ই-ভ্যালির চেয়ারম্যান-এমডির ব্যাংক হিসাব জব্দ

EVALYস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডট কম লিমিটেড এবং এর চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) গত বৃহস্পতিবার দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ কথা জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন বন্ধে দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সংস্থা হচ্ছে বিএফআইইউ।

ই-ভ্যালির চেয়ারম্যান ও এমডির জাতীয় পরিচয়পত্রসহ (পুরাতন ও স্মার্টকার্ড) ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি পাঠিয়ে বিএফআইইউ বলেছে,‘ই-ভ্যালি এবং এর চেয়ারম্যান ও এমডির ব্যাংক হিসাব ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলো।’

চিঠিতে ই-ভ্যালি এবং এর চেয়ারম্যান ও এমডির নামে পরিচালিত হিসাবগুলোর হিসাব খোলার ফরম, আপনার গ্রাহককে জানুন (কেওয়াইসি) ফরম, হিসাব খোলার শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী জানতে চেয়েছে বিএফআইইউ।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশে সংস্থাটি আরও বলেছে, হিসাবগুলোতে ৫০ লাখ টাকা ও তার চেয়ে বেশি পরিমাণ টাকার জমা ও উত্তোলন সম্পর্কিত সব তথ্য যেমন-জমা ভাউচার, পে-অর্ডার, চেক এবং টাকার প্রেরক ও প্রাপকের হিসাবের তথ্য দাখিল করতে হবে। এ ছাড়া জমাকারী ও উত্তোলনকারী ব্যক্তির ছবিযুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে বিএফআইইউতে। সব তথ্যই দিতে হবে আগামী ৫ দিনের মধ্যে।

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন গত মঙ্গলবার ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এবং ই-ভ্যালিকে আলাদা চিঠি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য-উপাত্ত চেয়েছে। এ জন্য তাদের সময় দেওয়া হয়েছে ১৫ দিন।
বিজ্ঞাপন

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও গত বুধবার ই-ভ্যালির কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। আবার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গত মঙ্গলবারই ই-ভ্যালির পণ্য কার্ডে লেনদেন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

চলতি বছরের চাষাবাদ সারের চাহিদা পুননির্ধারণ

govস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

নিবিড় ও সম্প্রসারিত চাষাবাদের প্রয়োজনে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে রাসায়নিক সারের চাহিদা পুননির্ধারণ করা হয়েছে।
এ লক্ষ্যে অতিরিক্ত ১ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া ও ১ লাখ মেট্রিক টন ডিএপি সার উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে সংগ্রহ করা হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই অতিরিক্ত ইউরিয়া সার বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এবং ডিএপি সার কৃষি মন্ত্রণালয় সংগ্রহ করবে। এ সার ফসল উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

এতে বলা হয়, এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রাসায়নিক সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছিল ইউরিয়া ২৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং ডিএপি ১৩ লাখ মেট্রিক টন। এখন চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ইউরিয়া ২৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং ডিএপি ১৪ লাখ মেট্রিক টন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ডিএসইতে পিই রেশিও ০.৪০ পয়েন্ট বেড়েছে

PE-300x197স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদায়ী সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৩.১৬ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১২.৬৬ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৩.০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিওবা ৩.১৬ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৬.৮৭ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৬.৩৩ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৪.৯১ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২০.৩২ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৪.৭১ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১৫.৮০ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৫.১৮ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১৩.৪৯ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ১৭.৩৯ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩০.১৫ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১২.২০ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ২৭.৮৪ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৩১.১৯ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৪৬.৮০ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১২.২৭ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৩.৩০ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৪.৫৬ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই ৩৮.৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড/এম

৫ দিনে ডিএসইতে বাজার মূলধন ৯,৮৬৭ কোটি টাকা বৃদ্ধি

dse1স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ৯,৮৬৭ কোটি টাকা বেড়েছে। এসময় অধিকাংশ শেয়ারের দর বাড়ায় সূচকও বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ৯,৮৬৭ কোটি টাকা বা ২.৭৪ শতাংশ।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ৪,১৪৪ কোটি ২২ লাখ টাকার। আগের সপ্তাহের ৫ দিনে লেনদেন হয়েছিল ৫,৮৯৮ কোটি ৯৪ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ২৯.৭৪ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৮২৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ২৯.৭৪ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১,১৭৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার উপরে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৯.১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৭৩ য়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৪৩.০৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৯০ পয়েন্টে। তবে শরিয়াহ সূচক ৩০.২৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৩০ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৬০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৮১টির, কমেছে ১৫০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির শেয়ার ও ইউনিট দর। আর ২টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড/এম