যাদের শেয়ার নাই তাদের পরিচালক পদ ছাড়তে হবে : বিএসইসি’র চেয়ারম্যান

shibli-rubayat-ul-islam_0স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির পরিচালকের হাতে ২ শতাংশের কম শেয়ার রয়েছে, তাঁদের পদ ছাড়তেই হবে বলে জানিয়েছেন শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম।

তিনি বলেন, যেসব পরিচালকের হাতে ২ শতাংশের কম শেয়ার রয়েছে, তাঁদের তালিকাও স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে সেই নির্দেশ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও পুঁজিবাজারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) যৌথ উদ্যোগে আজ শনিবার আয়োজিত এক অনলাইন আলোচনায় এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, সম্পদ ব্যবস্থাপক সমিতির সভাপতি হাসান ইমাম, ডিএসই ব্রোাকারস অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মার্চেন্ট ব্যাংক আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন বিএমবিএর সভাপতি ছায়েদুর রহমান ও সিএমজেএফ সভাপতি হাসান ইমামক।

বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম আরও বলেন, ‘যাঁরা খারাপ উদ্দেশ্যে শেয়ারবাজারে এসে বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, বছরের পর বছর কোম্পানি ভালোভাবে চালাচ্ছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি। তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে যেসব স্বতন্ত্র পরিচালক দায়িত্ব পালন করেন, তাঁদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা দেখছি, স্বতন্ত্র পরিচালকেরা তাঁদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করেননি। এটি সত্যিই দুঃখজনক।’

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে মনিরুজ্জামান বলেন, শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করতে কোম্পানির সংখ্যা বাড়ানোর চেয়ে বেশি দরকার ভালো কোম্পানির। শেয়ারবাজারে কত কোম্পানি আছে, তারচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো ভালো কোম্পানি আছে সেটি। পরে আলোচনায় অংশ নেওয়া একাধিক বক্তা ভালো কোম্পানির শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান ও মিনহাজ মান্নান, সংস্থাটির সাবেক পরিচালক আহমেদ রশীদ, বিএমবিএর মহাসচিব রিয়াদ মতিন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বসুন্ধরাকে ১৬টি মেরিন ইঞ্জিন হস্তান্তর করলো এনার্জিপ্যাক

Energypac delivers 16 marine propulsion engine to Bashundhara Groupস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড সম্প্রতি বসুন্ধরা স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কাছে মেরিন গিয়ারবক্সসহ মোট ১৬ ইউনিট ‘ওয়াইসি ডিজেল’ মেরিন প্রপালশন ইঞ্জিন হস্তান্তর করেছে। ‘আরআইএনএ ক্ল্যাসিফাইড ৪৮০০ ডিডব্লিউটি’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে বসুন্ধরা গ্রুপের এ সহযোগী প্রতিষ্ঠানটি তাদের ৮টি কার্গো জাহাজের জন্য এ ইঞ্জিনগুলো নিয়েছে।

এটি এ খাতের দু’টি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের মাঝে সম্পর্ক সুদৃঢ় করেছে এবং এর মাধ্যমে সামনের দিনগুলোতে প্রতিষ্ঠান দু’টির মধ্যে ব্যবসায়িক সম্ভাবনার সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী বলেন, ‘নিজস্ব স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে সবার জন্য সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে, আমরা এমন অংশীদারিত্বেই বিশ্বাসী। এনার্জিপ্যাক এবং বসুন্ধরা উভয় প্রতিষ্ঠানই বিশ্বে বাংলাদেশের একটি সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করার জন্য বৃহত্তর শিল্পখাতের উন্নতির লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে চলেছে। আমাদের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ।’

প্রকল্পের জন্য যে মডেলের ইঞ্জিন সরবরাহ করা হয়েছে সেগুলো হলো- ওয়াইসি৮সিএল১৪০০এল-সি২০ ও ১৪০০এইচপি, ১০০০আরপিএম।

১৯৯৫ সাল থেকে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড (ইপিজিএল) সব সময় ‘এনার্জি ওয়ার্কস ওয়ান্ডার্সে’ বিশ্বাস করে। তাই, বাজারের সর্বাধুনিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সাহায্যে মানুষের জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইপিজিএল বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থার ঘাটতি দূর করতে এবং তাদের কর্মীদের জীবনমান উন্নীতকরণের পাশাপাশি এর গ্রাহকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে। এ প্রতিষ্ঠানটি কেবলমাত্র গুণগতমানের পণ্যগুলোর মাধ্যমেই নয় বরং এর পরিষেবাগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট।

দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে, ইপিজিএল তার গ্রাহক এবং অংশীদার উভয়কেই পুরোপুরি পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং সমাধান সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যাত্রা শুরুর পর থেকেই, ইপিজিএল বাংলাদেশের বৃহত্তম পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে এবং স্থানীয় ও বৈশ্বিকভাবে সুপরিচিত উভয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সম্মান ও আস্থা অর্জন করেছে। বর্তমানে, ইপিজিএল ইজি উইলসন, পারকিনস, জেসিবি, জ্যাক, গ্ল্যাড , স্টিলপ্যাক, জি-গ্যাস, জন ডিয়ার, সিমেন্স এবং আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত রয়েছে।

ইপিজিএলের দুটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে – এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চার লিমিটেড এবং ইপিভি চট্টগ্রাম লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ডিএসই পিই রেশিও বেড়েছে ২.১২ শতাংশ

PE-300x197স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদায়ী সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ২.১২ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৩.১৮ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৩.৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.২৮ পয়েন্ট বা ২.১২ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.০৯ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৮.৭৫ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৬.১৩ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২০.৩৫ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৫.৯৯ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১৫.৭১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৪.৯৩ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১৩.৩৪ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ১৭.১২ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৯.১৬ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১২.৪৯ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ২৯.০৭ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৩২.২৩ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৫৩.৪৭ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩.৪৭ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৫.২৩ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৪.১১ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই ৪০.৬২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড/এম

৫ কার্যদিবসে ডিএসই’র মূলধন বেড়েছে ৬,৩৫৪ কোটি টাকা

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ৬ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা বেড়েছে। এসময় গত সপ্তাহের তুলনায় লেনদেন ও সূচক বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৭২ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ৬,৩৫৪ কোটি টাকা বা ১.৭১ শতাংশ।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ৫,২৯৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৪ দিনের হয়েছিল ৪,২৩৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ২৪.৮০ শতাংশ বেড়েছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ১০৫৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ০.০৮ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১০৫৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকার উপরে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৩.৪৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১১ য়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ২৪.৮২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৪০ পয়েন্টে। তবে শরিয়াহ সূচক ১৬.৭০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৫৮ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৬২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২১৭টির, কমেছে ১১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির শেয়ার ও ইউনিট দর। আর ২টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড/এম