ব্যাংকের নির্ধারিত ঋণ ও আমানতের অনুপাত (এডিআর) সীমা মানার জন্য ব্যাংকগুলোকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ব্যাংক খাতে নগদ অর্থের সংকট দেখা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অবশ্য এর আগে তিনবার ঋণ-আমানত অনুপাতের সীমা সমন্বয়ের সময় নির্ধারণ করেও পরে পিছু হটে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রত্যেকবারই নগদ অর্থের সংকটকে কেন্দ্র করে ঋণ-আমানত অনুপাতের সীমা সমন্বয়ের সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের ৯ এপ্রিল জারি করা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনে ঋণ-আমানত অনুপাতের সীমা সমন্বয়ের জন্য এই মাসের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দেশের ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব ব্যাংকের ঋণ আমানত অনুপাত উল্লিখিত হারের চেয়ে বেশি রয়েছে সেগুলোকে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে নির্ধারিত মাত্রায় তা নামিয়ে আনতে হবে। এজন্য একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ডিপার্টমেন্ট অব অব সাইট সুপারভিশনে দাখিল করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাধারণ ধারার ব্যাংকগুলো ১০০ টাকা আমানত সংগ্রহ করলে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা ঋণ দিতে পারবে। আর ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে পারবে সর্বোচ্চ ৯০ টাকা পর্যন্ত। আর ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে সাধারণ ধারার ব্যাংকগুলো ১০০ টাকা আমানত সংগ্রহ করলে সর্বোচ্চ ৮৩ টাকা ৫০ পয়সা ঋণ দিতে পারবে। আর ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে পারবে সর্বোচ্চ ৮৯ টাকা পর্যন্ত।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এনএ