‘বাংলাদেশ-ভারতের কৌশলগত, বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো নিবিড় হবে’

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বৃহস্পতিবার সকালে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাথে সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। এ সময় ভূমিমন্ত্রী বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও এর ডিজিটালাইজেশনের বিভিন্ন পরিকল্পনার ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।

বৈঠকে ভূমিমন্ত্রী ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। ভূমিমন্ত্রী তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর সাথে ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির চমৎকার বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করেন।

এ সময় ভূমিমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত, বাণিজ্যিক ও বিশ্ব অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে।

বাংলাদেশের দ্রুত শিল্পায়ন ও উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

হাইকমিশনার বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধু-প্রতীম দেশ”। ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ অর্জন করার জন্য বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী ভূমিমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। তিনি ভূমি ব্যবস্থাপনার ডিজিটাইজেশন কার্যক্রমেরও প্রশংসা করেন।

ভূমিমন্ত্রীর সাথে হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাতের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: মাসুদ করিম। সূত্র : কালের কন্ঠ

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ঋণখেলাপি ট্যানারি মালিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ সুবিধা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঋণখেলাপি ট্যানারি মালিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ সুবিধা দিয়েছে। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে আগ্রহীকে ব্যাংকে আবদেন করতে হবে। আবেদন পাওয়ার তিন মাস, অর্থাৎ আগামী জুনের মধ্যে ব্যাংক তার গ্রাহককে আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে।

বুধবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার ইস্যু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট (বিআরপিডি)।

সার্কুলারে বলা হয়, সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তরিত ট্যানারি মালিকরা নানা কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেকে নিয়মিত ঋণ পরিশোধিত করতে পারছেন না। এসব ঋণ মন্দ ঋণে (ব্যাড লোন) শ্রেণিকৃত (ক্লাসিফাইড) হয়ে পড়েছে। এর ফলে চামড়া শিল্পখাতে স্বাভাবিক ঋণপ্রবাহ বজায় রাখা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না।

ব্যবসা অব্যাহত রাখতে পারবেন না, এমন কারখানা মালিকদের ক্ষেত্রে সার্কুলারে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাদের ঋণস্থিতি ৫ কোটি টাকা ছিল, তারা নগদ ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্টে দিয়ে ৩ বছরের মধ্যে মূল ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন।

একই সময়ে যাদের ঋণস্থিতি ৫ কোটি টাকার বেশি, তারা একই পরিমাণ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে মূল ঋণ পরিশোধের জন্য ৫ বছর সময় পাবেন।

ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফ না করলে, ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা সুদ ও আসল মিলিয়ে হবে।

ব্যবসা থেকে যারা এক্সিট নিতে চান, জামানত হিসেবে ব্যাংকে রাখা তাদের সম্পত্তি গ্রাহকের সম্মতি সাপেক্ষে বিক্রি করতে পারবে ব্যাংক।

যেসব ট্যানারি মালিক সাভারে তাদের ব্যবসা অব্যাহত রাখতে পারবেন, তারা ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ঋণস্থিতির ২ শতাংশ নগদে ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ১ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য ঋণ পুনঃতফসিল/পুনর্গঠন সুবিধা পাবেন। এই সুবিধা নেওয়ার পর ঋণের সুদহার হবে ৯ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

‘সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে’ এর উদ্বোধন করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার ফি এখন থেকে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে অনলাইনে জমা প্রদান করা যাবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করে ইজি অব ডুয়িং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা প্রদান করছে। বেশিরভাগ কার্যক্রম ইতিমধ্যে ডিজিটাল সেবার আওতায় এসেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আমদানি ও রপ্তানি অধিদফতরের সাথে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং ই-পেমেন্ট কার্যক্রম ‘সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন টিপু মুনশি।

গত বছরের জুলাই মাস থেকে অনলাইন লাইসেন্সিং মডিউলের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের আমদানি-রপ্তানি, ইনডেন্টিং এবং শিল্প নিবন্ধন সনদপত্র প্রদান সেবা অনলাইনে প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ^বাণিজ্যে ডিজিটাল সেবা প্রদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বাংলাদেশ সফল ভাবেই সে কাজটি করছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ই-পেমেন্ট সেবা চালুর ফলে ব্যবসা বাণিজ্যের ফি/চার্জ প্রদানের ক্ষেত্রে কোন জটিলতা থাকবে না। দেশে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সকল ক্ষেত্রে ডিজিটাল সুবিধা নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তব। দেশের গ্রামের মানুষও ডিজিটাল সুবিধা ভোগ করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

১ জুলাই থেকে অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু: বিটিআরসি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আগামী ১ জুলাই থেকে দেশে অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।

ওই সময়ের আগে গ্রাহকদের হাতে থাকা সচল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান বিটিআরসি প্রধান।

বৃহস্পতিবার বিটিআরসি কার্যালয়ে টেলিকম খাতের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিয়ম অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান এ তথ্য দেন।

অবৈধ মোবাইল সেট বন্ধ ও বৈধ সেটের নিবন্ধনে ডিসেম্বরে বিটিআরসির সঙ্গে চুক্তি করে দেশীয় প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটি। চুক্তি অনুযায়ী ১২০ কার্যদিবসের মধ্যে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম চালু করতে হবে সিনেসিসকে।

কবে নাগাদ অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট বন্ধ করা হবে প্রশ্নে বিটিআরসি প্রধান বলেন, “যে সেটগুলো গ্রাহকের হাতে আছে তাদেরকে ডিসটার্ব না করে কাজটি করতে চাই। যে সেটগুলো চালু আছে তাদের ইনকর্পোরেট করে নেব, সে সুযোগ দেব। নতুন যেগুলো আসবে সেগুলো অবশ্যই নিবন্ধন হয়ে আসতে হবে। আমার সেই প্রক্রিয়ায় যাব, আমরা গ্রাহকদের কোনো সমস্যায় ফেলতে চাই না।

“আগামী ১ জুলাই থেকে অবৈধ সেটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিদ্যমান যে সেটগুলো গ্রাহকের হাতে থাকবে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেব যাতে সমস্যা না হয়। ১ জুলাই সব চালু সেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপারেটরদের মাধ্যমে নিবন্ধন হয়ে যাবে।”

বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল আলম বলেন, “আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। সেট বৈধ কিনা তা এখন যাচাই করা যাচ্ছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি প্রতিটি অপারেটর ম্যানুয়ালি আমাদের জানাবে নতুন কোন সেটগুলো তাদের নেটওয়ার্কে আছে। এগুলো ম্যানুয়ালি অননেট চেক করে পরবর্তী সাতদিনের মধ্যে জানাব সেটটি বৈধ কি অবৈধ। বাকিগুলো যেটা অপারেশন করে বন্ধ করা হবে সেটি ১ জুলাই থেকে অনলাইন করা হবে।

“আমারা চিন্তা করছি, যে তথ্য অপারেটররা জানাবে তা নেটওয়ার্কে আসার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে পরবর্তীতে যদি দেখা যায় তা অবৈধ তাহলে ব্লক করা হবে । বিভিন্ন সময় এ বিষয়ে জনগণকে বলা হচ্ছে যাচাই করে সেট কেনার জন্য।”

বিটিআরসি জানিয়ে আসছে, এই প্রক্রিয়া শুরু হলে অবৈধ হ্যান্ডসেটে প্রাথমিকভাবে নির্দিষ্ট একটি সিম ছাড়া অন্য কোনো সিম কাজ করবে না। নির্দিষ্ট সময় পরে কোনো সিমই কাজ করবে না। ফলে গ্রাহকরা বাধ্য হয়েই নকল বা অবৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধ করবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ব্লক মার্কেটে লেনদেন ৪২ কোটি টাকার

টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৫টি কোম্পানির ৪২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৮ লাখ ৫৫ হাজার ১০৫টি শেয়ার ১১৭ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৪২ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসএস স্টিলের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের।

এছাড়া এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৭৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকার, বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ১ কোটি ৬ লাখ ৮ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ১ কোটি ২৪ লাখ ১৫ হাজার টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ১০ লাখ ১০ হাজার টাকার, সেন্ট্রাল ফার্মার ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ২ কোটি ৬৯ লাখ ৯১ হাজার টাকার, গ্রামীণফোনের ৪৪ লাখ ৪ হাজার টাকার, আইডিএলসির ৬৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকার, ইন্ট্রাকোর ৫ লাখ ৫ হাজার টাকার, খান ব্রাদার্সের ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, কোহিনুর কেমিক্যালের ২৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকার, খুলনা পাওয়ারের ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ২৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার, মালেক স্পিনিংয়ের ২২ লাখ ৯৬ হাজার টাকার, এনসিসি ব্যাংকের ২৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকার, অলিম্পিকের ৭৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৪৬ লাখ ১৩ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকার, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ২০ লাখ টাকার, রবি আজিয়াটার ১ কোটি ৫২ লাখ ৬২ হাজার টাকার, সায়হাম টেক্সটাইলের ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকার, সী পার্লের ১১ লাখ ৫৬ হাজার টাকার, এসইএমএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১১ লাখ ২৩ হাজার টাকার, এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার, সোনালী পেপারের ৫ লাখ টাকার, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ১৫ লাখ ৫ হাজার টাকার এবং ওয়ালটনের ১০ লাখ ৫১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

মেঘনা লাইফের অফিস পরিবর্তন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি মেঘনা লাইফ ইন্সূরেন্স লিমিটেডের হেড অফিস এবং রেজিস্টার্ড অফিসের ঠিকানা পরিবর্তন করা হয়েছে । সম্প্রতি বিমাটির এই নতুন অফিসে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রবিবার ডিএসই সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, কোম্পানিটির হেড অফিস রাজধানী মতিঝিল শাপলা চত্বরে অবস্থিত মেঘনা লাইফ-কর্নফুলি বিমা ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এখন হতে এই নতুন অফিসে করপোরেটেরও সকল কার্যক্রম করবে বিমাটি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

অন্যের ওপর নির্ভরশীল না থেকে পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি।

তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আমরা পাটবীজের জন্য বিদেশের উপর নির্ভরশীল থাকতে পারি না। আমরা পাটবীজের উৎপাদন বাড়াব। পাটের উৎপাদন বাড়াব। পাট চাষকে এদেশের চাষিদের নিকট লাভজনক ফসলে উন্নীত করব। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য পাটের অসাধারণ ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা আবার ফিরেয়ে আনব।

কৃষিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘উচ্চফলনশীল পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে রোডম্যাপ বাস্তবায়ন’ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো: নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষিসচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও সময়োপযোগী উদ্যোগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট পাটের জিনোম আবিষ্কার করেছে। সেই জিনোম ব্যবহার করে আমাদের বিজ্ঞানীরা উচ্চফলনশীল পাটবীজ রবি-১ জাত উদ্ভাবন করেছে; যার ফলন ভারতের পাটজাতের চেয়ে ১০-১৫ ভাগ বেশি। কৃষক পর্যায়ে এটির চাষ বাড়াতে পারলে পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া সম্ভব। তিনি আরও বলেন, দেশে পাটবীজ উৎপাদনের মূল সমস্যা হলো অন্য ফসলের তুলনায় কম লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা চাষ করতে চায় না। পাটবীজে কৃষকদের আগ্রহী করতে ও কৃষকেরা যাতে চাষ করে লাভবান হয় সেজন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হবে।

বাংলাদেশে বছরে কৃষক পর্যায়ে/প্রত্যায়িত বীজের চাহিদা হলো ৫,২১৫ মেট্রিক টন। আর চাহিদার বিপরীতে বিএডিসি সরবরাহ করে ৭৭৫ মেট্রিক টন (তোষা পাট- ৫১৫ টন; দেশি- ২৬০ টন)। তোষা পাটবীজের প্রায় পুরোটাই ভারত থেকে আনতে হয়। এই বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় ৫ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে ২০২৫-২৬ এই ৫ বছরের মধ্যে দেশে ৪৫০০ মেট্রিক টন পাটবীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই তোষা পাটবীজ উৎপাদনের জন্য ৮,৭৮০ হেক্টর জমিতে চাষের প্রয়োজন হবে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) বলেন, ভর্তুকি দিয়ে হলেও পাটবীজের উৎপাদন বাড়াতে হবে। অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকলে সবসময় অনিশ্চয়তায় থাকতে হয়। তার সাথে পাটবীজ রপ্তানির উপর সংশ্লিষ্ট দেশের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ভয়ও থাকে।

উল্লেখ্য, পাটআঁশ এবং পাটবীজ ফসল দুইটি আলাদা ফসল। পাটবীজ রবি মৌসুমের (আগষ্ট-ডিসেম্বর) ফসল। তোষা পাটবীজ সাধারণত আগষ্ট-ডিসেম্বর মাসের ফসল। এ সময়ে উচ্চমুল্যের রবি ফসলের পরিবর্তে কৃষক পাটবীজ উৎপাদনে তেমন আগ্রহী নন। তাই পাটবীজ উৎপাদনের পরিবর্তে পাট চাষের সময় কৃষক বাজার থেকে বীজ ক্রয় করে পাট চাষ করা লাভজনক বলে মনে করে। দেশে মূলত দেশি ও তোষা এ দুই জাতের পাটের চাষ হয়। বর্তমানে দেশি পাট ১৫ ভাগ ও তোষা পাট ৮৫ ভাগ উৎপন্ন হয়। তোষা পাটবীজের চাহিদার প্রায় ৮৫-৯০ ভাগ ভারত থেকে আমদানিকৃত জেআরও-৫২৪ জাতের মাধ্যমে মেটানো হয়।

অথচ, জিনোম গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিটউট (বিজেআরআই) উদ্ভাবিত পাটের জাত রবি-১ (তোষা পাট-৮) এর ফলন জেআরও-৫২৪ জাতের চেয়ে ১০-১৫ ভাগ বেশি। এটি ফরিদপুর ও যশোর অঞ্চলের কৃষকের মাঝে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।

যথাযথভাবে রবি-১ পাট জাতকে সম্প্রসারণের মাধ্যমে পাট বীজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সম্ভব হবে।

সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো: মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, অতিরিক্ত সচিব ও মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: আবুল কালাম,এনডিসি, সংস্থাপ্রধান ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

লেনদেন তালিকার শীর্ষে বেক্সিমকো লিমিটেড

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন কোম্পানিটির ১৫৮ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার।

১০২ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- আইএফআইসি ব্যাংক, রবি, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, একটিভ ফাইন, এসএস স্টীল, ন্যাশনাল ব্যাংক ও সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

রিজার্ভ থেকে ঋণ নিতে চান বিদ্যুৎ খাতের উদ্যোক্তারা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ঋণ নিয়ে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে চান ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার বা আইপিপি খাতের বিদ্যুৎ উদ্যোক্তারা। একই সঙ্গে পুরোনো কেন্দ্রের জন্য যে বিদেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে, তাও শোধ করতে চান রিজার্ভের ঋণে। রিজার্ভ থেকে ঋণ দেওয়ার সরকারি উদ্যোগের মধ্যে এমন দাবি তুলেছেন বেসরকারি বিদ্যুৎ খাতের উদ্যোক্তারা।

গত সোমবার এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি দিয়েছে বেসরকারি বিদ্যুৎ খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশন (বিআইপিপিএ)। এর আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়েও একই চিঠি দেয় সংগঠনটি। যদিও সরকার জানিয়ে দিয়েছে, শুধু সরকারি প্রকল্পের জন্য রিজার্ভের ঋণ ব্যবহার করা যাবে। এ নিয়ে নীতিমালা তৈরি করছে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিআইপিপিএর চিঠিতে বলা হয়, রিজার্ভ থেকে সরকারি ও বেসরকারি খাতের অবকাঠামো প্রকল্পে ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এমন উদ্যোগ নেওয়া হলে বিদ্যুৎ খাত অগ্রাধিকার পাবে। এ জন্য তারা বেশ কিছু যুক্তিও তুলে ধরেছে। সংগঠনটি বলছে, এই খাতের সব আইপিপি প্রকল্প সার্বভৌম গ্যারান্টি পায়। এ খাতের আয় বৈদেশিক মুদ্রায় হয়, আবার বিদেশ থেকে ঋণও নেয়। বর্তমানে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ রয়েছে। যদি রিজার্ভ থেকে ঋণ পাওয়া যায়, তাহলে বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। কারণ, বিদেশি ঋণে সুদহার ৬ শতাংশ। আবার রিজার্ভ থেকে ঋণ দিলে বাংলাদেশ ব্যাংক বিদেশে টাকা রাখার চেয়ে বেশি মুনাফা পাবে। এদিকে নতুন বিদ্যুৎ প্রকল্প আসছে। এ জন্য আরও ২০০ থেকে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ প্রয়োজন হবে। এই ঋণও রিজার্ভ থেকে দেওয়ার দাবি তুলেছে সংগঠনটি।

বিআইপিপিএর সভাপতি ইমরান করিম বলেন, ‘সরকার রিজার্ভ থেকে ঋণ দিতে চায়। তাই এই ঋণে আমরা অগ্রাধিকার চাই। কারণ, বিদ্যুৎ খাত অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। আমাদের প্রকল্পে সার্বভৌম গ্যারান্টি থাকে। আশা করি, রিজার্ভ থেকে ঋণ দেওয়া হলে বিদ্যুৎ খাত আগে এই ঋণ পাবে।’

ইমরান করিম আরও বলেন, বিদেশ থেকে ঋণে ৬ শতাংশের বেশি খরচ পড়ে যায়। রিজার্ভের ঋণে সুদ ৪ শতাংশের নিচে হবে। এই ঋণ পেলে বিদেশি মুদ্রাও সাশ্রয় হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকও ভালো মুনাফা পাবে। সূত্র : প্রথম আলো

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

একমি ল্যাবের পরিচালকের শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ঔষধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি দি এক্‌মি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের একজন পরিচালক ১৩ হাজার ৫০০টি শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তানসিম সিনহা নামে এই উদ্যোক্তা পরিচালক এসব শেয়ার পাবলিক মার্কেট হতে বাজার দরে ক্রয় করবেন।

তিনি এই ঘোষণার পর ৩০ দিনের মধ্যে উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার পাবলিক মার্কেট হতে ক্রয় করবেন বলে ডিএসইর পক্ষ থেকে জানানো হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ