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম কার্যদিবস অর্থাৎ ১ জানুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছিল ৩৬৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আর মূল্যসূচক ছিল চার হাজার ৬২৪ পয়েন্ট। ৩৬৫ দিনের বছরে এবার লেনদেন হয়েছে ২৪০ দিন। বছরের শেষ দিনে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৭০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আর মূল্যসূচক দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৩৬ পয়েন্ট। সেই হিসাবে এক বছরে মূল্যসূচক বেড়েছে ৪১২ পয়েন্ট।

নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত : এ বছর ১১টি কম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। ১১টি কম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহ করেছে প্রায় সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা। এই অর্থের মধ্যে আটটি কোম্পানি ৬৫৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা আর তিনটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ১৯০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। অন্য তিন কোম্পানি সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, জিপিএইচ ইস্পাত এবং বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম রাইট শেয়ার ইস্যু করে ৩৬৬ কোটি টাকা উত্তোলন করে। শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলন করলেও এখনো তালিকাভুক্ত হতে পারেনি প্যাসিফিক ডেনিমস ও দুটি ফান্ড।

বাজার মূলধন বেড়েছে ২৫ হাজার কোটি : চলতি বছরের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ১৫ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা। বছরের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৪১ হাজার ২৬১ কোটি ২১ লাখ টাকা। সেই হিসাবে বাজার মূলধন বেড়েছে ২৫ হাজার ৪১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

বেড়েছে বিদেশি লেনদেনও : বাজার মূলধন বাড়ার আরো একটি কারণ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ সক্রিয় থাকা। চলতি বছরে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার লেনদেন বেড়েছে। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে ডিএসইতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সাত হাজার ৭৯৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন করেছে। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ছয় হাজার ৭৭২ কোটি ২১ লাখ টাকা। সেই হিসাবে আগের বছরের তুলনায় এক হাজার ২৫ কোটি ৯ লাখ টাকা বা ১৫ শতাংশ বেড়েছে।

বাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, এই শেয়ারবাজার নতুন করে বিনিয়োগে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। তবে শঙ্কাও রয়েছে। বিশেষ করে ভালো কম্পানির চেয়ে অপেক্ষাকৃত নিম্নতর কম্পানির শেয়ারের দাম তরতর করে বেড়েছে। ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম না বেড়ে নিম্নতম কম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লে বাজারে শঙ্কার সৃষ্টি হয়। এ ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে শুরুর চেয়ে অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থানে বর্তমান বাজার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএস

‘প্রাইম টেক্সটাইল ২৬ বছর ধরে টিকে রয়েছে’

primনিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস লিমিটেড শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন নিরবিচ্ছিন্ন রাখার লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছে। কোম্পানিটি প্রায় ২৬ বছর ধরে টিকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আব্দুল আউয়াল।

শনিবার বেলা ১১ টায় নারায়নগঞ্জ পাগলায় নিজস্ব কারখানায় আয়োজিত বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা সবচেয়ে আনন্দিত এত শেয়ারহোল্ডার আমাদের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে রয়েছেন। প্রাইম টেক্সটাইল প্রায় ২৬ বছর ধরে ব্যবসা পরিচালনা করছে এবং তা এখনো টিকে আছে। অনেক কোম্পানি এতদিন টিকতে পরেনি।

তিনি বলেন, প্রাইম টেক্সটাইল কারখানায় চায়নিজ মেশিন বর্জন করে জাপানিজ মেশিন কিনে তাদের কার্যক্রম চলছে। সময়ের সাথে তাদের উৎপাদনের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য তারা জার্মান থেকে আরো আধুনিক মেশিন নিয়ে আসছেন এতে কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে। এসব মেশিন আরও ২৬ বছর কার্য ক্ষমতা থাকবে।

এছাড়াও শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ভারসাম্য আধুনিকায়ন পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার লক্ষে প্রাইম টেক্সটাইল ডবল বাস বার সিস্টেমসহ ২টি ৩ হাজার ৫শত কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রান্সফরমার স্থাপন করেছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস জেনারেটর সমান ভাবে কাজ করে উৎপাদন ক্ষমতা বজায় রাখে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রকল্পে ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান এবং গ্রিড সাব স্টেশন এনার্জি মনিটরিং ও ডাটা স্টোরেজের কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বাকি কাজ দ্রূত সময়ে শেষ হবে। ইতোমধ্যে ৭টি এনার্জি মিটার স্থাপন করা হয়েছে ও একটি নেটওয়ার্কিং এর আওতায় আনা হবে এবং মনিটরিং স্টেশন হতে পাওয়ার জেনারেশন ও কনসামশন মনিটরিং করা যাবে বলে জনান।

এজিএম অনুষ্ঠানে কোম্পানির সহকারি ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল বাশার, পরিচালক মো: আব্দুল হাফিজ, পরিচালক মো: আব্দুল করিম ও কোম্পানির সেক্রেটারি মো: শহীদুল্লাহ মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএস

‘সজন বসাককে এমডি হিসাবে চায় এমারেল্ডের শেয়ারহোল্ডাররা’

mr-sajan-kumar-basakনিজস্ব প্রতিবেদক :

এমারেল্ড ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক সজন কুমার বসককে এমডি হিসাবে দেখতে চাচ্ছে কোম্পানিটির সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা। এসময় কোম্পানির পাঁচটি এজেন্ডা অনুমোদন দিয়েছে এসব শেয়ারহোল্ডার।

শনিবার সকাল ১০ টায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলয়াতনে কোম্পানির সাধারণ বার্ষিক সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়। দুই ঘন্টার এজিএম অনুষ্ঠানের বড় অংশ জুড়ে আলোচনায় ছিলেন জনপ্রিয় পরিচালক সজন বসাক।

এসময় তারা আগামী এজিএমে কোম্পানিটির ব্যবস্থপনা পরিচালক পদে তাকে দেখতে চান বলে দাবি তোলেন। অনুষ্ঠানে কোম্পানির পরিচালক পরিচালক অমিতাব ভৈামিক, স্বাধীন পরিচালক তারেক মাহমুদ ও স্বাধীন পরিচালক এ্যাডভোকেট বিকাশ চন্দ্র সরকার উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আগত শেয়ারহোল্ডার সেলিম রেজা বলেন, কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পদে সজন কুমার বসাককে দেখতে চাই আমরা। এজন্য তাকে হয়তো অন্য একটি কোম্পানির দায়িত্ব ছাড়তে হবে। সকল নিয়ম নীতি অনুসরণ করে বর্তমান পর্ষদকে এই কাজটি করার অনুরোধ করেন তিনি।

তিনি জানান, এমারেল্ড ওয়েলের পরিচালনা বোর্ডে যারা রয়েছেন তারা সবাই এফসিএমএ। এতো পারদর্শী পর্ষদ আর কোনো কোম্পানিতে নেই।

অনুষ্ঠানে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, সজন কুমার বসাককে সবাই খুব পছন্দ করেন। তার অনেক গুনাবলী রয়েছে। তিনি কোম্পানির এমডির দায়িত্ব নিলে চলমান সমস্যগুলো কাটিয়ে কোম্পানির ভবিষৎ ভালো হবে।

এসময় কোম্পানির বর্তমান এমডি দুদকের অভিযুক্ত বলে তাকে অপসারণ করার দাবি তোলেন একাধিক বিনিয়োগকারী।

অনুষ্ঠানে বিনিযোগকারীদের মধ্যে উপস্থিত শেয়ারহোল্ডার সবাই ব্যবস্থাপনা পর্ষদের প্রধান হিসাবে সজন কুমার বসাককে দেখতে চান বলে দাঁড়িয়ে সম্মতি প্রদান করেন। এছাড়া কোম্পানির পাঁচটি এজেন্ডা অনুমোদন দেয় এসব শেয়ারহোল্ডাররা।

অনুষ্ঠানে কোম্পানি সেক্রেটারি মেহেরুন্নেসা রোজিসহ আর্থিক ও শেয়ার বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এমারেল্ড ওয়েল ও প্রাইম টেক্সটাইলের এজিএম শনিবার

agmস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি এমারেল্ড ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ ও প্রাইম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) একই ভেন্যুতে আজ ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এমারেল্ড ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড শনিবার সকাল ১০ টায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার্স ইন্সসটিটিউট মিলনায়নেএই বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে।

আর প্রাইম টেক্সটাইল মিলস বেলা ১১ টায় নারায়নগঞ্জ পাগলায় নিজেদের কারখানায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএম

এক বছরে বোনাস দিয়ে ২৫০৮ কোটি টাকা উত্তোলন

dividendনিজস্ব প্রতিবেদক :

বোনাস শেয়ার ইস্যু করার মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২ হাজার ৫০৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করে মূলধন বাড়িয়েছে তালিকাভুক্ত ১২৬টি কোম্পানি। এই টাকা তুলতে কোম্পানিগুলোর ২৫০ কোটি ৮০ লাখ শেয়ার ইস্যু করতে হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে শেয়ারবাজার থেকে বোনাস শেয়ার ইস্যু করার মাধ্যমে ১৪৬টি কোম্পানি ২ হাজার ৯৭৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা উত্তোলন করে। এ জন্য কোম্পানিগুলোর ২৯৭ কোটি ৭০ লাখ শেয়ার ইস্যু করতে হয়। ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে বোনাস শেয়ার ইস্যু করার পরিমাণ কিছুটা কমেছে। গত বছরের তুলনায় এই হার কমেছে প্রায় ১৫.৭৫ শতাংশ।

২০১৬ সালে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্যাংক খাতের ১৫টি, আর্থিক খাতের ৯টি, প্রকৌশল খাতের ১৬টি, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ৭টি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ৬টি, বস্ত্র খাতের ২১টি, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৪টি, সেবা ও আবাসন খাতের ৪টি, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৪টি, সিরামিক খাতের ১টি, বিমা খাতের ২৩টি এবং বিবিধ খাতের ৬টি কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে বোনাস শেয়ার ইস্যু করে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

২০১৬ সালে বাজার মূলধন বেড়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা

dseনিজস্ব প্রতিবেদক :

চলতি বছর দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ৮ শতাংশ। ডিএসইর হিসাব অনুযায়ী বছরের সর্বশেষ দিন ৩১ ২৯ ডিসেম্বর লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪১ হাজার ২৪৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। গত বছর একই দিনে এর পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ১৫ হাজার ৯৭৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের চেয়ে ২০১৬ সালে বাজার মূলধন বৃদ্ধি পায় প্রায় ২৫ হাজার ২৬৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা। শতাংশের হিসেবে এ বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ। এ বছর সর্বোচ্চ বাজার মূলধন ছিল ২৮ ডিসেম্বর। ওই দিন এর পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪১ হাজার ২৬১ কোটি ২০ লাখ টাকা। আর ২ মে ছিল সর্বনিম্ন বাজার মূলধন। ওই দিন এর পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৩৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

এদিকে চলতি বছরে ডিএসইর তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেনের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছর প্রায় ৩ লাখ ৪৯ হাজার ১২০ কোটি শেয়ার লেনদেন হয়। যার মূল্য ১ লাখ ১৯ হাজার ১৫৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

এ বছর ডিএসইতে মোট ২৪১ কার্যদিবসে লেনদেন হয়। গড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪৪ কোটি ৮৬ লাখ। টাকার হিসাবে এটি ছিল ৪৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ২০১৫ সালে ২৪৪ কার্যদিবসে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৬১০ কোটি ৬০ লাখ। এর বাজার মূল্য ছিল প্রায় ১ লাখ ৩ হাজার ১৩৯ কোটি ৮ লাখ টাকা। গড়ে শেয়ার লেনদেন হয় ১০ কোটি ৭০ লাখ। টাকার হিসেবে ছিল ৪২২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

অন্যদিকে ২০১৬ সালে ডিএসইতে সব ধরণের সূচকে দেখা গেছে ইতিবাচক প্রভাব। বছরের শেষ কার্যদিবসের হিসেবে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ৪০৬ পয়েন্ট, ডিএসই৩০ সূচক ৬০ পয়েন্ট এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচক বেড়েছে ৮৪ পয়েন্ট।

সূত্র মতে, বছরের শুরুতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৪৬২৯ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট। আর বছরে শেষে এটি দাঁড়িয়েছে ৫০৩৬ দশমিক ৫ পয়েন্টে। এ হিসাবে বছর শেষে প্রধান সূচক বেড়েছে ৪০৬ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ