‘বাংলাদেশের জনশক্তি ও সিঙ্গাপুরের পুঁজি যৌথভাবে কাজে লাগালে উভয়ই লাভবান হবে’

fe3af46fee14a3ec1149e6d6fe9f16a2-5aa6354fa7c20স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য কাজ করার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কাজের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ জনশক্তি এবং সিঙ্গাপুরের পুঁজি কাজে লাগিয়ে দুই দেশই আরও লাভবান হতে পারবে।’

সোমবার সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট ভবন ইস্তানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লং মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। এতে অংশ নিয়েই তিনি এসব কথা বলেন। চারদিন সফরে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে আছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের আছে পুঁজি, আধুনিক প্রযুক্তি আর জ্ঞান। আর আমাদের (বাংলাদেশ) আছে বিপুল জনশক্তি। আমাদের মোট জনসংখ্যার বড় একটি অংশ তরুণ এবং শিক্ষিত। বিষয়গুলো যৌথভাবে কাজে লাগাতে পারলে দুই দেশই আরও লাভবান হতে পারে। আশা , সিঙ্গাপুরে এমনই একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য সিঙ্গাপুর একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। আমি আশা করি সিঙ্গাপুর সরকার তাদের জন্য সম্মানজনক একটি কর্মপরিবেশ দেবে।’

তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে। এই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে অতীত ইতিহাস, অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এক লাখ ৬০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। এর মধ্যে ৩০ হাজার বাংলাদেশি কাজ করেন জাহাজ নির্মাণ শিল্পে।

এই মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুব এবং প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লোংয়ের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন। পরে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ এবং বিমান চলাচলে সহযোগিতার বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

সফরসূচি অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী সিঙ্গাপুরের বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাবেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে একটি অর্কিডের নামকরণ করা হবে। পরে তিনি সাংগ্রিলা হোটেলে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর বিজনেস ফোরামের গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন। সোমবার (১২ মার্চ) শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।

এর আগে, রবিবার (১২ মার্চ) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান দেশটির পরিবেশ, পানিসম্পদ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র মন্ত্রী ড. অ্যামি খর এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান। খবর বাসস।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *