‘কারসাজিতে’ চালের দাম বৃদ্ধি: কৃষিমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আমনের ভরা মৌসুমে আড়তদার-মিলাররা ‘কারসাজি করে’ চালের দাম বাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

রবিবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকার ৫ থেকে ৬ লাখ টন চাল বিদেশ থেকে আমদানি করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

“সরকারি গুদামে চাল কমে গেছে। গত বছর প্রায় ১৩ লাখ টনের মত খাদ্য ছিল, এ বছর সেটা কমে ৭ লাখ টনে নেমে এসেছে।

“এই যে ৫ থেকে ৬ লাখ ঘাতটি যদি না মেটাতে পারি… বাংলাদেশের মিলাররা, আড়তদাররা, জোতদাররা, যারা বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে, তারা চালের দাম বাড়ায় এবং এবারও তারা সেই কাজ করছে। মৌসুমের সময় তারা এখনও ধান কিনছে এবং ধান ও চালের দাম দুটোই বাড়িয়ে দিয়েছে।”

এখন আমনের ভরা মৌসুম চললেও ধান ও চাল-দুটোরই দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। সরকারের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে নাজিরশাইল ও মিনিকেটের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। আর ইরি বা স্বর্ণার মত মোটা চালের দাম ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। মাঝারি মানের চাল পাইজাম বা লতার দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এই পরিস্থিতিতে ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে চাল আমদানির সুযোগ তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলন, “২৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা যাবে। প্রাইভেট সেক্টরকেও সেই সুযোগ দেওয়া হবে। প্রাইভেট সেক্টর এবং সরকার ৫ থেকে ৬ লাখ টন চাল আনতে পারবে। এর বেশি হলে আমরা আর অনুমতি দেব না। যখনই ৬ লাখ টনের এলসি দেওয়া হবে, তারপর আর এলসির সুযোগ দেওয়া হবে না।”

চাল আমদানিতে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশের মত শুল্ক দিতে হত। তা কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার কথা রোববারই জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।

সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ‘সর্বাত্মক উদ্যোগ’ গ্রহণ করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “অতটা চালের ঘাটতি আমাদের নাই। কিন্তু এই সুযোগে মিলাররা নানা রকম কারসাজি করে চালের দাম বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে। আমরা যদি চালের সরবরাহ বিদেশ থেকে নিয়ে আসি, আমার মনে হয় না খুব অসুবিধা হবে।”

কৃষিমন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে চাল আসা শুরু হয়েছে, ভারতে সঙ্গে সরকারিভাবে চুক্তি হয়েছে। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম থেকেও চাল আনার চেষ্টা করা হবে। সব মিলিয়ে সরকারের পূর্ণ উদ্যোগ ও প্রস্তুতি রয়েছে চালের ঘাটতি মেটানোর জন্য।

“যেহেতু চালের দাম একটু অস্বাভাবিক বেশি হয়েছে, এজন্য বিশেষ বিবেচনায় প্রাইভেট সেক্টরকে চাল আমদারি সুযোগ দেওয়া হবে। সরকারও চাল আমদানি করে ঘাটতি মেটাবে। যাতে একটি মানুষও কষ্ট না পায়। কেউ যেন ক্ষুধার্ত না থাকে, সেই নিশ্চয়তা আমি দিতে চাই।“

চাল আমদানির বিরোধিতা করে মিলাররা বলছেন, এতে কৃষক ক্ষতির মুখে পড়বে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, “১২০০ টাকা দরে ধান বিক্রি হচ্ছে, কোনো কোনো এলাকায়… নোয়াখালীতে ১ হাজার ৪০ টাকা। এক হাজার টাকাও বিক্রি করতে পারে, আমনের যে খরচ হয়েছে, তাতে লস হওয়ার কারণ নেই। কৃষক অসন্তুষ্ট হবে, দাম পাবে না- এটার কোনো কারণ নেই। ৯০০ টাকার বিক্রি করলেও লাভ হবে। কিন্তু ১২০০ টাকা খুব বেশি।”

সরকারের ওএমএস কর্মসূচি অব্যহত থাকবে এবং বিদেশ থেকে চাল আসতে শুরু করায় চালের দাম নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতায় মধ্যে চলে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন কৃষিমন্ত্রী।

এবার আমন উৎপাদন কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, বন্যায় এক লাখ ৫ হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছে। এ হিসাবে ১৫ থেকে ২০ লাখ টন ধান কম হয়েছে। এসব কারণে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী।

“আউশ ও আমনের যে ক্ষতি হয়েছে তার ফলেই এ ভরা মৌসুমে আমনের দাম একটু বেশি। সরকার চেষ্টা করছে… কোনক্রমে রিকশাওয়ালা, ভ্যানওয়ালা, যারা নিম্ন আয়ের মানুষ, তাদের যেন কষ্ট না হয় সে বিবেচনা নিয়ে সরকার ওএমএস চালু করেছে এবং অব্যাহতভাবে খোলা বাজারে চাল বিক্রি করছে।”

ঘাটতি মেটাতে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরা চাষ করা হবে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “২ লাখ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধান হবে, এটা মোটা চাল হলেও এর জন্য প্রণোদনা ও বীজ দেওয়া হয়েছে। বোরোতে আমরা ভালো করব যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়।”

গোপালগঞ্জ জেলায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিউটের কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের পূর্তকাজের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

সোমবার যে সব কোম্পানির এজিএম

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১০টি কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামীকাল রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আগামীকাল সোমবার বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে যে ১০টি কোম্পানির যেমন: ডরিন পাওয়ারের এজিএম বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। এই কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩০শে জুন হিসাব বছরে ১০ শত্যাংশ নগদ ও ১০ শত্যাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এনভয় টেক্সটাইলসের এজিএম বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। এই কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩০শে জুন হিসাব বছরে ৫ শত্যাংশ নগদ লভ্যাংশ করেছে।

ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের এজিএম বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। এই কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩০শে জুন হিসাব বছরে কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি।

মুন্নু সিরামিকসের এজিএম ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে।

মুন্নু জুট স্টাফলারের এজিএম বেলা ১০টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। এই কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩০শে জুন হিসাব বছরে ১০ শত্যাংশ নগদ ও ১০ শত্যাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলসের এজিএম বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। এই কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩০শে জুন হিসাব বছরে ১০ শত্যাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

কুইন সাউথ টেক্সটাইলের এজিএম বেলা ১০টা ৩০ মিনিটে ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে।

সমতা লেদারের এজিএম বেলা ১০টা ৩০মিনিটে নিজস্ব কারখানা প্রস্ঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। এই কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩০শে জুন হিসাব বছরে কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি।

শ্যাম্পুর সুগার মিলসের এজিএম বেলা ১২টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। এই কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩০শে জুন হিসাব বছরে কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি।

এবং ইয়াকিন পলিমারের এজিএম বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। এই কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩০ শে জুন হিসাব বছরে ১ শত্যাংশ নগদ লভ্যাংশ করেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএস

‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’ পাচ্ছে শেয়ারবাজারের ৩ কোম্পানি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের বেসরকারিখাতে শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ছয় ক্যাটাগরিতে ১৯টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে সরকার। নির্বাচিতদের মধ্যে বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান খাতে রয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এবং অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৮’ দেওয়া হবে।

রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পখাতে অবদানের স্বীকৃতি, প্রণোদনা সৃষ্টি ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার দেওয়া হয়।

উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ, আকৃষ্ট ও উৎসাহিতকরণে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৮ এর জন্য ছয়টি ক্যাটাগরিতে মোট ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে মনোনীত করা হয়েছে। এর মধ্যে বৃহৎ শিল্প ৪টি, মাঝারি শিল্প ৪টি, ক্ষুদ্র শিল্প ৩টি, মাইক্রো শিল্প ৩টি, কুটির শিল্প ৩টি এবং হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে ২টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হবে।

এরআগে গত মার্চ মাসে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৮ এর জন্য মনোনীতদের তালিকার গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। পুরস্কার হিসেবে ট্রফি বা ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন নির্বাচিত শিল্প উদ্যোক্তা/প্রতিষ্ঠানের এ পুরস্কার তুলে দেবেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। সভাপতিত্ব করবেন শিল্পসচিব কেএম আলী আজম।

পুরস্কারের জন্য মনোনীত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:

বৃহৎ শিল্প: বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পাচ্ছে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড., দ্বিতীয় ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, তৃতীয় এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এবং অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

মাঝারি শিল্প: মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম তাফরিদ কটন মিলস লিমিটেড, শেলটেক টেকনোলজি লিমিটেড, অটো টেক্স লিমিটেড ও মেসার্স এনভয় ফ্যাশনস লিমিটেড।

ক্ষূদ্র শিল্প: ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে কনসেপ্ট নিটিং লিমিটেড, এছাড়া মনোনীত করা হয়েছে এপিএস ডিজাইন ওয়ার্কস লিমিটেড ও সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড।

মাইক্রো শিল্প: মাইক্রো শিল্পে মনোনীত হয়েছে ট্রিম টেক্স বাংলাদেশ, মাসকো ওভারসিস লিমিটেড এবং ক্রিমসন রেসেলা সি ফুড লিমিটেড।

কুটির শিল্প: কুটির শিল্পে মনোনীত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ক্লাসিক্যাল হ্যান্ডমেইড প্রোডাক্টস লিমিটেড, ইন্টেলিজেন্স কার্ড লিমিটেড এবং রূপকথা যুব ও মহিলা উন্নয়ন সংস্থা।

হাইটেক শিল্প: হাইটেক শিল্পে মনোনীত হয়েছে দু’টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড ও মেটাটিউব এশিয়া লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

কক্সবাজারে এনআরবিসি ব্যাংকের ৮৩তম শাখার যাত্রা শুরু

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

পর্যটন ও স্থানীয় শিল্পের বিকাশে যাবতীয় ব্যাংকিং সেবা নিয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে যাত্রা শুরু করলো এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক লিমিটেড। রোববার ট্রেড লিংক সেন্টারে কক্সবাজার শাখার উদ্বোধান করা হয়। ব্যাংকের ৮৩তম এই শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে ব্যাংকের পরিচালক একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এডিসি (জেনারেল) মো. আমিন আল পারভেজ ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বলেন, এনআরবিসি ব্যাাংক সমাজের সর্বস্তরের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রযুক্তিনির্ভর নানা সেবা প্রসার ঘটাচ্ছে। কক্সবাজারের এই শাখার মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের বিকাশে অর্থায়নসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে। এছাড়া এই অঞ্চলের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় সব ধরনের শিল্পের উন্নয়নের সাথে থাকবে ব্যাংকটি। আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কর্মকা-কে বেগবান করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এই মহামারির সময়েও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি এনআরবিসি ব্যাংক কৃষকদের পাশেও থেকেছে।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের কক্সবাজার শাখার ব্যবস্থাপক রফিকুল হায়দার চৌধুরীসহ সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দ, ব্যবসায়ী, গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের সম্মৃদ্ধি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

ব্লক মার্কেটে লেনদেন ২৮ কোটি টাকার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই)ব্লক মার্কেটে ৪১টি কোম্পানির ২৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ৮৯ লাখ ১ হাজার ৮৯২টি শেয়ার ৮৭ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ২৮ কোটি ১২ লাখ ৪৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৮ কোটি ৪১ লাখ ৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসএস স্টিলের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ কোটি ২৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর।

এছাড়া এপোলো ইস্পাতের ৫ লাখ ১৯ হাজার টাকার, বারাকা পাওয়ারের ৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ৮ লাখ ৬ হাজার টাকার, বিডি থাইয়ের ২৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ৫০ লাখ ৩৭ হাজার টাকার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ১০ লাখ ৪২ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ২৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১২ লাখ ৮ হাজার টাকার, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৭২ হাজার টাকার, ফরচুন সুজের ২২ লাখ ৬০ হাজার টাকার, জেনেক্সের ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রোর ৫ লাখ টাকার, গ্রামীণফোনের ৫৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকার, গ্রামীণ ওয়ান : স্কিম টু’র ৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকার, গ্রীণডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ইন্ট্রাকোর ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকার, কোহিনুর কেমিক্যালের ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৫ লাখ ২ হাজার টাকার, লাফার্জহোলসিমের ৭৮ লাখ ১০ হাজার টাকার, এমএল ডাইংয়ের ৫ লাখ ৪ হাজার টাকার, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ১ কোটি ২০ লাখ টাকার, এনসিসি ব্যাংকের ১ কোটি ৩৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকার, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের ৫ লাখ ১ হাজার টাকার, ফার্মা এইডসের ২৬ লাখ ৭ হাজার টাকার, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ২৭ লাখ টাকার, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১০ লাখ ২৫ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, রবির ৬৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকার, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ২৪ লাখ ৫ হাজার টাকার, সী পার্লের ১৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ১০ লাখ ৩২ হাজার টাকার, সোনালী পেপারের ৫ লাখ টাকার, শাইনপুকুর সিরামিকের ২৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার, শাহজিবাজার পাওয়ারের ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ট্রাস্ট ব্যাংকের ৩২ লাখ ৯০ হাজার টাকার এবং ইউনাইটেড পাওয়ারের ৬৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

জেএমআইয়ের শেয়ার ৪২৯ : নেই কোনো তথ্য

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ঔষধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি জেএমআই সিরিঞ্জ এন্ড মেডিক্যাল ডিভাইস সার্ভিসেস লিমিটেডের শেয়ারের সাম্প্রতিক দরবৃদ্ধির নেপথ্যে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষের চিঠির জবাবে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, গত ১০ ডিসেম্বর এ শেয়ারের দর ছিল ২৮২ টাকা এবং আ ২৭ ডিসেম্বর এ শেয়ারের দর সর্বশেষ বেড়ে দাঁড়ায় ৪২৯.৯০ টাকা।

শেয়ারটির এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন ডিএসই কর্তৃপক্ষ। এজন্য নোটিস করলে জেএমআই সিরিঞ্জ এন্ড মেডিক্যাল ডিভাইস সার্ভিসেস লিমিটেড জানায়, কোনো রকম মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারটির দর বাড়ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের মূল্য সংবেদনশী তথ্য নেই

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ার দর সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিক হারে বাড়ার কারণ জানতে চাইলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কে কোনো ধরণের মূল্য সংবেদনশীল কোনো অপ্রকাশিত তথ্য নেই বলে জানিয়েছে বিমাটি। সিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা যায়।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ১৩ ডিসেম্বর এ শেয়ারের দর ছিল ৪৬.৫০ টাকা এবং গত বৃহস্পতিবার ডিসেম্বর এ শেয়ারের দর সর্বশেষ বেড়ে দাঁড়ায় ৭০.৬০ টাকা।

শেয়ারটির এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন ডিএসই কর্তৃপক্ষ। এজন্য নোটিস করলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স জানায়, কোনো রকম মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারটির দর বাড়ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএম

এসএমই খাতে প্রণোদনার ঋণ বিতরণ ৪৬.৩৬ শতাংশ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েকদিন বাকি থাকলেও তফসিলি ব্যাংকগুলো কটেজ, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের ৪৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে।

চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করার পরে কয়েক দফা মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৩১ ডিসেম্বর শেষ সময় নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

দেশে করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকার সিএমএসএমই খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলো ৬৬ হাজার ৬১০ জন সিএমএসএমই উদ্যোক্তাকে ৯ হাজার ২৭১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। বিতরণের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে, এখনও ১০ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা বিতরণ হয়নি।

অধিকাংশ ব্যাংক বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বিতরণ করলেও কটেজ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের নির্ধারিত সময়ে ভালোভাবে সেবা দেয়নি।

সরকারি উদ্যোগ থাকা সত্ত্বেও সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো মোট প্রণোদনা প্যাকেজের ৩৬ শতাংশ বিতরণ করতে পেরেছে। ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ২৫৯৩ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৯৩৯ কোটি টাকা বিতরণ করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, ব্যাংকগুলোর গ্রামীণ ও শহরের শাখাগুলো প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণে সমন্বিতভাবে কাজ করেনি।

তিনি আরও বলেন, সিএমএসএমই খাতের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজের উপকারভোগীদের বিবেচনা করে সেসব অঞ্চলে ব্যাংকগুলো আরও ভালো নজর দিলে প্যাকেজটি যথাসময়ে কার্যকর করতে সহায়ক হতে পারে।

রাজবাড়ীর একজন উদ্যোক্তা আফজাল হোসেন বলেন, ব্যাংক থেকে প্রণোদনার ঋণ দিতে নানা রকম টালবাহানা করেছে। সিএমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণে ব্যাংকাররা নানারকম অজুহাত দেখিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ইসলামি ব্যাংকগুলো ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৪৫ দশমিক ৮১ শতাংশ বিতরণ করেছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫৫২০ কোটি টাকা।

ইসলামি ব্যাংকগুলো ছাড়াও বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো লক্ষ্যমাত্রার ১০ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকার মধ্যে ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ বা ৫ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করেছে।

তবে সরকারি, বেসরকারি এবং ইসলামি ব্যাংকগুলোর তুলনায় বিশেষায়িত ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণের পরিমাণ ভালো। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো লক্ষ্যমাত্রার ৮৭ শতাংশ এবং বিদেশি ব্যাংকগুলো ৫০ শতাংশ বিতরণ করেছে।

বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর লক্ষ্যমাত্রার ২৮৮ কোটি টাকার মধ্যে ২৫০ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলো ১৯৫ কোটি টাকার মধ্যে ৯৭ কোটি টাকা বিতরণ করেছে।

মহামারি করোনা ভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সিএমএসএমই খাতের জন্য ৯ শতাংশ সুদে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। ৯ শতাংশ সুদের মধ্যে ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি দেবে এবং ৪ শতাংশ দিতে হবে গ্রাহককে।

প্রাথমিকভাবে ব্যাংকগুলোকে জুলাইয়ের মধ্যে প্রণোদনা প্যাকেজের সিংহভাগ এবং বাকি অর্থ আগস্টের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

বন্ধ হচ্ছে কোটি আমেরিকানের বেকারভাতা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রণোদনা বিলে সই না করায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দেড় কোটি মার্কিন নাগরিকের বেকারভাতা বন্ধ হচ্ছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলারের ওই বিলে সাধারণ নাগরিকদের জন্য যথেষ্ট অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়নি দাবি করে বিলটিতে সই করতে রাজি হননি ট্রাম্প।

এ সপ্তাহে ট্রাম্প জানান, বিল নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট নন। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের সদস্যরাই এতে অবাক হয়েছেন। ওই বিলে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তদের অতি জরুরি ত্রাণ সরবরাহে ৯৮ হাজার ২ শ কোটি ডলারের প্রণোদনা ছিল। এর মধ্যে বিশেষ বেকারভাতাও অন্তর্ভুক্ত যার মেয়াদ ২৬ ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে। এ ছাড়া, সরকারি বিভিন্ন ব্যয়ের খাতে এক লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ ছিল।

শ্রম বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্পের সই না পাওয়ায় এক কোটি ৪০ লাখ আমেরিকান তাদের বেকারভাতা থেকে বঞ্চিত হবেন। কংগ্রেস সাময়িক সরকারি তহবিলে সম্মত না হলে কয়েক লাখ সরকারি কর্মচারীর আয় ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। ফলে আগামী মঙ্গলবার থেকে মার্কিন সরকারে আংশিক অচলাবস্থা তৈরি হতে যাচ্ছে।

দীর্ঘ বিতর্কের পর গত সপ্তাহের শেষে হোয়াইট হাউসের সম্মতিক্রমে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা এই প্রণোদনা প্যাকেজে সম্মত হন। সোমবার রাতে কংগ্রেস বিলের পক্ষে ভোট দেওয়ার আগ পর্যন্ত এই বিলের ব্যাপারে কোনো আপত্তি তোলেননি ট্রাম্প।

ট্রাম্পের অভিযোগ, এই বিলে বিশেষ স্বার্থে, সাংস্কৃতিক প্রকল্প ও বিদেশি সাহায্যের জন্য বেশি অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কোটি কোটি মার্কিন নাগরিকের জন্য ৬০০ ডলার অর্থ সহায়তা খুবই কম বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই অর্থ বাড়িয়ে দুই হাজার ডলার করার দাবি তোলেন ট্রাম্প।

শনিবার এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কেবল আমাদের দুর্দান্ত জনগণকে বিলের ওই ৬০০ ডলারের পরিবর্তে দুই হাজার ডলার দিতে চাই।’

এদিকে বিলে সই না করায় ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বিদায়ী রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টকে অবিলম্বে এ নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

এই পরিস্থিতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানায়, ট্রাম্পের এই আপত্তিতে হোয়াইট হাউসের অনেক কর্মকর্তা অবাক হয়েছেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে চীন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে ২০২৮ সালেই বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে চীন।

শনিবার প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বেশ কিছু বছর ধরেই চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অর্থনৈতিক এবং ক্ষমতার লড়াই চলে আসছে। কিন্তু নোভেল করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক দিক থেকে চীন অনেকটা সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।’

মহামারি করোনার প্রভাবে সারা বিশ্বের অর্থনীতিই চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও চীনের অর্থনীতির উপর খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি কোভিড। আর এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৮ সালেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উঠে আসবে চীন। সম্প্রতি বার্ষিক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছে ব্রিটেনের অন্যতম শীর্ষ অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা ‘সেন্টার ফর ইকনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ’। এর আগে, ডিসেম্বরের শুরুতে একই ইঙ্গিত দিয়েছিল জাপানের সেন্টার ফর ইকনমিক রিসার্চ। তারা জানিয়েছিল, ২০২৮ অথবা ‘২৯ সালের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাবে চীন।

শনিবার প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বেশ কিছু বছর ধরেই চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অর্থনৈতিক এবং ক্ষমতার লড়াই চলে আসছে। কিন্তু নোভেল করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক দিক থেকে চীন অনেকটা সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।’

সময়মতো লকডাউন ঘোষণা করে দক্ষ হাতে কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছে বলেই অন্য দেশের তুলনায় চীন তাড়াতাড়ি অতিমারির প্রকোপ কাটিয়ে উঠতে পেরেছে বলে দাবি করেছে ওই সংস্থা। যার ফলে চিনের অর্থনীতিতে তেমন প্রভাব পড়েনি। মূলত উহান বাদে দেশটির অন্য প্রদেশেও তেমনভাবে ছড়ায়নি কোভিড। ফলে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পরিমাণও তেমন ভাবে সঙ্কুচিত হয়নি।

চিনের বর্তমান মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনেও তেমন হেরফের হয়নি কোভিডের ফলে। ওই প্রতিবেদন দাবি করেছে, ২০২০ সালে বিশ্বের সব দেশের অর্থনীতি যখন ঝিমোচ্ছে, তখন চিনের আর্থিক বৃদ্ধি ২ শতাংশ বাড়বে। অন্য দিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সঙ্কুচিত হবে প্রায় ৫ শতাংশ। এই ফারাকই এগিয়ে দেবে চিনকে।

ওই সংস্থা জানিয়েছে, ২০২১ থেকে ‘২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর গড়ে ৫.৭ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি ঘটবে চীনের অর্থনীতির। ২০২৬ থেকে ‘৩০ পর্যন্ত বৃদ্ধির গতি কিছুটা কমলেও, ওই ৪ বছরে অন্তত ৪.৫ শতাংশ করে বৃদ্ধি ঘটবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, কোভিড সঙ্কট কাটিয়ে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ছন্দে ফিরবে বলে এত দিন মনে করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এই মুহূর্তে সে দেশের যা পরিস্থিতি, তাতে ২০২২ সাল থেকে ‘২৪ পর্যন্ত প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের বৃদ্ধি ১.৯ শতাংশ করে কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আর্থিক শক্তিবৃদ্ধির নিরিখে বিশ্বের অন্যতম দুই ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রের অবস্থান পাল্টালেও, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে জাপানের অবস্থান পাল্টানোর তেমন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ব্রিটেনের ওই সংস্থা। তবে ২০৩০ সালের শুরুর দিকে তাদের টপকে তৃতীয় স্থানে উঠে আসতে পারে ভারত। সে ক্ষেত্রে জার্মানি চতুর্থ থেকে পঞ্চম স্থানে চলে আসতে পারে। এই মুহূর্তে বিশ্বতালিকায় ব্রিটেন পঞ্চম স্থানে রয়েছে। ২০২৪ সাল নাগাদ তারা ষষ্ঠ স্থানে নেমে যেতে পারে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম