নিজস্ব প্রতিবেদক :
শেয়ারবাজারে ব্যাংকের সুযোগ বাড়লো। নতুন নিয়মে সাবসিডিয়ারি কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমার বাইরে থাকবে। রবিবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউসগুলোর দীর্ঘদিনের দাবির কারণে ব্যাংকের বিনিয়োগের সংজ্ঞায় এ পরিবর্তন আনা হল। এর ফলে শেয়ারবাজারে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে ব্যাংক।
সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়, অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি গতিশীল শেয়ারবাজার সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিগত সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। এক্ষেত্রে আইনগত বাধ্যবাধকতা পালনের জন্য ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ইক্যুইটি শেয়ার সলো হিসেবে আর বিবেচিত হবে না।
জানা গেছে, বতর্মানে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা ওই ব্যাংকের ইক্যুইটির ২৫ শতাংশ। আর ইক্যুইটির মধ্যে ধরা হয় পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, সংবিধিবদ্ধ রিজার্ভ এবং অ-বণ্টিত মুনাফা।
অন্যদিকে বিনিয়োগের মধ্যে ব্যাংকের পোর্টফোলিওতে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের পাশাপাশি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধন বিবেচনায় নেয়া হতো। কিন্তু নতুন নিয়মে তা বাদ দেয়া হয়েছে।
উদাহরণ স্বরূপ একটি ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু ওই ব্যাংক তার মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউসকে পরিশোধিত মূলধন বাবদ ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে। বর্তমান নিয়মে ১শ’ ধরে শেয়ারবাজারের ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসাব করা হয়। কিন্তু নতুন নিয়মে ওই ১শ’ কোটি টাকা বাদ দিয়ে ব্যাংকের ৯শ’ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে বলে বিবেচিত হবে।
এ সিদ্ধান্তের ফলে যে সব ব্যাংকের এতদিন অতিরিক্ত বিনিয়োগ ছিল, তা কমে আসবে। আর যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমার মধ্যে রয়েছে, তারা নতুন করে বিনিয়োগ করতে পারবে। এতে শেয়ারবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়বে।
জানা গেছে, বর্তমান নিয়মে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ ৫ থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা। এই বিনিয়োগ সমন্বয়ের সর্বশেষ সীমা ছিল ২০১৬ সালের ২১ জুন। এ কারণে ব্যাংকগুলো চাপে শেয়ার বিক্রি করেছিল। কিন্তু শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের দাবির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে তা আরও দুই বছর বাড়ানো হয়। ফলে ২০১৮ সালের মধ্যে তা সমন্বয় করতে হবে। কিন্তু বিনিয়োগ সংজ্ঞায় পরিবর্তন আসায় নতুন করে আর বিনিয়োগ সমন্বয় করতে হবে না।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এলকে/এমএ