ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে .৪৭ পয়েন্ট

PEনিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে ০.৪৭ পয়েন্ট। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

খাতভিত্তিক পিই হিসাব করা হয়েছে ‘জেড’ ক্যাটাগরি, ওটিসি শেয়ার এবং যেসব শেয়ার দীর্ঘদিন লেনদেন হয় না সেগুলোর হিসাব বাদ দিয়ে।

বর্তমানে খাতভিত্তিক হিসাবে ব্যাংকিং খাতের পিই অবস্থান করছে ১০.৮২ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ৩৬.০০, সিরামিকস খাতে ৩৪.৯৮, প্রকৌশল খাতে ২২.১৬, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ২৪.৬৭, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ২৩.৬০, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১২.৮৭, বীমা খাতে ২১.৬৩, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৩৭.৩৩, বিবিধ খাতে ২৭.৮১, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৮.২০, সেবা ও আবাসন খাতে ১৮.১৫, ট্যানারি খাতে ১৬.৯১, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৮.২৯, বস্ত্র খাতে ১৬.৭৭ এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাত ৩৮.৮৮ পয়েন্টে রয়েছে।

বর্তমানে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৫.৬৮ পয়েন্টে। যা গত সপ্তাহের শুরুতে ছিল ১৫.২১ পয়েন্ট। অর্থাৎ পিই বেড়েছে ০.৪৭ পয়েন্ট বা ৩.০৯ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

সপ্তাহের ব্যবধানে ৬২% কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধি

dseনিজস্ব প্রতিবেদক :

সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৯১.১৯ পয়েন্ট বেড়েছে। এ সময় প্রায় ৬২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার বেড়েছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯১.১৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫৩৪.০৭ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক ৩২.৫৪ পয়েন্ট ও ডিএসই ৩০ সূচক ৭৩.২০ পয়েন্ট বেড়েছে।

এ সপ্তাহে ডিএসইতে ৩২৯টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০৩টি বা ৬২ শতাংশ কোম্পানির। আর দর কমেছে ১১৭টি বা ৩৫ শতাংশ কোম্পানির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টি বা ৩ শতাংশ কোম্পানির।

গত সপ্তাহে ২৫.৭৫ শতাংশ আর্থিক লেনদেন বেড়েছে। এ সময় মোট ৮ হাজার ৯৭৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড় হিসাবে এ লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৯৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। যা আগের সপ্তাহে হয়েছিল ৭ হাজার ১৪০ কোটি ২৬ লাখ টাকার। দৈনিক গড় হিসাবে এ লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪২৮ কোটি ৫ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯৬.২৫ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২.০৪ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ০.৪৪ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১.২৭ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

পাঁচ মাসে ৩৭ হাজার নতুন বিও হিসাব

cdblনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে সূচক ও লেনদেন দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছে। গত ৫ মাসে সূচকের যে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে ২০১০ এর মহাধ্বসের পর ছয় বছরে এমন দেখা যায়নি। এর সাথে তাল মিলিয়ে বেড়েই চলেছে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। এতে দীর্ঘদিন লোকসানের ভারে ন্যুব্জ বিনিয়োগকারীরা মুনাফার মুখ দেখতে শুরু করেছেন। তাতে বাজারের প্রতি তাদের হারিয়ে যাওয়া আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে। আর আস্থা ফিরে আসার প্রমাণ পাওয়া গেছে বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব খোলার হিড়িক দেখে।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ৫ মাসে বিনিয়োগকারীরা নতুন ৩৬ হাজার ৬৮৩টি বিও হিসাব খুলেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারী ২৭ হাজার ৩৪১ জন এবং প্রবাসী ৮ হাজার ৮১০ জন নতুন বিও হিসাব খুলেছেন।

পাশাপাশি কোম্পানিগুলোও নতুন ৫৪২টি নতুন বিও হিসাব খুলেছে।

সিডিবিএল সূত্র জানায়, ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বিও হিসাব সংখ্যা হয়েছে ২৯ লাখ ৪৭ হাজার ৯৫২টি। যা গত বছরের আগস্ট মাস শেষে ছিল ২৯ লাখ ১১ হাজার ২৬৯টি। এর মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব ২১ লাখ ৪১ হাজার ৬৮টি। যা আগস্ট শেষে ছিল ২১ লাখ ১৩ হাজার ৫৬২টি।

আলোচিত সময়ে পুরুষ বিনিয়োগকারীরা ২৭ হাজার ৫০৬টি নতুন বিও হিসাব খুলেছেন। জানুয়ারি, ২০১৭ পর্যন্ত নারী বিনিয়োগকারীর বিও হিসাবের সংখ্যা ৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৭৩টি। যা এর আগের বছর আগস্ট মাস শেষে ছিল ৭ লাখ ৮৭ হাজার ১২৮টি। অর্থাৎ আলোচিত সময়ে নারী বিনিয়োগকারীরা ৮ হাজার ৬৪৫টি নতুন বিও হিসাব খুলেছেন।

চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত একক বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭০টি। যা গত বছরের আগস্ট মাস শেষে ছিল ১৮ লাখ ১৪ হাজার ২২৯টি। অর্থাৎ একক বিও হিসাব বেড়েছে ২৭ হাজার ৭৪১টি। পাশাপাশি জানুয়ারি পর্যন্ত যৌথ বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৯৭ হাজার ৮৭১টি। যা এর আগের বছর আগস্ট মাস শেষে ছিল ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬১টি। অর্থাৎ যৌথ বিও হিসাব বেড়েছে ১১ হাজার ৪১০টি। বর্তমানে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫টি এবং প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার ২৩৬টি। এছাড়া কোম্পানির অধীনে বিও হিসাব রয়েছে ১১ হাজার ১১১টি। যা এর আগের বছর আগস্ট মাস শেষে ছিল যথাক্রমে ২৭ লাখ ৫৯ হাজার ২৬৪টি, ১ লাখ ৪১ হাজার ৪২৬টি এবং ১০ হাজার ৫৬৯টি।

এ বিষয়ে সিডিবিএলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ২০১০ সালের মহাধ্বসের পর বিও হিসাবের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমেছিল।

তবে গত কয়েক মাস ধরে শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লাও হালকা হয়ে আসছে। তাই বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের হারানো আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে। এর জেরেই নতুন বিও হিসাব খোলার হারও বেড়েছে।

শেয়ারবাজারের প্রতি আস্থা ফিরে পাচ্ছে। তাছাড়া এর আগে, গত বছরের জুন মাস শেষে নবায়ন ফি পরিশোধ না করায় প্রায় ৬ লাখ বিও হিসাব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাজারের দীর্ঘ মন্দাভাবের কারণে এমনটি ঘটেছিল। তবে এবার বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দৈনিক লেনদেন এখন দুই হাজার কোটি টাকা। তাছাড়া বিনিয়োগকারীদের জন্য বাজার এখন অনেক সুরক্ষিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছর ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ডিএসই’র প্রধান সূচক বেড়েছে ৯৮৪ পয়েন্ট। এ সময় অধিকাংশ কোম্পানিরই শেয়ারদর ব্যাপক হারে বেড়েছে। তাছাড়া স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বাজারকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সম্প্রতি সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ