অস্ট্রেলিয়ায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সহযোগিতা চাইল দুদক

Dudak-chairস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দুর্নীতিবাজদের পাচার করা অর্থ অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরিয়ে আনতে দেশটির সহায়তা চেয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

আজ বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অস্ট্রেলিয়ান কমিশন ফর ল’ এনফোর্সমেন্ট ইনটিগ্রিটির নির্বাহী পরিচালক ক্রেইগ ফারি ও অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেডের সহকারী পরিচালক স্টিফেন ম্যাকলেহিনির নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।

ওই বৈঠকে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে সংস্থাটির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল অংশ নেন। দুদকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিদলটির উদ্দেশে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশের কিছু দুর্নীতিবাজ অস্ট্রেলিয়ায় পালিয়ে আছেন বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। তাঁরা অস্ট্রেলিয়ায় আবাসন খাতসহ অন্যান্য ব্যবসায় তাঁদের অবৈধ অর্থ বিনিয়োগ করছেন।’

এসব দুর্নীতিবাজকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে অস্ট্রেলিয়ার আন্তরিক সহযোগিতা চান তিনি।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর একটি বড় সমস্যা হচ্ছে দুর্নীতিবাজেরা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ অন্য দেশে পাচার করে। তাই বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

ইকবাল মাহমুদ আরও বলেন, বাংলাদেশ বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা, বিশেষ করে অর্থ পাচার মামলায় বিভিন্ন দেশের কাছে পারস্পরিক আইনগত সহায়তা প্রস্তাবের (এমএলএআর) আওতায় তথ্য চেয়েছে। এসব তথ্য দ্রুত পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা যেতে পারে। এসব মামলায় অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে অর্থ পাচার কমে আসবে। অপরাধীরাও অর্থ পাচার করার সাহস হারিয়ে ফেলবে। সবার সহায়তা পেলে বাংলাদেশে অর্থ পাচারসহ সব ধরনের দুর্নীতি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কমে আসবে বলেও মন্তব্য করেন দুদক চেয়ারম্যান।

এর আগে গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেমস এ ওয়ালশের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন দুদক চেয়ারম্যান। বৈঠকে ইকবাল মাহমুদ এফবিআইয়ের সার্বিক সহযোগিতার কথা তুলে ধরে বলেন, কমিশনের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এফবিআই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর

প্রতিটি মহাসড়কে টোল আদায়ের নির্দেশনা রয়েছে : অর্থমন্ত্রী

kamalস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রতি বছর সড়ক সংস্কারে বিপুল পরিমাণ টাকা দেওয়া সম্ভব হবে না। টোলের টাকা দিয়েই সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, প্রতিটি মহাসড়কে টোল আদায়ের ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘মহাসড়কের লাইফটাইম চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘কাজের গুণগত মান বাড়াতে হবে। দক্ষ জনবলের কাছে কাজ দিলে মানসম্মত কাজ পাওয়া যাবে, আমরা এটিই চাই। একাধিক কাজ দেওয়ার ফলে কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সময় অনেক কাজ আটকে দেয়। এ জন্য এক কোম্পানিকে বার বার কাজ দেওয়া যাবে না। অর্থায়ন ও বাস্তবায়নের সক্ষমতা বিবেচনা করে নতুন প্রকল্প নিতে হবে।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘দেশি কোম্পানিগুলোর জন্য বিদেশি ঠিকাদারদের কাজ দেওয়া হয়নি। সড়কের অবস্থা ভালো না থাকায় জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনি এলাকায় যেতে পারেন না।’ এলাকার লোকজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের গালি দেয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি গাড়ির জন্য প্রিপেইড মিটারের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্দিষ্ট সীমা পার হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিল পরিশোধ হবে। ফলে টোলপ্লাজায় কোনও যানজট হবে না।
সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

পাঁচ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বকেয়া বিলের গ্রাহক নিখোঁজ

Perlamentস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রকৃত গ্রাহক খুঁজে পাওয়া না যাওয়ায় বিদ্যুৎ বকেয়া বিল আদায় করা যাচ্ছে না। এভাবে এক বছরে প্রায় ৫ কোটি টাকা অনাদায়ী রয়েছে। আর এ জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়ী করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটি বৈঠকে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ পরবর্তী বৈঠকে নিখোঁজ গ্রাহকের সংখ্যা ও বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি ডা. মো. রুস্তম আলী ফরাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সালমান ফজলুর রহমান, মনজুর হোসেন, আহসানুল ইসলাম (টিটু), অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও ওয়াসিকা আয়েশা খান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটি সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ বিভাগের ২০১২-১৩ অর্থ বছরের হিসাব সম্পর্কিত মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট নিয়ে আলোচনাকালে নিখোঁজ গ্রাহকদের প্রসঙ্গটি উঠে আসে। সেখানে দেখা যায় ওই অর্থ বছরে গ্রাহক খুঁজে না পাওয়ায় বিদ্যুৎ বিভাগের ৪ কোটি ৯৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৩৫৩ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এবিষয়ে অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি বিষয়টিকে গুরুতর অনিয়ম হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কমিটির পক্ষ থেকে অনধিক ৬০ দিনের মধ্যে অনাদায়ী টাকা আদায় ও জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

বৈঠকে জানানো হয়, একই অর্থ বছরে দীর্ঘদিন বিল পরিশোধ না করা সত্ত্বেও ৪২০ জন গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে অনিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ায় ১২ কোটি ৮৭ লক্ষ ৮৮ হাজার ৬৮৪ টাকা অনাদায়ী রযেছে। আর ঠিকাদারকে পরিশোধিত বিল হতে নির্ধারিত হারের চেয়ে কম হারে ভ্যাট কর্তন করায় সরকারের ২৩ কোটি ৮৮ লক্ষ ৪১ হাজার ২৫২ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া যোগসাজশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ায় সরকারের এক কোটি ১৭ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৮৮ টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর

এসএমই ঋণ সহজ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

bbস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সিএমএসএমই (কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি) খাতের গ্রাহকদের ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক জামানত হিসেবে ব্যক্তিগত গ্যারান্টির বিষয়টি আরও সহজ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এসএমই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির গ্যারান্টি দেওয়ার ব্যাপারে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কোনও ধরনের চাপ দেওয়া যাবে না। গ্রাহকদের বাধ্যও করা যাবে না।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গ্যারান্টিকে সহায়ক জামানত হিসেবে বিবেচনা করার নির্দেশনা আগের প্রজ্ঞাপনেই দেওয়া ছিল। পাশাপাশি গ্রাহককে একের বেশি ব্যক্তিগত গ্যারান্টি দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্য না করার বিষয়ও উল্লেখ করা আছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ব্যাংকগুলো একের বেশি ও সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির (যেমন: উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, বিত্তবান আত্মীয়-স্বজন, স্বামী-স্ত্রী ইত্যাদি) গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য গ্রাহককে চাপ দেওয়া হচ্ছে। ফলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা একদিকে ঋণ পাওয়া থেকে বিরত থাকছে, অন্যদিকে সিএমএসএমই খাতের উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সাধারণত জামানত ছাড়া কোনও ব্যাংক ঋণ দেয় না। তবে, বিশেষ কাজে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসএমই খাতের নতুন উদ্যোক্তাকে জামানত ছাড়া ঋণ দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে। বিনা জামানতে একজন নারী উদ্যোক্তাকে ২৫ লাখ এবং পুরুষ উদ্যোক্তাকে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

রাষ্ট্রপতিকে বকেয়া পাওনার সালিশের জন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রামীণফোনের নোটিশ

grameenস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সরকারের রাজস্ব বকেয়া পাওনার বিষয়ে সালিশের জন্য গ্রামীণফোন রাষ্ট্রপতিকে উকিল নোটিশ পাঠানোর ঘটনাকে দু:খজনক বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী জানান, সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রামীণফোন রাষ্ট্রপতিকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, জিপি সিঙ্গাপুরের একটি আইন সংস্থার মাধ্যমে আমাদের রাষ্ট্রপতিকে উকিল নোটিশ দিয়েছে আরবিট্রেশনে (সালিশ) যাওয়ার জন্য।

বিষয়টিকে দুঃখজনক মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি মনে করি যে এটি খুব দুঃখজনক, বাংলাদেশে ব্যবসা করবে একটি প্রতিষ্ঠান, সেই প্রতিষ্ঠানটি আমাদের রাষ্ট্রপতিকে উকিল নোটিশ দিয়ে তারপরে তারা আরবিট্রেশনের জন্য চাপ দেবে, এটা বোধহয় কোনোভাবে আমাদের কাছে খুব সহজে গ্রহণ করার মতো অবস্থা না।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এটা বুঝি, ব্যবসা যদি কেউ করে তাহলে ব্যবসার ক্ষেত্রে তাদের নানা ধরনের সমস্যা থাকবে। আমাদের দায়িত্ব ফ্যাসিলেটেড করার, আমরা তাদের ফ্যাসিলেটেড করব।

প্রসঙ্গত, গ্রামীণফোনের কাছে (জিপি) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে।

দাবিকৃত সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা প্রদানের জন্য গত ২ এপ্রিল গ্রামীণফোনকে চিঠি দেয় বিটিআরসি। ওই চিঠির বিরুদ্ধে ঢাকার নিম্ন আদালতে মামলা করে ফোন কোম্পানিটি। এতে টাকা প্রদানের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।

গত ২৮ আগস্ট আদালত মামলা খারিজ করে দেয়। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে গ্রামীণফোন। ওই আবেদন গ্রহণ করে বিটিআরসির চিঠি স্থগিত করে দেয় হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় বিটিআরসি। গত ২৪ অক্টোবর আপিল বিভাগ এক আদেশে বলেন, জিপি এই মুহূর্তে কত টাকা বিটিআরসিকে দিতে পারবে- তা জানাতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর/জেড

গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে

Global-smbdস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেড লভ্যাংশ কম দেওয়ায় ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামানো হয়েছে। আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে উভয় শেয়ারবাজারে। বৃহস্পতিবার ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, কোম্পানটি গত অর্থ বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে।

এর আগে কোম্পানিটি লেনদেন এ ক্যাটাগতি লেনদেন হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

  1. জেনেক্স ইনফোসিস
  2. খুলনা পাওয়ার কোম্পানি
  3. রিন সাইন টেক্সটাইল
  4. বিকন ফার্মা
  5. সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স
  6. গোল্ডেন হার্ভেষ্ট এগ্রো
  7. স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস
  8. প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল
  9. ইফাদ অটোস
  10. বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

শেষদিনে উত্থানে লেনদেন ও সূচক

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। এদিন দিনশেষে সেখানে সূচকও বেড়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন দুটোই বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৭৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয় ২৫৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে।

এদিন লেনদেন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৮.৮৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৪৫৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৯৯৭ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ১৪.৭৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৫১৩ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ ৩৫১ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ২০৬টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ৯১টির। আর দর অপরিবর্তিত আছে ৫৪টির দর।

দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে – জেনেক্স ইনফোসিস, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, রিন সাইন টেক্সটাইল, বিকন ফার্মা, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, গোল্ডেন হার্ভেষ্ট এগ্রো, , স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, ইফাদ অটোস ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

এদিকে বৃহস্পতিবার দিনশেষে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯০.৯৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৫৩১ পয়েন্টে।

সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৩৮ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩১টির, কমেছে ৭৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৪টির শেয়ার দর।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ১১ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

সেখানে লেনদেনের শীর্ষ রয়েছে পদ্মা ওয়েল ও যমুনা ওয়েল লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড

রিন সাইনকে মূলধন বাড়ানোর অনুমোদন দিল আরজেএসসি

Ring-shine-696x372স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানি রিং শাইন টেক্সটাইলের মূলধন বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কোম্পানিটি ৪৪০ কোটি টাকা থেকে ৫৪০ কোটি টাকায় অনুমোদিত মূলধন বাড়াবে।

রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি রিং শাইনের অনুমেদিত মূলধন বাড়ানোর বিয়টি অনুমোদন করেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর

৬ বছর আগের অবস্থানে ডিএসই-৩০

low profit-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এসব কোম্পানির শেয়ারের দামও কমেছে বেশি। এ কারণে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্য থেকে সবচেয়ে ভালো মানের বাছাই করা ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচকটি প্রায় অর্ধযুগ আগের অবস্থানে ফিরে গেছে।

ডিএসইর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী গতকাল দিন শেষে ডিএস-৩০ সূচকটি ১০ পয়েন্ট কমে নেমে এসেছে ১ হাজার ৪৯৯ পয়েন্টে, যা প্রায় ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি এ সূচক ১ হাজার ৪৭৮ পয়েন্টের সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল। চলতি বছরের পুরোটা সময়ে টানা দরপতনের ফলে এ সূচক সবচেয়ে বেশি পেছনের দিকে ফিরে গেছে।

ডিএস-৩০ সূচকে অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারের সবচেয়ে ভালো কোম্পানি হিসেবে স্বীকৃত। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘ মেয়াদে নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য এসব কোম্পানিতেই বেশি বিনিয়োগ করে থাকেন। কিন্তু সেগুলোর দামই এবারের দরপতনে সবচেয়ে বেশি কমেছে।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মার্চের পর থেকে বিদেশি বিনিয়োগে টানা নেতিবাচক প্রবণতা রয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বেশির ভাগ বিনিয়োগই ডিএস-৩০ সূচকে অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোতে। তাই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিক্রি বেড়ে যাওয়া মানে এসব শেয়ারের বিক্রিও বেড়ে যাওয়া, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দামেও।

ডিএস-৩০ সূচকে অন্তর্ভুক্ত ৩০ কোম্পানির গত এক বছরের বাজারমূল্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ সময়ে সবচেয়ে বেশি দরপতন ঘটেছে বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৭১ শতাংশ কমেছে। এর পরে রয়েছে ইফাদ অটোস। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম এক বছরে ৬০ শতাংশ কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি