নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী এক বছরের মধ্যে সিকিউরিটিজের লেনদেন নিষ্পত্তির (সেটেলমেন্ট) জন্য স্বতন্ত্র ক্লিয়ারিং করপোরেশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তালিকাভুক্ত শেয়ার, বন্ড ও ডিবেঞ্চারের লেনদেনের এই ক্লিয়ারিং করপোরেশন গঠনের কাজ এখনও প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে ২০১২ সালে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইনের সংশোধনীতে ক্লিয়ারিং করপোরেশন গঠনের বিষয়টি সংযোজন করা হয়েছে। তবে চলতি বছরের মধ্যেই বিধি তৈরির বাকি কাজ সেরে ফেলতে চায় কমিশন।
বর্তমানে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির লেনদেন নিষ্পত্তি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) পৃথক ক্লিয়ারিং বিভাগের মাধ্যমে করে থাকে। এ ছাড়া সরকারি বন্ড লেনদেন নিষ্পত্তি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ক্লিয়ারিং করপোরেশন গঠন হলে নতুন এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ সব কাজ হবে।
ক্লিয়ারিং করপোরেশন বা কোম্পানি হলো শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে ক্রেতা ও বিক্রেতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে অর্থ বা শেয়ার সংগ্রহ করে বিক্রেতাকে অর্থ এবং ক্রেতাকে শেয়ার সরবরাহ নিশ্চিত করা।
সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়ালি-উল-মারুফ মতিন বলেন, সিডিবিএল বা ক্লিয়ারিং কোম্পানি হলো শেয়ারসহ তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের লেনদেন নিরাপদ করার সহযোগী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য কখনোই ব্যবসা হওয়া উচিত নয়। প্রতিবেশী ভারতসহ বিশ্বের নানা দেশে স্টক এক্সচেঞ্জের কাছেই এসব প্রতিষ্ঠানের শতভাগ মালিকানা থাকে।
কমিশন সূত্রে জানা যায়, ক্লিয়ারিং করপোরেশন গঠনের কাজ এখনও প্রক্রিয়াধীন। চূড়ান্ত কিছু না হওয়ায় মালিকানা কেমন হবে তা এখনও নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে এটি অবশ্যই ডিমিউচুয়ালাইজড হবে। তিনি বলেন, লেনদেনে ঝুঁকি হ্রাস করার উদ্দেশ্যেই ক্লিয়ারিং করপোরেশন করা হবে। সে ক্ষেত্রে লেনদেন ব্যয় যাতে না বাড়ে সে বিষয়ে কমিশন সতর্ক থাকবে।