নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজের জাল শেয়ার সার্টিফিকেট মামলায় কোম্পানির আরো ৫ কর্মকর্তার জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। কারাগারে থাকা ওই পাঁচ আসামির জামিনের আবেদন নাকচ করে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ১৪ সেপ্টেম্বর প্যারাগন লেদারের ২০ আসামির মধ্যে পাঁচজন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। তবে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ুন কবীর আসামিদের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেদিন থেকেই তারা কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে পাঠানোর চারদিনের মধ্যে গতকাল ট্রাইব্যুনালে আসামিপক্ষ আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন জানান। তবে যৌক্তিক সময় পার না হওয়ার কারণ জানিয়ে তাদের জামিন আবেদন নাকচ করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
মামলার জামিন না পাওয়া এসব আসামিরা হলেন- প্যারাগণ লেদারের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ সালাম, কর্পোরেট এ্যাডভাইজার আব্দুস সালাম, এ্যাকাউন্ট অফিসার মো. জালাল উদ্দিন, শেয়ার অফিসার এসএম জুনায়েদ বাগদাদী ও কম্পিউটার অপারেটর হেমন্ত বাইন ভূঞা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্যারাগন লেদারের শেয়ার জালিয়াতি নিয়ে কোম্পানিসহ ২০ জনকে আসামি করে ২০০১ সালে মামলা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। আসামিরা হলেন—এমএ সালাম, আবুল কালাম আজাদ, নূর মোহাম্মদ, আব্দুস সালাম, এস এস জুনায়েদ বাগদাদী, মো. কুতুবউদ্দিন, মো. আরব মিয়া, আলী আহম্মেদ, মো. নূরুল আফসার, মো. কলিমউদ্দিন, মো. জালাল উদ্দিন, হেমন্ত বাইন, এবিএম মোরশেদুল হক, মো. সাইফুল্লা মিজান, শামসুল হাদী, মো. বশির আলম, মাহবুবুর, মাহবুবুর রহমান,মো য়াজ্জেম হোসেন ও প্যারাগন লেদার এ্যান্ড ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
মামলা সূত্রে জানা যায়,প্যারাগন লেদারের শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগের ভিত্তিতে বিএসইসি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে ওই কমিটি ২০০১ সালের ৩১ মে প্রতিবেদন দাখিল করে। আসামিগণ কোম্পানির শেয়ার জাল করার ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা রাখে। পরে এই জাল শেয়ার সার্টিফিকেট কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানিটির কিছু কর্মকর্তা ঋণের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দেয়। আর ওইসব জাল শেয়ার সার্টিফিকেট ব্যাংকের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসে। শেষপর্যন্ত ওই সব শেয়ার বাজারে এসে মারাত্মক বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি করে এবং নির্দোষ বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
জাল শেয়ার গ্রহণ করা ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা আসামিগণের প্রত্যেকের জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা করে ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। এ ছাড়া আসামিদের দু’জন জাল শেয়ার সার্টিফিকেটের মাধ্যমে সন্ধানী ক্রেডিট এ্যান্ড কো-অপারেটিভ ও চার্টার্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি থেকে ঋণ গ্রহণ করে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/বিএ/এইচ/