আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের আকার চার লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা থেকে চার লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সম্প্রতি এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর নির্বাচনী বছর। প্রতিবার যে ধরনের উচ্চাভিলাষী বাজেট দেওয়া হয়, এবার হয়তো তা থাকবে না। বলা যেতে পারে বাজেট উচ্চাভিলাষী হবে না। আগের বছরের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবারের বাজেট দেওয়া হবে।’ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় টিআর-কাবিখা বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলেও মত দেন অর্থমন্ত্রী। এটি হবে বর্তমান সরকারের শেষ বাজেট।
প্রতিবারের ধারাবাহিকতা এবারও বাজেট তৈরির আগে বিভিন্ন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী। গতকাল বৈঠক ছিল অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সঙ্গে। গতকালের প্রাক-বাজেট আলোচনায় নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী বাজেট সাজানোর প্রস্তাব করেছেন সংসদ সদস্যরা। সাধারণ জনগণের উপকারে বেশি বেশি উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
এ জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা বাড়ানো, স্কুল-কলেজের উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা সহজ করা, সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নের প্রস্তাব করেছেন। চালের দাম কমানোর জোর প্রস্তাব করেছেন কয়েকজন এমপি। এ জন্য কৃষকদের প্রয়োজনে ভর্তুকি দেওয়ারও সুপারিশ করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের দুর্নীতি বন্ধ, ব্যাংক ব্যবস্থায় সুশাসন, সুদহার কমানোরও পরামর্শ এসেছে।
একই সঙ্গে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) ব্যবস্থা বন্ধ করে চলতি বাজেটেই থোক বরাদ্দ বাড়ানোরও দাবি করেছেন এমপিরা।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসটি