দুর্নীতিবাজদের পাচার করা অর্থ অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরিয়ে আনতে দেশটির সহায়তা চেয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
আজ বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অস্ট্রেলিয়ান কমিশন ফর ল’ এনফোর্সমেন্ট ইনটিগ্রিটির নির্বাহী পরিচালক ক্রেইগ ফারি ও অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেডের সহকারী পরিচালক স্টিফেন ম্যাকলেহিনির নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
ওই বৈঠকে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে সংস্থাটির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল অংশ নেন। দুদকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিদলটির উদ্দেশে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশের কিছু দুর্নীতিবাজ অস্ট্রেলিয়ায় পালিয়ে আছেন বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। তাঁরা অস্ট্রেলিয়ায় আবাসন খাতসহ অন্যান্য ব্যবসায় তাঁদের অবৈধ অর্থ বিনিয়োগ করছেন।’
এসব দুর্নীতিবাজকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে অস্ট্রেলিয়ার আন্তরিক সহযোগিতা চান তিনি।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর একটি বড় সমস্যা হচ্ছে দুর্নীতিবাজেরা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ অন্য দেশে পাচার করে। তাই বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
ইকবাল মাহমুদ আরও বলেন, বাংলাদেশ বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা, বিশেষ করে অর্থ পাচার মামলায় বিভিন্ন দেশের কাছে পারস্পরিক আইনগত সহায়তা প্রস্তাবের (এমএলএআর) আওতায় তথ্য চেয়েছে। এসব তথ্য দ্রুত পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা যেতে পারে। এসব মামলায় অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে অর্থ পাচার কমে আসবে। অপরাধীরাও অর্থ পাচার করার সাহস হারিয়ে ফেলবে। সবার সহায়তা পেলে বাংলাদেশে অর্থ পাচারসহ সব ধরনের দুর্নীতি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কমে আসবে বলেও মন্তব্য করেন দুদক চেয়ারম্যান।
এর আগে গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেমস এ ওয়ালশের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন দুদক চেয়ারম্যান। বৈঠকে ইকবাল মাহমুদ এফবিআইয়ের সার্বিক সহযোগিতার কথা তুলে ধরে বলেন, কমিশনের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এফবিআই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর