সুদহারের সীমা প্রত্যাহার চায় বিএবি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বড় ঋণ বাদে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতে সুদহারের সীমা প্রত্যাহার চায় ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিএবি। এ ছাড়া বিলাসবহুল পণ্য উৎপাদন ও আমদানি, অনুৎপাদনশীল ও আমদানিনির্ভর শিল্প ঋণ এবং ভোক্তা ঋণেও ৯ শতাংশ সুদহারের সীমা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, ব্যাংকের আমানতের সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে সঞ্চয়পত্রে সুদহার কমানোর প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বিএবি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব সুপারিশ করেছে।

সাক্ষাৎকালে গভর্নরকে দেওয়া বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, চলমান মূল্যস্ম্ফীতির প্রেক্ষাপটে ব্যাংকের আমানত প্রবাহ বৃদ্ধি এবং ঋণের সুদহারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন।

সিএমএসএমই ও রিটেইল ঋণের সুদহারের সীমা প্রত্যাহারের যৌক্তিকতা তুলে ধরে এতে বলা হয়েছে, এ খাতে তহবিল ব্যবস্থাপনায় গড়ে সাড়ে ৪ শতাংশ ব্যয় হয়। প্রশাসনিক ও অন্যান্য ব্যয় আড়াই শতাংশ। শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সাধারণ প্রভিশন রাখতে হয়। ঋণের শ্রেণিমান বিবেচনায় প্রভিশন বাদ দিয়েই সাড়ে ৭ থেকে ৯ শতাংশ ব্যয় হয়। ফলে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়ে ব্যাংকের টিকে থাকা কঠিন। কোনো কারণে ব্যাংক ঋণ দিতে নিরুৎসাহিত হলে এ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বিএবির চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, কম্পিউটার বাদে গাড়ি, ফ্রিজসহ ইলেকট্রনিক পণ্য, কসমেটিকসের মতো বিলাসপণ্য ও যন্ত্রাংশের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন ও কেনায় ঋণের সুদহার বাড়াতে হবে। ট্রেডিংসহ অনুৎপাদনশীল ও আমদানিনির্ভর শিল্প ঋণের সুদহার বাড়ানো যেতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিএবির দাবি পর্যালোচনা করবে বলে জানিয়েছে। তিনি বলেন, ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ঋণে ৯ শতাংশ সুদহারের সীমা দেওয়া আছে। অন্যদিকে, ব্যক্তি পর্যায়ের আমানতেও মূল্যস্ম্ফীতির কম সুদ না দিতে বলা হয়েছে। এটা ঠিক, মুক্তবাজার অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় এভাবে সুদহার বেঁধে দেওয়া যায় না। তবে ঋণের সুদহার ১৭ থেকে ১৮ শতাংশে উঠে গিয়েছিল। এত সুদ দিয়ে ব্যবসা করা কঠিন ছিল বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সীমা বেঁধে দিতে বাধ্য হয়।
এদিকে ঋণ পুনঃতপশিলের নতুন নীতিমালাকে স্বাগত জানিয়ে নজরুল ইসলাম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, নতুন গভর্নর আসার পরে ঋণ পুনঃতপশিলের ভার ব্যাংকের ওপর দেওয়া হয়েছে, যা সবার জন্য মঙ্গলজনক।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *