এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের কাছে ক্ষমা চাইল কোম্পানি

samaungস্টকমার্কেট ডেস্ক :

দুর্নীতি মামলায় ভূমিকা থাকায় শেয়ারহোল্ডারদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস। গতকাল শুক্রবার সিউলে অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির বার্ষিক সভায় এই দুঃখপ্রকাশ করা হয়। খবর বিবিসি অনলাইনের।

সম্প্রতি দুর্নীতি অনুসন্ধান ও প্রভাব খাটানোর তদন্তের অংশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানের উত্তরাধিকারী লি জে-ইয়ংকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের প্রধান লির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকারি কিছু সুবিধার বিনিময়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হের ঘনিষ্ঠ বন্ধু চোই সুন-সিলের অলাভজনক কোম্পানিকে ৩ কোটি ৬৩ লাখ ডলার (৪৩ বিলিয়ন উন) ঘুষ দিয়েছেন। এই কেলেঙ্কারির কারণে পার্লামেন্টে পার্ককে অভিশংসনের পক্ষে ভোট পড়ে। আর এই দুর্নীতি অভিযোগের কারণে শেয়ারহোল্ডারদের কাছে ক্ষমা চাইল স্যামসাং কর্তৃপক্ষ।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কুন ওহ-হুন বলেন, ‘আমি এ কলঙ্কের জন্য দুঃখিত।’

স্যামসাং কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা অনুদান আকারে কোনো ঘুষ প্রদান করেনি। করপোরেট খাতে সুশাসন করার অঙ্গীকার তাদের আছে।

বর্তমানে স্যামসাংকে বড় ধরনের ঝামেলার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। গত বছর ফ্ল্যাগশিপ গ্যালাক্সি নোট ৭ স্মার্টফোনে ব্যাটারি সমস্যার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত নিতে হয়েছে স্যামসাংকে। এ কারণেও সংবাদ সম্মেলন ডেকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান স্যামসাং মোবাইল বিভাগের প্রধান ডং-জিন কোহ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

‘শীর্ষ ধনী ২০১৭’ তালিকায় আবারো বিল গেইটস

Bill gatesস্টকমার্কেট ডেস্ক :

২০১৬ সালে বিশ্ব অর্থনীতি সার্বিকভাবে মন্দা সময় পার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া, জ্বালানি তেলের পড়তি দামসহ নেতিবাচক খবরের শেষ ছিল না। এত কিছুর পরও বিলিয়নিয়ার বা শীর্ষ কোটিপতিদের জন্য বছরটা ছিল পয়মন্ত। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস-এর ‘শীর্ষ ধনী ২০১৭’ তালিকা বলছে, গত এক বছরে সারা বিশ্বে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ১৩ শতাংশ বেড়েছে। আর এ তালিকায় যথারীতি শীর্ষে আছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।

ফোর্বস-এর শীর্ষ ধনীর তালিকা প্রকাশ শুরু হওয়ার পর থেকে গত ৩১ বছরে এই প্রথম বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে বিশ্বে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ২ হাজার ৪৩, যা এক বছর আগে ছিল ১ হাজার ৮১০। এ দুই হাজার ব্যক্তির সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ ৭ লাখ ৬৭ হাজার কোটি মার্কিন ডলার বা ৭ দশমিক ৬৭ ট্রিলিয়ন ডলার। এক বছরে শীর্ষ ধনীদের সম্পদ বেড়েছে ১৮ শতাংশ।

স্থানের অদলবদল ছাড়া শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় এ বছর তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। বিল গেটসের পরে এ তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে বিনিয়োগ-গুরু ওয়ারেন বাফেট ও অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। চার নম্বরে আছেন স্পেনের অ্যামানসিও ওর্তেগা, পাঁচ নম্বরে ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। শীর্ষ দশে থাকা অন্যরা হলেন যথাক্রমে কার্লোস স্লিম হেলু, ল্যারি এলিসন, চার্লস কচ, ডেভিড কচ ও মাইকেল ব্লুমবার্গ। চার্লস কচ ও ডেভিড কচের সম্পদের পরিমাণ একই হওয়ায় তাঁরা যৌথভাবে আট নম্বরে রয়েছেন। শীর্ষ ১০ ধনীর আটজনই যুক্তরাষ্ট্রের, একজন স্পেনের, আরেকজন মেক্সিকোর।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বিল গেটসের সম্পদের পরিমাণ এক বছরে এক হাজার কোটি ডলার বেড়েছে। গত বছর তাঁর মোট সম্পদ ছিল ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার, যা এ বছর হয়েছে ৮ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। গত ২৩ বছরের মধ্যে ১৮ বারই তিনি ফোর্বস-এর শীর্ষ ধনী নির্বাচিত হয়েছেন। অর্থাৎ, শীর্ষ ধনী হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে তাঁর ধারেকাছে কেউ নেই।

ওয়ারেন বাফেটের জন্যও গত বছরটা বেশ ভালো কেটেছে। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৭ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার। এক বছরে বাফেটের সম্পদ বেড়েছে ১ হাজার ৪৮০ কোটি ডলার। বাফেটের সম্পদের এ বৃদ্ধি অ্যামানসিও ওর্তেগাকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থান দখলের জন্য ছিল যথেষ্ট।

তবে সম্পদ বৃদ্ধিতে গত এক বছরে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন ই-কমার্স ওয়েবসাইট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। তাঁর সম্পদ গত এক বছরে বেড়েছে ২ হাজার ৭৬০ কোটি ডলার। শীর্ষ তিনে উঠে আসা বেজোস গত বছর ছিলেন পাঁচ নম্বরে।

দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ স্থানে নেমে যাওয়া বস্ত্র ব্যবসায়ী অ্যামানসিও ওর্তেগার জন্য গত বছরটি খারাপ কাটেনি। এ সময়ে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৪৩০ কোটি ডলার। তবে বাফেট বা বেজোসের মতো লক্ষ্মী বৃদ্ধি না পাওয়ায় এবার তিনি একটু পিছিয়ে পড়েছেন।

ফোর্বস-এর সেরা ১০ ধনীর তালিকায় গত বছর প্রথম উঠে আসেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। ৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলার সম্পদের মালিক জাকারবার্গ এ বছর রয়েছেন পাঁচ নম্বরে। ৪ হাজার ৪৬০ কোটি ডলার নিয়ে গতবার তিনি ছিলেন ষষ্ঠ স্থানে। এবারের তালিকায় ছয় নম্বরে থাকা মেক্সিকোর কার্লোস স্লিম হেলুর সম্পদও গত এক বছরে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার বেড়েছে।

গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন এ বছরও আগের মতোই তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছেন। তবে এ বছর তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৮৬০ কোটি ডলার। যৌথভাবে অষ্টম স্থানে থাকা কচ ভাইদের সম্পদও গত এক বছরে ৯৭০ কোটি ডলার বেড়েছে। আর আট থেকে দশে নেমে যাওয়া মাইকেল ব্লুমবার্গের সম্পদও গত এক বছরে ৭৫০ কোটি ডলার বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

সপ্তাহজুড়ে ৪ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা

dividendনিজস্ব প্রতিবেদক :

গত সপ্তাহে চার কোম্পানি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড:

৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ছয় টাকা ৬২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ৪৫ টাকা ৪৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে চার টাকা ৪১ পয়সা ও ৮৭ টাকা। আগামী ২২ মে সকাল সাড়ে ১০টায় স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টার, বাড়ি নং- ১৯, সড়ক নং- ০৭, গুলশান- ১ ঢাকায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১২ এপ্রিল।

২০১৫ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে চার টাকা ৪১ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৮৭ পয়সা।

৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩৪৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড :

৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ৮৬ পয়সা এবং এনএভি ২৯ টাকা ৬৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ২৫ পয়সা ও ২৯ টাকা ৪৬ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায়, স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টার লিমিটেড, কিংস অ্যান্ড গ্রিন হল (নিচ তলা), বাড়ি নং- ১৯, সড়ক নং- ০৭, গুলশান- ১ ঢাকায় এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। রেকর্ড ডেট আগামী ১১ এপ্রিল।

২০১৫ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় ইপিএস হয়েছিল তিন টাকা ৭৩ পয়সা এবং এনএভি ৩৩ টাকা ৮৮ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ২২৮ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার টাকা।

এক হাজার ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭০২ কোটি ৮৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৩৬৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড :

৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় ইপিএস হয়েছে পাঁচ টাকা ৪৭ পয়সা এবং এনএভি ৩১ টাকা ৩৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ১৯ পয়সা ও ২৮ টাকা ৪৭ পয়সা। আগামী ২৭ এপ্রিল সকাল ১০টায়, ব্র্যাক-সিডিএম, সাভার, ঢাকায় বার্ষিক এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। রেকর্ড ডেট আগামী ১০ এপ্রিল।

২০১৫ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ২৮ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৪৭ পয়সা।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড :

কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাসসহ মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৪৪ পয়সা, শেয়ার এনএভিপিএস হয়েছে ১৬ টাকা ৬৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪০ পয়সা। বিনিয়েগাকরীদের অনুমোদনের জন্য ব্যাংকটির এজিএম আগামী ৩০ এপ্রিল, সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর পুলিশ কনভেনশন হল (প্রথম তলা), ইস্কানট রোড, রমনা, ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হবে। রেকর্ড ডেট ১৩ এপ্রিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডারের উপস্থিতিতে এজিএম অনুষ্ঠিত

AGM Press Releaseনিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ৫৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারের মাল্টিপারপাস হলে এই এজিএমটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম।

সভার শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারহোল্ডার ও তাঁদের পরিবারের প্রয়াত সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে মোনাজাত করা হয়।

বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০১৬ সালের ৩০শে জুন তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের কোম্পানির পরিচালকমন্ডলীর প্রতিবেদন, নিরীক্ষকবৃন্দের প্রতিবেদন, নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী গ্রহণ, বিবেচনা ও সর্বসম্মতিভাবে অনুমোদিত হয়।

এছাড়াও ৩০ জুন ২০১৬ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছর পরিচালনা বোর্ডের সুপারিশকৃত ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয় এবং পরবর্তী অর্থবছরের জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ ও তাঁদের পারিতোষিক নির্ধারণ করা হয়।

২১ মার্চ ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন ২০১৭ এর আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বোর্ড থেকে এ বছর অবসর প্রাপ্ত ২(দুই) জন পরিচালক জনাব মোহাম্মদ শাহজাহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহান সিকিউরিটিজ লিঃ এবং খাজা গোলাম রসূল ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা ইক্যুইটি সার্ভিসেস লিঃ এর স্থলাভিষিক্ত হন জনাব মোঃ হানিফ ভূঁইয়া, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র‌্যাপিড সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং জনাব শরীফ আতাউর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সার সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

সভায় বক্তব্য রাখেন ডিএসইর পরিচালক ও সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ রকিবুর রহমান, ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং মোনা ফাইন্যান্সিয়াল অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিঃ এর চেয়ারম্যান জনাব আহসানুল ইসলাম টিটু, রশিদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট জনাব আহমদ রশিদ লালি, বুলবুল সিকিউরিটিজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এ এস শাহুদুল হক বুলবুল, ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন সার্ভিসেস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোস্তাক আহমেদ সাদেক, বিএলআই সিকিউরিটিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মিনহাজ মান্নান ইমন।

এছাড়া ই-সিকিউরিটিজ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান জনাব এম, মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রাইলিংক সিকিউরিটিজ লিঃ এর চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ জহিরুল ইসলাম, এ্যাংকর সিকিউরিটিজ লিঃ এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এ জেড এম নাজিম উদ্দিন, গ্রীনল্যান্ড ইকুইটিজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এম রাজিব আহসান, কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজ এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিঃ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব এম. এ. মোতালিব চৌধুরী, এফসিএমএ, মেঘনা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান জনাব নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্যামল ইক্যুইটিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাজেদুল ইসলাম, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ, আলী সিকিউরিটিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ আকবর আলী, মডার্ন সিকিউরিটিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুজিস্তা নূর ই নাহরিন, আনোয়ার সিকিউরিটিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেনসহ সভায় সকলে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সভায় ডিএসই টাওয়ার প্রজেক্ট, নতুন প্রোডাক্টসহ শেয়ারহোরল্ডারদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব কে. এ. এম. মাজেদুর রহমান।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

বাজার পিই ১৬.২০ ও ব্যাংকিং খাতের ১১.৪৯ পয়েন্ট

DSE_CSE-smbdনিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে ০.১৯ শতাংশ। এসময় সর্বাধিক লেনদেন হওয়া ব্যাংকিং খাতের পিই অবস্থান করছে ১১.৪৯ পয়েন্টে। ডিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বর্তমানে ডিএসই’র পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৬.২০ পয়েন্টে। যা গত সপ্তাহের শুরুতে ছিল ১৬.১৭ পয়েন্ট। অর্থাৎ পিই বেড়েছে ০.০৩ পয়েন্ট বা ০.১৯ শতাংশ।

বর্তমানে খাতভিত্তিক হিসাবে ব্যাংকিং খাতের পিই অবস্থান করছে ১১.৪৯ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ২৯.৩৬, সিরামিকস খাতে ২৫.৬১, প্রকৌশল খাতে ২২.৫০, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ২৩.৮৫, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ২২.৩০, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১২.৮৪, বীমা খাতে ২০.৩০, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৩০.৯৫, বিবিধ খাতে ২৯.১৮, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৯.৩৬, সেবা ও আবাসন খাতে ১৪.৪৩, ট্যানারি খাতে ১৮.৮৩, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৯.৭২, বস্ত্র খাতে ১৯.৫১ এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাত ২৭.৮৯ পয়েন্টে রয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএস

বেড়েছে সূচক, লেনদেন ও বাজার মূলধন

DSE_CSE-smbdনিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে মূল্যসূচক ও লেনদেন বেড়েছে। একইসঙ্গে বাজার মূলধন বেড়েছে। তবে কমেছে বেশি সংখ্যক কোম্পানির দর। ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ সময় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বা ০.৪৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭২৬ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএসই ৩০ সূচক বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট বা ০.৮৩ শতাংশ। তবে ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক ৯.৬০ পয়েন্ট বা ০.৭৩ শতাংশ কমেছে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইএক্স ৩০ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ বেড়েছিল।

এদিকে গত সপ্তাহে মোট ৫ হাজার ৬৯৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহে হয়েছিল ৫ হাজার ১৮৮ কোটি ২২ লাখ টাকার। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৯.৭৪ শতাংশ।

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯৩.৬৩ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৩.৪৫ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১.৭৬ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১.১৬ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে হয়েছে।

সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ১৪৪ কোটি টাকায়। অর্থাৎ গত সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ০.২৬ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৩২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৮টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৮৩টি কোম্পানির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টি কোম্পানির।

গত সপ্তাহে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সিটি ব্যাংকের শেয়ার। এ সময় কোম্পানির ১৯৩ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩.৩৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এবি ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ১৭৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩.১৬ শতাংশ। ১৬৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো।

লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, আরএসআরএম স্টিল, আইএফআইসি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ইসলামি ব্যাংক ও বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএস